হতাশ হবেন না (দুই কালার)
অনুবাদ: মুফতী মুহাম্মাদ মামুনুর রশীদ
পৃষ্ঠা ৬০৮
বিশ্বজুড়ে অশান্তি! শান্তি নেই কোথাও! চারিদিকে হানাহানি , হিংসা-বিদ্বেষ,অন্যায়-জুলুম! অভাব-অনটন। হাহাকার সর্বত্র! অশান্তির দাবানল। জ্বলছে দাউদাউ, প্রতিনিয়ত, প্রতিক্ষণ। মানুষের মনে একরাশ হতাশা। ব্যর্থতার গ্লানি। যেন উন্মাদপ্রায় পরাজয়ে। ভাসছে দুঃস্বপ্নের অথৈ জলে। কাঁপছে অজানা শঙ্কায়। কী দিন! কী রজনী! দেহে রাজ্যের অবসাদ। ক্লান্তি। সীমাহীন। ঘুম নেই দু’চোখে। কাটে নির্ঘুম; বিনিদ্র রজনী। চলে শুধুই এপাশ-ওপাশ। মুখটি বিষণ্ণতায় মলিন। পথ চলে গন্তব্যহীন। ভবিষ্যতের ভাবনায় বিদিশা; কিংকর্তব্যবিমূঢ়। দোলে নিরাশার দোলাচলে। এ যেন ঝড়ে প্রবল আক্রান্ত কোনো জাহাজ। মাঝ দরিয়ায়। নাবিকহীন। ভাঙা মাস্তূল। কে জানে কখন কোথায় আছড়ে পড়ে! তলিয়ে যাবে কোন অজানায় পাঠক! আর নয় হতাশা ও বিষণ্ণতা। আর নয় নির্ঘুর রাত; বিনিদ্র রজনী। পাগলপ্রায়ও হতে হবে না। ওই শুনুন দুর্জয় নাবিকের আহবান! বিজয়ের পদধ্বনি! ওই দেখুন আলোর মিনার। জ্বলছে কেমন মিটিমিটি! হাসছে কত পদ্মরাগ! আপনি একজন মুমিন। আল্লাহতে দৃঢ় বিশ্বাসী। ঈমানের বলে বলীয়ান। আপনার আছে কুরআন-হাদিছ। আছে ইসলামের সুশীতল ছায়া।
আর এ ইসলামেই রয়েছে সকল সমস্যার অপূর্ব ও কার্যকরী সমাধান। সে ইসলাম আজ কড়া নাড়ছে আপনার দুয়ারে। সুতরাং ভয় নাই! ওরে কোনো ভয়! জয় হবে আপনারই। নিশ্চয় ইসলাম মুক্তির ধর্ম। এর পথ-নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করলে সমাধান হয়ে যাবে আপনার সকল সমস্যার। সর্বাপেক্ষা ভয়ঙ্কর শত্রুও কোনো ক্ষতি করতে পারবেনা আপনার। শুনুন! ইমাম ইবনু জাওজি রহ.- এর ভাষায়-
‘সাবধান! মোর দুর্বলতার সুযোগে করলে সঞ্চয় শক্তি নিজের প্রতি সতর্ক প্রহরীকে কর নি ভয় এক রত্তি।’ লুকিয়ে রেখেছি আমি রাত জেগে তার জন্য তীর বহু, সে তীর ডেকে আনবে বিপদ তার,বইবে রক্ত-লহু।”
বলা বাহুল্য, এ তীর হল বান্দার দুয়া-মুনাজাত। যেগুলো শিক্ষা দিয়েছেন বিশ্বপ্রতিপালক মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয়বন্ধু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে কিংবা তার অনুসারীগণ প্রেমসাগরে নিমজ্জিত হয়ে বা বিপদাপদের ঘনকালো অমানিশায় পড়ে রচনা করেছেন। আপনিও তাঁর অনুসরণ করুন, ধ্যানতন্ময় হয়ে, কায়মনোবাক্যে। আল্লাহ সহায় হবেন।
.
-ড.আয়েয আল-কারনী
এরকম প্রায় শতাধিক অনুপ্রেরণামূলক অধ্যায়ে সাজানো বইটি, যা পড়ে হতাশাগ্রস্থ ব্যক্তি পাবে আশার আলো, ভেঙ্গে পড়া ব্যক্তি পাবে জেগে ওঠার শক্তি, অন্ধকারে তলীয়ে যাওয়া ব্যক্তি পাবে আলোর দিশারী।
Out of stock
-
-
featureপ্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স225 ৳কভার: হার্ড কভার পৃষ্ঠা: ১৬৮ বর্তমান যুগ হলো ...
-
featureচিন্তাপরাধ
লেখক : আসিফ আদনানপ্রকাশনী : ইলম হাউজ পাবলিকেশন190 ৳পৃষ্ঠা - ১৯২ 'যতক্ষণ সাম্রাজ্যের সার্বভৌমত্ব স্বীকার ...
-
hotপ্রত্যাবর্তন
লেখক : সমকালীন সংকলন টিমপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন350 ৳245 ৳মুসলিমের ঘরে জন্ম নিয়েও আমি হয়ে ...
-
hotডাবল স্ট্যান্ডার্ড
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার360 ৳252 ৳কিছু লোক ইসলামকে সে শত্রু হিসেবে ...
-
hotডাবল স্ট্যান্ডার্ড ২.০
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশন392 ৳290 ৳দ্বীন নিয়ে অজ্ঞতা আমাদের সমাজের রন্ধে ...
-
hotআরজ আলী সমীপে
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন260 ৳182 ৳আরজ আলী মাতুব্বর। জন্মেছেন বরিশালে। প্রাতিষ্ঠানিক ...
-
hotজবাব (পেপার ব্যাক)
লেখক : আরিফ আজাদ, জাকারিয়া মাসুদ, ডা. শামসুল আরেফীন, মহিউদ্দিন রূপম, মুহাম্মাদ মুশফিকুর রহমান মিনার, রাফান আহমেদ, শিহাব আহমেদ তুহিনপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন300 ৳210 ৳আমরা হয়ত অনেকেই জানি না, জনপ্রিয় ...
-
hotকষ্টিপাথর
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার360 ৳252 ৳আরবীতে একটা প্রবাদ আছে, كل شيء يرجع ...
-
সংশয়বাদী
লেখক : ড্যানিয়েল হাকিকাতজুপ্রকাশনী : ইলম হাউজ পাবলিকেশন260 ৳ড্যানিয়েল হাক্বিকাতযু। হালের একজন দা'ঈ ইলাল্লাহ। ...
-
আয়েশা সিদ্দিকা – :
আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। কিন্তু বান্দা ডুবে গেছে দুনিয়ার মোহে। দুনিয়ায় চাকচিক্যে ভুলে গেছে আখিরাত। যুব সমাজ ডুবে রয়েছে পশ্চিমা সংস্কৃতির সাগরে আর তাই জীবনে নেমে আসছে নানা হতাশা। কেউ প্রাচুর্যের হতাশায় কেউ কেউ আবার হারাম সম্পর্কে জড়িত থাকার ফলে নিমজ্জিত হয়েছে হতাশায়। হতাশা এমন একটা জিনিস যা একজন মানুষ কে জীবন্ত লাশে পরিনত করে৷
” হতাশ হবেন না ” এমনই একটি বই যা প্রতিটি মানুষের পড়া উচিত যারা হতাশা ভোগেন এবং যারা এর থেকে দূরে আছেন প্রত্যেকের।বইটি পড়ে একজন মানুষ নতুন ভাবে চিনতে পারবে আল্লাহ কে।
📘বই পর্যালোচনা
দুনিয়ার হাসি-আনন্দ ক্ষণস্থায়ী। এখানে বালা মুসিবতেরও শেষ নেই। ” হতাশ হবেন না ” এমন একটি বই যেখানে জীবনের সকল বালা মুসিবত ও আখিরাত নিয়ে যথার্থ উপস্থাপন রয়েছে। বইটিতে যা যা রয়েছে সংক্ষেপে কয়েকটি উপস্থাপন –
– আল্লাহ নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা।
ভবিষ্যৎ নিয়ে তাড়াহুড়ো না করা। তকদিরে বিশ্বাস রাখা৷
– মানুষের যৌক্তিক অযৌক্তিক নিন্দা সমালোচনার মুখোমুখি হতেই হবে তার জন্য হতাশ হওয়া যাবে না ধৈর্য ধারণ ও সহনশীল প্রদর্শন হতে হবে।
-কিভাবে অল্পেতুষ্টি বিষন্নতা ও হতাশা দূর করে, বিপর্যয়ে বিচলিত না হওয়া।
– হতাশ হবেন না হতাশা জীবনে দুর্দশা বয়ে আনে, হতাশা আত্মহত্যার কারণ হতে পারে আর আত্মহত্যা চিরস্থায়ী জাহান্নামে বসবাসের কারণ হতে পারে তাই হতাশা থেকে বিরত থাকা।
৩৬৫ টি শিরোনামে রচিত এই বইটি’ই হতে পারে একজন হতাশাগ্রস্ত মানুষের জীবনে শান্তির সোপান বয়ে আনতে।
📗বইটি কেন পড়া উচিত –
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এ গ্রন্থের প্রতিটি পাতায় পাতায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে পবিত্র কুরআনের আয়াত, রাসুলের হাদিস, শিক্ষাপ্রদ ঘটনাবলি, উপকারী উপমা ও শিক্ষণীয় কল্পকাহিনী।
— এ গ্রন্থ আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেবে মহান রাব্বুক আলামীনের অসীম দয়া, অনুগ্রহ ও ক্ষমার কথা৷ আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেবে সর্বশক্তিমানের উপর ভরসা করা ও তার প্রতি সু-ধারণা পোষণ করার কথা।
–এ গ্রন্থ থেকে আপনি পেয়ে যাবেন জীবনের দুঃখ-দুর্দশা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা-পেরেশানী, নৈরাশ-হতাশা ও পরাজয়-ব্যর্থতা থেকে মুক্তির পাথেয়৷
বইটি মুসলিম-অমুসলিম সকলের জন্য প্রযোজ্য।
📔প্রিয় উক্তি –
★ এক টুকরো রুটি, এক ঢোঁক পানি, একটি চাদর, কয়েকটি দিন ও রাত — এই তো জীবন৷ তারপরই কবর। কবর ধনী-গরীব সকলের জন্যই সমান।
★ অল্প অল্প অসুস্থতারও প্রয়োজন আছে৷ তা হলে আপিনি সুস্থতার মূল্য বুঝতে পারবেন; অহংকারের মূলোৎপাটন হবে; গাফলতের ঘুম থেকে জাগ্রত হবেন।
★ উত্তম চরিত্র চেহারার লাবন্যতা, চোখের কৃষ্ণতা ও কপোলের সজীবতা থেকেও সুন্দর। কারণ, বাহ্যিক সৌন্দর্যের তুলনায় ভিতরগত সৌন্দর্য বহুগুণ শ্রেয়।
আব্বাস আল ওবাইদ – :
{*বইয়ের বিষয়বস্তু ••••}
_______________________
একটু ভেবে দেখুনএবং কৃতজ্ঞ হােন, অতীত চিরদিনের মতাে চলে গেছে, ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা পরিহার করুন, তীব্র নিন্দা ও অপ্রীতিকর সমালােচনা যেভাবে নিবেন, কারাে ধন্যবাদ পাবার আশা করবেন না, অনুকরণ পটু , নকলকারী , ভানকারী , ছলনাকারী ও কপট হবেন । দুঃখের সাথেই রয়েছে সুখ টক লেবুকে মিষ্টি শরবত বানান সুখের মূলনীতি – যেসব আয়াত নিয়ে ভাবতে হবে মন যখন আনমনা মধু আহরণ করে কিন্তু যৌচাক ভেঙ্গ না আপনার প্রভু সম্বেন্ধ সুধারনা পােষণ করুন । আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস থাকা পর্যন্ত হতাশ হবেন না, তুচ্ছ জিনিসের জন্য দুঃখ করবেন না ,।
আরো এরকম ৩৪৭ টি বলেন বিষয়ভিত্তিক আলোচনা রয়েছে।
{*আমার মতে বইটির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক••••}
_______
#ইতিবাচকঃ আমার ক্লাসমেট আমার সমান পড়ে ১ম হচ্ছে।আমার কলিগ আমার সাথে কাজ করছে।কীন্ত!তার প্রমোশন হচ্ছে আমার হচ্ছে না।মোটকথাঃজীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে হতাশা আর হতাশা। লেখক এখানে সুন্দর করে সেই হতাশার ঘোর কাটিয়ে উঠার ঔষধ বাতলে দিয়েছেন অনুপ্রেরণামুলক গল্প এবং ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দিয়ে।
আরেকটা জিনিস ভালো লেগেছে, সেটা হলো,এই বইয়ের নতুন ছাপানো,যা হুদহুদ প্রকাশন থেকে করা হয়েছে, কালারিং টা। দেখতে এবং পড়তে খুবই ভালো লাগে।
#নেতিবাচকঃ কুরআনই শুধু ভুলের উর্ধ্বে। এর বাইরে আর কোনো গ্রন্থই ভুলের উর্ধ্বে নয়।কীন্তু!সামান্য এই জ্ঞানের পরিধি দিয়ে এই বইয়ে কোনো নেতিবাচক দিক অবলোকন করতে পারি নি।
{*বইটি কেন ? ••••}
_____________________
এ গ্রন্থের উদ্দেশ্য হচ্ছে জীবনের সুখ – শান্তি , হাসি – আনন্দ ও আত্মিক প্রশান্তি লাভ করা । সুখময় ও আলােকোজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠা এ গ্রন্থ আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিবে মহান আল্লাহর অসীম দয়া , অনুগ্রহ ও ক্ষমার কথা । আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিবে সর্বশক্তিমানের উপর ভরসা করা ও তাঁর প্রতি সু – ধারণা পােষণ করার কথা । স্মরণ করিয়ে দিবে তাকদীরের ফায়সালার উপর সন্তুষ্ট থাকা ও শুধু আজকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকার কথা এবং ভবিষ্যতের অহেতুক ও কল্পিত আশঙ্কা থেকে বিরত থাকার কথা । আরও স্মরণ করিয়ে দিবে মহান আল্লাহর অজস্র – অগণিত নেয়ামতের কথা । এ গ্রন্থ জীবনের দুঃখ – দুর্দশা , উদ্বেগ – উৎকণ্ঠা , দুশ্চিন্তা – পেরেশানী , নৈরাশ্য – হতাশা ও পরাজয় – ব্যর্থতা থেকে মুক্তির আপ্রাণ প্রচেষ্টা ।
{*মন্তব্য ••••}
___________
বইটি পড়ে হতাশাগ্রস্থ ব্যক্তি পাবে আশার আলো, ভেঙ্গে পড়া ব্যক্তি পাবে জেগে ওঠার শক্তি, অন্ধকারে তলীয়ে যাওয়া ব্যক্তি পাবে আলোর দিশারী।