মেন্যু
nobobi shristachar o dunia bimukhotar murto protik hasan basri

নববি শিষ্টাচার ও দুনিয়া-বিমুখতার মূর্তপ্রতীক হাসান বসরি (রহ)

অনুবাদ : হাসান মাসরুর সম্পাদনা : মুফতি তারেকুজ্জামান বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৬৮ বক্ষ্যমাণ এ অনুবাদ গ্রন্থটি একজন মহান তাবিয়ির জীবনী বলা হলেও প্রকৃত অর্থে এটা অনেক উপদেশ ও প্রজ্ঞার সমষ্টি। আখিরাতমুখী হওয়ার... আরো পড়ুন
পরিমাণ

160  216 (26% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
Get it on Google Play

1 রিভিউ এবং রেটিং - নববি শিষ্টাচার ও দুনিয়া-বিমুখতার মূর্তপ্রতীক হাসান বসরি (রহ)

5.0
Based on 1 review
5 star
100%
4 star
0%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    reaz0313:

    হাসান বসরি (রাহিমাহুল্লাহ)।
    তাবেঈগণের সম্ভবত তিনিই একমাত্র ব্যক্তিত্ব যাঁকে নিয়ে এখন পর্যন্ত আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। উম্মাহাতুল মু’মিনীনগণের হাতে বেড়ে ওঠা এবং অসংখ্য সাহাবায়ে কেরামের সাহচর্য পাওয়া এই মহান মানুষটির জীবনের পুরোটাই বলতে গেলে ইসলাহী আলোচনার বিষয়বস্তু। তাঁর জীবনের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে অমূল্য সব উপদেশ, অনন্য সব কথামালা। সেই অসামান্য ইসলাহী জিন্দেগিকে কাগজের পাতায় আবদ্ধ করার এক মহৎ প্রচেষ্টাই হলো “নববি শিষ্টাচার ও দুনিয়া-বিমুখতার মূর্তপ্রতীক হাসান বসরি (রাহিমাহুল্লাহ)” বইটি।

    ▪বই কথন_______________
    বইটির মূল লেখকের নাম দেখলেই বইটির অনন্যতা কিছুটা হলেও আঁচ করা সম্ভব হবে। তাবেঈগণের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ একজনের সম্পর্কে লিখছেন ইমামগণের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ একজন ইমাম- ইবনুল জাওজি (রাহিমাহুল্লাহ)। সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী! এমন লেখার অনন্যতা নিয়ে আর কি সন্দেহ থাকে? জীবন যাঁর রত্নশোভিত, তাঁকে নিয়ে লিখতে গেলে কলম থেকে মুক্তো তো ঝরবেই!

    বইটিকে প্রথম দৃষ্টিতে জীবনী বলে মনে হবে। এমনকি এর ৮ টি পরিচ্ছেদের নাম হঠাৎ দেখলেও জীবনী মনে হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তবে যেভাবেই ভাগ করা হোক না কেন, বইটির পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে অমূল্য সব কথামালা। আছে উপদেশমূলক কথাও।

    নববি আহলে বাইতের সরাসরি সংস্পর্শে বড় হওয়া এই মহান তাবেঈ-র জীবন যুহদের নির্মলতায় কতোটুকু ভাস্বর হয়েছিলো সে প্রমাণ পাওয়া যায় তাঁর মুখনিঃসৃত অমীয় বাণীগুলোয়। পুরো বইটিই মূলত বিভিন্ন বিষয়ে হাসান বসরি (রাহিমাহুল্লাহ)-র অমূল্য কথামালার যূথবদ্ধ সংকলন।

    আলোচ্য বইটির ৮ টি পরিচ্ছেদের প্রতিটিতেই হাসান বসরি (রাহিমাহুল্লাহ)-র বিভিন্ন কথা বা উক্তি এবং উপদেশসমূহ পয়েন্ট আকারে সন্নিবেশিত হয়েছে; যেখানে-
    [ ] ১ম ও ২য় পরিচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে উত্তম চরিত্র, আদব সম্পর্কিত অমূল্য কথাগুলো।
    [-] ৩য় ও ৮ম পরিচ্ছেদে উদ্ধৃত হয়েছে তাঁর প্রজ্ঞাপূর্ণ বাণী ও উপদেশসমূহ।
    [-] ৪র্থ পরিচ্ছেদে আছে যুহদ সম্পর্কিত কথামালা।
    [-] ৫ম পরিচ্ছেদে আছে দুআ’ ও ইস্তিগফার সম্পর্কে বর্ণনা।
    [-] ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদে আছে কুরআন তিলাওয়াত সম্পর্কিত উপদেশসমূহ এবং
    [-] ৭ম পরিচ্ছেদে শাসকশ্রেণীর সাথে তাঁর আচরণ ও তাদের উদ্দেশে লিখিত পত্রাবলি উদ্ধৃত হয়েছে।

    বস্তুত, বইটির প্রত্যেক পরতে যে সুমধুর অমীয়সুধা ব্যাপৃত তা বইটির একবার পাঠে আস্বাদন করা অকল্পনীয় এক ব্যাপার। সংগ্রহে থাকা যেসব বই আক্ষরিক অর্থেই ‘চিরযৌবনা’ তকমা পাবার যোগ্য, এ বইটি কোনক্রমেই তার ব্যতিক্রম নয়। বইটির পাতায় পাতায় আছে তাসাউফের অমৃত বয়ান, অনুচ্ছেদে অনুচ্ছেদে আছে যুহদের অম্ল স্বাদ, আর পঙক্তিতে পঙক্তিতে চমকাচ্ছে ইসলাহী নূর। সূক্ষ্ম জীবনদর্শন ও বাস্তব অভিজ্ঞতার সারাৎসার যেমন এখানে আছে, তেমনি আছে পারলৌকিক জীবনকে আলোকিত করার রূপরেখাও৷ সার্বিক বিবেচনায় একথা নির্দ্বিধায় বলা চলে, বইটির পুনঃপুন অনুপুঙ্খ পাঠ ও পর্যালোচনার মাধ্যমে যে কেউ পৌঁছতে পারবে সাধনার উচ্চতম মার্গে।

    ▪বইটি কেন পড়বেন_______________
    আসলে এ পর্বে এসে বলা উচিত- “বইটি কেন পড়বেন না”। যে বইয়ের প্রচ্ছদেই ইতিহাসখ্যাত দুই-দুইজন মহামনীষীর নাম বিদ্যমান, সে বই পড়তে নতুনভাবে আরজ পেশ করা রীতিমতো ধৃষ্টতার শামিল। তবুও নিয়ম রক্ষার খাতিরে দুটো কথা না বললেই নয়।

    বইটির প্রতিটি পরিচ্ছেদেই পয়েন্ট আকারে বাণী ও উপদেশগুলো বিবৃত আছে। তাই যে কোন পাঠকের জন্যই বইটি পড়া ও বোঝা সহজ হবে। আসলে পুরো বইটিই পয়েন্ট আকারে রচিত। আর সীমিত কলেবরের সুবাদে যে কোন পাঠলিপ্সু পাঠকের কাছেই বইটি হয়ে উঠবে লোভনীয়, মোহনীয়।

    আর প্রচ্ছদ, মুদ্রণ-বাঁধাই, পৃষ্ঠাসজ্জা, বানান-ব্যাকরণের নির্ভুলতা ইত্যাদি ব্যাপারে রুহামা পাবলিকেশনের কথা নতুনভাবে বলার কিছু নেই। পাঠকের হাতে তারা জহরতের ভাণ্ডার সঠিক সাজেই তুলে দিয়েছে।

    ▪একটুখানি অপূর্ণতা_______________
    বইটির এহেন সর্বাঙ্গসুন্দর অবয়বের পরও এর একটুখানি অপূর্ণতা পাঠকের হৃদয়ে হাহাকার তৈরি করবে। আর তা হলো বইটির ৫ম পরিচ্ছেদে অর্থাৎ যে পরিচ্ছেদে দুআ’ ও ইস্তিগফার উদ্ধৃত হয়েছে, সেখানে আরবি এবারতের অভাব। মহান তাবেঈ হাসান বসরি (রাহিমাহুল্লাহ)-র সৌকর্যময় ভাষার দুআ’গুলোর আরবি এবারত উল্লেখ থাকলে বিদগ্ধ পাঠকের তৃষিত অন্তর হয়তো পরিপূর্ণ তৃপ্তি লাভ করতো। এইটুকুন অপূর্ণতা ব্যতীত পুরো বইটির আর কোথাও সমালোচনার চশমায় তাকানোর সুযোগ নেই।

    ▪শেষকথা_______________
    দুনিয়া-বিমুখতা, তাসাউফ, ইসলাহ- এসবের পরিপূর্ণ মিশেলে আলোচ্য বইটি হয়ে উঠেছে এক ঐশ্বর্যময় ভাণ্ডার। যাঁর মহিমান্বিত বাণী ও উপদেশসমূহ এ বইতে যূথবদ্ধ করা হলো, তাঁর ইসলাহী সোহবতে থাকার তামান্না থাকলে যে কারোরই উচিৎ হবে বইটি সংগ্রহ করে নিয়মিত এর তা’লীম করা। তবেই জীবন হয়ে উঠবে নববি আলোয় উদ্ভাসিত।

    12 out of 12 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
Top