মেন্যু
hojjer addhatik shikkha

হজ্জের আধ্যত্মিক শিক্ষা

হজ্জে কী কী করতে হবে, এ নিয়ে বাজারে বইয়ের অভাব নেই। কিন্তু হজ্জের আধ্যাত্মিক শিক্ষাটা আমাদের জানা আছে তো? হজ্জের আধ্যাত্মিক শিক্ষা নিয়ে খুব কমই আলোচনা করা হয়। ছবির বইটি ঠিক... আরো পড়ুন
পরিমাণ

28  40 (30% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন

2 রিভিউ এবং রেটিং - হজ্জের আধ্যত্মিক শিক্ষা

5.0
Based on 2 reviews
5 star
100%
4 star
0%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    Montasir Mamun:

    বইঃ হজ্জের আধ্যত্মিক শিক্ষা
    লেখক : ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
    প্রকাশনী : আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স
    গায়ের দামঃ ৪০ টাকা
    পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৪৮

    বইটি কেন পড়বেন?
    হজ্জ সম্পর্ক অনেক বই আছে। কীভাবে করতে হবে, কি কি করতে হবে। এসব বিষয়ে তেমন আলোচনা না করে মূল বিষয়ের আলোচনা করা হয়েছে এই বইয়ে। হজ্জের মূল ধর্মীয়, আধ্যত্মিক শিক্ষা কি কি তা এই বই পড়ে জানা যাবে। কিছু বেসিক পরামর্শ, টিপসও দেয়া আছে এখানে যা অন্য বইতে পাওয়া যায় না। যারা আগামীতে হজ্জ করতে চান তাদের জন্য অবশ্যপাঠ্য একটি বই।

    বই তে কি কি আছে?
    শুরুতেই ভূমিকায় লেখক ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (র) হজ্জের ফরয হওয়া ও তা পূরন করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে লিখেছেন অল্প কথায়। তিনি সবাইকে হজ্জ করার তৌফিক পাওয়ার দোয়া করেছেন।
    বইটি ২ টি মজলিসে ভাগ করা হয়েছে। ১ম মজলিসে শুরুতে হজ্জের গুরুত্ব, করার প্রয়োজনীয়তা, প্রয়োজনীয় উপকরন সংগ্রহ এর ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। হজ্জ করলে আল্লাহ কি পুরস্কার দিবেন তাও বর্নিত হয়েছে। হজ্জে যাওয়ার সময় তাকওয়া সাথে করে নিয়ে যেতে হবে এবং ৩ টি বেসিক কাজ করা যাবে না। ১। ঝগড়া, ২। আশালোন কাজ, ৩। গুনাহ। এই ৩ প্রকার কাজের বিস্তারিত বর্ননা দিয়েছেন লেখক খুব সাবলীলভাবে। উদাহরন দিয়ে, নিজের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে মনের মধ্যে এই বিষয়গুলো প্রথিত করার চেষ্টা করেছেন তিনি।
    ২য় মজলিসে আত্মনিয়ন্ত্রন এর বিষয়টা ফোকাস পেয়েছে। বর্নিত হয়েছে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল এর নানা উপকারিতা, দিক। নিজকে নিরহংকারী করা, অন্যের ভুল ক্ষমা করা, কষ্ট না দেয়া এগুলো হজ্জে খুব বেশি প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন জায়গায় দুয়া করা এবং খুব বেশি কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
    পুরা বইটি খুব প্রাঞ্জল ভাষায়, দরদ দিয়ে লেখা। এত বড় মাপের একজন আলেম এর এমন সহজ সরল ভাষায় লেখা বই আসলেই প্রশংসার দাবী রাখে। অল্প পৃষ্ঠার বই হলেও ভিতরে রয়েছে অনেক উপকারী, দূর্লভ জ্ঞানের ভান্ডার।

    ব্যক্তিগত অনুভূতিঃ
    নিজে এখনো হজ্জ করি নাই। এই বইটি পড়ে অনেক বেসিক বিষয় জানতে পারলাম। অনেক বই আছে নানা বাহ্যিক উপকরন, নিয়ম কানুন লেখা থাকে কিন্তু এই বইয়ে লেখক খুব সুন্দরভাবে হজ্জের মূল বিষয়গুলো বর্ননা করেছেন যা মনে গেঁথে থাকবে ইনশা আল্লাহ। বই পড়ে হজ্জ করার ইচ্ছা আরো বেড়ে গিয়েছে। আল্লাহ আমাদের মকবুল হজ্জ এর তৌফিক দিন। আমীন।

    রেটিংঃ ৯/১০

    1 out of 1 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    ফাহমিদা রওশন:

    ‘বিরর’ অর্থ মানুষের কল্যাণ করা। হজ্জে মাবরুর হল নিজের ভেতরের ‘আমিটাকে’ নিয়ন্ত্রণ করে আল্লাহ তা’লার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সকল কষ্ট সহ্য করা, অন্যকে কষ্ট না দেওয়া। এর জন্য আল্লাহ্ তিনটি শর্ত রেখেছেন- ঝগড়া না করা, অশালীন কোন কাজ না করা এবং গুনাহ না করা। আপাতদৃষ্টিতে অতি সহজ কাজ! কাজেই হজ্জের নিয়াত করার সাথে সাথে হাজিরা অনুশীলনে অন্যদিকে মন দেন। যেমন দোয়া মুখস্ত, কুরআন তেলাওয়াত এবং শরীরের জোর বাড়াতে হাঁটাহাটি । বাস্তবতা টের পাওয়া যায় ঢাকা এয়ারপোর্টের আগে থেকেই । ফ্লাইট সংক্রান্ত নানান সমস্যা। মোআল্লিম নিয়েও মন্তব্য শুরু হয়ে যায়। প্রথম স্টেশন জেদ্দা, অর্ধকোটি হাজ্জী সামাল দিতে হিমসিম স্চ্ছোসেবী দল। লাইন দীর্ঘ হতে থাকে সে সাথে মেজাজের বাঁধন হালকা হতে থাকে। মক্কায় পৌছানোর আগেই শর্তগুলি ভাঙতে থাকে। মক্কায় এক কোটির উপর হাজি, তারা বেশিরভাগই দ্বীনদার কিন্তু দ্বীন বোঝে না। নিজ ঘরে যে গুনাহ না করে এখানে এসে অজান্তে সে অশালীনতায় জড়িয়ে পড়ে। এসব বাস্তবিক কথা কিতাবে লেখা হয় না। এদিক বিচারে বইটি ব্যতিক্রম, সল্প পরিসরে হজ্জ নিয়ে একটি বৃহত্ প্রায়াশ।
    আমাদের রূহ হল রবের আমর বা আদেশ। শরীরের যেমন খাদ্য লাগে তেমনি রূহেরও। এ খাদ্য আসে রবের ইবাদত থেকে। আর ইবাদত কবুলে হয় তাযকিয়া বা পরিশুদ্ধি । এ কবুলের মাপকাঠি হল সুন্নাহ। হজ্জ জীবনে একবারই ফরজ। আর এ একবার যদি একমাস বিনয়, শোকর ও সবর অনুশীলন করতে পারি তো এমন টিকা দিবে যে সারা জীবন কাজে দেবে। এ ইবাদত শারীরিক ও আর্থিক সামর্থ্যের। বৃদ্ধ অবস্থায় নয় বরং শক্তি সামর্থ্য থাকা অবস্থায় এ ইবাদত করা উচিত। রাসূল (স) আয়েশা (র) কে বলেছেন হজ্জে তোমার নেকি হবে যে পরিমাণে টাকা ব্যয় করবে, যে পরিমাণে কষ্ট পাবে।
    1 out of 1 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No