ইতিহাসের ধূসরখাতা
লেখক : মাওলানা ইসমাইল রেহান
প্রকাশনী : কালান্তর প্রকাশনী
বিষয় : ইতিহাস ও ঐতিহ্য
পৃষ্ঠা : 312, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 1st Published, 2022
আইএসবিএন : 9789849659006
ইসমাইল রেহান—এই সময়ের বহুল পঠিত ইতিহাসবিদদের একজন তিনি। উম্মাহর দরদ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে লেখা তাঁর বিশেষ কিছু প্রবন্ধের সংকলন ইতিহাসের ধূসরখাতা। সাধারণ ঘটনার আড়ালে যে অসাধারণ বাস্তবতা থাকে, উম্মাহর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এমন কিছু বাস্তবতার বিশ্লেষণধর্মী প্রবন্ধ দিয়েই সাজানো হয়েছে গ্রন্থটি। বলতে গেলে ইতিহাসের চেনা পথঘাটই এখানে অঙ্কিত হয়েছে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে। কিছু ঘটনার দৃশ্যপট সামনে এনে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে উম্মাহর উত্থান-পতন ও ক্ষয়-লয়ের কারণ। হালের সংকট উতরে যাওয়ার ফরমুলাও বাতলে দেওয়া হয়েছে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে। ফলে নির্দ্বিধায় গ্রন্থটিকে আজকের মেধাসন্ত্রাস ও বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্বের যুগে পাঠকের চিন্তার দীনতা, বুদ্ধির অপূর্ণতা এবং সাহস ও কৌশল প্রয়োগের ভয়াতুর জড়তা থেকে মুক্তির সিলেবাস বলা যেতে পারে।
ইসমাইল রেহান—এই সময়ের বহুল পঠিত ইতিহাসবিদদের একজন তিনি। উম্মাহর দরদ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে লেখা তাঁর বিশেষ কিছু প্রবন্ধের সংকলন ইতিহাসের ধূসরখাতা। সাধারণ ঘটনার আড়ালে যে অসাধারণ বাস্তবতা থাকে, উম্মাহর সঙ্গে... আরো পড়ুন
-
-
hotশিকড়ের সন্ধানে
লেখক : হামিদা মুবাশ্বেরাপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন430 ৳314 ৳পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৯৬ টি কভার: পেপার ব্যাক ‘Know ...
-
hotঅবাধ্যতার ইতিহাস
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন400 ৳292 ৳যেভাবে আর যে কারণে ধ্বংস হয়েছে ...
-
save offইতিহাসের আয়নায় বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা
লেখক : হেদায়াতুল্লাহ মেহমান্দপ্রকাশনী : রুহামা পাবলিকেশন414 ৳302 ৳'ইতিহাসের আয়নায় বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা' বইটি মূলত ...
-
hotভারতবর্ষে মুসলিম শাসন : হাজার বছরের ইতিহাস
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল ইসলাম770 ৳385 ৳ভাষান্তর : মুহাম্মাদুল্লাহ ইয়াহইয়া অতিরিক্ত টীকা সংযোজন ...
-
save offলস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি (ইসলামের হারানো ইতিহাস) (পেপার ব্যাক)
লেখক : ফিরাস আল খতিবপ্রকাশনী : প্রচ্ছদ প্রকাশন260 ৳190 ৳লস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি’র ভাষা প্রাঞ্জল ও ...
-
hotসীরাত বিশ্বকোষ (১১ খণ্ড)
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার11,000 ৳5,500 ৳মোট খণ্ড ১১ এবং পৃষ্ঠাসংখ্যা : ...
-
hotনবীজির পাঠশালা ﷺ
লেখক : ড. আদহাম আশ শারকাবিপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আসলাফ415 ৳290 ৳অনুবাদক – মুজাহিদুল ইসলাম মাইমুন সম্পাদনা – ...
-
featureমুসলিমজাতি বিশ্বকে কী দিয়েছে (চার খণ্ড)
লেখক : ড. রাগিব সারজানীপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল হাসান1,450 ৳অনুবাদক : আবদুস সাত্তার আইনী (১ম, ...
-
hotআন্দালুসের ইতিহাস (দুই খণ্ড)
লেখক : ড. রাগিব সারজানীপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল হাসান1,300 ৳650 ৳আন্দালুস। অতীত-পৃথিবীতে একটি সুদীর্ঘ সময় অতিবাহিত ...
-
save offসিরাতুন নবি সা. (১-৩ খণ্ড পূর্ণ)
লেখক : ড. আলী মুহাম্মদ আস-সাল্লাবীপ্রকাশনী : কালান্তর প্রকাশনী1,950 ৳1,365 ৳অনুবাদক টিম : নুরুযযামান নাহিদ, আবদুর ...
-
rihanhossainkhan – :
————————————-
ইতিহাস হচ্ছে একই মূদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। অর্থাৎ ইতিহাসের যেমন ভালো দিক রয়েছে, ঠিক তেমনি মন্দ দিকও রয়েছে। ভালো-মন্দ উভয়ের সংমিশ্রণই হলো ইতিহাস। যে জাতি ইতিহাস সম্পর্কে স্বচ্ছ ও পূর্ণাঙ্গ ধারণা রাখে এবং তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সে জাতি তত বেশি উন্নত। আর যে জাতি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না, সে জাতি কখনোই সফলতার শীর্ষে পৌছাতে পারেনা।
উপমহাদেশ দীর্ঘদিন ধরে উপনিবেশবাদের যাঁতাকলে আবদ্ধ থাকার কারণে শিক্ষাব্যবস্থা পাশ্চাত্যমুখী হয়ে পড়ে। যার ফলে এমন অনেক ইতিহাস আছে যেগুলো চাপা পড়ে গেছে। আর সেই চাপা পড়া ইতিহাসকে অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে সামনে এনে নবপ্রজন্মকে জানার ও জ্ঞান আহরণের সুযোগ করে দিচ্ছেন কিছু দীনি লেখক। যাদের মধ্যে অন্যতম মাওলানা ইসমাইল রেহান। তার একটি অনবদ্য গ্রন্থ “ইতিহাসের ধূসরখাতা” সদ্য প্রকাশ করেছে “কালান্তর প্রকাশনী” এবং তা বাংলায় ভাষান্তর করেছেন আরেকজন দীনি লেখক ফাহাদ আবদুল্লাহ।
◾বইকথন-
—————————–
যেকোন সদ্য প্রকাশিত বইয়ের প্রতি বিশেষকরে সূচিপত্রের দিকে পাঠকের আলাদা একটা নজর থাকে। কেননা সূচিপত্র দেখলেই পুরো বইয়ের বিষয়বস্তু সম্বন্ধে যথেষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। আর সেজন্যই বইটিকে পাঠকের সুবিধার্থে ও সহজতর করার লক্ষ্যে মোট ৮টি অধ্যায়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে। প্রতিটি অধ্যায় আবার কতকগুলো শিরোনামের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। অধ্যায়গুলো নিম্নরূপ-
১) শাস্ত্রীয় আলাপ
২) ব্যক্তি, ব্যক্তিত্ব ও ব্যক্তি-দর্শন
৩) উসমানি খিলাফত, তুরষ্ক ও তুর্কি জনতা
৪) মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা
৫) ইতিহাস থেকে শিক্ষা
৬) ষড়যন্ত্রতত্ত্ব
৭) সফরনামা (ভ্রমনবৃত্তান্ত)
৮) ইতিহাসের পলেস্তারা
◾বইটিতে যা থাকছে-
—————————————–
মাওলানা ইসমাইল রেহানের বই মানেই গোছানো ও ব্যতিক্রমধর্মী ইতিহাসের স্বাদ পাওয়া। যা পাঠকের জ্ঞান আহরণের ক্ষেত্রেও আলাদা মাত্রা যোগ করবে। যেখানে তথ্যের ধারাবাহিকতার ছোঁয়া তো রয়েছেই।
শর্ট পিডিএফের আলোকে বইটি কেমন হতে পারে আর যে যে বিষয় থাকছে তা নিম্নরূপ –
▪️ইতিহাস কি ইসলাম বিবর্জিত বিষয়? শরিয়তবিরোধী বিষয়? এমন প্রশ্ন পাঠকের মাথায় সবসময় ঘুরপাক খেতেই থাকে। যার একপর্যায়ে এসে পাঠক দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে যান। আর এজন্য শুরুতেই দলিলভিত্তিক রেফারেন্সের মাধ্যমে এসবের যথোপযুক্ত আলোচনা করা হয়েছে।
▪️পাঠককে আরেকবার নতুন করে প্রবন্ধের মাধ্যমে অন্যধাঁচে পরিচয় করিয়ে দিবে ইসলামের ইতিহাসে সমুদ্র ঈগল খাইরুদ্দিন বারবারুসা ও বার্বার সিংহের সঙ্গে এছাড়াও পরিচয় করাবে আবুল ফজল, মুজাদ্দিদে আলফে সানির মতো বিখ্যাত ব্যক্তিদের সঙ্গে। অন্যদিকে মুঘল সম্রাট আকবরের ধর্মদ্রোহিতা ও এর কারণ এবং সেযুগের ইসলামি প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনাও করা হয়েছে। যা সূচিপত্রের শিরোনাম দেখলেই অনুধাবন করা যায়।
▪️উসমানি খিলাফত ও তার পরবর্তী সময়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নামক স্নায়ুযুদ্ধ, মুস্তফা কামাল থেকে এরদোগান অর্থাৎ তুরষ্ককে কেন্দ্র করে অতীত ও বর্তমান সময়ের পর্দার আড়ালে থাকা অনেক অজানা ইতিহাস জানা যাবে প্রবন্ধের মাধ্যমে।
▪️পাঠক বইটি অধ্যয়নের মাধ্যমে একদিকে যেমন ইতিহাসের বিখ্যাত ব্যক্তিদের বিখ্যাত গ্রন্থ গুলো সম্পর্কে পরিচিতি লাভ করতে পারবে আবার অন্যদিকে সমালোচকদের সমালোচনা সম্পর্কেও অবগত হতে পারবে। যার ফলে জ্ঞানের পরিধিও বাড়বে আবার নিজ থেকেই মূল্যায়ন করার যোগ্যতাও তৈরী হবে।
▪️ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়া আমাদের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষকরে, দশ মহররমের শিক্ষা, হারানো আন্দালুস (স্পেন) অর্থাৎ আন্দালুসের শেষ অধ্যায় থেকেও অনেক কিছু শিক্ষা নেয়ার আছে।
▪️সাধারণ সেনাকর্মচারী হয়েও কিভাবে একজন দক্ষ প্রশাসক, যোগ্য সেনানায়ক ও এর পরবর্তীতে যোগ্য শাসক হয়ে ওঠার পাশাপাশি কিছু স্থাপত্য নির্মাণের জন্য অমর হয়ে আছেন। তা সম্রাট শের শাহ সুরি সম্পর্কিত ইতিহাস অধ্যয়ন করলেই বোঝা যায়। লেখক সফরনামা নামক আলাদা একটি স্বতন্ত্র অধ্যায়েই তা সুবিস্তর আলোচনা করেছেন। যা সূচিপত্রের শিরোনাম থেকে অনুমেয়।
▪️গুপ্ত সংগঠন গুলোর ব্যাপারে মুসলিম সমাজে কেন জানিনা একধরনের অন্যমনস্কতা, বেখেয়ালিপনা কাজ করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিষয়ে কিছু সিক্রেট বিষয় আছে। যা এখনো পর্যন্ত অপ্রকাশিত। কেননা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে যেই ইউরোপ থেকে ইহুদীদেরকে বের করে দেয়া হয়, তার পরবর্তী সময়ে সেই ইহুদীরাই আবার ইউরোপে স্থায়ী বসবাসের জন্য জায়গা করে নেয়। সঙ্গে এই মর্মে আইন পাস করায় যে, যারা ইহুদীদের বিরুদ্ধে টুঁশব্দ করবে তাদের শাস্তি পেতে হবে। বিষয়টি যে লেখক ধরতে পেরেছেন তা সূচিপত্রের শিরোনাম দেখলেই অনুধাবন করা যায়। পাশাপাশি জায়নবাদী নীল নকশা সম্পর্কেও বিস্তর আলোচনা করেছেন।
▪️পরিশেষে, লেখক তার লেখনীতে পশ্চিমাদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নীতি অর্থাৎ পর্দার আড়ালে লুকিয়ে থাকা কুৎসিত চেহারা ও ইসলাম বিদ্বেষ প্রকাশ করেছেন। আবার, অন্যদিকে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় যাদের অবদান রয়েছে তার সারনির্যাস নিয়েও তুলনামূলক আলোচনা করেছেন।
◾শর্ট পিডিএফ পড়ার পর পাঠ্যানুভূতি–
——————————————————— বইটির শর্ট পিডিএফের কিছু অংশ পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। যদিও শর্ট পিডিএফের কিছু পৃষ্ঠা পড়ে পুরো বই সম্পর্কে মন্তব্য করা অনেক কঠিন একটা ব্যাপার। তারপরেও বলবো শর্ট পিডিএফের প্রতিটি পৃষ্ঠা আমার কাছে এককথায় অসাধারণ লেগেছে। সবচেয়ে ভালো লেগেছে তথ্যের ধারাবাহিকতার বিষয়টি। প্রবন্ধের মাধ্যমেও এত বিস্তর ইতিহাস জানা যায় তা এই বইয়ের শর্ট পিডিএফের কিছু অংশ না পড়লে কখনোই অনুধাবন করতে পারতাম না। এতে করে পাঠকের জ্ঞানের ভান্ডারও অনেক সমৃদ্ধ হবে।
তাছাড়া, বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি মূল গ্রন্থের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে অনুবাদ করায় অনুবাদের মান আরো ঝরঝরে, সাবলীল আর প্রাণবন্ত মনে হয়েছে। যা সূচিপত্র ও শুরুর দিকের পৃষ্ঠাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়লেই অনুধাবন করা যায়। অনুবাদ করার ক্ষেত্রেও বেশ দক্ষতার পরিচয় পেয়েছি। রচনাশৈলী, বাক্যবিন্যাস, শব্দচয়ন খুবই চমৎকার লেগেছে। রেফারেন্স হিসেবে প্রবন্ধগুলোর শেষে গ্রন্থপুঞ্জ উল্লেখ করে দিয়েছেন। যেটা মূল লেখকের বইতে নেই কিন্তু “কালান্তর প্রকাশনী” নিজ উদ্যোগ নিয়ে তা করেছেন। যা সত্যিই অনন্য। এছাড়াও শুরুর দিকের আলোচনার অংশে কুরআনের আয়াতের পাশাপাশি কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহীহ হাদীস উদ্ধৃত করা হয়েছে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে টীকা যুক্ত করা হয়েছে। পৃষ্ঠা গুলো পড়ার সময় কোন মূদ্রণজনিত ভুল বা বানান ভুল চোখে পড়নি। যা পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।
◾অভিমত-
—————————-
লেখক তার বইতে উপমহাদেশের ‘মুঘল সাম্রাজ্য’থেকে শুরু করে ‘উসমানি খিলাফত’ আবার বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে পাশ্চাত্যের ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব অর্থাৎ অন্তরালে থাকা ইতিহাসের প্রতিটি বিষয় অত্যন্ত সুক্ষ্ম ও নিখুঁতভাবে পর্যালোচনা করেছেন।
তাই, সবমিলিয়ে বলা যায় পাঠক ইতিহাসের অতীত-বর্তমান মিশ্রিত একটি অনবদ্য গ্রন্থ পেতে যাচ্ছে।
sazzadais – :
ইতিহাস জানা ছাড়া কোন জাতি সামনে এগিয়ে যেতে পারে না। কারণ, সে তার মিত্র ও শত্রু কে তা জানতে পারে না। তার শত্রুকেই মিত্ররূপে গ্রহণ করে পুরো সভ্যতার বিনাশ পর্যন্ত ঘটিয়ে ফেলতে পারে। তাছাড়া, ইতিহাসের মহান পুরুষদের জীবনী ও ঘটনা থেকে সামনের পাথেয় সংগ্রহ করতে পারে দুর্দিনের সময় যখন পাশে কাউকেই পাওয়া যায় না।
ইতিহাস পাঠ বা সংরক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ যার উপমা আল্লাহ সুরা ইব্রাহীমের ৫ নং আয়াতে দিয়েছেনঃ
وَذَكِّرْهُم بِأَيَّىٰمِ ٱللَّهِ
“আর আপনি তাদের স্মরণ করিয়ে দিন আল্লাহর দিনগুলো সম্পর্কে”
এতে করে ইতিহাস জানার ও সংরক্ষণের প্রতি জোড় দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও সুরা ইউসুফের ১১১ আয়াতে আল্লাহ বলেনঃ
لَقَدۡ کَانَ فِیۡ قَصَصِهِمۡ عِبۡرَۃٌ لِّاُولِی الۡاَلۡبَابِ
“তাদের এ কাহিনীগুলোতে অবশ্যই বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে শিক্ষা”
ফলে, এভাবে তাত্ত্বিক আলোচনায় ইতিহাসের গুরুত্ব চলে এসেছে ৮ টি অধ্যায়ের ১ম অধ্যায়ে। আমাদের ইতিহাস জানার মূল মাধ্যম রাসূল (সাঃ) ও তাঁর সাহাবীগণ। আল্লাহ তাঁর রাসূল (সাঃ) কে বিভিন্ন কওমের ঘটনা জানিয়েছেন আমাদেরকে শিক্ষা দেবার জন্য।
সূচিপত্র দেখে এটা বোঝা যাচ্ছে যে, ইতিহাস বিষয়ক বেশ একটি গোছানো আলোচনা এখানে স্থান পেয়েছে। তবে শুধু সূচিপত্রে মূল আগ্রহের কিনারা করা যায় না শর্টপিডিএফ এর ২২ টি পৃষ্ঠা থেকে। অনবদ্য অনুবাদ পড়ার আগ্রহকে সাবলীল পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
বইটি কাদের জন্যঃ
এক কথায় বলতে গেলে যারা ইতিহাস পড়েন বা পড়েন না, জানতে চান বা চান না – এমন সকলের জন্যই অবশ্য পাঠ একটি বই। এর সবিস্তারিত আলোচনায় উপকৃত হবে সকল পাঠকগণ ইনশাআল্লাহ্।
বইয়ের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দিকঃ
বিস্তারিত দালিলিক ও প্রেক্ষাপট উপযুক্ত উদাহরণ সমৃদ্ধ আলোচনা খুব ভাল লেগেছে।
Amit Hasan – :
প্রকাশিতব্য বইয়ের শর্ট পিডিএফ হতে যতটুকু অনুধাবন করা যায় তা হলো এটি গতানুগতিক ইতিহাসের লেখ্য নয়। বরং এটি ব্যতিক্রমধর্মী ইতিহাসের উপাখ্যান। সচরাচর ইতিহাস গ্রন্থের চেয়ে ব্যতিক্রম গ্রন্থটির ৮টি অধ্যায়ের পৃথক ৩০ টি শিরোনামে উঠে এসেছে লেখকের বিভিন্ন সময়ে লেখা তথ্যবহুল অসাধারণ কিছু প্রবন্ধের সংকলায়ন। তাই বইটি পাঠে কারো একঘেয়েমিতা কাজ করবে বলে মনে হয় না। টাইম মেশিনের ন্যায় পাঠক কখনও পরিচিত হবেন কিছু শাস্ত্রীয় আলাপের আবার কখনও মুখোমুখি হবেন কিছু বিখ্যাত ব্যক্তি ও তাঁদের দর্শনের, তাঁদের মূল্যায়ন ও পর্যালোচনার। আবার কখনও মিশে যাবেন উসমানি খিলাফত, তুরস্ক ও তুর্কি জনতার সাথে। কখন ও বেরিয়ে পড়বেন সফরনামায়। আবার উপলব্ধি করবেন কিছু ক্ষত ও ষড়যন্ত্রের; যেগুলো তাদের হৃদয়ে দাগ কাটবে বলে আশা করা যায়। পরিশেষে ইতিহাস মানেই ফিরে দেখা। পাঠক প্রত্যক্ষ করবেন এমন কিছু স্বর্ণালি ইতিহাসের যার বেদনা বিধুর শেষ অধ্যায় গুলো এখনো শিক্ষার উপকরণ হিসেবে কাজে লাগানো যায়।
সর্বোপরি শর্ট পিডিএফের আলোকে যেটুকু পড়েছি সেটুকুর অনুবাদ ঝরঝরে সাবলীল মনে হয়েছে। আশা করছি পুরো বইটিতে তা অব্যাহত থাকবে। বইটি পাঠের মাধ্যমে অজানা কিছু ইতিহাসের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। যা ইতিহাসপ্রেমী পাঠকের ইতিহাস পাঠের তৃষ্ণাকে আরো বর্ধিত করবে ইনশাআল্লাহ।
Arafat Shaheen – :
একাডেমিকভাবে ইতিহাস পড়ে আসার কারণে এই বিষয়টিকে খুব একটা জটিল বলে মনে হয় না। বরং আমি সব সময় ইতিহাসের নানান গলি-ঘুপচিতে পদচারণা করে নতুন নতুন বিষয় জেনে সীমাহীন আনন্দবোধ করি। আর ইতিহাসের জটিল বিষয়গুলো যদি ইসমাইল রেহানের মতো লেখকের জাদুময় কলমের লেখা হয়—তাহলে তো কোনো কথাই নেই!
সাম্প্রতিক সময়ে যে ক’জন বিদেশি লেখক ইতিহাসের ক্ষেত্রে এই বাংলার পাঠকদের হৃদয়ে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছেন, ইসমাইল রেহান তাদের মধ্যে অন্যতম। আমি তার গুণমুগ্ধ পাঠক। বিশেষ করে তিনি যখন জটিল কোনো বিষয়কে একেবারে সহজ করে উপস্থাপন করেন, তখন ইতিহাসকে ‘ছেলের হাতের মোয়া’র মতোই মনে হয়। এর মানে কিন্তু এই নয় যে, তার লেখায় তথ্যের কমতি থাকে! বরং সহজ ভাষায় বলতে গেলে ইসমাইল রেহানের লেখা তথ্যের ভারে জর্জরিত নয়—যাতে একজন পাঠক অল্পতেই বিরক্তবোধ করবে।
•
কালান্তর প্রকাশনী ইতোপূর্বে সুলতান জালালুদ্দিন খাওয়ারিজম শাহের জীবনী প্রকাশ করেছিল। সেটি পাঠকমহলে বেশ সমাদৃত হয়েছে। এবার তাদের নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের ধূসরখাতা’।
মাত্র বাইশ পৃষ্ঠার একটা সংক্ষিপ্ত পিডিএফ পড়ার জন্য দেওয়া হয়েছে। বইয়ের নাম দেখেই আমি কৌতূহলী হয়ে উঠেছিলাম। শর্ট পিডিএফ-এ চোখ বুলিয়ে সেটা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ, বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চোখে পড়েছে আমার; যা নিজেকে সমৃদ্ধ করার জন্য জানা জরুরি বলে মনে হয়েছে।
‘ইতিহাসের ধূসরখাতা’ লেখকের বেশ কয়েকটি লেখার সংকলন। বলা বাহুল্য, সবগুলো লেখার বিষয়বস্তুই ইতিহাস। তিনি ইতিহাসের আকরগ্রন্থগুলো ঘেটে এমন কতগুলো টপিক তুলে এনেছেন—যা যেকোনো সচেতন পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণের জন্যই যথেষ্ট।
•
মোট আটটি অধ্যায়ে বিভক্ত ‘ইতিহাসের ধূসরখাতা’।
প্রথম অধ্যায়ে ‘শাস্ত্রীয় আলাপ’ তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের তথাকথিত সেক্যুলার লেখকগণ পারলে তো বলে দেন—ইতিহাসের সঙ্গে ধর্মের (বিশেষ করে ইসলাম) কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু লেখক এর সমুচিত জবাব দিয়েছেন। সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াশোনা করার সুবাদে দেখেছি—কীভাবে ইসলামের ইতিহাস পড়াতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মহান সাহাবিদের গালি দেওয়া শেখানো হয়! ফলে এই বিষয়টি যে অতি গুরুত্বপূর্ণ তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে।
এই অধ্যায়ে আরও দুটি বিষয় নিয়ে লেখা হয়েছে। মহান খলিফা উমর ইবনু আবদুল আজিজ এবং খিলাফতের গঠনপ্রকৃতি ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলাপ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় অধ্যায়ে পাঁচটি শিরোনামে বেশ কয়েকজনের জীবনী আলোচিত হয়েছে। তারা হলেন—সমুদ্র ঈগল হিসেবে পরিচিত খাইরুদ্দিন বারবারোসা, বার্বার সিংহ হিসেবে পরিচিত ইউসুফ বিন আশফিন, সম্রাট বাবর ও দীনে ইলাহি, আবুল ফজল, মুজাদ্দিদে আলফে সানি। এছাড়া ‘নির্মাণ ও ধ্বংসের দুই রূপকার’ শিরোনামে আলোচনা এসেছে।
•
তৃতীয় অধ্যায়ে উসমানি খিলাফত ও আধুনিক তুরস্ক নিয়ে আলোচনা উপস্থাপন করা হয়েছে। এই অধ্যায়ের ‘মুসতফা কামাল থেকে রজব তাইয়িব এরদোগান’ শিরোনামের লেখাটি বিশেষভাবে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
চতুর্থ অধ্যায়ে বেশ কয়েকটি বিখ্যাত গ্রন্থ—ইবনু ইসহাকের সিরাত-গ্রন্থ, সহিহ ইবনু হিব্বান ও তাতহিরুল জিনান গ্রন্থের পর্যালোচনা স্থান পেয়েছে।
ইতিহাস শুধুমাত্র পড়ার বিষয়ই নয়; বরং এর থেকে গ্রহণ করার মতো বহু শিক্ষাও রয়েছে। ইসলামের ইতিহাসের দুটি মর্মান্তিক ঘটনা—কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনা এবং আন্দালুসের পতনের ঘটনায় যে শিক্ষা রয়েছে, তা উপস্থাপন করা হয়েছে।
ষষ্ঠ অধ্যায়ে গোপন সংগঠন ‘দোনমে ই*য়া* হুদি’ ও বিশ্বব্যাপী জা*য়*ন বাদী ষড়যন্ত্র নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
•
ইতিহাস জানার জন্য ভ্রমণকাহিনী অতি গুরুত্বপূর্ণ। ‘ইতিহাসের ধূসরখাতা’ থেকে তাই ভ্রমণকাহিনীও বাদ যায়নি। ভারতের পরাক্রমশালী শাসক শেরশাহ সুরিকে খুঁজে ফিরেছেন লেখক এবং আমাদের জন্যও তা উপস্থাপন করেছেন।
একেবারে শেষ অধ্যায়েও বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। দীনের সুরক্ষায় যাঁদের অবদান, পশ্চিমাদের বিভৎস চেহারা, জার্মানি ও মুসলিমবিশ্ব, আকবরের ধর্মদ্রোহিতা এবং সেই যুগের ইসলামি প্রতিরোধ শিরোনামের লেখাগুলো পাঠকের জ্ঞানতৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম হবে বলেই বিশ্বাস করি।
•
সবমিলিয়ে ‘ইতিহাসের ধূসরখাতা’ বইটিকে আমার কাছে ইতিহাসের ওপর একটি ভিন্নধর্মী প্যাকেজ বলে মনে হয়েছে। কারণ, এখানে ইতিহাসের ভিন্ন ভিন্ন বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
সাধারণত ইতিহাসের বইয়ে একটি নির্দিষ্ট টপিকের ওপর আলোচনা থাকে। কিন্তু এই বইটি ব্যতিক্রম। তাছাড়া, পত্রিকার পাতা ঘেটে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো খুঁজে বের করে অনুবাদকর্ম সম্পাদন করা বেশ দুরূহ কাজ। এই বিষয়টি হয়ত অনেকের মাথাতেই আসবে না। কালান্তর প্রকাশনী এজন্য একটা ধন্যবাদ পেতেই পারে।
মূল লেখার বাইরে আলাদাভাবে কিছু টীকাটিপ্পনীও সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে, সংশয়পূর্ণ কোনো বিষয় পাঠকের কাছে স্বচ্ছ হয়ে উঠেছে।
এককথায় বলতে গেলে—’ইতিহাসের ধূসরখাতা’ পাঠ করার জন্য ইতিহাসের একজন পাঠক হিসেবে আমি একেবারে মুখিয়ে আছি।
ইয়াসমিন – :
বইটি ইসমাইল রেহানের কোন স্বতন্ত্র গ্রন্থ নয় বরং এটি অসাধারণ সব তথ্য সমৃদ্ধ কিছু ইতিহাস ভিত্তিক প্রবন্ধের সংকলন। ইতিহাস পড়তে গিয়ে অনেক সময় বিরক্তি চলে আসে, কিছুটা পড়ে রেখে দিতে হয় কিংবা পড়ার রসটা ঠিক পাওয়া যায়না। কিন্তু এই বইটি পড়ে সেরকম কোন অনুভূতি হবেনা সূচির বিন্যাশ দেখে এমনটাই মনে হয়েছে। আর যারা ইতিহাস খেকো পাঠক তাদের জন্য এক কথায় সুখপাঠ্য হবে ইনশাআল্লাহ।
প্রথম অধ্যায়ঃ
কথিত বুদ্ধিজীবি এবং গবেষকগন মনে করে ইসলামে ইতিহাসের নিয়মতান্ত্রিক কোন প্রচলন ঘটেনি। তাই মুসলমানদের ইতিহাস অসমৃদ্ধ। তাদের জ্ঞাতার্থে বলতে চাই ইসলামও ইতিহাস ধারণ করে। ইসলামে ইতিহাসের স্থান না থাকলে পূর্ববর্তী নবী-রসূলের ঘটনা প্রবাহ আমাদের জানা সম্ভব হত না।
❝আর রসূলদের যে ঘটনাসমূহ আমি আপনাকে জানাই, এর মাধ্যমে আমি আপনার অন্তরকে সুদৃঢ় রাখি।❞ (সূরা হূদঃ১২০)
এবং এই অধ্যায় থেকে খিলাফত সম্পর্কে বিস্তারিত একটি বিমূর্ত চিত্র দেখতে পাবো বলে আশা রাখি।
দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ
সমূদ্র ঈগল খাইরুদ্দিন বারবারোসা সম্পর্কে জানতে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব উদগ্রীব। তার সমূদ্রের সুলতান হয়ে ওঠা এবং কুফরের বিরুদ্ধে লড়ে যাবার বীরত্ব ইত্যাদি হয়তো উঠে আসবে এই বইটিতে। তারপর ইউসুফ বিন তাশফীন যার এক অনবদ্য চরিত্রায়ন ছোট থেকেই জেনে এসেছি, সেটা আবার নতুন করে জানার সুযোগ হবে। দীনে ইলাহির উত্থান, আবুল ফজল, মির্জা আজিজুদ্দিন,মুজাদ্দিদে সালফে সানি সম্পর্কে জানা যাবে।
তৃতীয় অধ্যায়ঃ
উসমানি খেলাফতের উত্থানের গল্প কে না জানতে চায়। বলা যায় মুসলমানদের আবেগ ও উৎসাহের একটা বড় অংশ ধরে রেখেছে উসমানি খেলাফত। সেই সুবাদে তুরস্ক ও তুর্কি জনতার প্রতি আমাদের আগ্রহ বরাবরই বেশি। এই বইয়ের মাধ্যমে পাঠক সমাজের একটি বড় আশা পূরণ হবে।
চতুর্থ অধ্যায়ঃ
সিরাত ও সমালোচনা এবং সহীহ ইবনু হিব্বান নিয়ে জানার একটা প্রয়াস তৈরি হবে এ অধ্যায়ে।
পঞ্চম অধ্যায়ঃ
দশে মুহাররমের শিক্ষা এবং ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের আলোচনা পাবো।
আন্দালুসের ইতিহাসের শেষ অধ্যায়” টপিকটি আরেকটু আকর্ষণ বাড়িয়ে দেয় এ অধ্যায়ের প্রতি।
ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ
আমি বরাবরই ইয়াহুদীদের প্রকাশ্য -অপ্রকাশ্য, ঘাতক ষড়যন্ত্র সমস্ত কিছু জানতে প্রচন্ড আগ্রহী। ❝দোনমে ইয়াহুদী- একটি ভয়ংকর গুপ্ত সংগঠন ❞ টপিকটি জাস্ট আমার দৃষ্টি আটকে রেখেছে, মন ব্যাকুল হয়ে উঠেছে এদের সম্পর্কে জানতে। বিশ্বযুদ্ধ ও জায়নবাদীদের ষড়যন্ত্রের কথা কি বলবো যার ফলাফল পৃথিবীবাসী ইতোমধ্যে ভোগ করতে শুরু করেছে। এ বই থেকে এই ষড়যন্ত্রের আরো শেকড়ে জানা যাবে হয়তো।
সপ্তম অধ্যায়ঃ
ভ্রমণ কাহিনির প্রতি একটা আলাদা টান কাজ করে। নতুন মানুষ, নতুন সংস্কৃতি, নতুন প্রথা ইত্যাদি জানতে ভালোই লাগে। সহজভাবে বললে নিজের কৃষ্টির বাইরে জানতে পারার আলাদা একটা সুকুন কাজ করে। এ অধ্যায়ে একটা সফরনামা জানতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
অষ্টম অধ্যায়ঃ
পচশিমা বিশ্বের ভয়ংকর ও রাক্ষুসে চেহারা উন্মোচন ও সিকিল্লিয়ার ঘটনা এবং
দ্বীন ইসলাম সংরক্ষণে অবদানকারীদের একটি সুন্দর চিত্রায়নের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের পলেস্তারা করার মাধ্যমেই বইটি শেষ হবে।
পরিশেষে, শর্ট পিডিএফ টি প্রথম পড়তে গিয়ে সূচিপত্রে খুব একটা মননিবেশ করিনি কিন্তু দ্বিতীয় বার সূচীপত্রটা পড়ামাত্রই বুঝলাম একটি তথ্যসমৃদ্ধ অনবদ্য বই পেতে যাচ্ছি। যেটার মাধ্যমে অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত অনেক ইতিহাস ও ঘটনা প্রবাহ উঠে আসবে।
লেখক, অনুবাদক ও প্রকাশকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমার মত আনাড়ি পাঠক জ্ঞানে শান দেয়ার একটা সুযোগ পাবো। আল্লাহ তাদের জ্ঞান ও কর্মে বারাকাহ দিন যাতে করে তাদের মাধ্যমে জাতির কল্যান নিহিত হতে থাকে নিরবধি।