ইলা মাগফিরাহ
মাগফিরাত! শব্দটি শুনতেই হৃদয়ে এক অন্যরকম প্রশান্তি-প্রশান্তি শিহরণ অনুভব হয়। একজন মুমিনের গোটা জীবনের পরম চাওয়াটাই হল এই মাগফিরাত। আল্লাহ তা‘আলার ক্ষমা আর পরকালের চিরমুক্তি। মাগফিরাতের জন্য প্রয়োজন খাঁটি তাওবা আর ইস্তিগফার। আর এ বিষয়ে পাকিস্তানের মাজলুম কারাবন্দি মুজাহিদ আলেম মুফতি খুবাইব হাফি.- এর রচিত “ইলা-মাগফিরাহ” গ্রন্থটি একটি অসাধারণ গ্রন্থ। যে গ্রন্থটির প্রথম খন্ডে মুহতারাম লেখক পুরো কুরআনুল কারিমের মাগফিরাত, তাওবাহ ও ইস্তিগফার সংক্রান্ত সকল আয়াত, আয়াতের অর্থ ও সংক্ষিপ্ত তাফসির সুরার বিন্যাস অনুসারে একত্রিত করেছেন। দ্বিতীয় খন্ডে মাগফিরাত, তাওবাহ ও ইস্তিগফারের সংজ্ঞা, ফজিলত ও মাগফিরাত, তাওবাহ ও ইস্তিগফার বিষয়ের হাদিস ও আসার তথা বিভিন্ন বাণী একত্রিত করেছেন। মোটকথা মাগফিরাত, তাওবাহ ও ইস্তিগফার সম্পর্কে অসাধারণ একটি গ্রন্থ। যে গ্রন্থে পাঠক পাবেন তাওবাহ-ইস্তিগফার ও মাগফিরাতের এক অনাবিল ঝর্ণাধারা। আসুন! পাঠ করি আর অবগাহন করি মাগফিরাতের পরম কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নীল ভুবনে।
-
-
সকাল-সন্ধ্যার দুআ ও যিক্র ( দুআর বই, দুআ কার্ড একত্রে)
লেখক : শায়খ আহমাদুল্লাহপ্রকাশনী : আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পাবলিকেশন্স33 ৳পকেট সাইজের এই পুস্তিকায় সকাল-সন্ধ্যার বিভিন্ন ...
-
hotবেলা ফুরাবার আগে
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন335 ৳245 ৳বেলা ফুরাবার আগে... নিজেকে আবিষ্কারের একটি আয়না। ...
-
hotমনের ওপর লাগাম
লেখক : আল্লামা ইবনুল জাওযী (রহঃ)প্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন173 ৳128 ৳বিবেক আছে বলেই মানুষ পশুপাখি থেকে ...
-
hotএবার ভিন্ন কিছু হোক
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন340 ৳248 ৳প্রতিদিন একটা একঘেয়েমি চক্রে কেটে যাচ্ছে ...
-
hotরাহে বেলায়াত
প্রকাশনী : আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স550 ৳385 ৳আল্লাহ কুরআনে বলেন, "তোমরা আমার যিকির ...
-
hotটাইম ম্যানেজমেন্ট
লেখক : ইসমাইল কামদারপ্রকাশনী : সিয়ান পাবলিকেশন228 ৳166 ৳ইমাম আবু হানিফা রহ.-এর রেশমি কাপড়ের ...
-
save offকুরআন দিয়ে নিজের চিকিৎসা করুন
প্রকাশনী : সবুজপত্র পাবলিকেশন্স80 ৳58 ৳অনুবাদ: হাফেয মাহমুদুল হাসান পৃষ্ঠা ৯৭ পকেট সাইজ ...
-
hotআল্লাহর প্রতি সুধারণা
লেখক : ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়াপ্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন175 ৳129 ৳জাবের রদ্বি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ...
-
hotনফসের বিরুদ্ধে লড়াই
লেখক : মাহমুদ বিন নূরপ্রকাশনী : রাইয়ান প্রকাশন220 ৳161 ৳কতজন-ই তো বলে—আমি তাহাজ্জুদে উঠতে পারি ...
-
ফারজানা ইয়াসমিন ফারিহা – :
অশান্ত হৃদয় যখন আর্ত, তৃষ্ণার্ত হয়, ইস্তিগফার তখন সেখানে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে নামে। যার মাধ্যমে অন্তরে ছেয়ে যায় প্রশান্তি, হৃদয়ে দোলা দিয়ে যায় পবিত্রতার ঢেউ। মনের উদ্যান স্বপ্ন বুনে যায় মাগফিরাতের। ইস্তিগফার হচ্ছে মাগফিরাতকে চাওয়ার এক পবিত্র প্রক্রিয়া। আলোহীন অন্ধকারে গোনাহের সাগরে ডুবে থাকতে থাকতে হৃদয়ে যে মরিচা পড়ে যায়, সেই মরিচা হতে মুক্তিসনদের নামই হচ্ছে মাগফিরাত। একজন মুমিনের গোটা জীবনের পরম চাওয়াটাই হল এই মাগফিরাত।
সময়ের সাথে সাথে মানুষ গাফিল হয়ে যায়। ফলে পাপ করতে করতে ক্ষমা চাওয়ার কথাও স্মরণে থাকে না। শয়তান যেন মানুষকে এক প্রকার ঘোরে আচ্ছন্ন করে রাখে যাতে পাপ করতে করতে আমরা রবের ক্ষমার কথা ভুলে যাই। এই ভ্রান্তিলগ্নে আঁধারের মাঝে আলো হয়ে এসেছে পাকিস্তানের মাজলুম কারাবন্দি মুজাহিদ আলেম মুফতি খুবাইব হাফি. এর রচিত ❝আয়ান প্রকাশন❞ কর্তৃক প্রকাশিত গ্রন্থ ❝ইলা-মাগফিরাহ ❞।
❐ বইটি যাদের জন্যঃ
সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে কেউ সামনে থাকবে কেউবা পিছনে। কিন্তু শয়তানের ধোঁকায় পড়ে ভুল করে ফেললে আমরা যেন দ্রুত রবের দিকে ফিরে যেতে ভুল না করি।
আল্লাহ তায়া’লা তো বলেছেনই, ❝ বলুন, হে আমার ইবাদতকারী বান্দাগণ, যারা (আল্লাহর হুকুম অবাধ্য করে) নিজের নাফসের উপর জুলুম করেছো, তারা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেবেন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাকারী এবং দয়ালু। ❞ [ সূরা যুমার, আয়াত ৫৩]
তাই নিজেদের জীবনের গল্পগুলো আঁকতে গিয়ে যেন থেমে না যাই। ভুলগুলো মুছে যেন আবার সামনে এগিয়ে যাই। মাগফিরাতের আহবানের আবেশ যেন ছেয়ে থাকে প্রাণে-মনে। এই মাগফিরাতের আহবান তথা ❝ ইলা-মাগফিরাহ ❞ গ্রন্থটি আমাদেরই জন্য। আমাদের প্রত্যেকের জন্য।
❐ বইকথনঃ
ইস্তেগফারের সাথে সেতুবন্ধন জুড়ে দিতে ❝ ইলা- মাগফিরাহ ❞ গ্রন্থটি অসাধারণ একটি গ্রন্থ। এটি এত সুন্দর ঢঙে সাজানো হয়েছে যে দেখে মুগ্ধ হতে হয়। আয়াতসমূহের তাফসীরে দীর্ঘ কোন আলোচনা করা হয়নি যাতে পাঠকের বিরক্তির উদ্রেক না ঘটে । এ গ্রন্থে পাঠক পাবেন তাওবাহ-ইস্তিগফার ও মাগফিরাতের এক অনাবিল ঝর্ণাধারা।
প্রকাশিতব্য বইটির প্রথম খন্ডে মুহতারাম লেখক পুরো কুরআনুল কারিমের মাগফিরাত, তাওবাহ ও ইস্তিগফার সংক্রান্ত সকল আয়াত, আয়াতের অর্থ ও সংক্ষিপ্ত তাফসির সূরার বিন্যাস অনুসারে একত্রিত করেছেন।
দ্বিতীয় খন্ডে মাগফিরাত, তাওবাহ ও ইস্তিগফারের সংজ্ঞা, মাসালা, ফজিলত ও মাগফিরাত, তাওবাহ ও ইস্তিগফার বিষয়ের হাদিস ও বিভিন্ন বাণী একত্রিত করেছেন। এছাড়াও শেষ ধাপে রয়েছে ইস্তিগফারের অজিফা নিয়ে সমৃদ্ধ তথ্যভান্ডার।
❐ শর্ট পিডিএফ পড়ে পাঠ অভিমতঃ
পিডিএফ পড়ে ইস্তেগফারকে যেন নতুন করে আবিষ্কার করেছি। বইটির বিস্তৃত সূচিপত্র দেখে বই সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা পাওয়া যায়। তওবা-ইস্তিগফার ও মাগফিরাতে সম্পর্কে আয়াত একত্রে করা হয়েছে অর্ধ শতাধিকেরও বেশি। কিতাবটিকে মাগফিরাহ সংক্রান্ত এনসাইক্লোপিডিয়াই বলা যেতে পারে। বরকতময় আয়াতগুলোতে সংক্ষিপ্তভাবে কয়েক লাইনের মধ্যে তওবা, ইস্তিগফার সংক্রান্ত বিষয় সুস্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে মাশাআল্লাহ। এ যেন বিনিসুতোয় গাথা মুক্তোর একত্রিত সমাবেশ।
গুনাহের পর, যে যত বড় গুনাহগারই হোক না কেন বান্দা যদি তাঁর রবের কাছে ফিরতে চায় তবে তিনি কতটাই না খুশি হন! মহান আল্লাহ বলেছেন, ❝যারা তওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে। আল্লাহ তাদের পাপরাশিকে পুণ্য দিয়ে পাল্টে দেবেন। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।❞
[সূরা ফুরকান (২৫) : ৬৯-৭০]
তওবা করার কারণে এত গুনাহের পরও কত নিয়ামত!! সুবহানাল্লাহ! কতটা প্রশান্তিময় হবে সেই দিন, যেদিন ডান হাতে আসবে আমলনামা! উপরে থাকবে মহান রাব্বুল আলামিনের আরশের ছায়া! আপনি খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়বেন, সত্যিকারের বিজয় তো সেদিনই! চোখ বুজে একবার ভাবুন তো!খুশিতে কেঁদে ফেলতে ইচ্ছে হয়না?
shahidhasan730 – :
প্রিয় পাঠক, খেয়াল করুন এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে মাগফিরাত তথা ক্ষমা প্রার্থনার আদেশ দিচ্ছেন এবং একইসাথে সুসংবাদ দিচ্ছেন এমন এক জান্নাতের, যার বিস্তৃতি হবে সাত আসমান ও জমিনের সমান! প্রিয় বন্ধু, তাহলে একবার ভেবে দেখুন, আল্লাহ তাআলার রহমত ও মাগফিরাত আমাদের জন্য কত বেশী, কত বিস্তৃত! কিন্তু আমরা সেই রহমত ও মাগফিরাত গ্রহণ করতে কতটা প্রস্তুত?
আল্লাহ তাআলার রহমত ও মাগফিরাত তো আমরা সবাই চাই। তবে তার আগে আমাদের জানতে হবে মাগফিরাত কী, কেন এবং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের জানার সে আগ্রহ ও আকাঙ্ক্ষা এবার পূর্ণ হতে যাচ্ছে আয়ান প্রকাশনের মাধ্যমে।
📗 বই পরিচিতি :
পাকিস্তানের মজলুম কারাবন্দী আলিম মুফতি মুহাম্মাদ খুবাইব হাফি. রচিত এবং পাঠকপ্রিয় লেখক ও অনুবাদক এনামুল হক মাসউদ অনূদিত ‘ইলা মাগফিরাহ’ (মাগফিরাতের আহ্বান) বইটি মাগফিরাত বিষয়ে এক অনবদ্য সংকলন, যা আয়ান প্রকাশন থেকে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। বইটি আমাদের কাছে মাগফিরাতের পরিচয়, গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরবে।
বইটি মোট দুই খন্ডে রচিত (যদিও বাংলায় প্রকাশ পাবে এক খন্ডে)। প্রথম খন্ডে লেখক তাওবা-ইস্তিগফার সংক্রান্ত পবিত্র কুরআনের আয়াতগুলো একত্রিত করেছেন। এছাড়া প্রথম খন্ডে আলোচিত হয়েছে সূরা ফাতিহা, দুরুদ শরীফ, সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার , গুনাহের ১৩টি ক্ষতি, ইস্তিগফারের ২০টি উপকারিতা, ইস্তিগফারের পুরস্কার ইত্যাদি। দ্বিতীয় খন্ডে লেখক আলোচনা করেছেন তাওবা, ইস্তিগফার ও মাগফিরাতের পরিচয়, ফজিলত, আহ্বান, এ সংক্রান্ত দুআ ও অজিফা এবং সংশ্লিষ্ট ঘটনাবলী। এককথায় বইটিকে তাওবা-ইস্তিগফার সংক্রান্ত বিশ্বকোষ বলা যায়।
📗 উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য :
★ তাওবা, ইস্তিগফার ও মাগফিরাত সংক্রান্ত বিশাল কলেবরের এমন সংকলন বিরল। সেদিক থেকে এই বইটি অনন্য বৈশিষ্ট্যের দাবিদার।
★ তাওবা, ইস্তিগফার সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাঠক একসাথে এক মলাটে পেয়ে যাচ্ছেন। ফলে পাঠককে অন্য কোন কিছুর দ্বারস্থ হতে হবে না।
★ বইয়ের অনুবাদ বেশ সহজ সাবলীল মনে হয়েছে। তাই পাঠকের জন্য বইটি সুখপাঠ্য হবে আশা করছি।
📗 কেন পড়বেন, কারা পড়বেন :
৫৭২ পৃষ্ঠার বৃহৎ কলেবরের এ বইটি আমাদের কাছে আল্লাহ তাআলার রহমত, মাগফিরাত ও মহত্ত্বকে নতুনভাবে তুলে ধরবে। পাঠক বইটি থেকে এমন অনেক কিছুই জানতে পারবেন, যা তিনি খুঁজছিলেন দৈনন্দিন জীবনে ব্যক্তিগতভাবে নিজে আমল করার জন্য। পাশাপাশি আল্লাহ তাআলার মাগফিরাত থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণ এবং মাগফিরাত অর্জনের উপায়গুলোও জানা যাবে। তাই প্রিয় পাঠক, বইটি আপনার জন্য, আমার জন্য, আমাদের সবার জন্য। কারণ আমরা সবাই আল্লাহ তাআলার মাগফিরাত তথা ক্ষমা প্রাপ্ত হতে চাই।
📗 ব্যক্তিগত অনুভূতি :
প্রকাশনী প্রদত্ত শর্ট পিডিএফ পড়ে মনে হয়েছে, বইটি বর্তমান সময়ে আমাদের মতো আল্লাহ ভোলা মানুষের জন্য খুব প্রয়োজন ছিল। কারণ আমরা আল্লাহ তাআলার কাছে চাই ঠিক-ই, তবে আল্লাহর শিখিয়ে দেওয়া মাধ্যম ব্যবহার করতে পারি না অজ্ঞতার কারণে। সেদিক থেকে বইটির প্রয়োজনীয়তা ছিল অপরিসীম। তবে কিছু জায়গায় বানান বিভ্রাট চোখে পড়েছে। আশা করি, প্রকাশনী বিষয়টি খেয়াল করবে।
📗 পরিশেষে :
আল্লাহ তাআলার মাগফিরাত তথা ক্ষমা প্রত্যেকের কাছেই পরম আরাধ্য এবং বহুল কাঙ্ক্ষিত প্রাপ্তি। সেই মাগফিরাত প্রাপ্তির পথটা যেন প্রত্যেকের জন্য সহজ হয় এবং বইটা আমাদের মাগফিরাতের পথে অন্যতম সহায়ক হয়। আল্লাহ তাআলা বইটিকে কবুল করুন, এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উত্তম প্রতিদান দিন।
সিরাজাম বিনতে কামাল – :
_____________
এক ব্যক্তি তার উট হারিয়ে ফেলে। উটটি তার একমাত্র সম্বল। সে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও উটটি না পেয়ে খুবই ব্যথিত হলো। কিন্তু একটা সময় পর, সে তার উটটি খুঁজে পেলো। আনন্দের আতিশয্যে আল্লাহর প্রশংসা আদায় করে সে বলে উঠলো, ❝আল্লাহ আমি তোমার রব, তুমি আমার বান্দা।❞ (এরকমটা কোথাও পড়েছিলাম, হুবহু মনে আসছে না, ভুল হলে অবশ্যই ধরিয়ে দেবেন।)
একজন ব্যক্তি যখন ভুল করে পরক্ষণে ভুল বোঝে তওবা করে সে আল্লাহর কাছে ফিরে আসে তখন আমাদের প্রিয় রব্ব, রহমানুর রহিম আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা ঠিক এতটাই খুশি হন, যতটা খুশি হয়েছিলো সেই উটের মালিক। সুবহানাল্লাহ!
মানুষ ফেরেশতা না। মানুষ ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক। ভুল করার পর সে তাওবা করে, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে, আর যেনো ভুল না হয় সেজন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবে। আর তাই তো, আল্লাহ গফফার, আল্লাহ গফুর, আল্লাহ আফুয়্যু। আল্লাহ ক্ষমাশীল, তিনি ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। কিন্তু আমরা গাফেল, পাপ করতে করতে ক্ষমা চাওয়ার কথাও ভুলে যাই।
▫️প্রিভিউ কথন:
________________
আদম সন্তান ভুল করবেই। স্বয়ং আদমও (আ:) ভুল করেছিলেন। আর এই ভুল, বারবার করে যাওয়া গুনাহ হতে মুক্তির নাম মাগফিরাত। মাগফিরাত ব্যতীত কেউ চিরস্থায়ী গন্তব্য জান্নাত প্রাপ্ত হবে না। মাগফিরাত হলো মারেফাতের সূচনা, মাগফিরাত ব্যতীত মারেফাতের জগতে প্রবেশ নিষিদ্ধ। মাগফিরাত চাওয়ার প্রক্রিয়ার নাম হলো ইস্তিগফার। ইস্তিগফার করা ব্যতীত মাগফিরাতের আশা করা বোকামি।
❝ইলা মাগফিরাহ❞ মানে আল্লাহর সাথে নিবিড় বন্ধুত্ব গড়ে তোলার আহ্বান। আজকের আলোচ্য বই পুরোটাই এই একটি শব্দের উপর রচিত অর্থাৎ মাগফিরাত। বুঝাই যাচ্ছে এই শব্দটির মাহাত্ম্য কত ব্যাপক। তা সম্পর্কে জানা, বুঝা, আমল করা, অন্যকে জানানো কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
▫️বই অভ্যন্তরে যা থাকবে:
________________________
আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে ৬৪ সূরার বিভিন্ন আয়াতে তাওবা, ইস্তিগফার আর মাগফিরাত সম্পর্কে বলেছেন। বইটি দুই খন্ডে বিভক্ত। প্রথম খন্ডে রয়েছে- কুরআনের মাগফিরাত সংক্রান্ত আয়াত ও ইস্তিগফার সংক্রান্ত দু’আসমূহ।
দ্বিতীয় খন্ডে রয়েছে- তাওবা ও ইস্তিগফার সংক্রান্ত হাদিস, তাওবা ইস্তিগফারের পরিচয়, ফজীলত, দু’আ ও অজীফা। তাওবা, ইস্তিগফার, মাগফিরাত সংক্রান্ত ঘটনাবলীর বর্ণনা।
৫৭২+পৃষ্ঠার বিশাল এই বইটির শর্ট পিডিএফে সূচিপত্রসহ ৪২ পৃষ্ঠা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সূচিপত্র দেখেই ধারণা পাওয়া গিয়েছে বইটি কতটা সমৃদ্ধ। কুরআনের তাওবা, ইস্তিগফার, মাগফিরাত সংক্রান্ত আয়াতসমূহ আরবি ও অর্থ, আয়াত নংসহ উল্লিখিত হয়েছে। যেখানে অল্পকথায় আয়াতের মূলভাব স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। আবার জীবনে চলার পথে সকল সময়ে, সকল পরিস্থিতিতে তাওবা, ইস্তিগফার করার ও মাগফিরাত চাওয়ার পদ্ধতি আলাদা আলাদা টপিকে সুশৃঙ্খলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়াও উল্লেখযোগ্য রয়েছে- গুনাহের ১৩ টি ক্ষতি, ইস্তিগফারের ২০ টি উপকারিতা, জীবিত, মৃত, বন্ধুবান্ধব, নারীপুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য ইস্তিগফারের পরিচয়, পক্ষাঘাত থেকে হেফাজতের দু’আ, তাওবা কবুল হওয়ার পাঁচটি শর্ত, কতক্ষণ পর্যন্ত তাওবা কবুল হয়, তাওবার পদ্ধতি, নিয়ম, তাওবা ভঙ্গ হলে করণীয়। অনেক, অনেক প্রয়োজনীয় খুটিনাটি বিষয় বইটিতে রয়েছে। এভাবে, বলে বোঝানো আসলে সম্ভব না, সূচিপত্রে চোখ না বুলালে আপনি তা বিশ্বাসও করবেন না বইটি কতটা সমৃদ্ধ। মাশা’আল্লাহ!
মোট কথা, বইটি মাগফিরাত সম্পর্কিত একটি সমৃদ্ধ এনসাইক্লোপিডিয়া। যা আমাদের প্রত্যেক মুসলিমের জন্য গাইডলাইন এবং বেস্ট রিমাইন্ডার হিসেবে কাজ করবে ইন শা আল্লাহ!
▫️বইটি কাদের জন্য:
____________________
বইটি সকলের জন্য যারা আল্লাহর ক্ষমা চায়, মাগফিরাত চায়, চিরস্থায়ী সুখের স্থান জান্নাত চায়। একজন সচেতন মুসলিম মাত্রই বইটি সংগ্রহে রাখবে এবং একজন অসেচতন মুসলিমও বইটি সংগ্রহে রাখবে তাওবা, ইস্তিগফারের আমল করার মাধ্যমে আল্লাহর মাগফিরাত কামনা করবে, ইন শা আল্লাহ! বইটি একজন নও-মুসলিমের জন্য। আবার একজন অমুসলিমও বইটি পড়বে, কারণ একজন অমুসলিমও আল্লাহর বান্দা। আল্লাহ চাইলে সে-ও এই বইয়ের মাধ্যমে হিদায়াত পেয়ে মাগফিরাত প্রত্যাশা করতে পারে বা মাগফিরাত প্রত্যাশা করে সে আল্লাহর কাছে ফিরে আসতে পারে। ইন শা আল্লাহ!
▫️আরও কিছু তথ্য:
____________________
গ্রন্থটি রচনা করেছেন পাকিস্তানের কারাবন্দী মুজাহিদ আলেম মুফতি খুবাইব হাফি.। ❝ইলা মাগফিরাহ- মাগফিরাতের আহ্বান❞ মূল শিরোনাম ঠিক রেখেই অনুবাদ করেছেন এনামুল হক মাসউদ। বইটিতে রয়েছে ১২টি পয়েন্ট সম্বলিত একটি চুম্বকাংশ। যা চুম্বকের মতোই বইয়ের ভেতরের পাতায় যেতে পাঠককে আগ্রহী করে তুলবে। বইয়ের অনুবাদ সহজবোধ্য, ফন্ট ও পৃষ্ঠসজ্জাও গোছানো হয়েছে। টাইপিং মিস্টেকের দরুন টুকিটাকি কিছু বানান বিভ্রাট চোখে পড়েছে তবে সেগুলো তেমন কিছু না।
গুনাহ হলো রোগ। তাওবা, ইস্তিগফার হলো আরোগ্য লাভের উপায় ও চিকিৎসা। আমাদের প্রিয় নবী (সা:) প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক ইস্তিগফার করতেন। ইন শা আল্লাহ! আমরাও বেশি বেশি তাওবা ইস্তিগফার করবো। আশা ও ভয় হলো দুটি ডানার মতো। আমরা আল্লাহর কাছে মাগফিরাতের আশা করবো এবং তাঁর শাস্তির কথা ভেবে তাওবা ইস্তিগফারের আমল করবো, ইন শা আল্লাহ! বই সংশ্লিষ্ট সকলের উত্তম প্রতিদান কামনা করছি।
বইটি আমাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন আয়ান প্রকাশন। এ’পর্যন্ত এটি আয়ানের বেস্ট একটা কাজ হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।
Meherunnesha Khatun (Sanam) – :
আচ্ছা, যদি তাওবাহ-ইস্তিগফার-মাগফিরাহ সম্পর্কিত কুরআনের সমস্ত আয়াত এবং সকল হাদিস এক মলাটের ভিতর পাওয়া যায়- তাহলে ব্যাপারটা কেমন হয়….? দারুণ না!
জ্বী, এই কাজের আঞ্জাম দিতেই হাত বাড়িয়েছে আয়ান প্রকাশন। পাকিস্তানের মুজাহিদ আলেম মুফতি খুবাইব (হাফি.) -এর রচিত ‘ইলা মাগফিরাহ’ গ্রন্থটি খুব শীঘ্রই বাঙলায় অনুবাদ হয়ে আসতে চলেছে এবং অনুবাদ করেছেন সুহৃদ অনুবাদক এনামুল হক মাসউদ।
◾ বইটির বিষয়বস্তু :-
আলহামদুলিল্লাহ… প্রকাশিতব্য বইটির ৪২ পৃষ্ঠার একটি শর্ট পিডিএফ পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে। বইটির আলোচ্য বিষয় প্রধান ৫টি অধ্যায়ে সন্নিবিষ্ট। প্রতিটি অধ্যায় ছোটো ছোটো একাধিক শিরোনামে বিন্যস্ত। সম্পাদকীয়, অনুবাদকের কথা, সুরাতুল ফাতিহা, দরুদ শরিফ, সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার দিয়ে বইটির সূচনা। তারপর বিশাল পরিসরে রয়েছে গ্রন্থ পরিচিতি। এরপর কুরআনের ইস্তিগফার-মাগফিরাহ সম্পর্কিত সেই সমস্ত নির্দিষ্ট সূরা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা-পর্যালোচনা থাকবে। এছাড়াও বইটিতে ইস্তিগফারের আহ্বান-মাসআলা-ফজিলত-অজিফা, তাওবা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলোকপাত করা থাকবে ইন শা আল্লাহ। মূলত গ্রন্থটির প্রথম খন্ডে কুরআনুল কারিমের মাগফিরাত, তাওবাহ, ইস্তিগফার সংক্রান্ত সকল আয়াত, আয়াতের অর্থ ও সংক্ষিপ্ত তাফসির সুরার বিন্যাস অনুসারে একত্রিত করা হয়েছে। দ্বিতীয় খন্ডে মাগফিরাত, তাওবাহ ও ইস্তিগফারের সংজ্ঞা, ফজিলত এবং উক্ত বিষয়ের হাদিস ও আসার তথা বিভিন্ন বাণী একত্রিত করা হয়েছে।
◾ শর্ট পিডিএফের আলোকে বইটির বিশেষত্ব :-
◑ অনুবাদ অত্যন্ত সরল, সাবলীল।
◑ সাহিত্যের স্বাদও রয়েছে।
◑ পাঠক এক মলাটের ভিতর পেয়ে যাবে তাওবা-ইস্তিগফার-মাগফিরাত সমন্বিত কুরআনের সমস্ত আয়াত ও হাদিসের সারনির্যাস।
◑ বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনীয় পাদটীকা এবং হাদিসের রেফারেন্স সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে গ্রন্থটি আরও গ্রহণযোগ্য এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।
◑ পাঠকের সময় বাঁচাতে আয়াতসমূহের তাফসীরের দীর্ঘ আলোচনা না করে সংক্ষিপ্তভাবে বিষয়গুলোকে সুস্পষ্ট করা হয়েছে।
◾ বইটির প্রয়োজনীয়তা :-
গ্রন্থটি অধ্যয়ন করলে পাঠক জানতে পারবে আল্লাহর নিকট তার অবস্থান কোথায় এবং তার কতটা ইস্তিগফারের প্রয়োজন! মাগফিরাতের উপায়-উপকরণ, মাগফিরাত থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণ ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবে। পাশাপাশি ইস্তিগফারের বিভিন্ন বরকত সম্পর্কেও অবগত হবে। গ্রন্থটি হতে চলেছে তাওবা-ইস্তিগফার-মাগফিরাত সম্পর্কিত এনসাইক্লোপিডিয়া তথা সম্পূর্ণ এক গাইডবুক। সুতরাং এমন একটি দুর্দান্ত বই কতটা প্রয়োজনীয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। একজন বুদ্ধিমান পাঠক নিঃসন্দেহে বইটির মূল্যায়ন অনুধাবন করতে পারবেন।
◾ বইটি কাদের জন্য :-
প্রতিটি আদম সন্তানই গোনাহগার। আর গোনাহ থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য তাওবা-ইস্তিগফারের চেয়ে উত্তম কোনো ঔষধ নেই। সুতরাং প্রত্যেকের জন্যই এটি অবশ্য পাঠ্য একটি বই। নারী-পুরুষ, গোনাহগার-নেক্বকার নির্বিশেষে সকলের একবার হলেও বইটি পড়া উচিত এবং নিত্যদিনের সঙ্গী হিসেবে বইটি সাথে রাখা দরকার।
◾ শর্ট পিডিএফ পড়ে অনুভূতি :-
বইটা সম্পর্কে যখন প্রথম জেনেছিলাম তখনই মনে হয়েছিল আয়ান প্রকাশনীর এই বইটা হতে চলেছে দুর্দান্ত, অপূর্ব, বেস্ট সেলার এবং সবচেয়ে দারুণ। পাঠকদের জন্য সবচেয়ে সেরা উপহার হতে চলেছে আয়ান প্রকাশনীর তরফ থেকে। আর আলহামদুলিল্লাহ শর্ট পিডিএফ পড়ার পরও একই অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছিল। এমন একটা বইয়ের অপেক্ষায় আমিও ছিলাম আর আল্লাহর ইচ্ছাই এই অসাধারণ বইয়ের সন্ধানও পেয়ে গেলাম। ঠিক যেন ‘মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো’। সূচিপত্র দেখেই আমার চোখ স্ফীত হয়ে গিয়েছিল, নয়নে প্রশান্তি বিরাজ করছিল। মা শা আল্লাহ! বিশাল কলেবরের এই বইটিতে মাগফিরাত, তাওবা, ইস্তিগফার সম্পর্কিত কোনো কিছু বাদ পড়ে গেছে বলে আমার মনে হয়না। অত্যন্ত গুছিয়ে, পরিপাটি বিন্যাসে, ধাপে ধাপে প্রতিটি জিনিস যেন জ্বলজ্বল করে উঠছে বইটির সূচিপত্রে। আশা করছি, মাগফিরাত-তাওবাহ-ইস্তিগফার সম্পর্কিত বাঙলাভাষায় এটাই প্রথম বেস্ট বই হতে চলেছে। এমন একটা বই প্রত্যেকের সংগ্রহে অবশ্যই থাকা উচিত। মাস্টরিড একটি বই। বইয়ের প্রচ্ছদ যতবার চোখের সামনে ভাসবে কিংবা বইটি হাতের তালুতে উঠে আসবে, ঠিক ততবারই পাঠক আল্লাহর নিকট তাওবাহ-ইস্তিগফার করবে, মাগফিরাত চাইবে ইন শা আল্লাহ। প্রথম থেকেই এই বইয়ের প্রতি কেমন যেন এক টান অনুভব করছি, শর্ট পিডিএফ পড়ার পর সেই টান আরও আরও বেড়েছে। তাই এই মূল্যবান গ্রন্থটি সংগ্রহ করা এবং অধ্যয়ন করার অভিলাষও বেড়েছে ভীষণ রকম। বইটির সাথে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককের মাগফিরাত কামনা করি। আমিন।
alif20arif – :
فَتَلَقّٰۤی اٰدَمُ مِنۡ رَّبِّہٖ کَلِمٰتٍ فَتَابَ عَلَیۡہِ ؕ
اِنَّہٗ ہُوَ التَّوَّابُ الرَّحِیۡمُ
অর্থ: অতঃপর আদম স্বীয় প্রতিপালকের পক্ষ হতে (তওবার) কিছু শব্দ শিখে নিল
(যা দ্বারা সে তওবা করল) ফলে আল্লাহ তার তওবা কবুল করলেন। নিশ্চয়ই তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।
—(আল বাকারা – ৩৭)
আমাদের জন্য এক রহমতের মাধ্যম তওবা-ইস্তিগফার। যদি তওবার দরজা না থাকতো তবে আমাদের বাঁচার কোন পথ থাকতো না। সারা জীবন গুনাহ করে মৃত্যুর সময় যদি তওবা করে তবুও আল্লাহ তাকে তওবার বদৌলতে জান্নাত দিতে পারেন। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল ও রুটি বিক্রেতার গল্প আমরা কমবেশি সকলেই জানি। সেই রুটি বিক্রেতার কোন দোয়া আল্লাহ অপূর্ণ রাখেন নাই, তার একটি বিশেষ আমল ছিল যে সে সর্বদা আস্তাগফিরুল্লাহ নামক ইস্তিগফার করত। সুবাহানাল্লাহ! কি চমৎকার ব্যাপার!
অথচ আমরা সেই তওবা-ইস্তিগফার থেকে আজ কতটা দূরে। আমাদের আহরহ সময় অপচয় হয় অনর্থক কাজে অথচ একসেকেন্ড সময় নিয়ে একটা ইস্তিগফার করার সময় হয় না। অথচ আল্লাহ যে কতবড় নেয়ামত দিয়েছেন আমাদের, আমরা তা জানি না। যদি কোনকিছু অসম্ভব হয়, সেই জিনিস সম্ভব করার বিন্দুমাত্র আশা না থাকে, তখনও দোয়া-তওবার মাধ্যমে তা সম্ভব। আদম আ. থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত কত মানুষ যে এ তওবার মাধ্যমে বেচে গেছেন তার কোন হিসাব নেই। যদি আমরাও জান্নাতে যেতে চাই তার চমৎকার এক মাধ্যমে তওবা-ইস্তেগফার। এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে আমার জানা সর্ববৃহত কলেবরে তওবা-ইস্তিগফার নিয়ে মুফতি মুহাম্মাদ খুবাইব হাফি. এর লেখা বই ইলা মাগফিরাহ।
📌বইটি পড়ে যা বুঝলাম- তাতে মনে হলো বইটির কোন তুলনাই চলে না, এটি একটি মাস্টারপিস বই হতে চলেছে যার বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকার কথা না এবং নিচে সেই অনুযায়ী বইটি সম্পর্কে আলোচনা করছি,
তওবা-ইস্তিগফারের এক মাস্টারপিস হতে যাওয়া বই ইলা মাগফিরাহ। যার অর্থ মাগফিরাতের বা ক্ষমার আহ্বান। বইটির পূর্ণ নাম ওয়া সারিউ ইলা মাগফিরাহ। আল্লাহর দয়া মায়ার পরিচায়ক হচ্ছে মাগফিরাহ বা ক্ষমা। যা পাওয়ার অন্যতম উপায় তওবা-ইস্তেগফার। বইটি এতই অসাধারণ যে মন থেকে বলতে হচ্ছে এটি সম্পর্কে আমি বলে শেষ করতে পারব না।
প্রথমেই বইটির অতিবৃহত সূচিপত্র মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো। মনে হবে এমন কোন বিষয় হয়তো নেই যা এ বইটিতে নেই। তবুও সাহস নিয়ে বইটির বিষয়বস্তু নিয়ে আলোকপাত করছি। বইটিতে মোটাদাগে ৫টি অধ্যায়ে বিভক্ত করা যায় যথা:
১) তওবা ইস্তিগফার ও মাগফিরাত সংক্রান্ত পবিত্র কুরআনের আয়াতসমূহ
২) ইস্তিগফারের আহ্বান
৩) ইস্তিগফারের কয়েকটি মাসআলা ও ফজিলত
৪) তওবা
৫) ইস্তিগফারের একটি অজিফা
বইটিতে প্রথম খন্ডেই অবাক করার মতো কুরআনের বেশিরভাগ সূরা থেকে আলাদা আলাদা করে তওবার আয়াত নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। একটি সূরায় কোন কোন আয়াত তওবা রিলেটেড তা খুব যত্নসহ তুলে আনা হয়েছে। এরপর ইস্তিগফার নিয়ে – ইস্তিগফার কি, কেন প্রয়োজন, এর উপকারিতা কি, কুরআন হাদিস থেকে ইস্তিগফারের কথা তুলে ধরা হয়েছে। পরের খন্ডে ইস্তিগফারের নানা মাসআলা ও সাথে ফজিলত যুক্ত করা হয়েছে। ইস্তিগফারের পর তওবা পরিচিতি থেকে তওবার শর্ত, নিয়ম, তওবার উপকারিতা, তওবার কিছু ঘটনা, সাথে তওবা ও ইস্তিগফারের সম্মিলিত কিছু পাঠ তুলে আনা হয়েছে। শেষ খন্ডে ইস্তিগফারের পুরো একটি অজিফার বইই উঠিয়ে আনা হয়েছে বইতে।
📌বিশেষ বৈশিষ্ট্যসমূহ:-
– বইটি তওবা ও ইস্তিগফার নিয়ে এতই বিস্তারিত লেখা যে এর সূচিপত্রের পৃষ্ঠাসংখ্যাই ১৩টি।
– বইটিতে এমন একটা জিনিস যুক্ত করা হয়েছে যা অভাবনীয় এবং প্রশংসার দাবীদার। ৫৭৬ পৃষ্ঠার এ বইটির সারমর্ম গ্রন্থটির চুম্বকাংশ নামক শিরোনামে তুলে ধরা হয়েছে। বলা যায় গ্রন্থটির চুম্বকাংশ অংশটিই বইটির যথার্থ রিভিউ। এ বিষয়টি অন্য কোন বইতে দেখা যায় না।
– বইটির আরেকটি চমৎকার দিক লক্ষণীয়। বিষয়টি হচ্ছে সকল বইতেই প্রথমে সম্পাদক/প্রকাশক/অনুবাদকের কথা, লেখকের কথা, ভূমিকা দিয়ে মূল আলোচনা শুরু করে। এ বইটিও তার ব্যাতীক্রম নয়। তবে কিছু অতিরিক্ত আছে। আমরা যেমন দোয়া করার সময় প্রথমে সূরা ফাতিহা, দরুদ শরিফ এরপর ইস্তিগফার বলে দোয়া শুরু করি। তওবা ও ইস্তিগফারের এ বইটিতে ঠিক তেমন করে বইটি শুরু করা হয়েছে। এ নিয়ে তারা বিশেষ ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
– অন্যান্য দোয়ার বইতে কুরআন হাদিস থেকে দোয়াসমূহ তুলে ধরেই শেষ। তবে এ বইতে তওবা ও ইস্তিগফারের পরিচিতি, পদ্ধতি, সুফল উল্লেখ করার পর তওবা ও ইস্তিগফারের আয়াত দেওয়া হয়েছে।
– বইটির এক চমৎকার সংযোজন হচ্ছে প্রথমদিকে কুরআনের প্রতিটি সূরা থেকে তওবার আয়াত সূরাভিত্তিক একত্র করে আলাদা আলাদা তুলে ধরা হয়েছে।
– কুরআন হাদিসের আলোকে রেফারেন্সসহ প্রতিটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
– বইটিতে রেফারেন্সের সাথে প্রয়োজন অনুযায়ী টিকা যুক্ত করা হয়েছে। এতে প্রতিটি বিষয় আরো ভালোকরে বুঝতে সুবিধা হবে।
সবশেষে বলতে চাই,
বইটিকে কতটা তুলে ধরতে পেরেছি জানি না। তবে আমি আশা করি বইটি সম্পর্কে আমি যা বলেছি তার থেকেও শতগুণে বেশি এ বইটি। সত্যিই এক অনন্য অসাধারণ বই। আশা করি বইটি আল্লাহর ক্ষমা লাভের ক্ষেত্রে আমাদের বন্ধু হবে।