ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম
ভাষান্তর : ইফতেখার জামিল
সম্পাদক : আবদুর রশীদ তারাপাশী
উপমহাদেশের একজন বিখ্যাত চিন্তাবিদ দাবি করেন, খিলাফতে রাশিদার পরপর মুসলিম ইতিহাসে নেমে আসে জাহিলিয়াতের আঁধার। তাঁর মতে, এই জাহিলিয়াতে আলিমরাও জালিম শাসকগোষ্ঠীর সাহায্যকারী হিসেবে দাঁড়িয়ে যান। সন্দেহ নেই আলিমদের অনেকে তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, উল্লেখযোগ্য ইলমি ও রাজনৈতিক ভূমিকা রাখতে পারেননি। তবে যারা মোকাবিলার চেষ্টা করেছেন, রাজনৈতিক ও ইলমি সংস্কারের ডাক দিয়েছেন, তাদের সংখ্যাও একেবারে কম নয়।
আবুল হাসান আলি নদবি রাহ. ইসলামি ইতিহাসের এই সোনালি অধ্যায় সংকলনের অংশ হিসেবে রচনা করেন এক বিখ্যাত গ্রন্থ : সংগ্রামী সাধকদের ইতিহাস। এতে তিনি তুলে ধরতে চেষ্টা করেন আলিমদের সংস্কারমূলক চেষ্টা, রাজনৈতিক ও ইলমি ভূমিকা। আলি নদবি দেখান, আলিমদের এই সংগ্রামী ও সংস্কারমূলক ভূমিকা ইসলামি ইতিহাসের মৌল প্রকৃতির অংশ। আলি নদবির ব্যাখ্যায় বিশ্বাস রাখলে বলতে হবে, হিজরি সপ্তম শতাব্দীতে এই আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় ব্যক্তি ছিলেন ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম রাহ.।
হিজরি সপ্তম শতক। উম্মতের এক ক্রান্তিকাল—রাজনৈতিক বিভক্তি, নানামুখী ষড়যন্ত্র; মোঙ্গল, ক্রুসেডার, বাতিনিপন্থি ধারাসহ নানামুখী বিপদ ঘিরে রেখেছিল মুসলমানদের। এমন ঐতিহাসিক মুহূর্তে মুসলমানদের নেতৃত্ব দেন ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম। রাজনৈতিক ভূমিকার পাশাপাশি পেশ করেন সংস্কারের পরিপূর্ণ পয়গাম ও প্রস্তাব। বিশেষভাবে সংকলন করেন মাকাসিদে শরিয়াহ। ইতিহাসবিদ ড. শায়খ আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবির দক্ষ হাতে উঠে এসেছে এই মহান ইমামের জীবন, চিন্তা ও অবদানের উল্লেখযোগ্য দিক।
-
-
hotশিকড়ের সন্ধানে
লেখক : হামিদা মুবাশ্বেরাপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন430 ৳314 ৳পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৯৬ টি কভার: পেপার ব্যাক ‘Know ...
-
hotঅবাধ্যতার ইতিহাস
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন400 ৳292 ৳যেভাবে আর যে কারণে ধ্বংস হয়েছে ...
-
save offইতিহাসের আয়নায় বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা
লেখক : হেদায়াতুল্লাহ মেহমান্দপ্রকাশনী : রুহামা পাবলিকেশন414 ৳302 ৳'ইতিহাসের আয়নায় বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা' বইটি মূলত ...
-
hotইসলামের ইতিহাস (নববী যুগ থেকে বর্তমান)
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আসলাফ500 ৳370 ৳অনুবাদক: কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক সম্পাদক: মীযান ...
-
hotইসলামের চার নক্ষত্র: চার ইমাম
লেখক : ড. সালমান আল আওদাহপ্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন335 ৳248 ৳অনুবাদ: ওয়াফি অনুবাদক টিম সম্পাদনা: মুফতী মাহমুদুল ...
-
save offইমাম সিরিজ (৬টি বই)
প্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন123 ৳ – 1,005 ৳সম্পাদনা: আকরাম হোসাইন কভার: পেপার ব্যাক পৃষ্ঠা: ১ম খণ্ড ১৬৮, ২য় ...
-
hotবিলিয়ন ডলার মুসলিম
লেখক : খুরাম মালিকপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন200 ৳140 ৳হালাল পন্থায় অঢেল সম্পদ গড়ে তোলার ...
-
hotভারতবর্ষে মুসলিম শাসন : হাজার বছরের ইতিহাস
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল ইসলাম770 ৳385 ৳ভাষান্তর : মুহাম্মাদুল্লাহ ইয়াহইয়া অতিরিক্ত টীকা সংযোজন ...
-
save offলস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি (ইসলামের হারানো ইতিহাস) (পেপার ব্যাক)
লেখক : ফিরাস আল খতিবপ্রকাশনী : প্রচ্ছদ প্রকাশন300 ৳225 ৳লস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি’র ভাষা প্রাঞ্জল ও ...
-
hotসীরাত বিশ্বকোষ (১১ খণ্ড)
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার11,000 ৳5,500 ৳মোট খণ্ড ১১ এবং পৃষ্ঠাসংখ্যা : ...
-
মুহাম্মদ রুবেল মিয়া – :
বইয়ের নাম : ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম রাহ.
লেখক : ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
অনুবাদক : ইফতেখার জামিল
প্রকাশক : কালান্তর প্রকাশনী
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৪৪
মুদ্রিত মূল্য : ২০০ টাকা
তখন মুসলিমদের অধঃপতনের যুগ চলছিলো। মোঙ্গল হামলায় তছনছ হচ্ছিলো শহরের পর শহর। আব্বাসি খিলাফতের চূড়া ভেঙে পড়েছিলো। খাওয়ারেজম থেকে সিরিয়া পর্যন্ত অঞ্চল চলে গিয়েছিলো মোঙ্গলদের দখলে। তাদের সামনে দাড়ানোর মতো কেউ ছিলোনা। ফলে তাদের হিংস্র হাত থেকে বাঁচতে পারেনি কেউই। একসময় তাদের লুলুপ চোখ গিয়ে পড়ে তখনকার সময়ে ইসলামের রক্ষকভূমি মিশরে।
কিন্তু তাদের পক্ষে মিশর বিজয় করা সম্ভব হয়নি। কারণ, মিশরে তখন এমন একজন আলিমকে আল্লাহ তাআলা পাঠিয়েছিলেন, যিনি ছিলেন সেই জমানার মুজাদ্দিদ।
যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মিশরের তৎকালীন মামলুক সুলতান মঙ্গোলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হন এবং বিজয় লাভ করেন। সেই বিখ্যাত এবং সাহসী আলিম হলেন ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম রহ.।
ইতিহাসের কালজয়ী এই ব্যক্তিত্বের জীবনী নিয়ে কালান্তর প্রকাশনী প্রকাশ করেছে “ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম রহ.” বইটি।
বই আলোচনা :
“ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম রহ.” বইটি মূলত স্বতন্ত্র কোনো বই নয়, বরং ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি রচিত ক্রুসেডযুদ্ধ সংক্রান্ত বিশ্বকোষের চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম খন্ডের অংশ। ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হওয়ায় ইমাম রহ. কে নিয়ে রচিত অংশগুলোকে একত্র করে ড. আলি মুহাম্মাদ সল্লাবি ইমাম রহ. এর নামে বইটিকে আলাদা করে ছাপান। উক্ত বইটির-ই বাংলা অনুবাদ “ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম রহ.”। বইটি অনুবাদ করেছেন ইফতেখার জামিল এবং বইটি প্রকাশ করেছে বিখ্যাত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান কালান্তর প্রকাশনী।
বইটিতে ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম রহ. এর জন্ম, বংশ পরিচয়, শিক্ষা-দীক্ষা, উনার ছাত্র এবং শিক্ষকমন্ডলী, উনার লেখনী, ধ্যান-ধারনা এবং চিন্তাচেতনা , উনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, উনার সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ড, উনার তাসাউফচর্চা এবং উনাকে নিয়ে লিখিত স্তুতিবাক্য ও কাসিদার অংশ তুলে ধরা হয়েছে। ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম রহ. এর লেখনী ছিলো অন্যন্য লেখক থেকে আলাদা এবং বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। উক্ত বইটিতে ইমাম রহ. এর লেখনী এবং তার ধরন নিয়ে বিস্তারিত এবং জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করা হয়েছে। ফলে পাঠক খুব সহজেই ইমাম রহ. এর লেখনীর সাথে এবং উনার চিন্তাচেতনার সাথে পরিচিত হতে পারবেন। পাশাপাশি তাসাউফচর্চা, তার সঠিক এবং ভুল প্রয়োগ এবং ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম রহ. এর তাসাউফ সংক্রান্ত ধ্যান-ধারনা সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
পাঠানুভূতি:
” তাতারীদের ইতিহাস” বইয়ে ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম রহ. এর অবদান সম্পর্কে পড়ে উনার ব্যক্তিত্ব দ্বারা খুব প্রভাবিত হয়েছিলাম। ইচ্ছা ছিলো বিখ্যাত এই ইমামকে নিয়ে বিস্তারিত জানার। কিন্তু বাংলাভাষায় উনাকে নিজেকে কোনো পুস্তক না থাকায় এতোদিন সে ইচ্ছা মনে সুপ্তই থেকে গিয়েছিল। আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ তাআলার অশেষ মেহেরবানি, যে তিনি ড. আলি মুহাম্মাদ সল্লাবির রচিত বইটিকে বাংলা ভাষায় রূপান্তরিত করিয়ে মহান এই ইমাম সম্পর্কে জানার দার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। এতোদিন ইমাম রহ. এর সাহসিকতা ও ইসলাম বাস্তবায়ন নিয়ে শাসকদের সাথে করা জেদ সম্পর্কেই অবহিত এবং মোহিত ছিলাম। কিন্তু “ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম রহ.” বইটি পড়ে ইমাম রহ. এর লেখনী এবং চিন্তা-ভাবনা দ্বারাও নতুনভাবে মোহিত হলাম। ইমাম রহ. এর লেখনী আসলেই ব্যতিক্রম এবং অনন্য। উনার লেখনী ও ধ্যান-ধারনা যেমন ব্যতিক্রম তেমনি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রমানিত-ও। বইটিতে ইমাম রহ. এর লেখনীর সংক্ষিপ্ত যে আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে পাঠকরা তা দ্বারাই উনার জ্ঞান-গরীমা ও উনার আলোচিত বিষয়বস্তুর প্রয়োজনীয়তা ও গ্রহনযোগ্যতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমি ইমাম রহ. এর লেখনী দ্বারা দারুণভাবে আকৃষ্ট হয়েছি। আরো আকৃষ্ট হয়েছি তাসাউফ নিয়ে ইমাম রহ. এর দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা। ইমাম রহ. যেমন ভ্রান্ত তাসাদ্দুক চর্চার বিরুধীতা করেছেন, তেমনি সুন্নাহ সম্মত তাসাউফ চর্চার প্রতি আহ্বানও করেছেন। মূলত তাসাউফ নিয়ে ইমাম রহ. এর দৃষ্টিভঙ্গি সবচেয়ে বেশি সঠিক এবং সবচাইতে গ্রহনযোগ্য বলেই আমার মনে হয়েছে। বইটি পাঠ করে বিজ্ঞ পাঠকরা আরো অনেক বিষয় তুলে আনতে পারবেন। আমি নাদানের পক্ষে বেশিকিছু বাহির করা কঠিনই।
বইটির প্রচ্ছদ, পৃষ্ঠা সজ্জা, বইয়ের বাঁধাই আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। বানান ভুল নেই বললেই চলে। বিজ্ঞ অনুবাদক ও সম্পাদকের অক্লান্ত পরিশ্রমে বইটি মাশাআল্লাহ যথেষ্ট নির্ভুলভাবেই বাজারে এসেছে। সেজন্য অনুবাদক, সম্পাদক ও প্রকাশকের জন্য রইল শুভকামনা।
আশা করি ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম রহ. এর জীবনী জানতে আগ্রহী পাঠকদের জন্য বইটি খুবই উপকারী হবে ইনশাআল্লাহ।
মোঃ রায়হান উদ্দিন – :
বই :ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম রাহ.
লেখক : ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
অনুবাদক :ইফতেখার জামিল
সম্পাদক :আব্দুর রশীদ তারাপাশী
প্রকাশক : কালান্তর প্রকাশনী
মুদ্রিত মূল্য : ৳ ২০০
অনলাইনপরিবেশক:রকমারি,রেনেসাঁ ও ওয়াফি লাইফ
লেখক পরিচিতি :
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি ১৯৬৩ সালে লিবিয়ার বেনগাযি শহরে জন্মগ্রহণ করেন। গাদ্দাফীর প্রহসনের স্বীকার হয়ে তিনি আট বছর কুখ্যাত আবু সালিম কারাগারে আটক ছিলেন। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি সৌদি আরব এবং সুদানে ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন করেন, ১৯৯৯ সালে সুদানের ওমদুরমান ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করে। তার রাজনৈতিক দীক্ষাগুরু বিশ্বখ্যাত ফকিহ ও রাজনীতিক ড. ইউসুফ আল কারজাবি। ড. আলি সাল্লাবি সিরাত, ইতিহাস, ফিকহ এবং উলুমুল কুরআনের ওপর আশির অধিক কিতাব রচনা করেছেন। ইসলামি ইতিহাসের তাত্ত্বিক রচনা তাকে পুরো মুসলিমবিশ্বে সর্বাধিক পরিচিতি লাভ করিয়েছে।ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু সালাম রাহ. জীবন ও কর্ম বইটিও তার অন্যতম এক কীর্তি। এ মহা মনীষীর জীবনীকে তিনি তার দক্ষ ঐতিহাসিক মেধাকে কাজে লাগিয়ে সহজভাবে তুলে ধরেছেন পাঠকের সামনে। কালান্তর প্রকাশনী তাঁর সিরাত গ্রন্থ সহ খলীফাগণ এবং ইসলামি সাম্রাজ্যের বইগুলো বাংলায় অনুবাদ করে ইতোমধ্যে প্রকাশিত করেছে।
ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম রাহ. ৫৭৭ হিজরি সনে দামেস্কে জন্মগ্রহন করেন।সেই সময় তার বয়স ছিল ৮৩ বছর। খিলাফতে রাশিদার পরপর মুসলিম ইতিহাসে নেমে আসে জাহিলিয়াতের আধাঁর। সেই সময় আলিমরাও জালিম শাসকের সাহায্যকারী হিসেবে দাড়িয়ে যান।আলিমদের এই সংগ্রামী ও সংস্কারমমূলক ভূমিকা ইসলামি ইতিহাসের মৌল প্রকৃতির অংশ। হিজরি সপ্তম শতাব্দীতে এই আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম। উম্মতের এই ক্রান্তি কালে নানামুখী ফিতনা ঘিরে ধরে মুসলিম উম্মাহকে। তার মধ্যে মোঙ্গল,ক্রুসেডার,বাতিনি সহ আরও নানা মূখী ফিতনা-বিপদ ঘিরে ফেলে।সেই বিপদ ক্রান্তি কালে মুসলিম উম্মাহকে নেতৃত্ব দেন ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনু আবদিস সালাম। এই মহান মনীষীর জীবনি বিশ্ব বিখ্যাত ইতহাসবিদ ড. আলি সাল্লাবি তার দক্ষ হাতে তুলে ধরেছেন ইমামের জীবন চিন্তা ও অবদান। লেখক বইটিতে তুলে ধরেছেন তার বংশ পরিচয়, তার বেড়ে ওঠা এবং তার জ্ঞানার্জনের অবিচলতা।
বইয়ে তার ৯ জন উস্তাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বইটিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে তার অসখ্য ছাত্রের কথা।
ইমামের কিছু রচনাবলি নিয়ে বই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়ছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো তাফসির ও উলুমে তাফসির, হাদিস, সিরাত ও ইতিহাস। শায়খের রচনার মৌলিক বৈশিষ্ট হলো বৈচিত্র্যপূর্ণ বিষয়ে রচনা, বৈচিত্র্যপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা,আলোচনার পুনরাবৃত্তি, কুরআন- সুন্নাহ নির্ভরতা ইত্যাদি।শায়খ ইজ্জুদ্দিন থেকে গ্রহণ করা হয়েছে কিছু আন্তর্জাতিক আইন।বিচারকের দায়িত্ব কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। শায়খ
অনেক সাহসিকতার অধিকারী ছিলেন।শায়খের গুনাবলি থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। তার জিবনীর দিকে তাকালে আমরা দেখতে পায় তিনি কিরুপ দুনিয়াবিমুখতা ছিলেন।
ইমাম ইজ্জুদ্দিন সংস্কার-আন্দোলনে বড় ভূমিকা পালন করে।এখানে ফিকহি সূত্রাবলি নিয়ে ও লিখা হয়েছে। সংস্কার-আন্দোলনের শিক্ষা নিয়েও লিখা হয়ছে। তিনি জিহাদের সৌভাগ্যও লাভ করেন।তিনি তার রচনাবলিতে জিহাদের দাওয়াত দিতেন।
রিসালাতুল ইতিকাদ গ্রন্থে তিনি বলেন,”জিহাদ দুই প্রকার : ভষাগত ও শারীরিক জিহাদ।আল্লাহ তাআলা আমাদের তাঁর দীনের সাহায্যে লড়াইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। অবশ্য একজন আলিমের মূল অস্ত্র তাঁর ইলম ও ভাষা; আর বাদশাহর মূল অস্ত্র তরবারি ও বর্শা।বাদশা যেমন মুশরিক ও ধর্মবিরোধীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র কোষবদ্ধ করা বৈধ নয়, তেমনই আলিমদের জন্যও পথভ্রষ্ট ও বিদআতিদের বিরুদ্ধে তাদের নিজস্ব অস্ত্র(ইলম ও ভাষা)কোষবদ্ধ করা বৈধ নয়।” (পৃ: ১৩০)
শেষ কথা: এই মাহান মনিষীর জীবনি ড. আলি সাল্লাবি নিখুতভাবে এই কিতাবে লিপিবদ্ধ করেন।ড. আলি সাল্লাবির বই মানে নতুন কিছু শিখা নতুন কিছু জানা। ড. আলি সাল্লাবির বই যখন প্রথম পড়েছি এতই ভালো লাগছিল যে মন চাইত বই টা বার বার পড়ি। তাই আপনি ও পড়তে পারেন প্রিয় শায়খের বই। হলপ করে বলতে পারি শায়খের বই নিয়ে বসলে বই ছেড়ে উটতে মন চাইবে না।
রেটিং : ৫/৫
মোঃ রায়হান উদ্দিন