হুমুল্লাজিনা
প্রকাশকাল : আগস্ট ২০১৮
পৃষ্ঠাসংখ্যা : ২০০, বোর্ড বাধাই
প্রকাশকের কলাম থেকে-
‘মাওলানা কাসিম নানুতবি খতমে নবুওতের মুনকির ছিলেন।’
‘রশিদ আহমদ গাংগুহি ছিলেন একজন স্বঘোষিত মিথ্যাবাদী।’
খলিল আহমদ সাহারানপুরি বলেছেন, ‘শয়তানের ইলম নবিজি থেকে বেশি ছিল!’
‘আশরাফ আলি থানবি নিজের নামে আলাদা কালিমা বানিয়ে ফেলেছিলেন।’
‘আনওয়ার শাহ কাশ্মিরি তাহরিফে কুরআনের ক্বাইল ছিলেন।’
‘আদদুররুল মুখতারে’ বলা হয়েছে, ‘ইমাম তাকে বানাও যার বউ সুন্দরী।’
‘শামি’তে বলা আছে, ‘রক্ত এবং পেশাব দিয়ে সুরায়ে ফাতেহা লেখা জায়েজ!’
‘বাহরুর রাঈকে’ মাস্টারবিউশনকে জায়েজ বলা হয়েছে।
‘উসুলে কারখি’তে কুরআন-হাদিস ছেড়ে ইমামের মাসআলায় আমল করতে বলা হয়েছে।
‘কাজিখানে’ আবু হানিফার ফাতওয়া হলো, ‘পতিতাবৃত্তির পয়সা হালাল।’
সেই আবু হানিফাকে ‘হেদায়া’য় সাহাবি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
‘ফাজায়েলে আমালে’র বক্তব্য পরস্পর-বিরোধী।
‘বেহেশতি জেওরে’ বলা আছে, ‘আঙুলে মলমূত্র লেগে গেলে জিহ্বা দিয়ে চেটে নেওয়া যাবে।’
… কথাগুলো আহাফি এবং আহলে বিদআতের পক্ষ থেকে উলামায়ে আহনাফ এবং উলামায়ে দেওবন্দের উপর উত্থাপিত এবং বাজারজাতকৃত।
এমন অভিযোগ এবং আরও কিছু অভিযোগের জবাব নিয়ে ‘হুমুল্লাজিনা’।
-
-
hotআল্লাহর প্রতি সুধারণা
লেখক : ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়াপ্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন175 ৳129 ৳জাবের রদ্বি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ...
-
hotশিকড়ের সন্ধানে
লেখক : হামিদা মুবাশ্বেরাপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন430 ৳314 ৳পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৯৬ টি কভার: পেপার ব্যাক ‘Know ...
-
hotগল্পগুলো অন্যরকম
লেখক : সিহিন্তা শরীফা, আনিকা তুবা, আফিফা আবেদিন সাওদা, আরমান ইবন সোলাইমান, আরিফ আজাদ, আরিফ আবদাল চৌধুরী, আরিফুল ইসলাম, আলী আবদুল্লাহ, জাকারিয়া মাসুদ, নুসরাত জাহান, মাহমুদুর রহমান, যাইনাব আল-গাযি, শারিন সফি, শিহাব আহমেদ তুহিন, শেখ আসিফ, সাদিয়া হোসাইন, সানজিদা সিদ্দীক কথাপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন350 ৳245 ৳জীবনের কাছে মাঝে মাঝে গল্পও তুচ্ছ ...
-
save offসাইকোলজি ইসলামি দৃষ্টিকোণ
লেখক : ড. আইশা হামদানপ্রকাশনী : সীরাত পাবলিকেশন350 ৳262 ৳অনুবাদ: সিফাত-ঈ-মুহাম্মদ সম্পাদনা: ডা. শামসুল আরেফীন পৃষ্ঠা সংখ্যা: ...
-
hotহিউম্যান বিয়িং শতাব্দীর বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব
লেখক : ইফতেখার সিফাতপ্রকাশনী : নাশাত220 ৳154 ৳সম্পাদক : মুহাম্মাদ আফসারুদ্দীন পৃষ্ঠাসংখ্যা : ১৬০ বাঁধাই ...
-
save offশয়তান যেভাবে ধোঁকা দেয় (তালবিসে ইবলিস)
লেখক : আল্লামা ইবনুল জাওযী (রহঃ)প্রকাশনী : দারুল আরকাম700 ৳350 ৳ভাষান্তর : মুফতি আবু সাআদ পৃষ্ঠা : ৪৮০ দ্বিতীয় ...
-
hotজিন ও শয়তানের জগৎ
লেখক : ড. উমার সুলায়মান আল আশকারপ্রকাশনী : সীরাত পাবলিকেশন280 ৳210 ৳জিন, শয়তান—এই দুটো বিষয় নিয়ে আমাদের ...
-
hotতিনিই আমার রব (২য় খণ্ড)
লেখক : শাইখ ড. রাতিব আন-নাবুলুসিপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন260 ৳182 ৳সম্পাদনা : উস্তায আবুল হাসানাত কাসিম, ...
-
hotনবীজির পদাঙ্ক অনুসরণ
লেখক : ইমাম ইবনু রজব হাম্বলি (রহঃ)প্রকাশনী : সীরাত পাবলিকেশন250 ৳187 ৳অনুবাদ ও সম্পাদনাঃ সীরাত অনুবাদক টিম পৃষ্ঠাঃ ...
-
Md Amdadullah Tafhim – :
বইঃ হুমুল্লাজিনা
লেখকঃ রশীদ জামিল
♠প্রাক-কথনঃ
হক্ব আর বাতিলের দ্বন্দ্ব ও সংঘাত চিরন্তন। যুগ থেকে যুগান্তরে চলে আসছে হকের মুলোৎপাটনে বাতিলের ঘৃণিত ও সুকৌশলী চক্রান্ত। কিন্তু হক্বকে দমানো যায় না,তথাপি বাতিলের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছেই প্রতিনিয়ত। বাতিলের চিরাচরিত স্বভাবের মুখরোচক অভিব্যক্তির সুক্ষ্ম ফাঁদে পা দিয়ে সাধারণ মানুষ হয়ে পড়ে উদ্ভ্রান্ত ও বিভ্রান্ত। কিন্তু বাতিল যখন হক্বের ছদ্মবেশ ধারণ করে হানা দেয়, তখন সেটা আইডেন্টিফাই করা যেমন দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে ঠিক তেমনই এ থেকে জনমানুষ ও জীবনকে মুক্তি দিতে হক্বের ঝান্ডাবাহীদের জীবন হয় দুর্বিষহ। তবুও থেমে থাকার সুযোগ নেই। দ্বীনের উলামায়ে ক্বেরাম প্রতিনিয়ত বাতিলের মুখোশ উন্মোচনে সচেষ্ট থাকেন সবসময়।
তেমনি ঈমানবিধ্বংসী নব্য ফিতনা থেকে মানুষের ঈমান, আমল ও আকিদাকে হেফাযত করার জন্য দালিলিল ও যুক্তিপূর্ণ, তথ্যবহুল ও বাহুল্যবর্জিত আলোচনার অপার সম্মিলন “হুমুল্লাজিনা” বইটি।
♠ বিষয়বস্তুর সংক্ষিপ্ত নির্মোহ বিশ্লেষণঃ
দ্বীনের নামে মানুষকে তথা মুসলিম উম্মাহকে দ্বীন থেকে সরিয়ে নেওয়ার খান্নাসি মিশন নিয়ে যারা কাজ করছে তাদের উদ্দ্যেশ্যে সমুচিত জবাব ও যুক্তির যৌক্তিক খণ্ডন নিয়ে বইটি লিখা। বইটি মূলত তিনটি অংশে বিভক্তির সম্মিলিত রুপ। প্রথন অংশ ‘জালিকাল কিতাব’, দ্বিতীয় অংশ ‘কাজালিকাল উলামা’ এবং তৃতীয় অংশ যার নামে বইটির নামকরণ ‘হুমুল্লাজিনা’।
‘জালিকাল কিতাব’ অংশে কুরআন থেকে নির্গত ফিকহের মাসায়েল সমূহের উপর উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়েছে। হানাফি মাজহাবের কিছু নির্ভরযোগ্য কিতাবাদিতে বর্ণিত মাসায়েল ও হাদিসের ইবারাত নিয়ে আহলে হাদিস ফিরকা খুব মিথ্যাচারের আশ্রয় নেয়। তেমনই কিছু ইবারাত ও হাদিসের ব্যখা দিয়ে অপব্যখ্যার পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে বইটিতে।
‘কাজালিকাল উলামা’ অংশে বেশ কিছু আলেমের কথার বাহ্যিক ব্যাকরণ এবং অন্তর্নিহিত ভাব ও তাৎপর্য অনুধাবনে ব্যর্থ আহলে হাদিস ও আহলে বিদ’আত সম্প্রদায়ের বিভ্রান্তিকর কিছু বক্তব্যের খন্ডন ও ভাবের সম্প্রসারণ এই বই। সবশেষে, ‘হুমুল্লাজিনা’ অংশে বহুল প্রচারিত ও বিভ্রান্তিত কিছু কথা ও গাঁথার আলোচনা দিয়ে বইটি শেষ হয়েছে।
♠ বইটি কেন পড়বেন?
মানুষ যে বিষয়ে অজ্ঞ ও অসতর্ক থাকে সেই বিষয়ের আঘাত বা হামলা নির্মুল ও প্রতিহত করা তার পক্ষে কঠিন হয়ে যায়। সেজন্য দরকার ফিতনা ও ফিতনার বিস্তৃতি সম্পর্কে সতর্ক ও সজাগ দৃষ্টি রাখা। তেমনি সহিহ ঈমান, আমল ও আকিদার নামে উম্মাহকেই ভুলভ্রান্তিতে ফেলার জন্য উঠেপড়ে লাগা যে চক্রান্ত সমাজে বিদ্যমান সে সম্পর্কে জানাশোনা না থাকলে ফিতনায় পর্যবসিত হওয়া সময়ের দাবি মাত্র। আর সেজন্যেই বইটি পড়া খুব জরুরী।
♠ বইটি কাদের জন্য?
বইটি মূলত আহলে ইলমদের জন্য খুব কাজে লাগবে। কিছু ইলমী পরিভাষাগত কারণে সাধারণ মানুষের কাছে কঠিন ও দুর্ভোদ্য মনে হলেও লেখক সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন যেন সহজভাবে উপস্থাপন করা যায়। সে হিসেবে আহলে ইলম ও সাধারণ মানুষ উভয়ের জন্যেই খুব প্রয়োজন এই বইটি।
♠ অনুভূতির অনুসিঞ্চনঃ
বইটির ভালো দিক হলো লেখক সাবলীলভাবে কথাগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন। কোনরুপ কটু মন্তব্য ও কঠিন বাক্যালাপের আশ্রয় নেননি। যেকারণে বিষয়গুলো বুঝতে ও অনুধাবন করতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। যথোপযুক্ত দালিলিক ও যৌক্তিক আলোচনার জন্যে বইটি হৃদয়াঙ্গম করা খুব সহজ হয়। সর্বোপরি, বইটি চিন্তার জগতে হাতড়িয়ে অনুসন্ধিৎসু ও জিজ্ঞাসু মনের সংশয় উৎতারে অনেক সাহায্য করবে বলে আশা রাখছি।
♠সবিস্তার বিবরণীঃ
বইঃ হুমুল্লাজিনা
লেখকঃ রশীদ জামিল
প্রকাশনীঃ কালান্তর প্রকাশনী
মুদ্রিত মূল্যঃ ২৩০ টাকা
পৃষ্ঠাঃ ১৯৮
বাধাইঃ হার্ড কভার।
মাহবুবুর রহমান – :
প্রবাদ আছে অল্প বিদ্যা ভয়ংকর,ভরা কলস নড়ে কম, খালি কলস নড়ে বেশি।
এর প্রত্যক্ষ উদাহরণ আহলে হাদীস ফেতনা।
কালান্তর প্রকাশনীর “হুমুল্লাজিনা” কিতাবটিতে এর মিসালের পসরা টানা হয়েছে। ফুটিয়ে তুলা হয়েছে অনাগত অমাবস্যার কালো অধ্যায় কে, সাথে সাথে বাতলে দেওয়া হয়েছে এ অধ্যায়ের শেষ কোথায়, কোথায় সূর্যোদয়ের শুরু লগ্ন। যদিও আহলে হাদীসের দাবী ” আহাফীদের দুই উসুল,ফরমানে খোদা ফরমানে রাসুল ” কিন্তু তাদের এ দাবি কতোটা নড়বড়ে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে কিতাবটিতে।
আর হ্যা মজার কথা হলো, খোদা শব্দ নিয়েও তাদের আবার এলার্জি আছে। মনগড়া এসব তাহকীকের ও মাড়ি ভাঙা জবাব দিতে কার্পন্য করা হয়নি। তাদের সবচেয়ে বেশি চুলকানি যে বিষয়টি নিয়ে তা হলো, আমাদের আকাবিরদের কিতাবের কিছু ইবারত যা জ্ঞানের স্বল্পতা হেতু, তার অন্তর্নিহিত অর্থ বা ব্যাখ্যা তাদের বুঝার সাধ্য হয়নি। আবার কখনো শয়তানের ঘাড় ত্যাড়ামি স্বভাব এখানেও তাদের আকলে ছালিমকে বিলুপ্ত করে তার দাসত্বে নিয়োজিত করেছে, একদল হীন প্রকৃতির লেজ কাটা প্রাণীকে। তাদের টার্গেটই হলো শুয়ের ছিদ্রের ভুল ধরা; অথচ সে চালনি তা দেখার ফুরসত তার নেই। কিতাবটিতে দেখানো হয়েছে তারাও কারো না কারো অনুস্বরণ করে।
মাজহাব মানি না এটা তাদের ফাঁকা বুলি,বা আত্বঘাতি বিবৃতি ও বটে। কিতাবের শেষ অংশে দেখানো হয়েছে তাদের শায়খদের কিতাবে কু-রুচিপূর্ণ মাস আলার নামে নোংরা মানসিকতার বাহার।
moin_04 – :