হাসান ইবনু আলি (রা.)
অনুবাদক : আতাউল কারীম মাকসুদ
সম্পাদক : সালমান মোহাম্মদ
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি রাসুল সাঃ ও খুলাফায়ে রাশিদিনের শাসনামলের একটি পর্যালোচনা। এতে হাসান রা.-এর পূর্ণ জীবনবৃত্তান্ত আলোচনার চেষ্টা করা হয়েছে।
ফাতিমা রা.-এর সঙ্গে আবু বকর রা.-এর সম্পর্ক, রাসুলের মিরাস, ফাতিমার মৃত্যু, হাসানের মর্যাদা, তাঁর সম্পর্কে রাসুলের ভবিষ্যদ্বাণী; তাঁর মাধ্যমে বিবদমান দুটি দলের মধ্যে মীমাংসার বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
উল্লেখ করা হয়েছে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব, তাঁর ওপর পারিবারিক শিক্ষার প্রভাব, খুলাফায়ে রাশিদিনের যুগে তাঁর জীবনধারা, আলির শাহাদাত ও হাসান-হুসাইনের প্রতি পিতার অসিয়ত, পিতার শাহাদাতের পর তাঁর বক্তব্য, মুআবিয়া রা.-এর নিকট আলির মৃত্যুসংবাদ, তাঁর হাতে লোকজনের বায়আত, বায়আতের শর্ত, তাঁর খিলাফতের ব্যাপারে নসের ভুল ব্যবহার, খলিফা নির্বাচন, খিলাফতের মেয়াদ ও খিলাফত সম্পর্কে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মতাদর্শ।
তুলে ধরা হয়েছে হাসান রা.-এর খুলাফায়ে রাশিদার অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে আলিমদের বক্তব্য। খণ্ডন করা হয়েছে তাঁকে জড়িয়ে বলা কিছু ভুল বক্তব্য, ইতিহাসের কিছু বানোয়াট কাহিনি। উল্লেখ করা হয়েছে তাঁর ব্যাপারে মহান ব্যক্তিদের অভিমত। মুআবিয়া রা.-এর সঙ্গে হাসানের সন্ধি-বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা ছাড়াও সন্ধির পর তাঁর ও মুআবিয়ার সম্পর্ক কেমন ছিল, তারও আলোচনা করা হয়েছে। কিছু কিছু গ্রন্থে মুআবিয়ার প্রতি অপবাদ আরোপ করা হয়েছে, সেসবও খণ্ডন করা হয়েছে। হাসানের শেষজীবন, হুসাইনের জন্য তাঁর অসিয়ত, আল্লাহর সৃষ্টিজগৎ সম্পর্কে তাঁর চিন্তাভাবনা, শাহাদাত লাভ এবং জান্নাতুল বাকিতে তাঁর দাফন হওয়া সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়েছে।
হাসানের জীবনী থেকে শিক্ষাগ্রহণকারীর সংখ্যা সমাজে একেবারেই অপ্রতুল। আমরা হাসানের কর্মপন্থা দেখে আশ্চর্য হই; অথচ সেখান থেকে শিক্ষা নিই না। তাঁর জীবনী উম্মাহর জন্য জীবন্ত শিক্ষা। তিনি সে-সকল মহান ইমামের অন্তর্ভুক্ত, যাঁদের কথা, কাজ ও জীবনী থেকে উম্মাহ শিক্ষা নিতে পারে এবং নিজেদের জীবন তাঁদের আদলে ঢেলে সাজাতে পারে।
-
-
hotশিকড়ের সন্ধানে
লেখক : হামিদা মুবাশ্বেরাপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন430 ৳314 ৳পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৯৬ টি কভার: পেপার ব্যাক ‘Know ...
-
hotজীবন যদি হতো নারী সাহাবীর মত
লেখক : ড. হানান লাশিনপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন186 ৳136 ৳অনুবাদ: আব্দুল্লাহ মজুমদার সম্পাদনা: উস্তায আবুল হাসানাত ...
-
hotঅবাধ্যতার ইতিহাস
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন400 ৳292 ৳যেভাবে আর যে কারণে ধ্বংস হয়েছে ...
-
save offইতিহাসের আয়নায় বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা
লেখক : হেদায়াতুল্লাহ মেহমান্দপ্রকাশনী : রুহামা পাবলিকেশন414 ৳310 ৳'ইতিহাসের আয়নায় বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা' বইটি মূলত ...
-
hotইসলামের ইতিহাস (নববী যুগ থেকে বর্তমান)
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আসলাফ500 ৳365 ৳অনুবাদক: কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক সম্পাদক: মীযান ...
-
hotকোটিপতি সাহাবি
লেখক : আরিফুল ইসলামপ্রকাশনী : ইলহাম ILHAM310 ৳232 ৳‘সাহাবিরা গরিব’ ছিলেন এমন ধারণা অনেকের ...
-
hotভারতবর্ষে মুসলিম শাসন : হাজার বছরের ইতিহাস
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল ইসলাম770 ৳423 ৳ভাষান্তর : মুহাম্মাদুল্লাহ ইয়াহইয়া অতিরিক্ত টীকা সংযোজন ...
-
save offলস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি (ইসলামের হারানো ইতিহাস) (পেপার ব্যাক)
লেখক : ফিরাস আল খতিবপ্রকাশনী : প্রচ্ছদ প্রকাশন300 ৳216 ৳লস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি’র ভাষা প্রাঞ্জল ও ...
-
hotপ্রিয়তমা
লেখক : সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীরপ্রকাশনী : নবপ্রকাশ415 ৳311 ৳আয়েশার সঙ্গে রাসুল মুহাম্মদের (সা.) দাম্পত্যজীবন ...
-
Ahmed Nadif – :
হাসান বিন আলি (রা) রাসূল(ﷺ) এর আদরের দৌহিত্র,কলিজার টুকরা,ফাতিমা (রা) এবং আমিরুল মুমিনিন আলী (রা) এর সুযোগ্য পুত্র।যার নাম শুনলে আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক বিচক্ষণ বীরযোদ্ধা ও কর্ম সচেতন যুবকের।যুগে যুগে হাসান(রা) এর জীবনী রচনা করে গিয়েছেন অনেক আলেম,ঐতিহাসিক ,ফকিহ।এমনকি অনেক শিয়া আলেম ও ঐতিহাসিক হযরত হাসান রাদিয়াল্লাহু আনহু এর জীবনী রচনা করে গিয়েছে তারা এই মহান ব্যক্তি জীবনে রচনায় অনেক মিথ্যা বানোয়াট কাহিনী সংযোজন করেছেন।ডক্টর সাল্লাবি সকল বই থেকে নির্ভরযোগ্য বিশ্বস্ত তত্ত্বসমূহ নিজের বইয়ে উল্লেখ করেছেন।
বইটির বিশেষত্ত্ব :
হাসান (রা) এর জীবনী নিয়ে গ্রন্থের অভাব নেই কিন্তু ড. সাল্লাবির বইটি অন্যসকল বই থেকে এই বইটি অনন্য বেশ কিছু কারণে।সর্বপ্রধান কারণ হলো শায়খ হাসান(রা) এর জীবনের ঘটনাসমূহ হতে এই উম্মাহর জন্য অত্যন্ত মূল্যবান শিক্ষা বের করেছেন। একই সাথে ইসলাম এর বিভিন্ন সময়ে হাসান(রা) যে খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন তা চমৎকারভাবে আলোচনা করা হয়েছে।এই গ্রন্থে শুধু হাসান (রা) এর ধারাবাহিক আলোচনা করেই লেখক ক্ষান্ত হননি বরং তাঁর জীবনের মূল্যবান অনেক ঘটনা বইয়ে সংযোজন করেছেন ।
বইটির আলোচ্য বিষয় :
১।লেখক হাসান জন্মের পর তার নামকরণ খতনা আকিকা সহ শিশু জন্মের পর ইসলামী পদ্ধতিতে যা যা করা হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
২।হাসান রা এর ভাই বোন চাচা ফুফু মামা খালা ও সাইদুল ফাতিমা এর সংক্ষিপ্ত জীবনী নিজের গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।
৩। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে হাসান নাটক আদর স্নেহ ভালবাসার অনেক ঘটনা সাহেব তাঁর গ্রন্থে উল্লেখ করেছন এবং এর থেকে নাতির প্রতি নানার কর্তব্য ও আচরণ সম্পর্কে শিক্ষা উল্লেখ করেছেন।
৪। হাসান ও হুসাইন রাদিয়াল্লাহু এর মর্যাদা বিষয়ক বেশকিছু আজ হাদীস উল্লেখ করেছেন।
৫। লেখক হযরত হাসান রাঃ এর উপর পারিবারিক প্রভাব বর্ণনা করো একজন দরদী পিতার জন্য বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা উল্লেখ করেছেন যা প্রতিটি পিতার জানা খুবই জরুরী।
৬। হযরত আবু বকর রা উমর রা এর খিলাফতের যুগের বেশকিছু ঘটনা উল্লেখ করে সেখানে হযরত হাসান রা এর অবস্থান উল্লেখ করেছেন।
৭।সিফফিনের যুদ্ধের নানা বানোয়াট ও মিথ্যা কাহিনী বর্ণনা করেছেন এবং বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করে তার খন্ডন করেছেন এবং গভীর সমালোচনা করেছেন।
৮। শাইখ হাসান রা. এর খিলাফতকালের নানা ঘটনা অত্যন্ত বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন পাশাপাশি খেলাফতের পরিচালনার ক্ষেত্রে হাসান রা. এর কর্মপদ্ধতি অত্যন্ত বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছেন একই সাথে ইসলামী খেলাফতের শান্তিরক্ষায় হাসানরা কর্তৃক গৃহীত নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেছেন।
৯।এরপর হযরত হাসান রাঃ এর বায়াত থেকে শুরু করে মুয়াবিয়া রা এর কাছে খিলাফত হস্তান্তর বিষয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে ।
১০।হযরত হাসান রাঃ এর চারিত্রিক গুণাবলির কুরআন ও হাদীসের আলোকে ব্যাখ্যা করেছেন যা কুরআন ও হাদীস শাস্ত্রে তার দক্ষতা প্রমাণ করে
১১। হযরত হাসান খুলাফায়ে রাশেদিনের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন তিনি হাদিসের আলোকে প্রমাণ করেছেন এবং যারা মনে করেন যে হযরত হাসান রা খোলাফায়ে রাশেদীনের অন্তর্ভুক্ত নন তা খন্ডন করেছেন ।
১২। হযরত হাসান রাঃ কেন মুয়াবিয়া রা এর সাথে যুদ্ধে কেন জড়াননি এবং কেন শান্তিপূর্ণভাবে খেলাফত হস্তান্তর করেছেন সে বিষয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছেন এবং হযরত হাসান রা এর প্রজ্ঞা প্রমাণ করেছেন।
১৩। এরপর শায়খ হাসান রাঃ এর মৃত্যুর কারণ আলোচনা করেছেন পাশাপাশি তাঁর মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন সাহাবির উপর করা অপবাদ খন্ডন করেছেন।
বইটি যে কারনে পড়বেন :
জীবনীগ্রন্থটি হাসান(রা) এর জীবনী নিয়ে পাঠকের তৃষ্ণা মেটাবে বলে আমি মনে করি। কারণ শাইখ যেভাবে সাজিয়ে-গুছিয়ে বিস্তারিতভাবে ঘটনাগুলো উপস্থাপন করেছেন তা খুবই কম বইয়ে পাওয়া যাবে।আল্লাহ লেখককে উত্তম প্রতিদান দান করুন।কালান্তর প্রকাশনীকে ধন্যবাদ বইটির এত সুন্দর কভার এর জন্য।আল্লাহ কালান্তর প্রকাশনীকে এত সুন্দর একটি বই উপহার দেওয়ার জন্য উত্তম প্রতিদান দান করুন এবং এ প্রতিযোগীতার সাথে সংশ্লিষ্ট ওয়াফি লাইফকেও এগিয়ে যাওয়ার তৌফিক দান করুন ।আমিন।
বই পরিচিতি :
নাম : হাসান বিন আলি (রা)।
লেখক : ড.আলি মুহাম্মদ সাল্লাবি।
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৫৭৬
দাম: ৳৪৮০
sagor.reg – :
আলোচ্য বইটিতে হাসান (রাঃ) এর জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনা সবিস্তারে আলোচিত হয়েছে। হাসান (রাঃ) সম্পর্কিত প্রায় প্রত্যেক ব্যক্তি সম্পর্কেই আলোচনা করা হয়েছে এই বইয়ে। বাদ যায়নি তাঁর ভাই-বোন, চাচা-ফুফু, মামা-খালা কেউই।
বইটিতে অধ্যায় ২টি। পরিচ্ছেদ রয়েছে প্রতি অধ্যায়ে ৪টি করে মোট ৮টি। প্রত্যেক পরিচ্ছেদে বেশ কয়েকটি অংশে ভাগ করে সুনিপুণভাবে বিন্যস্ত হয়েছে একেকটি বিষয়। সবচেয়ে ভালো লাগার ব্যাপার হল, এই বইয়ে যেকোনো বিষয়েই লেখা হোক না কেন, তার সাথের অন্যান্য শিক্ষণীয় বিষয় এবং রেফারেন্স লেখক খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। যেমন: ১ম অধ্যায়ের ১ম পরিচ্ছেদের ৪ নম্বর অংশে হাসান (রাঃ) এর জন্মের পরে “তাহনিক” সম্পর্কে লেখা হয়েছে। “তাহনিক” হচ্ছে খেজুর অথবা মিষ্টিজাতীয় কোনো কিছু চিবিয়ে শিশু সন্তানের মুখে দেওয়া। [শারহুন নাবাবী] আর এই তাহনিক তখন করাতেন হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) নিজেই। যেহেতু তিনি অন্যান্য শিশুদের জন্মের পরে তাহনিক করে দিতেন, সেহেতু লেখকের মতে রাসূল তাঁর দৌহিত্র হাসান-এরও তাহনিক করেছিলেন।
লেখক এই “তাহনিক” অংশে এ পর্যন্ত লিখেই শেষ করতে পারতেন, কিন্তু তিনি শুধু সেটা না করে, তাহনিক কীভাবে করলে ভালো হয়, কেন করতে হয়, বর্তমান ডাক্তারের রেফারেন্সও জুড়ে দিয়েছেন। যেমন, বইটিতে ড. ফারুক মুসাহিল এর বক্তন্য পেশ করেছেন। আবার, লেখকের কাছ থেকে আমরা জানতে পারি “ডাক্তারদের মতে, নবজাতক সন্তান দুটি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। এগুলো তার জীবনের জন্য শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়ায়:
• ক্ষুধার কারণে তার রক্তের সুগার লেভেল কমে যাওয়া
• শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত কম হওয়া। [মানহাজুত তারবিয়াতিন নাবাবিয়্যাহ: ৬৪]”
আলোচ্য বইয়ের কত তম পৃষ্ঠায় এ বিষয়ে লেখা হয়েছে সেটা আমি রিভিউয়ে লিখবো না, আপানারাই পড়ুন, বের করে ফেলুন…
যা-ই হোক, এভাবেই এগিয়েছে পুরো বইয়ের লেখা। হাসান (রাঃ) এর মাতা ফাতিমা (রাঃ) সম্পর্কে পুরো একটা পরিচ্ছেদ রয়েছে; যেখানে আলোচিত হয়েছে তাঁর মোহর ও উপঢৌকন, বাসর, ওয়ালিমা, পারিবারিক হালচাল, তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসহ নানা বিষয়, এবং সবশেষে তাঁর মৃত্যু বিষয়ক লেখা দিয়ে শেষ হয়েছে এই পরিচ্ছেদ। মোটকথা হাসান (রাঃ) এর মাতার এক সংক্ষিপ্ত জীবনীও লিখিত হয়েছে আমাদের আলোচ্য বইটিতে। এরপরে রাসুল (সাঃ) এর চোখে হাসানের মর্যাদাও আলোচিত হয়েছে। হাসান (রাঃ) এর উপর রাসূলের ভালোবাসা তো এই বইয়ে উপস্থাপিত হয়েছেই, সাথে করে শিশুদের সাথে রাসূলের আচরণও প্রকাশিত হয়েছে। হাসানের মুখে রাসূলের গূণাবলী আবার রাসূলের মুখে হাসানের গূণাবলী, হাসান (রাঃ) বর্ণিত হাদীস, মুবাহালার আয়াত ও নাজরানের প্রতিনিধিদল, ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বলা হয়েছে ১ম অধ্যায়ের ৩য় পরিচ্ছেদে।
এরপরের পরিচ্ছেদের হাসানের পিতা আলী (রাঃ)সহ বিভিন্ন খলিফার আমলে হাসানের অবস্থা বা মর্যাদা এবং সিফফিনযুদ্ধ বর্ণিত হয়েছে, এবং প্রথম অধ্যায়ের সমাপ্তি হয়েছে।
র্বর্তমানে আমাদের জানার যে বিভিন্ন ঘাটতি আছে তা এই বই পড়ে বুঝতে পারা যায়। কারণ, হাসান সম্পর্কিত বিভিন্ন মিথ্যা ঘটনা যে মানুষের মুখে প্রচলিত তা এই বই থেকে জানা যায়। যেমন: হযরত আলী (রাঃ) কর্তৃক হাসানকে খলিফা নিযুক্তির প্রচলিত বর্ণনাটা মিথ্যা। মূলত শহীদ হওয়ার পূর্বে আলী (রাঃ) তাঁর পরবর্তী খলিফা নিযুক্ত করে যাননি। তাই, পরবর্তীতে লোকেরা হাসানকে খলিফা নিযুক্ত করেন। তো, হাসান সম্পর্কিত এরকম বিভিন্ন ঘটনার সত্য কাহিনী এই বইয়ে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও হাসানের খিলাফতকালে বিভিন্ন মহান ব্যক্তির কথা লিখিত হয়েছে, যেমন: কায়েস ইবনু সাআদ ইবনু উবাদা, আবদুল্লাহ ইবনু জাফর, আমাদের বহুশ্রুত বিখ্যাত মুআবিয়া, প্রমুখ।
মুআবিয়ার সাথের ঘটনা আমরা মোটামুটি সবাই কমবেশি জানি, তাই না? আলোচ্য বইটিতে মুআবিয়ার সাথে হাসানের সন্ধি, এর কারন, স্বরূপ, শর্তাবলী, এর ফল, সাথে মুআবিয়ার ব্যক্তিত্ব ও তার বাহিনীর শক্তি এবং সন্ধি পরবর্তী হাসানের জীবন, মুআবিয়ার উপর হাসানকে বিষপানের অভিযোগ, সূরা ইখলাস সম্পর্কিত হাসানের বিশেষ স্বপ্ন, এ সকল বিষয়ই প্রাঞ্জল ভাষায় লিখিত হয়েছে বইটিতে।
এবং, বইয়ের শেষের দিকে মুসলিমদের ৫ম খলিফা হাসান (রাঃ) এর জীবনের শেষ কিছুদিনের বর্ণনা ও তাঁর ইন্তেকাল দিয়ে বইটির এক মহা সমাপ্তি ঘটেছে।
৫৭৬ পৃষ্ঠার বইটি পড়ে অন্তত আপনি বিরক্ত হবেন না। কারণ লেখকের কন্টেন্ট সাজানোর ভঙ্গি খুবই চমৎকার। যদিও আমার হাতের বইটিতে বানান ও যুক্তাক্ষরজনিত কিছু প্রিন্টের ঝামেলা রয়েছে, তবে আশা করবো পরবর্তীতে সঠিকভাবে সংশোধন করা হবে।
আর, বইয়ের বাহ্যিক বিষয় সম্পর্কে বললে, বইয়ের বাঁধাই আসলেই অত্যন্ত সুন্দর, পুরো চারকোণা করে উঠানো। পৃষ্ঠা বেশ পুরু আর হালকা ঘি রংয়ের, যা চোখে বেশ আরাম দেয়। এমনিতে বইটি দেখতেও ভালো লাগে।
সব মিলিয়ে বইটি আমার কাছে চমৎকার লেগেছে। আশা করি আপনারাও নিরাশ হবেন না।
ধন্যবাদ।