মেন্যু
imam series

ইমাম সিরিজ (৬টি বই)

সম্পাদনা: আকরাম হোসাইন কভার: পেপার ব্যাক পৃষ্ঠা: ১ম খণ্ড ১৬৮, ২য় খণ্ড ১৬০, ৩য় খণ্ড ১৬০, ৪র্থ খণ্ড ১৬৮, ৫ম খণ্ড  ১১২,৬ষ্ঠ খণ্ড ১৭৬ জ্ঞানের রাজ্যে ডুব দেবার এক নিরন্তর অভিযান, এক অদম্য জীবনের গল্প। কখনো কেবল একটি হাদিসের জন্য... আরো পড়ুন
খন্ড নং Clear
পরিমাণ
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন

76 রিভিউ এবং রেটিং - ইমাম সিরিজ (৬টি বই)

5.0
Based on 76 reviews
5 star
96%
4 star
3%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    আরশাদ:

    আমি ১ম খন্ড ইমাম আবু হানিফা রাহি. বইটি পড়েছি। কখনও রিভিউ লেখিনা কারন লেখালেখিতে আমার হাত কাচা।
    তবুও আমি মনে করি প্রত্যকের বইটি পড়া উচিত জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর জন্য।
    12 out of 12 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    Fakhrul Alam:

    আলহামদুলিল্লাহ, গত মাসে পেলাম ইমাম সিরিজের ৬ টি বই একত্রে। পড়া শুরু করলাম। ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহ, ইমাম ইবনুল মুবারক রাহিমাহুল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ, আমার জ্ঞান ভান্ডার সমৃদ্ধ এর জন্য চমৎকার বইয়ের সেটটি। সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইল, অনেক কিছু জানার আছে।
    6 out of 8 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  3. 5 out of 5

    M. Hasan Sifat:

    বই— “ইমাম আবু হানিফা” (রাহিমাহুল্লাহ)
    ▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔­▔▔
    ঐশী আলোয় আলোকিত আমাদের পূর্বসূরীদের জীবন । যারা মশাল হাতে আলোকিত করে গেছেন আঁধারকালো পথ; দেখিয়েছেন সহজ-সরল পন্থা । তাঁদের সেই আলোকিত জীবনীগুলোর মলাটবদ্ধ রূপ “ইমাম সিরিজ” । যার প্রথম খন্ডে উঠে এসেছে যুগশ্রেষ্ঠ ইমাম, ফকিহ এবং হাদিস বিশারদ ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহ এর জীবন ও কর্ম । প্রায় ৪০টি বিদেশী বই থেকে প্রয়োজনীয় অংশগুলোর সমন্বয়ে বইটি সংকলন করেছেন “আবুল হাসানাত কাসিম” এবং সম্পাদনা করেছেন উস্তাদ “আকরাম হোসাইন” ।

    ❒ বইয়ের আলোচ্য বিষয়—
     ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
    বইটির পাতায় পাতায় মুখর হয়ে উঠেছে ইমাম আবু হানিফার জীবন ও কর্ম । তাঁর উপস্থিত বুদ্ধি, আখলাক, দুনিয়াবিমুখতা, অধ্যবসায়, তাক্বওয়া, ঈমান ও তাওয়াক্কুলের পরিচয় । এছাড়াও রয়েছে তাঁর শৈশব থেকে বেড়ে ওঠার গল্প । বইটি আপনাকে জানাবে কীভাবে একজন ব্যবসায়ী থেকে তাঁর জীবন বদলে গেল, কীভাবে তিনি হয়ে উঠলেন একজন যুগশ্রেষ্ঠ ইমাম । কারা ছিলেন তাঁর শিক্ষক, কেমন ছিলেন তিনি, ফিকহশাস্ত্রে তার অবদান এবং তাঁর ব্যাপারে গবেষকদের মূল্যায়নসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ন সব বিষয় ।
    “শিক্ষা ও গবেষণাক্ষেত্রে যুগান্তরকারী পদক্ষেপ” আর “শিক্ষকতায় পিতৃত্বের ছায়া” শিরোনামের অধ্যায় দুটিতে রয়েছে প্রচুর শিক্ষণীয় বিষয় । “কষ্টে মোড়ানো জীবন” অধ্যায়টি পাঠক হৃদয়কে ব্যাথিত করবে । বইয়ের শেষে স্থান পেয়েছে তাঁর অপূর্ব কিছু কথামালা । মোটকথা, এই মহান ইমামের জীবনবৃত্তান্ত একটু ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করা হয়েছে বইয়ে ।

    ❒ কেন পড়বেন—
     ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
    এই মহান ইমামের জীবনী আমাদের বেশি বেশি করে পড়া উচিত । তাঁর আলোকিত জীবন থেকে কিছু আলো কুড়িয়ে নিয়ে নিজেদের জীবনে স্থাপন করা প্রয়োজন । আমাদের দেশে এই মহান ইমামদেরকে নিয়ে বিশেষ করে ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহ-কে নিয়ে প্রচুর কল্পকাহিনী, অতিরঞ্জন আর অবাস্তব ঘটনা প্রচলিত আছে । সেগুলোকে পাশ কাটিয়ে বিশুদ্ধ তথ্যের আলোকে তাঁর আলোকিত জীবন সম্পর্কে জানতে চাইলে এই বইটি আপনাকে সাহায্য করবে । এই ছোট সংকলনে তাঁর জীবনের ক্ষুদ্র থেকে বড়, মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ই বাদ পড়েনি বলে মনে হয়েছে । তথ্যগত পূর্ণতা এবং সূত্রগত নির্ভরতার দিক থেকে এটিকে একটি প্রামাণিক গ্রন্থও বলা যেতে পারে । এই মহান ইমামের জীবনী জানতে চাওয়া একজন পাঠকের তৃষ্ণা মেটাবে ।

    ❒ ভাল লাগা—
     ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
    সাদামাটা প্রচ্ছদগুলোও যে অন্তর আর চোখ শীতল করতে পারে ইমাম সিরিজের এই বইগুলো তার প্রমান । তবে প্রতিটা বইয়ের প্রচ্ছদের কালারে আরেকটু ভিন্নতা থাকলে ভাল লাগতো । ৪টা বইয়ের রং প্রায় কাছাকাছি হয়ে গেছে । যাক, এটা তেমন কোনো বিষয় না । বিষয় হচ্ছে এই মহান ইমামদের পদচিহ্ন অনুসরণ করার মধ্যে । তাদের মতো করে জীবনকে গুছিয়ে নেয়ার মধ্যে । বইয়ের সাজসজ্জা, পৃষ্ঠামান, বানান শুদ্ধতা বেশ প্রশংসনীয় । বইয়ের নান্দনিক সাজসজ্জার কারনে পৃষ্ঠাগুলো একটার পর একটা উল্টিয়ে দেখতেও মনের মধ্যে কেমন জানি একটা ভাল লাগা কাজ করেছে ।

    পরিশেষে, বই থেকে এই মহীয়ান ইমামের একটি জীবনঘনিষ্ঠ উক্তি না লিখলে রিভিউটা অপূর্ণ থাকবে বলে মনে হচ্ছে—
    আবু শিহাব হান্নাত রাহিমাহুল্লাহ বলেন, “আমি ইমাম আবু হানিফাকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি দুনিয়ালাভের উদ্দেশ্যে ইলম অর্জন করে, সে ইলমের কল্যাণ ও সুফল থেকে বঞ্চিত হয় । ইলম তার অন্তরে বদ্ধমূল হয় না । ফলে অন্যরাও তার দ্বারা উপকৃত হতে পারে না । অপরদিকে যে ব্যক্তি একমাত্র দ্বীনের উদ্দেশ্যে ইলম অর্জন করে, তার ইলমে প্রভূত কল্যাণ দান করা হয় । ইলম তার চিন্তা, চরিত্র ও মননে গভীর প্রভাব বিস্তার করে । ফলে অসংখ্য মানুষ তার কাছ থেকে উপকৃত হতে পারে । 

    ═════════════════════════
    বইটি প্রকাশিত হয়েছে “সমকালীন প্রকাশন” থেকে ।
    প্রচ্ছদ মূল্য—২৫৫ টাকা
    পৃষ্ঠা সংখ্যা—১৬৩
    6 out of 9 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  4. 5 out of 5

    মোহাম্মাদ রিদওয়ান হাসান:

    সর্বপ্রথম 'ইলম' নামক গাছের বীজ বপন করেছেন স্বয়ং আমাদের নবী হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ)।এই বীজ অঙ্কুরিত হয়ে দুটি পাতা বের হয়েছে,যারা হলেন স্বয়ং রাসুল (সাঃ)এর সোহবতপ্রাপ্ত সাহাবীগণ।আমরা প্রায়শই দেখি,নব অঙ্কুরিত হওয়া পাতা দুটি কখনো সমান হয়,আর বেশির ভাগ সময়ই পাতা দুটি বড়-ছোট হয়।ঠিক সাহাবীদের ক্ষেত্রেও সেই বেশির ভাগের নীতিটিই পরিলক্ষিত হয়;কেউ আসন করে নিয়েছেন ইলমের উচ্চস্থানে আর কেউ তার তুলনায় সামান্য নীচু স্থানে।পাতার বড়-ছোট হওয়া পুষ্টির তারতম্যের ভিত্তিতে হলেও সাহাবীগণের ক্ষেত্রে হয়েছে সোহবতের ভিত্তিতে।যারা বেশি সময় রাসুলের সান্নিধ্য পেয়েছেন তারা পেয়েছেন ইলমের সুউচ্চ আসন।আর যারা কম সময় সান্নিধ্য পেয়েছেন তারা পেয়েছেন তার তুলনায় নীচুতম আসন।সেই নব অঙ্কুরিত হওয়া পাতা দুটি থেকে শাখা-প্রশাখা বের হতে হতে আজ বড় একটি গাছের আকার ধারণ করেছে,যেমন তাবিয়িন,তাবি- তাবিয়িন,আইম্মায়ে মুজতাহিদিন হয়ে আমরা পর্যন্ত এক চিরাচরিত ধারা অতিবাহিত হয়েই চলেছে।ইলমের গাছ অনেক বড় হয়েছে ঠিকই কিন্তু পাতাগুলো অসমান;কোনটা বড় আর কোনটা ছোট।পাতার এই তারতম্য পুষ্টির ভিত্তিতে হলেও ইলমের ক্ষেত্রে হয়েছে সাধনার তারতম্যের ভিত্তিতে;যার সাধনা যত বড়  তার 'ইলম'পাতাও ততো বড় আর যার সাধনা যত কম তার 'ইলম'পাতাও ততো ছোট।আক সেই গাছটির নব অঙ্কুরিত হওয়া পাতা দুটি নেই,নেই তার থেকে গজানো প্রথম শাখার পাতাগুলো,নেই তার থেকে গজানো দিতীয় শাখার পাতাগুলো;সবই কালের বিবর্তনে ঝরে গিয়েছে,যেমন আমাদের মাঝে আর নেই সাহাবীগণ,তাবিয়িনগণ,তাবি-তাবিয়িনগণ।সেই গাছের সূচনালগ্নের পাতাগুলো ঝরে গেলেও শাখা-প্রশাখা বের হতে হতে আজ বড় একটি গাছের আকার ধারণ করেছে,যেমন আমাদের লিডারগুলো নাই হয়ে গেলেও আমরা কতগুণ সংখ্যক হয়ে বসে আছি।যখন একটি শাখার পাতাগুলো বড়-ছোট হয় আর পূর্বের শাখা যদি ঝরে যায় তাহলে ছোটপাতার সমস্যা হলে বড়পাতার কাছেই যেতে হবে,পূর্বের শাখার কাছে যতটুকু পাবার তা তো পেয়েছই,এখন তো আর পূর্বের শাখার অস্তিত্ব নেই।ঠিক তেমনই আজ আমাদের ক্ষেত্রে,রাসুল-সাহাবীগণ কেউ নেই।যে যে সমাধান পেয়েছি তা তো পেয়েছি আর যা পাইনি তার জন্য ফিরতে হবে আমাদেরই বড় কারো কাছে।আর তারাই হলেন ইমাম আবু হানিফা রহঃ,ইমাম শাফেয়ী রহঃ,ইমাম মালেক রহঃ,ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহঃ।আর তাদের জীবনচরিত গবেষনা করতে গিয়ে ইলমের ক্ষেত্রে যারা লেখকগণকে হার মানিয়েছেন তারা হলেন আব্দুল্লাহ বিন মোবারক রহঃ এবং হাসান বাসরী রহঃ।বস্তুত ইলমি গবেষনার ক্ষেত্রে  তাদের চারজনের পরই তাদের দুইজনের অবস্থান ,যদিও তাদের কোন স্বতন্ত্র মা্যহাব নেই।
    এসব কিছুই আমাদের সামনে তাবিয়িন ও যুক্তিযুক্ত হলেও কেন বাস্তবতা আমাদেরকে ভিন্নমূখী করেছে!কেন আমরা তাঁদেরকে যা নয় তা বলছি!কেন আমরা অতিরঞ্জনবশত মা্যহাবকে অস্বীকার করছি!মাযহাবের অনুসরণকে বিদআত বলছি!কেন আমরা তাদের ব্যাপারে আপত্তি করছি!
    হয়তো আমরা জানি না তারা কারা!কী তাদের আসল পরিচয়!তারা কি আমাদের আপত্তিকর বস্তু!
    এসব কিছুর সমাধান পেয়ে যাবো আমরা এই ইমাম সিরিজে।একটি সম্মিলিত টিম দিনরাত্রি অক্লান্ত পরিশ্রম করে,আরব-অনারবের সকল জীবনচরিত উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখে,সত্য-অসত্যের মাঝে লম্বা রেখার বাধ দিয়ে আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন।এক এক করে আলোচনা করেছেন ইমামগণের ছোট থেকে বড় হওয়ার গল্পগুলো,কেমন ছিল তাদের ছাত্রজীবন!কেমন ছিল তাদের ইলমি সাধনা!কারা ছিলেন তাদের উস্তাদ!কারা ছিলেন তাদের প্রাণপ্রিয় তালিবুল ইলম!আরো আলোচনা করেছেন তাদের একটি হাদিস বা মাসয়ালার জন্য খেয়ে-না খেয়ে মাইল কি মাইল হেটে চলার মর্মস্পর্শী ঘটনাগুলো।
    ★ইমাম সিরিজের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য:
    *আমার মতে,সমকালীন প্রকাশনীর এক অনন্য জীবনচরিত হলো ইমাম সিরিজ;যা রচিত হয়েছে অত্যন্ত সাবলীল ভাষায়,যা জ্ঞানগর্ভে ঠাসা।
    *আরব-অনারবের প্রায় চল্লিশটি কিতাব থেকে বাছাই করে সত্য ঘটনাগুলোকে একত্রিত করা হয়েছে।
    *প্রত্যেকটি ঘটনার সাথে সাথে রিজালশাস্ত্রের অনন্য কিতাবগুলোর রেফারেন্স।
    *অতিরঞ্জন ও শৈথল্যতার মাঝামাঝি অবস্থান করে সঠিকতর ঘটনাগুলো উল্লেখ করা হয়েছে।
    *সাবলীল ভাষায় রচিত হওয়ায় আপনি যে কোন সময়ই বইগুলো পরতে পারেন।
    ★সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো- আমরা যারা ইমামগণের সমর্থন বা অসমর্থন করি না কেন,আমরা পেয়ে যাবো আমাদের সকলের মনের মধ্যে থাকা বিষয়গুলোর সঠিক উত্তর,যা আমাদেরকে প্রদর্শন করবে একটি সরল পথ।হে আল্লাহ!আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন করো।
    9 out of 9 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  5. 5 out of 5

    Tareq Aziz:

    মূল রিভিউ লেখক – মোহাম্মদ আরাফাত
    =================================
    মধ্যযুগে ইসলাম যেমন দ্রুততার সাথে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছিলো তেমনি এর সাথে যুক্ত হচ্ছিলো নিত্য নতুন সমস্যা। বিভিন্ন জাতি, বর্ণের মানুষ ইসলামে প্রবেশ করছিলো। এতো সভ্যতা, সংস্কৃতির মাঝে নওমুসিলমরা ইসলামের বিশদ জ্ঞান তো দূরের কথা, মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কেই অজ্ঞ থেকে যাচ্ছিলো।পাশাপাশি সমকালীন বিজ্ঞান, দর্শন ও ধর্মের প্রভাব থেকেও তারা মুক্ত ছিলো না। এদিকে সুযোগ বুঝে কাফির, মুনাফিকরা নিজেদের মতামতকে ইসলামের নামে প্রচার শুরু করে। এসবের সাথে যুক্ত হয়েছিলো শাষকদের খামখেয়ালিপনা। তারা নিজেদের স্বার্থে দ্বীন ব্যবহার করা শুরু করে। যেসকল আলেম, সাহাবি রা. এসবের বিরোধিতা করতো তাদেরই প্রাণ হারাতে হতো। কিন্তু, আব্বাসি খিলাফাহ শুরু হওয়ার পর এই দৃশ্য বদলাতে শুরু করে। তারা আলেমদের প্রতি খুবই আন্তরিক এবং সম্মানসূচক ব্যবহার করতো। মূলত এসময়েই ইসলামি ফিকহ শাস্ত্র ধীরে ধীরে বিকশিত হতে থাকে এবং একটা পর্যায়ে এটি হাদিস শাস্ত্র থেকে আলাদা হয়ে স্বতন্ত্র শাখা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। যাদের কল্যানকামী মনোভাব, ত্যাগ, শ্রমের বিনিময়ে এই ফিকহ শাস্ত্র পূর্ণতা লাভ করেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- ইমাম আবু হানিফা (রহি.), ইমাম মালিক (রহি.), ইমাম শাফেয়ি (রহি.), ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহি.), হাসান আল-বাসরি (রহি.), আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারাক (রহি.)। যাদের গভীর জ্ঞান, বুদ্দ্বিমত্তা, ইসলামি আইন শাস্ত্রে অবদান এবং যুগপোযোগী সমস্যার সমাধানের জন্য তাঁরা আজ ইসলামের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালি পন্ডিত হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশে এই মহান ইমামদের নিয়ে তেমন কোনো কাজ হয়নি। হয়তো কোনো ফিকহের বইয়ে দু-চার পৃষ্ঠার জীবনী পাওয়া যায়। যার ফলে এই মহান পন্ডিতদের জীবন, কর্ম সম্পর্কে আমরা এখনো অন্ধকারে পড়ে রয়েছি। তবে দেরীতে হলেও আমরা আমাদের এই অভাব বুঝতে পেরেছি। সম্ভবত এই প্রথম বাংলা ভাষায় ইমামদের জীবনী প্রকাশিত হয়েছে। প্রশংসনীয় এই উদ্যোগটি নিয়েছে সমকালীন প্রকাশন।

    সমকালীন থেকে প্রকাশিত ইমাম সিরিজ সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই আসে প্রচ্ছদের কথা। প্রচ্ছদ ডিজাইনের ক্ষেত্রে সিমপ্লিসিটির দিকে বেশ প্রাধান্য দেও্য়া হয়েছে। সত্যি বলতে ইমাম সিরিজের নান্দনিক এই প্রচ্ছদ প্রথম নজরেই কাবু করে ফেলার মতো। বইয়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে যদি বলি, ইমাম সিরিজ মূলত ছয়জন প্রসিদ্দ্ব ইমামের জীবন নিয়ে রচিত। ছয় খন্ডের সিরিজটিতে প্রতি খন্ডে একজন করে ইমামের জীবনী বর্ণনা করা হয়েছে। প্রতিটি সিরিজেই ইমামদের মৌলিক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যেমন-

    ১। যে আবর্তে বেড়ে উঠা
    ২।পারিবারিক জীবন
    ২।শিক্ষা ও শিক্ষকমন্ডলী
    ৩।ফিকহ শাস্ত্রে অবদান
    ৪। রচনাবলি
    ৫।ইমামগণের উক্তি

    এছাড়াও আরও অন্যান্য বিষয়াবলিও রয়েছে যেগুলো সবার ক্ষেত্রে কমনভাবে আলোচনা করা হয়নি। বরং, একেক জনের জীবনিতে একেক বিষয় উঠে এসেছে। যেমন-
    ১। শারিরীক গঠন
    ২। সমকালিন আলেমগনের দৃষ্টিতে ইমামগণ
    ৩। ইমামগণের দৃষ্টিতে সমকালীন আলেমগন
    ৪। ভ্রমন
    ৫। আলেমের সময়কার শাষক ও সমস্যাবলি
    ৬। দাওয়াহ ইত্যাদি।

    বলে রাখা ভালো এটি ইমামদের পরিপূর্ন বা বিস্তারিত জীবনী নয়। বইটিতে শুধুমাত্র তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ন অংশটুকু তুলে আনা হয়েছে।বইয়ের ভাষাশৈলী বেশ মার্জিত আর অনুবাদও ভালো।ঘটনাগুলো অনেকটা গল্পের মতো করে উপস্থাপন করা হয়েছে।বিষয়টা ইতিবাচক, কেননা আমাদের অধিকাংশ পাঠকই নবীন এবং বইটি তাদের জন্য বইটি বেশ সুখপাঠ্য হবে।

    5 out of 5 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
Top