মেন্যু
i love you

আই লাভ ইউ

বাজারে অশ্লীল প্রেম আর রগরগে বর্ণনার বইয়ের অভাব নেই। ইন্টারনেইটের কল্যাণে যৌনতার কুৎসিত চিত্র এখন হাতে হাতে। আজ পশ্চিমা অপসংস্কৃতির গড্ডলিকা প্রবাহে ভেসে গেছে নৈতিকতা ও শুদ্ধাচার। সংসারগুলো হয়ে উঠেছে জাহান্নামের... আরো পড়ুন
পরিমাণ

140  280 (50% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন

2 রিভিউ এবং রেটিং - আই লাভ ইউ

5.0
Based on 2 reviews
5 star
100%
4 star
0%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    অছিউদ্দিন আফতাব আবির:

    বই টা প্রথম পড়েছিলাম ২০১৭ সালে। আমার কাছে বইটি পড়ে আমার ২ জন সিনিয়র কলিগ বউদের গিফট করেছিলেন। নামটারই তো অনেক মাহাত্ন্য। ফলাফল- বউদের কাছে অন্য লেভেলের পজিটিভ রেসপন্স পেয়েছিলেন। বইটা প্রতিবার পড়লে ভালোলাগে। প্র‍্যাক্টিসিং/নন-প্র‍্যাক্টিসিং সবাই পড়ে তৃপ্তি পাবেন, একটি ভালো বই পড়ার ফিল টা পাবেন। ইসলামিক পারিবারিক জীবনটা যে কত সুন্দর, তা বুঝতে পারবেন। নিজেরো ইচ্ছা করবে এমন একটা দ্বীনি পরিবারের।আমার বিবির বই পড়ার অভ্যাস নেই। শুধুমাত্র নাম দেখেই সে বইটি পড়েছে এবং আলহামদুলিল্লাহ তার রেসপন্স পজিটিভ। আল্লাহ লেখক কে উত্তম জাযা দান করুক। পাঠকদেরও বই থেকে ভালোকিছু নেয়ার তৌফিক দান করুক।
    20 out of 20 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    doridrokamrul:

    “আই লাভ ইউ” একটা বইয়ের নাম।
    কী, ভাবছেন তো প্রেমের বই নিয়ে আলোচনা করবো? রগরগে একটা প্রেম কাহিনী থাকবে, সেখানে আরো থাকবে দুনিয়ায় যত সব নিষিদ্ধ রসের কথা! যা শুনে কান গরম হয়ে যাবে!
    বিশ্বাস করেন, সব পাবেন বইটাতে। তবে পার্থক্য হলো বইটার প্রতিটা গল্প পড়ার পর আপনার নিজের ভেতরে চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন চলে আসবে।
    (না আসলে আপনি সত্যিই রোবট, তার জন্য কর্তিপক্ষ কোনোভাবেই দায়ী না ?)

    প্রেম স্বর্গীয়, অমৃতের মত যার স্বাদ (শুধু শুনেই গেলাম) অপার্থিব সেই প্রেম। তাই তো বার বার শুধু বলতে ইচ্ছে করে “আই লাভ ইউ”।

    আল্লাহর পথে চলাকি সত্যিই অনেক কঠিন কাজ? সহীহ সুন্নাহ মতো জীবনধারণ, আখলাক অনুযায়ী চলা, সুন্দর স্বাভাবিক জীবনধারণ করলে কী আমাদের ভালো হবে, নাকি মন্দ? আর এই সুন্নাহ, আকীদা, আখলাক কী শুধুই আমরা মুসলিমরাই মানবো?
    আরে ভাই বাদ দেন কঠিন কঠিন সব কথা। সুন্দর স্বাভাবিক জীবন সবাই চায়। কিন্তু কথা হচ্ছে সবাই যদি চায় তাহলে সমাজের এই বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা কেন?
    তাই শুধু আমরা না, সকলেই যদি এভাবেই চলি তবে সমাজ নষ্ট হবে না।

    ঘরে ঘরে শান্তি কিভাবে আসে শুনবেন? বইটা থেকেই কিছু বলি, কেমন?

    আমরা জানি সতীন মানেই দুন্ধুমার লঙ্কাকান্ড সব সময়। আর এক সাথে থাকা! ওরে বাবা, এতো কল্পনারও অতীত।
    কিন্তু যদি দেখেন কখনো, এক জন তার, সতীনকে তার মৃত স্বামীর সহায়সম্পদের ভাগ বুঝিয়ে দিচ্ছে, তখন কেমন লাগবে আপনার?
    কিন্তু তারপরেই যদি আবার দেখেন ঐ সতীন তার প্রাপ্য সম্পদ ফিরিয়ে দিচ্ছে তার সতীনের নিকট, যাতে সেই সতীনটি ভালোভাবে, সুন্দর ভাবে জীবনধারণ করতে পারে, তাহলে কেমন লাগবে?
    ঠিক তাই, এটাতো আমরা মনের কোথাও স্থানই দেই নি, ভাববো কী করে?

    ঠিক এমনই সুন্দর এক গল্প ” আদর্শ সতীন” নামক গল্পে বলে গেছেন লেখক ” মুহাম্মদ আতীক উল্লাহ”
    গল্পটিতে উঠে এসছে গভীর তাকওয়া, নৈতিকতা, এবং চমৎকার এক আত্মমর্যাদার ঘটনা। যে কিনা পার্থিব হিংসা, ঈর্ষার ফাঁদে না পড়ে নিজ কর্তব্যে অটুট থেকেছে। কোনো ঝামেলা তো হয়নি বরং রেখে গেছে কঠিন কিন্তু সহজ এক দৃষ্টান্ত।

    ভালোবাসা কী, জানেন? ভালোবাসার নাম বিশ্বাস। ভালোবাসার নাম ধৈর্য। ভালোবাসার নাম শান্তি।

    ভালোবাসা মানেই নোংরামি নয়। ভালোবাসা মানেই ছেলে মেয়ে ঢ্যাং ঢ্যাং করে রাস্তায় ঘুড়ে বেড়ানো নয়।
    ভালোবাসা শেখায় ভদ্রতা। ঊশৃংখলতা নয়।

    “দ্বিতীয় বাসর” গল্পেই তো আমরা দেখতে পাই গল্পের প্রধান চরিত্র ‘সালেহ’র কাহিনী।
    তিনি একজন মাওলানা হয়ে আবার স্কুলের নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। পড়ছে বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে। সালেহর আশেপাশের কিছু মানুষ তাঁকে কটু কথা বলে। যে সে বিজ্ঞান জানে না, অংক জানে না, ইংরেজি জানে না। সে কীভাবে তাদের সাথে কথা বলতে আসে।
    সালেহর আত্মমর্যাদা অনেক প্রখর। কথা গুলো তার আঁতে লেগেছিল। তাই সে স্কুলে ভর্তি হয়।

    এখন সে কী করে সেখানে নিয়মিত ক্লাস করবে? তার জন্য তো মেয়েরা বেগানা। তবু সে তার আকীদা ঠিক রেখে মন শক্ত করে ক্লাস করে।
    কিছুদিন পর দেখা যায়, ছেলেরাই সালেহর সাথে কথা বলছে না। কারন যে মেয়েদের মন পাওয়ার জন্য বাবার পকেট কেটে, টিফিনের পয়সা নিজের পেটে না দিয়ে প্রিয়তমার জন্য খরচ করে, সেই মেয়েরা তাদেরটা খেয়েই ঘুরে ফিরে সালেহর পেছনে লাগে। কি করে সালেহর মন পাবে সেই চিন্তা করেই দিন পার করে। সালেহ কিন্তু তাদের দিকে ফিরেও তাকায় না।

    মেয়েদের কেউ কেউ এখন ক্লাসে বোরখা পড়ে আসতে শুরু করে দিয়েছে। কারন তারা কার কাছে যেন শুনেছে সালেহ বিয়ে করলে পর্দাশীল, পরহেজগার, দীনদার মেয়েকেই বিয়ে করবে। ব্যস কাজ সারা।

    সালেহ এসব ফিতনা থেকে বাঁচতে লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে বাসায় বলে দিলো, সে বিয়ে করবে। এতে তার ঈমান ধরে রাখতে সহজ হবে।
    বিয়েও হয়ে যায়। বৌও মনের মত। সংসারও সুখের। কিন্তু সালেহর একটু মাথা গরমের জন্য স্বামী স্ত্রী দুইজনই সে কি নিয়তির কঠিন এক নিয়মের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
    আহা সে কি কষ্ট। সে কি আর্তনাদ। আমি নিজে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি।
    তাইতো মুরুব্বিরা বলেন ‘ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না’

    গল্পটা পড়ে আমি অন্তত একটা জিনিস শিক্ষা নিয়েছি, সেটা হলো ‘যাকে ভালোবাসবো, তাকে শেষ পর্যন্ত রাখার চেষ্টা করে যাবো। তা যদি না পারি তবে ওখানেই সব শেষ’ কিন্তু তারপরেও এই লোমহর্ষক কষ্ট আমি জীবনেও মেনে নিতে পারবো না।

    চলুন অন্য গল্পে যাই,
    এক মহিলা শহরের কাজীর কাছে এসে বললো সে তার স্বামীর সাথে আর সম্পর্ক রাখতে চায় না।
    কাজী তার স্বামীকে খবর দিলেন। স্বামী আসলো। তিনি দেখলেন যে বেচারার অবস্থা পুরাই কেরোসিন। মাথার চুল উষ্কখুষ্ক, পরনের কাপড় ময়লা, গায়ে ঘামের গন্ধও আছে।
    কাজী সাহেব সব বুঝলেন। তিনি নির্দেশ দিলেন লোকটাকে গোসল করিয়ে পরিষ্কার করে তার নিকট আনতে।

    বেশকিছুক্ষণ পর লোকটা এসে তার স্ত্রীর পাশে দাড়ালে স্ত্রী তাকে প্রথমে চিনতেই পারলো না। পরে চিনতে পারেন।

    কাজী তখন জিজ্ঞেস করলেন, এখনো কী ছাড়ার চিন্তা মাথায় আছে? স্ত্রি বললেন, না।
    কাজী স্বামীকে বলে দিলেন, তুমি যেমন তোমার স্ত্রীকে সুন্দর দেখতে চাও, তেমনই তোমার স্ত্রীরও ইচ্ছে হয় তোমাকে সুন্দর রূপে দেখতে।
    ..

    স্বামী যখন রাগ করে, তখন মাদ্রাসায় টিফিন কেরিয়ারের বাটি আসে চারটা। অন্য সময় আসে তিন বাটি। চার বাটি থাকা স্বত্তেও টিফিন কেরিয়ারের ওজনের রকম বদলায় না। তাহলে কি চতুর্থ বাটি টি খালি থাকে? কিন্তু কেন? ঐ খালি বাটিতে কি আছে৷ আর ঐ বাটি দেখেই হুজুরের মন সাথে সাথে ভালো হয়ে যেত।
    কি আছে ঐ রহস্যময় বাটিতে?
    “আই লাভ ইউ” গল্পের কাহিনী বিশেষ। আর এই নিদির্ষ্ট গল্প পড়ে আমার সংকল্প পাক্কা করে ফেলেছি ☺

    এক কথায় অসাধারণ বই পড়েছি। প্রতিটা গল্প অসাধারণ। আমার মনে দাগ কেঁটেছে যেন গল্প গুলো।
    আল্লাহর রাসুলের পথে চলার সহজ কিছু নিয়ম বাতলে দিয়েছেন তিনি বইটিতে।

    সহজ সাবলীল ভাবে গল্প বলে গেছেন লেখক “মুহাম্মদ আতীক উল্লাহ”।
    বইটি ‘মাকতাবাতুল আযহার’ প্রকাশনী থেকে প্রকাশীত।
    কিছু বানান ভুল আছে। তবে লেখকের একটি কথার সাথে আমার চিন্তা মিলে যায় দেখে আর ভয় পাচ্ছি না।

    তিনি বলেছেন তার গল্প গুলো কোনো সাহিত্যচর্চার জন্য না। সাহিত্য অনেক বড় ব্যাপার। একটা লেখা সাহিত্যের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে হলে, তার মধ্যে অনেক প্রসাদগুন থাকতে হয়। ভাষার চারু – কারু থাকতে হয়, ভাব রসের গভীরতা থাকতে হয়। এই লেখা গুলোতে কিছুই নেই। তাই মনের আনন্দে লেখে যান।
    লেখতে থাকেন গড় গড় করে। চিন্তা করেন না ভাষা কেমন হবে, নিয়ম কেমন হবে বা বানান কী হবে।

    আমিও তাই করছি। আমি শুধু আপনাদের বইটি সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করছি মাত্র। আমি মূর্খ। আমার ভুল হবেই। কারন আমি ক্লাসের অনিয়মিত ছাত্র।

    ধন্যবাদ।

    25 out of 26 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
Top