ইসলামের ইতিহাস (নববী যুগ থেকে বর্তমান)
অনুবাদক: কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক
সম্পাদক: মীযান হারুন
পৃষ্ঠা সংখ্যা ৩৬০
বাইন্ডিং হার্ডকভার
সংস্করণ: সেপ্টেম্বর, ২০২০
আচ্ছা কেমন হয় যদি নবীজি ﷺ এর যুগ থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত পুরো ইসলামের ইতিহাসের সারনির্যাস এক মলাটে ৩৫০-৩৬০ পৃষ্ঠার বইতে পেয়ে যান?
মুসলিম উম্মাহর একজন সদস্য হয়ে আপনার কি উচিত না রাসূলের যুগ থেকে বর্তমান পর্যন্ত ইতিহাসের পুরো সিকুয়েন্সটা মাথায় রাখা? প্রত্যেকের ইতিহাসবেত্তা হওয়া জরুরি না, কিন্তু পুরো ইসলামি ইতিহাসের ঘটনা পরিক্রমাগুলোত অন্তত জানা দরকার।
——
নবীজির যুগ থেকে শুরু করে বর্তমান ইতিহাসের একদম মূল সারনির্যাস ধাপেধাপে এক মলাটে লিখেন আরবের বিখ্যাত শাইখ ডক্টর মুহাম্মাদ ইবরাহীম শারীকী। নাম দেয়া হয় ‘তারিখুল ইসলামিয়া’। এটিরই অনূদিত রূপ ‘ইসলামের ইতিহাস : নববী যুগ থেকে বর্তমান’।
১। বইটি পাকিস্তান বেফাকের (মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড) সিলেবাসভুক্ত।
২। বইর ভূমিকায় বইটির ব্যাপারে পাকিস্তানের বিখ্যাত শাইখুল হাদিস আল্লামা সলিমুল্লাহ খান রহিমাহুল্লাহর সারগর্ভ ভূমিকা যোগ করা হয়েছে।
৩। মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ায় শায়খ আবদুল মালেক হাফিজাহুল্লাহ ছাত্রদের ইতিহাস অধ্যয়নের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে এই বইটি পড়ার পরামর্শ দেন।
৪। মূল বইতে রেফারেন্স কম ছিল। লেখক বইর শেষে বইর একটা লম্বা তালিকা দেন যেখান থেকে তিনি সহায়তা নিয়েছেন। কিন্তু পাঠকদের সুবিধার্থে অনুবাদক কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক সাহেব প্রচুর পরিশ্রম করে নিজের পক্ষ থেকে অনেক রেফারেন্স যোগ করেছেন।
৫| একদম শেষের দিকে ৪ কালারের রঙিন ম্যাপ যোগ করা হয়েছে বিভিন্ন সাম্রাজ্যের বিস্তৃতিকে কেন্দ্র করে। তাদের উত্থান-পতন নিয়ে একাধিক ম্যাপে সাজানো হয়েছে।
-
-
hotশিকড়ের সন্ধানে
লেখক : হামিদা মুবাশ্বেরাপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন430 ৳279 ৳পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৯৬ টি কভার: পেপার ব্যাক ‘Know ...
-
hotঅবাধ্যতার ইতিহাস
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন400 ৳260 ৳যেভাবে আর যে কারণে ধ্বংস হয়েছে ...
-
save offইতিহাসের আয়নায় বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা
লেখক : হেদায়াতুল্লাহ মেহমান্দপ্রকাশনী : রুহামা পাবলিকেশন414 ৳306 ৳'ইতিহাসের আয়নায় বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা' বইটি মূলত ...
-
hotভারতবর্ষে মুসলিম শাসন : হাজার বছরের ইতিহাস
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল ইসলাম770 ৳385 ৳ভাষান্তর : মুহাম্মাদুল্লাহ ইয়াহইয়া অতিরিক্ত টীকা সংযোজন ...
-
save offলস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি (ইসলামের হারানো ইতিহাস) (পেপার ব্যাক)
লেখক : ফিরাস আল খতিবপ্রকাশনী : প্রচ্ছদ প্রকাশন300 ৳216 ৳লস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি’র ভাষা প্রাঞ্জল ও ...
-
hotসীরাত বিশ্বকোষ (১১ খণ্ড)
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার11,000 ৳5,500 ৳মোট খণ্ড ১১ এবং পৃষ্ঠাসংখ্যা : ...
-
hotবুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের ইতিবৃত্ত
লেখক : মাওলানা ইসমাইল রেহানপ্রকাশনী : নাশাত475 ৳347 ৳কাগজ : ৭০ গ্রাম অফহোয়াইট বর্তমান মুসলিম ...
-
featureমুসলিমজাতি বিশ্বকে কী দিয়েছে (চার খণ্ড)
লেখক : ড. রাগিব সারজানীপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল হাসান1,450 ৳অনুবাদক : আবদুস সাত্তার আইনী (১ম, ...
-
hotআন্দালুসের ইতিহাস (দুই খণ্ড)
লেখক : ড. রাগিব সারজানীপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল হাসান1,300 ৳650 ৳আন্দালুস। অতীত-পৃথিবীতে একটি সুদীর্ঘ সময় অতিবাহিত ...
-
hotমুসলিম সভ্যতার ১০০১ আবিষ্কার
প্রকাশনী : সুলতানস700 ৳490 ৳প্রফেসর সেলিম টি এস আল-হাসসানি রচিত ...
-
tahmidczs – :
খুলাফায়ে রাশেদিন, উমাইয়া, আব্বাসী, উসমানী খিলাফত, ফাতিমি, হামদানি, আইয়ুবি, সেলজুক, মুঘল সাম্রাজ্য, মোঙ্গল আক্রমণ, ক্রুসেড, ফিলিস্তিন ইস্যু—মোটামুটি এসব নিয়েই বইয়ের মূল আলোচনা। এর মধ্যে আব্বাসি খিলাফত সম্পর্কেই সবচেয়ে ভালোভাবে আলোচনা করা হয়েছে
অনুবাদ মোটামুটি ভালোই লেগেছে
যা ভালো লাগেনি—
শুরুতেই অপ্রয়োজনীয় আলাপ বেশি
★শিয়াদের ব্যাপারে আলোচনা হয়নি বললেই চলে, অথচ এই ব্যাপারটা একটু বিশদ আলোচনার দাবি রাখে
★সাল এবং বানান ভুল কম হলেও একেবারে কম না, এদিকটায় আরো সতর্ক হওয়া জরুরি।
Shahadat Hossain – :
Wafi Life কে বলতে চাই বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিতে প্রকাশিত বিশ্বের গন্য মান্য ইসলামিক ব্যাক্তিত্বদের বইগুলোও যেন তারা বেশি বেশি আনে।
biplobhasan102551 – :
এরকম বই আমাদের প্রত্যেকের সংগ্রহে থাকা উচিত।
Akil Ahmed – :
‘ইতিহাস’-মাত্র ৪টি অক্ষরের একটা ছোট্ট শব্দ অথচ তার ব্যাপ্তি কত বিশাল। ইতিহাসকে আমি বলি কালের দর্পণ,যার সামনে দাড়িয়ে অতীত দেখা যায়। ইতিহাস হচ্ছে জ্ঞানচর্চার এক বিশাল ভান্ডার,প্রেরণার বাতিঘর। ইতিহাস পাঠে খুজে খাওয়া যায় সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পাথেয়। ইতিহাসের সাথে রয়েছে একটি জাতির অস্থিত্বের সম্পর্ক। যখন কোন জাতি তাদের অতীত ইতিহাস চর্চা থেকে দূরে সরে যায় তখন আস্তে আস্তে সেই জাতি নিজেদের স্বকীয়তা হারিয়ে বসে। আমরা মুসলিম জাতি। পৃথিবীর অন্যান জাতির মত আমাদেরও আছে এক সুদীর্ঘ ইতিহাস। এমন ইতিহাস যা আর কোন জাতির মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমাদের ইতিহাস দুনিয়াবাসীকে সকল বাতিল রব থেকে এক আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে আনার ইতিহাস,আল্লাহর মনোনীত শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে ন্যায়-ইনসাফের সাথে অর্ধ পৃথিবী শাসনের ইতিহাস। আমাদের ইতিহাস আল্লাহর রাস্তায় জান-মাল কোরবানির ইতিহাস,জ্ঞান-বিজ্ঞানে শ্রেষ্ঠত্বের ইতিহাস। ইসলামের সেই গৌরবগাথার পূর্নাঙ্গ বর্ণনা সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে এনেছেন আরবের বিখ্যাত আলিম শায়খ ড.ইবরাহীম আশ-শারিকি তার আততারিখুল ইসলাম বা ইসলামের ইতিহাস বইতে।
ভিতরের আলাপঃ
বইটির মূল বিষয়বস্তু ২৩টি শিরোনামে অধীনে মোট ২৩টি অধ্যায়ে বিভক্ত। বইয়ের প্রথমেই থাকছে পাকিস্তানের প্রখ্যাত আলেম শাইখুল হাদিস সালিমুল্লাহ খানের ইতিহাসে শাস্ত্র নিয়ে দারুন কিছু ব্যক্তব্য যা পড়লে বুঝতে পারা যাবে ইতিহাস পাঠ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তারপরের অধ্যায়গুলোতে আছে ইসলাম পূর্ব জাযিরাতুল আরবের অবস্থা,রহমাতুল্লিল আলামীনের আগমন,ইসলাম প্রচার থেকে শুরু করে খুলাফায়ে উমাইয়া,আব্বাসি,স্পেনে উমাইয়া,মিশরে তুলুনি,ফাতেমি,হামদানি,আইয়ুবি সাম্রাজ্যের বর্ণনা। থাকছে ক্রুসেডের আলোচনা যেখানে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে ক্রুসেডের প্রভাব শিরোনামের অংশটি থেকে জানা যাবে কিভাবে মধ্যযুগের অন্ধকারে ডুবতে থাকা ক্রিষ্টান ইউরোপ সেই যুগে সাফল্যের শীর্ষে থেকে দুনিয়া শাসন করা মুসলিমদের জ্ঞানচর্চা থেকে উপকৃত হয়েছে। আরো আছে মংগোল হামলার কারণ ও বাগদাদে,দামেস্কে মুসলিম হত্যার ভয়ংকর বিবরণ,উসমানি সাম্রাজ্য,তার পতন পরবর্তী আরব দেশগুলোর পরিস্থিতি,ভারত উপমহাদেশের মোঘল সাম্রাজ্য,ইউরোপের উত্থান,ফিলিস্তিন সংকট,আরবে শায়খ ইবনে ওয়াহাবের সংস্কার আন্দোলন,এশিয়া ও আফ্রিকায় ইসলামের বিস্তার,ইউরোপের রেনেসাঁ আন্দোলনে ইসলামি সভ্যতার ভূমিকা এবং আধুনিক যুগে মুসলিম বিশ্ব নিয়ে আলোচনা।
অনুভূতিঃ
প্রচ্ছদ,বাইন্ডিং,ছাপার কোয়ালিটি,পেছনের পেইজগুলোয় ৪ কালারের রঙিন ম্যাপ,সবমিলে এত সুন্দর একটা বই,কখনো বই না পড়া মানুষটিও বইটি পেলে নেড়েচেড়ে দেখবে। আর বই পোকাদেরতো এতটুকু জানাই যথেষ্ট যে বাংলাদেশের উচ্চতর ইসলামি আইন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ার উস্তাদ মাওলানা আব্দুল মালেক হাফিযাহুল্লাহ ইতিহাসের প্রাথমিক ধারণা পাওয়ার জন্য এই বইটি সাজেস্ট করেন,যার কারণে আমি বইটি কিনেছিলাম। বইটি পড়ার বাকি অনুভূতিটুকু মিশ্র। পাতায় পাতায় যেমন ঘুরে বেড়িয়েছি হেযাযের মরুভূমি থেকে বাগদাদের অলিগলি, খিলাফতের রাজধানী দামেস্ক থেকে কর্ডোবার জামে মসজিদ,খুলাফায়ে রাশেদীনের দরবার থেকে মুসলিম স্পেনের আল হামরা প্রাসাদ,তেমনি বতর্মানে যখন ফিরে আসি দেখি মুসলমানদের এক ভয়াবহ দুর্দশা,নেই কোন খিলাফত না কোন ইমাম। চোখ পড়ে আজকের ফিলিস্তিন,সিরিয়া,উইঘুর,কাশ্মীরের উপর। বুকের ভেতরটা কেমন জানি করে,আহা,আহা!
পাঠককে বলছিঃ
আপনি মুসলিম,আপনার অতীত ইতিহাস আপনি জানবেন না,এও কি সম্ভব! জেগে উঠুন,বইটি হাতে নিন,ঘুরে আসুন আপনার সোনালি অতীতে,দেখে আসুন আপনার পূর্বসূরিরা কেমন ছিলেন,কেমনই বা ছিল তাদের খিলাফত ব্যবস্থা আর সেখান থেকে সংগ্রহ করুন মুসলিম উম্মাহর সেই হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার রসদ।
Mahmudul Hasan – :
যাতে রয়েছে অনেক বীরত্ব, মহত্ব ও কীর্তিগাথ যেগুলো নিয়ে অামরা গর্ববোধ করি।ইসলামি ইতিহাসের ঐতিহ্য ও নিদর্শন গুলোর জন্য অামরা নিজেদের গৌরবান্বিত ও সম্মানিত মনে করি ; যে-সব নিদর্শন অাজও জীবন্ত ছবির মতো ইসলামি সভ্যতার গৌরবগাঁথা বর্ণনা করছে।
-ড. অাশ-শারিকি
[বই বিশ্লেষণ]
বর্তমান সময়ে ইউরোপ, অামেরিকার উন্নত সভ্যতা,তাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানে অগ্রগতি দেখে অামাদের তরুন সমাজের অনেকেই হয়ত হতাশায় ভোগেন। বর্তমান সময়ে উন্নত জীবনমান, শিক্ষা-গবেষনা, বিশ্ব রাজনীতি সব বিষয়ে-ই মুসলমানদের তুলনায় ইউরোপ, অামেরিকার ইহুদি-খ্রিষ্টানরা অনেক এগিয়ে। কিন্তু পূর্বেও কি এমনি ছিল!!
না!!
অাজ থেকে ৫০০/৬০০ বছর পূর্বেও বিশ্বরাজনীতি পরিচালিত হত মুসলিম শাসকদের অাঙ্গুলের ইশারায়। মুসলিম সেনাদের ঘোড়া দাপিয়ে বেরিয়েছে এশিয়া মহাদেশ, ভূমধ্য দ্বীপ,উত্তর অাফ্রিকা,ইউরোপ মহাদেশ সহ পৃথিবীর অধিকাংশ অংশ।
অামাদের ছিল, খালিদ বিন ওয়ালিদ,মুহাম্মদ বিন কাসিম,তারিক বিন যিয়াদ,সালাউদ্দিন অাইয়ুব,ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজির মত অসংখ্য বীর যুদ্ধা। যাহাদের ঘোড়ার খুঁড়ের অাওয়াজে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের অনেক রড় বড় সাম্রাজ্যের ভীত কেপে উঠত।
বাগদাদ,কর্ডোভা,দামেস্ক এর মত সমৃদ্ধ নগরগুলো মুসলিম শাসকদের দ্বারাই নির্মিত হয়েছিল।যেগুলো ছিল তৎকালীন সময়ে জ্ঞান-বিজ্ঞানের তীর্থস্থান।
পরিকল্পিত চিকিৎসালয়, স্বতন্ত্র চিকিৎসা গবেষণা কেন্দ্র,সুবিন্যস্ত বিশাল পাঠাগার, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থার সূচনা কিন্তু মুসলিম শাসকদের হাত ধরে হয়েছিল।
জ্যেতির্বিজ্ঞানে-মুহাম্মদ বিন মুসা অাল খাওয়ারিজমি।
গণিত ও জ্যামিতি শাস্ত্রে- সাবিত বিন কুররা।
রসায়ন শাস্ত্রে জাবির বিন হাইয়ান।
সমাজবিজ্ঞান ও দর্শণ শাস্ত্রে-অাবু
নসর অাল ফারাবি (যিনি মধ্যযুগের এরিস্টটল নামে পরিচিত ছিলেন)।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রিন্স অফ সায়েন্স খ্যাত -ইবনে সিনা সহ বহু মুসলিম বিজ্ঞানীদের হাতেই অাধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল।।
সুতরাং হতাশা থেকে বাচার জন্য অাজকের তরুণদের তাদের গৌরবময় ইতিহাস জানা অবশ্যক,সেক্ষেত্রে শায়খ ড.মুহাম্মদ ইবরাহিম অাশ-শারিকি রচিত ইসলামের ইতিহাস বইটি একটি সুন্দর মাধ্যম হতে পারে।
উক্ত বইয়ের তেইশটি অধ্যায়ে লেখক সংক্ষিপ্ত তবে খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন নববী যুগ থেকে শুরু করে পরবর্তী খুলাফায়ে রাশেদীনের শাসন অামল, উমাইদের শাসন,অাব্বাসীয় খিলাফত,স্পেন বিজয়,উসমানী সম্রাজ্য,মোগল সম্রাজ্য সহ সকল মুসলিম সম্রাটদের শাসনপদ্ধতি, শিল্প-সংস্কৃতির অগ্রগতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিজ্ঞানের বিকাশ সহ মুসলিম শাসনামলের সকল গৌরব ময় ইতিহাস।।
বইয়ের শুরুতে “ইতিহাসশাস্ত্রের ইতিকথা” শিরোনামে ইতিহাসের সংজ্ঞা, উপকারিতা সমূহ, ইতিহাস শাস্ত্রের নীতিমালা সহ ইতিহাস শাস্ত্রের বিভিন্ন বিষয় এবং ইতিহাস পাঠ করার পদ্ধতি সম্পর্কে সুবিস্তার অালোচনা করেছেন, পাকিস্তানের বিখ্যাত অালেম শায়খুল হাদীস সলিমুল্লা খান সাহেব। যা ইতিহাস শাস্ত্রের শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক উপকারী হবে, ইনশাআল্লাহ।।
[ব্যক্তিগত অনূভুতি]
প্রথমেই অামি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি মহান রব্বে কারিম এর প্রতি,যিনি অামাকে বইটি পড়ার তাউফিক দিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা বইয়ের লেখক,অনুবাদক, সম্পাদক থেকে শুরু করে বইটি পাঠক পর্যন্ত পৌছানোর পেছনে যেসকল মানুষের মেধা এবং শ্রম রয়েছে সকলের প্রতি।
খুলাফায়ে রাশেদীন পরবর্তী ইসলামী শাসন অামল সম্পর্কে অামার কৌতূহল ছিল সবসময়ই। ইসলাম অারব উপদ্বীপ এর সীমানা পেরিয়ে কিভাবে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিল সে সম্পর্কে জানার ইচ্ছা ছিল অনেক।
অালহামদুলিল্লাহ!! উক্ত বইটি ইচ্ছা এবং কৌতূহল অনেকাংশেই পূর্ণ করেছে,সাথে সাথে ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে জানার অাগ্রহটা অারো বৃদ্ধি করে দিয়েছে।☺☺
[সমালোচনা]
অনুবাদক এবং সম্পাদকবৃন্দ এত সুন্দর এবং সাবলীল ভাষায় উক্ত বইয়ের অনুবাদ এবং সম্পাদনা করেছেন যে অামি অদম এর সমালোচনা করার যোগ্যতা রাখিনা।
তবে উক্ত বইয়ের ২৮৬ নং পৃষ্ঠার মোঘল সাম্রাজ্য অধ্যায়ে ভারত ১৯৪৫ খ্রিঃ সনে স্বাধীন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে কিন্তু অামরা জানি ভারত ১৯৪৭ খ্রিঃ সনে স্বাধীনতা লাভ করেছিল।।