ইলা মাগফিরাহ
মাগফিরাত! শব্দটি শুনতেই হৃদয়ে এক অন্যরকম প্রশান্তি-প্রশান্তি শিহরণ অনুভব হয়। একজন মুমিনের গোটা জীবনের পরম চাওয়াটাই হল এই মাগফিরাত। আল্লাহ তা‘আলার ক্ষমা আর পরকালের চিরমুক্তি। মাগফিরাতের জন্য প্রয়োজন খাঁটি তাওবা আর ইস্তিগফার। আর এ বিষয়ে পাকিস্তানের মাজলুম কারাবন্দি মুজাহিদ আলেম মুফতি খুবাইব হাফি.- এর রচিত “ইলা-মাগফিরাহ” গ্রন্থটি একটি অসাধারণ গ্রন্থ। যে গ্রন্থটির প্রথম খন্ডে মুহতারাম লেখক পুরো কুরআনুল কারিমের মাগফিরাত, তাওবাহ ও ইস্তিগফার সংক্রান্ত সকল আয়াত, আয়াতের অর্থ ও সংক্ষিপ্ত তাফসির সুরার বিন্যাস অনুসারে একত্রিত করেছেন। দ্বিতীয় খন্ডে মাগফিরাত, তাওবাহ ও ইস্তিগফারের সংজ্ঞা, ফজিলত ও মাগফিরাত, তাওবাহ ও ইস্তিগফার বিষয়ের হাদিস ও আসার তথা বিভিন্ন বাণী একত্রিত করেছেন। মোটকথা মাগফিরাত, তাওবাহ ও ইস্তিগফার সম্পর্কে অসাধারণ একটি গ্রন্থ। যে গ্রন্থে পাঠক পাবেন তাওবাহ-ইস্তিগফার ও মাগফিরাতের এক অনাবিল ঝর্ণাধারা। আসুন! পাঠ করি আর অবগাহন করি মাগফিরাতের পরম কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নীল ভুবনে।
-
-
সকাল-সন্ধ্যার দুআ ও যিক্র ( দুআর বই, দুআ কার্ড একত্রে)
লেখক : শায়খ আহমাদুল্লাহপ্রকাশনী : আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পাবলিকেশন্স33 ৳পকেট সাইজের এই পুস্তিকায় সকাল-সন্ধ্যার বিভিন্ন ...
-
hotবেলা ফুরাবার আগে
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন335 ৳234 ৳বেলা ফুরাবার আগে... নিজেকে আবিষ্কারের একটি আয়না। ...
-
hotমনের ওপর লাগাম
লেখক : আল্লামা ইবনুল জাওযী (রহঃ)প্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন173 ৳128 ৳বিবেক আছে বলেই মানুষ পশুপাখি থেকে ...
-
hotএবার ভিন্ন কিছু হোক
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন340 ৳238 ৳প্রতিদিন একটা একঘেয়েমি চক্রে কেটে যাচ্ছে ...
-
hotরাহে বেলায়াত
প্রকাশনী : আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স550 ৳385 ৳আল্লাহ কুরআনে বলেন, "তোমরা আমার যিকির ...
-
hotটাইম ম্যানেজমেন্ট
লেখক : Ismail Kamdarপ্রকাশনী : সিয়ান পাবলিকেশন228 ৳166 ৳ইমাম আবু হানিফা রহ.-এর রেশমি কাপড়ের ...
-
save offকুরআন দিয়ে নিজের চিকিৎসা করুন
প্রকাশনী : সবুজপত্র পাবলিকেশন্স70 ৳50 ৳অনুবাদ: হাফেয মাহমুদুল হাসান পৃষ্ঠা ৯৭ পকেট সাইজ ...
-
hotআল্লাহর প্রতি সুধারণা
লেখক : ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়াপ্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন175 ৳129 ৳জাবের রদ্বি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ...
-
hotআস-সুন্নাহ প্যাকেজ (৩টি বই একত্রে)
প্রকাশনী : আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স1,290 ৳903 ৳উস্তাদ মুহাম্মাদ হুবলস বলেন, "আমরা রসূল ...
-
মিশিলা শারমিন – :
তবু দিনশেষে কিংবা জীবনের অস্তমিত সময়েও যদি ভাবতে বসি, “আমাদের সত্যিকার লক্ষ্যটা আদতে কি? কি হওয়া উচিত আমাদের প্রত্যাশা? কি এমন প্রাপ্তি হতে পারে যার কাছে তুচ্ছ মনে হবে ফোরাতের সোনার পাহাড়ও?”
এই আত্নোপলব্ধির পর আমাদের দুয়ার প্রথম প্রহরের পুরোটা জুড়ে থাকে “মাগফিরাত”। এতদিনের অবহেলা করে কাটানো অন্ধকার জীবনের যত অনুতাপ – জড়ো হয় মুনাজাতের জন্য তোলা দুহাতে। সর্বাগ্রে ক্ষমা প্রাপ্তি, রবের নৈকট্য ও ভালোবাসা প্রাপ্তি, পরকালীন মুক্তি, আখিরাত ও দুনিয়াবি উভয় নিয়ামত যেভাবেই সংজ্ঞায়িত করিনা কেন – মুমিনের জীবনের হাজারো প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির মধ্যে বেলাশেষে একমাত্র মাগফিরাতই আমাদের সর্বোচ্চ প্রত্যাশা। ভুলে ভরা গাফেল জীবনের মুক্তির সনদ। যে সনদ ছাড়া মারেফাতের জগতে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ।
বান্দা ও তার রবের সান্নিধ্যের আহবানের নামই ইলা মাগফিরাহ।
কিছুদিন আগে ইস্তেগফার সংক্রান্ত একটি দোয়া খুঁজতে গিয়ে হঠাৎ মনে হলো, ” ইশ! যদি এরকম একটা বই থাকতো যেটাতে তাওবা ও ইস্তেগফারের সমস্ত দোয়া একসাথে থাকবে। বই খুললেই সূচী দেখে পেয়ে যাব আকাঙ্ক্ষিত দোয়াটি।”
এবং আশ্চর্যের ব্যাপার হল ঠিক তারপর পরই “ইলা মাগফিরাহ” বইটির কথা সামনে এলো। আয়ান প্রকাশন যে শর্ট পিডিএফটুকু উন্মুক্ত করেছে সেটুকু পড়ে আমি সত্যিই অভিভূত। কুরআনুল কারীমে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে আসা তাওবা ও ইস্তেগফার সংক্রান্ত অর্ধশতাধিক আয়াতকে মলাটবন্দী করা হয়েছে বইটিতে। সূচীপত্র থেকে গুণে দেখলাম ৬৪ টা সুরা থেকে সাগর সেঁচে মুক্তো আনার মতোই এই আয়াতগুলো চয়ন করা হয়েছে। ফলস্বরূপ ইলা মাগফিরাহ বইটি হয়ে দাঁড়িয়েছে তাওবা ইস্তেগফারের এক অমূল্য এনসাক্লোপিডিয়া। যথেষ্ট ইলমি তাহকীক ও শরঈ সম্পাদনার সাথেই এই অতি-প্রয়োজনীয় কাজটি করা হয়েছে।
আমি নিশ্চিত জানি এইরকম চাওয়া আমার একলার নয়, নিষ্পাপ হয়ে রবের সামনে দন্ডায়মান হওয়ার ইচ্ছা আমাদের সকলের। মনে প্রানে আমরা সবাই রবের সন্তুষ্টি লাভ করতে চাই। কায়মনোবাক্যে চাই ইস্তেগফারকে অজিফা করে নিতে। প্রার্থনা করতে চাই আমাদের পূর্বসূরিদের মত করে৷ আমার মত আরও অনেকেই হয়ত মনে মনে এরকম একটি কামনা ছিল যে সহজেই এই মাগফিরাতের দোয়াগুলোকে একত্রে পাবার। কে জানতো যে রবের কাছে আমাদের এই মাগফিরাতের দুয়া সহজ করার প্রয়াসে সেই দূর দেশের এক মাজলুম কারাবাসী আলিমে দ্বীন রি বরকতময় কাজটি করেছেন।
মুফতি খুবাইব হাফিযাহুল্লাহের এই গ্রন্থটি রচনার পিছনেও রয়েছে একটি ছোট্ট হৃদয়গ্রাহী ইতিহাস। লেখকের কাছে সেটি ছিল এক আসমানী ইশারার মত। সে ইতিহাসটা নাহয় পাঠকেরা বইটি পড়ার সময়ই জেনে নিবে।
যেকোন পছন্দের বই যত বড় হয়, ততই যেন পাঠের আনন্দ বেশি হয়। দীর্ঘ কলেবরের এই গ্রন্থটির প্রথমাংশ জুড়ে রয়েছে কুরআনুল কারীমের মাগফিরাত ও তাওবা-ইস্তেগফার সংক্রান্ত সকল আয়াতসমূহ, আয়াতসমূহের অর্থ এবং সংক্ষিপ্ত তাফসীর।
এবং দ্বিতীয়াংশে তুলে ধরেছেন মাগফিরাত ও তাওবা-ইস্তেগফারের পরিচয়, মাগফিরাতের আহবান, এ সংক্রান্ত হাদিস ও ব্যাখা, এবং মাগফিরাত সংক্রান্ত বিভিন্ন ঘটনাবলী।
সূচীপত্রে চোখ বুলিয়ে মনে হল ঋদ্ধ পাঠকের তৃপ্তির খোরাক হিসেবেই শুধু নয়, বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি সংকলিত হয়েছে প্রাত্যাহিক পাঠের জন্য। সূচীপত্রের বিষয়টা আরেকটু না বললেই নয়। এত সুন্দর আর এত হৃদয়গ্রাহী শিরোনাম ইতোপূর্বে আমার খুব একটা চোখে পড়েনি। বইটির প্রতি সম্যক ধারণা পেতে এবং আকৃষ্ট হতে সূচীর এই শিরোনামগুলোই যথেষ্ট।
আয়ান প্রকাশনীর কোনো বই এর আগে পড়ার সুযোগ হয়নি। আগ্রহী হয়েই বইটির কয়েকটি ছবি ঘেটে দেখেছিলাম। চোখ জুড়ানো প্রচ্ছদ আর উন্নত বাইন্ডিং সবমিলিয়ে বইটির কাজ নয়ন প্রীতিকর। আর অনুবাদক সাহেব বইটির প্রতি ভালোবাসার দরুন মূল নামটি অপরিবর্তিতই রেখেছেন।
“ইলা মাগফিরাহ”।
সাদা মলাটের উপরে নামটি দেখেই অন্তরে কেমন একটা প্রশান্তি কাজ করে।
বইটির শুরুতে মূল লেখক অত্যন্ত চমৎকার দুটো দোয়া করেছেন। যার সারমর্ম হল বইটির সাথে জড়িত সকলের জন্য তিনি মাগফিরাত প্রার্থনা করেছেন। আশ্চর্য! তিনি তার পাঠকদের জন্যও মাগফিরাতের দোয়া করে গেছেন এবং সে দোয়া যেন আল্লাহ সুবহান ওয়া তায়ালা কবুল করেন সেই দোয়াও করে গিয়েছেন। আল্লাহ সেই মাজলুমের দোয়া কবুল করে নিন। আমীন।
Flavika Fatima – :
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন যারা তাঁর কাছে তওবা করে, এবং তিনি তাদেরকেও ভালবাসেন যারা নিজেদেরকে পবিত্র করে।”
সূরা আল-বাকারাঃআয়াত-২২২
একজন বান্দা যতোই গুনাহগার হোকনা কেন তার গুনাহ কখনোই আল্লাহর রহমতকে ছাড়িয়ে যেতে পারে না।প্রিয় রব্বের নিকটবর্তী হওয়ার জন্য রব্বের পক্ষ থেকে এক নিবিড় আহ্বানের নামই হলো ‘ইলা মাগফিরাহ!’মাগফিরাতের প্রবেশদ্বার হলো ‘তওবা’ এবং ‘ইস্তেগফার।’আন্তরিক তওবা এবং ইস্তেগফারের মাধ্যমে মানব ক্বলব আল্লাহর নূরে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে।
কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত মাগফিরাহ এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের উপায় কি?আমাদের জীবন পাপ-পঙ্কিলতায় ভরপুর,কিভাবে ফিরবো আমরা মহান রব্বের দিকে?মনে জাগে নানান প্রশ্ন-
কিভাবে সঠিক তাওবাহ-ইস্তিগফারের করব?এর গুরুত্ব কী?ফজিলত,বরকত ইত্যাদি সম্পর্কেও আমরা জ্ঞাত নই,তাহলে কিভাবে মাগফিরাতের সন্ধান করব?
মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এসব প্রশ্নের পুঙ্খানুপুঙ্খ জবাব দিতেই আয়ান পাবলিকেশন কর্তৃক
পাঠকের টেবিলে আসছে এবারের নতুন বই,নতুন আহ্বান-“ইলা মাগফিরাহ!
প্রকাশিতব্য বইটিতে তাওবাহ-ইস্তিগফার-মাগফিরাহ সম্পর্কিত কুরআনের সমস্ত আয়াত এবং সকল হাদিসের সমাবেশ ঘটবে।পাকিস্তানের মুজাহিদ আলেম মুফতি খুবাইব (হাফি.)-এর রচিত ‘ইলা মাগফিরাহ’ গ্রন্থটির অনুবাদ আলোচ্য বইটি।অনুবাদ করেছেন বিজ্ঞ ও চিন্তাশীল অনুবাদক এনামুল হক মাসউদ।
বইটির আলোচ্য বিষয় ৫টি অধ্যায়ে সাজানো হয়েছে এবং প্রতিটি অধ্যায়কে ছোট ছোট শিরোনামে বিন্যস্ত করা হয়েছে।সম্পাদকীয় কলাম, অনুবাদক পরিচিতি,সুরাতুল ফাতিহা, দরুদ শরিফ, সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার দিয়ে বইটির সূচনা।কুরআন ও সুন্নাহ থেকে রেফারেন্স ভিত্তিক বিভিন্ন আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে বইটিকে চমৎকার টপিকসে সাজানো হয়েছে। ইস্তিগফারের আহ্বান-মাসআলা-ফজিলত-অজিফা, তাওবা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে।গ্রন্থটির প্রথম খন্ডে কুরআন থেকে মাগফিরাত, তাওবাহ, ইস্তিগফার সংক্রান্ত সকল আয়াত, আয়াতের অর্থ ও সংক্ষিপ্ত তাফসির পেশ করা হয়েছে। দ্বিতীয় খন্ডে মাগফিরাত, তাওবাহ ও ইস্তিগফারের সংজ্ঞা, ফজিলত এবং উক্ত বিষয়ের হাদিস ও আসার তথা বিভিন্ন বাণী একত্রিত করা হয়েছে।এছাড়া রয়েছে- গুনাহের ১৩ টি ক্ষতি, ইস্তিগফারের ২০ টি উপকারিতা, জীবিত, মৃত, বন্ধুবান্ধব, নারীপুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য ইস্তিগফারের পরিচয়, পক্ষাঘাত থেকে হেফাজতের দু’আ, তাওবা কবুল হওয়ার পাঁচটি শর্ত, কতক্ষণ পর্যন্ত তাওবা কবুল হয়, তাওবার পদ্ধতি, নিয়ম, তাওবা ভঙ্গ হলে করণীয়।সবমিলিয়ে বলা যায় তওবা-ইস্তেগফার-মাগফিরাহ সম্পর্কিত মাস্টারপিস একটি বই এটি।
বইটির ৪২ পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্ত পিডিএফ পড়ে যতটুকু বুঝতে পেরেছি তওবা এবং ইস্তেগফারের সঠিক নিয়ম জেনে মাগফিরাত লাভ করা এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পথ ও পাথেয় সংগ্রহের জন্য দিকনির্দেশনামূলক চমৎকার এক বই এটি।বইয়ের প্রচ্ছদটাও মা শা আল্লাহ।
সবশেষে বলতে চাই দীর্ঘ শ্রম,মেধা এবং বুদ্ধি দিয়ে যারা “ইলা মাগফিরাহ বইটি পাঠকদের হাতে তুলে দিবেন তাদের সবাইকে জাযাকাল্লাহু খাইরান ফিদ্দুনিয়াহ্ ওয়াল আখিরাহ।আল্লাহর দিকে প্রবর্তন এবং কাঙ্ক্ষিত মাগফিরাহ পাওয়ার জন্য প্রকাশিতব্য বইটির প্রতি শুভকামনা রইলো।বইটি যেন সর্বোচ্চ পাঠকদের হাতে পৌঁছে যায়।আয়ান পাবলিকেশন এই আশাজাগানিয়া অগ্রগতিকে রব্ব কবুল করে নিক।আমীন।
আব্দুর রহমান – :
পাঠক হয়তো বুঝে গেছেন আমি মাগফিরাত সম্পর্কিত কোনো বই সম্পর্কে আলোচনা করছি। জি, আজকে আমার আলোচ্য বইটির নাম “ইলা মাগফিরাহ”। বইটি লিখেছেন মুফতি মুহাম্মাদ খুবাইব হাফিজাহুল্লাহ। তবে বইটি কিন্তু এখনো প্রকাশিত হয়নি। সকলের প্রিয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান আয়ান প্রকাশন থেকে শিঘ্রই প্রকাশিত হবে।
➤ বইয়ের মাঝে এক ঝলকঃ-
যেহেতু বইটি এখনো প্রকাশিত হয়নি তাই এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ নেই। তবে প্রকাশের পূর্বেই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান আয়ান প্রকাশন থেকে বইটির একটি শর্ট পিডিএফ উন্মুক্ত করা হয়েছে। যেখানে স্থান পেয়েছে সূচিপত্র সহ বইয়ের বেশকিছু অংশ। সেখান থেকে দেখা যায় বইটিকে ২টি খন্ডে বিভক্ত করে আলোচনা করেছেন।
এর মাঝে প্রথম খন্ডে আলোচিত হয়েছে আল কুরআনের যেসকল সূরায় তাওবা ও মাগফিরাত লাভ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সেসব আয়াতের বিবরণ।
দ্বিতীয় খন্ডে আলোচিত হয়েছে তাওবা ও ইস্তিগফা সংক্রান্ত হাদিস, ইস্তিগফারের আহ্বান, ইস্তিগফারের মালআলা ও ফজিলত, দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন সময়ে পঠিত ইস্তিগফারসমূহ, ইস্তিগফার ও মাগফিরাত সম্পর্কিত বিভিন্ন ঘটনাবলী সহ আরো অনেককিছু।
.
➤ বইটি কেন সকলের জন্য পড়া জরুরীঃ-
১। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যেসব আমল করার মাধ্যমে গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর মাগফিরাত লাভ করতে পারি তার একটি পরিপূর্ণ চিত্র পাবেন বইটির অভ্যন্তরে।
২। বইতে দৈনন্দিন ইবাদতের ক্ষেত্রে তাওবা, মাগফিরাত, তাওহিদ, ইসতিগফার সম্পর্কে বেশ ফলপ্রসূ আলোচনা উঠে এসেছে। যার ফলে সকল দ্বীনদার মু’মিনের জন্য বইটি অসাধারণ ও অনবদ্য একটি রচনা হবে বলে আশা করি।
৩। গতানুগতিক বইয়ের চেয়ে এই বইয়ের বিশেষ চমক হলো এখানে পাঠক আল-কুরআনে বর্ণিত মাগফিরাত ও তাওবা সম্পর্কিত সকল আয়াত সমূহ সূরাভিত্তিকভাবে একসাথে পেয়ে যাবেন।
৪। পাঠক যদি শুধুমাত্র সূচিপত্রের দিকেও নজর দিয়ে দেখেন তাহলে বুঝতে সক্ষম হবেন যে এটি এমন একটি বই হতে যাচ্ছে যা নির্দিষ্ট সময় বা নির্দিষ্ট কিছু মানুষের জন্য নয় বরং সকল মুসলমানদের সবসময়ের জন্যই জরুরী।
.
➤ শর্ট পিডিএফ নিয়ে অনূভুতিঃ-
“ইলা মাগফিরাহ” বইটির শর্ট পিডিএফ পড়লাম। বইটি একটি অনূদিত বই হলেও ভাষা বেশ সহজ ও সাবলীল বলেই মনে হচ্ছে। বইয়ের প্রচ্ছদ, পৃষ্ঠাসজ্জা ও বিন্যাস বেশ সুন্দর হয়েছে। প্রতিটি আলোচনায় কুরআন হাদীস থেকে উপযুক্ত রেফারেন্স দেয়া হয়েছে। এছাড়া বইটির সাথে জড়িত বরেণ্য লেখক মুফতি মুহাম্মাদ খুবাইব হাফিজাহুল্লাহ এবং এর পাশাপাশি অনুবাদক এনামুল হক মাসউদ নিজেও একজন দক্ষ লেখক ও অনুবাদক। যা বইয়ের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে।
.
অতএব উপরোক্ত বিষয়সমূহ জানার পর কে এমন পাঠক আছেন যিনি বইটি কেনার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করবেন না?
তাই আসুন প্রকাশিতব্য “ইলা মাগফিরাহ” বইটি কিনে এবার নতুন কিছু হোক। আমরা সবাই মিলে আল্লাহর কাছে তওবা ও ইস্তিগফারের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। সেই সাথে জান্নাতে যাওয়ার জন্য আল্লাহর ইবাদতে মশগুল হই। কারন এই দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী। চিরস্থায়ী আবাসস্থল তো নির্ধারিত হবে আখিরাতে।
আশা করি বইটি সকল দ্বীনি ভাই-বোনদের কল্যাণে আসবে। তাই বইটি আপনি সংগ্রহ করুন এবং আপনার প্রিয়জনকেও সংগ্রহ করতে বলুন।
ফাতিমা মৌ ফ্লাভিকা – :
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন যারা তাঁর কাছে তওবা করে, এবং তিনি তাদেরকেও ভালবাসেন যারা নিজেদেরকে পবিত্র করে।”
সূরা আল-বাকারাঃআয়াত-২২২
একজন বান্দা যতোই গুনাহগার হোকনা কেন তার গুনাহ কখনোই আল্লাহর রহমতকে ছাড়িয়ে যেতে পারে না।প্রিয় রব্বের নিকটবর্তী হওয়ার জন্য রব্বের পক্ষ থেকে এক নিবিড় আহ্বানের নামই হলো ‘ইলা মাগফিরাহ!’মাগফিরাতের প্রবেশদ্বার হলো ‘তওবা’ এবং ‘ইস্তেগফার।’আন্তরিক তওবা এবং ইস্তেগফারের মাধ্যমে মানব ক্বলব আল্লাহর নূরে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে।
কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত মাগফিরাহ এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের উপায় কি?আমাদের জীবন পাপ-পঙ্কিলতায় ভরপুর,কিভাবে ফিরবো আমরা মহান রব্বের দিকে?মনে জাগে নানান প্রশ্ন-
কিভাবে সঠিক তাওবাহ-ইস্তিগফারের করব?এর গুরুত্ব কী?ফজিলত,বরকত ইত্যাদি সম্পর্কেও আমরা জ্ঞাত নই,তাহলে কিভাবে মাগফিরাতের সন্ধান করব?
মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এসব প্রশ্নের পুঙ্খানুপুঙ্খ জবাব দিতেই আয়ান পাবলিকেশন কর্তৃক
পাঠকের টেবিলে আসছে এবারের নতুন বই,নতুন আহ্বান-“ইলা মাগফিরাহ!
প্রকাশিতব্য বইটিতে তাওবাহ-ইস্তিগফার-মাগফিরাহ সম্পর্কিত কুরআনের সমস্ত আয়াত এবং সকল হাদিসের সমাবেশ ঘটবে।পাকিস্তানের মুজাহিদ আলেম মুফতি খুবাইব (হাফি.)-এর রচিত ‘ইলা মাগফিরাহ’ গ্রন্থটির অনুবাদ আলোচ্য বইটি।অনুবাদ করেছেন বিজ্ঞ ও চিন্তাশীল অনুবাদক এনামুল হক মাসউদ।
বইটির আলোচ্য বিষয় ৫টি অধ্যায়ে সাজানো হয়েছে এবং প্রতিটি অধ্যায়কে ছোট ছোট শিরোনামে বিন্যস্ত করা হয়েছে।সম্পাদকীয় কলাম, অনুবাদক পরিচিতি,সুরাতুল ফাতিহা, দরুদ শরিফ, সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার দিয়ে বইটির সূচনা।কুরআন ও সুন্নাহ থেকে রেফারেন্স ভিত্তিক বিভিন্ন আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে বইটিকে চমৎকার টপিকসে সাজানো হয়েছে। ইস্তিগফারের আহ্বান-মাসআলা-ফজিলত-অজিফা, তাওবা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে।গ্রন্থটির প্রথম খন্ডে কুরআন থেকে মাগফিরাত, তাওবাহ, ইস্তিগফার সংক্রান্ত সকল আয়াত, আয়াতের অর্থ ও সংক্ষিপ্ত তাফসির পেশ করা হয়েছে। দ্বিতীয় খন্ডে মাগফিরাত, তাওবাহ ও ইস্তিগফারের সংজ্ঞা, ফজিলত এবং উক্ত বিষয়ের হাদিস ও আসার তথা বিভিন্ন বাণী একত্রিত করা হয়েছে।এছাড়া রয়েছে- গুনাহের ১৩ টি ক্ষতি, ইস্তিগফারের ২০ টি উপকারিতা, জীবিত, মৃত, বন্ধুবান্ধব, নারীপুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য ইস্তিগফারের পরিচয়, পক্ষাঘাত থেকে হেফাজতের দু’আ, তাওবা কবুল হওয়ার পাঁচটি শর্ত, কতক্ষণ পর্যন্ত তাওবা কবুল হয়, তাওবার পদ্ধতি, নিয়ম, তাওবা ভঙ্গ হলে করণীয়।সবমিলিয়ে বলা যায় তওবা-ইস্তেগফার-মাগফিরাহ সম্পর্কিত মাস্টারপিস একটি বই এটি।
বইটির ৪২ পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্ত পিডিএফ পড়ে যতটুকু বুঝতে পেরেছি তওবা এবং ইস্তেগফারের সঠিক নিয়ম জেনে মাগফিরাত লাভ করা এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পথ ও পাথেয় সংগ্রহের জন্য দিকনির্দেশনামূলক চমৎকার এক বই এটি।বইয়ের প্রচ্ছদটাও মা শা আল্লাহ।
সবশেষে বলতে চাই দীর্ঘ শ্রম,মেধা এবং বুদ্ধি দিয়ে যারা “ইলা মাগফিরাহ বইটি পাঠকদের হাতে তুলে দিবেন তাদের সবাইকে জাযাকাল্লাহু খাইরান ফিদ্দুনিয়াহ্ ওয়াল আখিরাহ।আল্লাহর দিকে প্রবর্তন এবং কাঙ্ক্ষিত মাগফিরাহ পাওয়ার জন্য প্রকাশিতব্য বইটির প্রতি শুভকামনা রইলো।বইটি যেন সর্বোচ্চ পাঠকদের হাতে পৌঁছে যায়।আয়ান পাবলিকেশন এই আশাজাগানিয়া অগ্রগতিকে রব্ব কবুল করে নিক।আমীন।
salma akther – :
নবী- রাসূলগণ ছাড়া সকল আদম সন্তানই কম-বেশি গুনাহে লিপ্ত হয়। নফসের তাড়নায়,শয়তানের কুমন্ত্রণায় গুনাহ হয়ে যেতেই পারে; কিন্তু সেই গুনাহ হয়ে যাওয়ার পর তার ওপর অটল থাকা বড় ভুল ও অন্যায়। কেননা আল্লাহ্ তা’য়ালা পবিত্র কুরআনে বারবার তাঁর নিকট ক্ষমা চাওয়া ও তাওবা করার আদেশ দিয়েছেন।এবং সাথে ক্ষমা চাওয়ার পন্থা সমূহ পবিত্র কুরআন ও রাসূল (সা) এর মাধ্যমে শিখিয়ে দিয়েছেন। যে আমল গুলোর মাধ্যমে আমরা আমাদের কৃত গুনাহ সমূহ থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি এবং আল্লাহর মাগফিরাত লাভ করতে পারি সে সব আমল সমূহ নিয়েই রচিত হয়েছে” ইলা মাগফিরাহ” বইটি।
➡বই সম্পর্কে :-
“ইলা মাগফিরাহ” বইটি দুই খন্ডে বিভক্ত। বইটির প্রথম খন্ডে আলোচনা করা হয়েছে সুরা ফাতিহা, দুরুদ শরিফ,সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার ও পবিত্র কুরআন থেকে ধারাবাহিক ভাবে তাওবা-ইস্তেগফার ও মাগফিরাতের আয়াত সমূহ উপস্থাপন পূর্বক সংক্ষিপ্ত তাফসীর। বইটির দ্বিতীয় খন্ডে তাওবা-ইস্তিগফার ও মাগফিরাত সংক্রান্ত হাদিস, তাওবা-ইস্তিগফার ও মাগফিরাতের পরিচয়, আহ্বান,ফজিলত এবং সবশেষে তাওবা-ইস্তিগফার ও মাগফিরাত সংক্রান্ত দু’আ,অজিফা, বিভিন্ন শিক্ষনীয় ঘটনা, গুনাহের ক্ষতি,ইস্তিগফারের উপকারিতা,ইস্তিগফারের কয়েকটি মাসালা, এক ব্যক্তির জন্য অন্য ব্যক্তির ইস্তিগফারের নিয়ম ও তাওবার পরিচয় সহ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে।
➡বইটি কারা এবং কেন পড়বে:-
বর্তমান যুগ ফিতনার যুগ।পাপ পঙ্কিলতায় ডুবে আছি সবাই। এই পাপ থেকে বাঁচার জন্য ও আল্লাহর মাগফিরাত লাভের উপায় সম্পর্কে জানতে আমাদের সবাইকে একবার হলেও বইটি পড়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
➡পাঠ্যানুভূতি:-
পাঠকদের সুবিধার্থে আয়ান প্রকাশ একটি শর্ট পিডিএফ উন্মুক্ত করেছেন।বইটির শর্ট পিডিএফ পড়ে মুগ্ধ হয়েছি।লেখক তার সুবিশাল জ্ঞানের ভান্ডার কে উজার করে দিয়েছেন বইটিতে।বইটি পাঠের সময় এমন কিছু বিষয় সম্পর্কে জেনেছি যা আগে জানতাম না।তা ছাড়া অনুবাদকের সহজ-সাবলীল অনুবাদ, তথ্য বহুল সূচি ও বইটির চুম্বকাংশ পড়ে বইটি পাঠের চাহিদা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
➡চুম্বকাংশ থেকে:-
১/ আল্লাহ্ তা’আলা স্বীয় বান্দাদেরকে মাগফিরাতের দিকে ডাকছেন। আসো বান্দা আসো তোমাকে মাফ করে দেব।তোমাকে ক্ষমা করে দেব।
২/ যে গুনাহ করে আল্লাহ্ তা’আলাকে ভয় করেনা সে অনেক কঠিন আশঙ্কার মধ্যে আছে। আর যে গুনাহ করে আল্লাহ্ তা’আলার মাগফিরাত ও রহমত থেকে নিরাশ হয়ে বসে আছে, সে তারচেয়ে ও অধিক আশঙ্কার মধ্যে আছে।
➡শেষ কথন:-
একজন মুমিনের গোটা জীবনের পরম চাওয়া হলো আল্লাহর মাগফিরাত,ক্ষমা আর পরকালের চির মুক্তি।তার জন্য প্রয়োজন খাঁটি তাওবা আর ইস্তিগফারের মাধ্যমে আল্লাহর মাগফিরাত লাভ করা।
মাগফিরাত কী, এর উপায়-উপকরণ কী ও মাগফিরাত থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণ কী ? মোট কথা মাগফিরাত ও তাওবা- ইস্তিগফার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আমাদেকে পড়তে হবে মুফতি মুহাম্মদ খুবাইব হাফি.রচিত “ইলা মাগফিরাহ” তথা মাগফিরাতের আহ্বান বইটি।
প্রিয় পাঠক আয়ান প্রকাশন থেকে আমরা পেতে যাচ্ছি অসাধারণ একটি বই ইনশাআল্লাহ।
বইটির সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আল্লাহ কবুল করুন।