মেন্যু
futiye tulun subasito ful

ফুটিয়ে তুলুন সুবাসিত ফুল

প্রকাশনী : আয়ান প্রকাশন
পৃষ্ঠা : 192, কভার : পেপার ব্যাক, সংস্করণ : 1st Published, 2022
আমরা প্রায়শই বলে থাকি, “আজকের  শিশু আগামীর ভবিষ্যত”। আসলে আমরা  খুব সহজে এই কথাটি বলে থাকি। তবে এর বাস্তবতা অনেকটাই কঠিন। আমরা আমাদের শিশুদেরকে ভবিষ্যতের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য... আরো পড়ুন
পরিমাণ

160  320 (50% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন

21 রিভিউ এবং রেটিং - ফুটিয়ে তুলুন সুবাসিত ফুল

5.0
Based on 21 reviews
5 star
95%
4 star
4%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    মুহাম্মদ সিবগাতুল্লাহ চৌধুরী:

    সন্তান আল্লাহ তায়ালার এক বিশাল নেয়ামত। সকল পিতা মাতাই তাদের সন্তানকে ভালো রাখতে চায়। সকলেই চায় তার সন্তান ভবিষ্যতে একজন যোগ্য ব্যক্তি হতে পারে। সে যেনো ইসলামের পথে থাকে এবং একজন ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারে। সকলেই বলে যে, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। কিন্তু এটা বলতে যতটা সহজ, বাস্তবায়ন করা তার চেয়ে অনেক কঠিন। একটি শিশুকে ভবিষ্যতের জন্য যোগ্য করে তুলা অনেক কষ্টকর একটি বিষয়। মা-বাবা যদি তার সন্তানকে সঠিক ভাবে গড়ে তুলতে চায়, তাহলে সন্তানকে ছোট থেকেই সঠিক গাইডলাইনে লালনপালন করতে হবে। এমন ভাবে লালন পালন করতে হবে যেনো সে একজন আদর্শবান মুসলিম হয়ে উঠতে পারে। ছোট থেকেই সন্তানের মনে ইসলামের বীজ বপন করতে হবে, যেনো সে বড় হয়ে খারাপ পথে না যায়। সুতরাং সন্তানকে ভবিষ্যতের জন্য যোগ্য করে তুলতে হলে দরকার সঠিক প্যারেন্টিং। সন্তানকে ছোট থেকে পালনের জন্য গাইডলাইন নিয়ে “আয়ান প্রকাশন” এর নতুন বই “ফুটিয়ে তুলুন সুবাসিত ফুল”।

    🔹বইয়ের সূচিপত্রঃ

    প্রথমে কিছু বিষয় দেওয়া হয়েছে। বইটিতে মোট পাঁচটি পরিচ্ছেদ দেওয়া হয়ছে।
    প্রথম পরিচ্ছেদে, গর্ভধারণ ও জন্মগ্রহণের প্রাথমিক স্তর সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে, প্রথম দুই বছর সসম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
    তৃতীয় পরিচ্ছেদে, শৈশবকাল: দুই বছর থেকে ছয় বছরের পর্যন্ত আলোচনা করা হয়েছে।
    চতুর্থ পরিচ্ছেদে, বিদ্যালয়ে যাওয়ার স্তর (ছয় থেকে তদুর্ধ্ব) সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
    পঞ্চম পরিচ্ছেদে, শিশু মনে ঈমানের বীজ বপনকারী কিছু বই নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
    শেষে পরিশিষ্ট দেওয়া হয়েছে।

    🔸শর্ট পিডিএফ পড়ে অনুভূতিঃ

    শর্ট পিডিএফে প্রথমে সূচিপত্র, এরপর বিভিন্ন পরিচ্ছেদ থেকে কয়েকটি পৃষ্ঠা দেওয়া হয়েছে। সূচিপত্র পড়েই মনে হয়েছে এই বইটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় বই। এরপর বাকী পৃষ্ঠা গুলো পড়ে এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু সেটা বুঝার আর বাকী রইলো না। বিশেষ করে যাদের সন্তান এখনো ছোট কিংবা এখনো জন্মগ্রহণ করেনি তাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি বই। তবে এটি কম বেশী সবার জন্যই জরুরি একটি বই।

    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 4 out of 5

    Ruponti Shahrin:

    🌷ইংরেজিতে একটি মতবাদ আছে,
    “Children are like wet cement; whatever falls on them makes an impression.”
    সন্তানকে শিশুকাল থেকে প্রতিপালনের এক অর্থ হলো পরিচর্যায় চারা গাছে ফুল ফোটানো। আজকের সময়ে এসে সন্তান প্রতিপালন যেন বোঝার নাম। অথচ সঠিক যত্ন ও ইসলামিক দিক নির্দেশনা ফুলের মতো সন্তানকে সু-সন্তানে পরিণত করে, আদর্শ মানুষ হিসেবে যার সৌরভ ছড়িয়ে পড়ে।
    🌷বিষয়বস্তুঃ
    বইটি মূলত সন্তান পরিচর্যা সংক্রান্ত বই। এটি অভিভাবকদের জন্য গাইডলাইন। তবে ইসলামিক বিধিবিধানে। নিয়ত পরিশুদ্ধ রেখে সওয়াবের আশায় সন্তান লালন করাও ইবাদাতের শামিল। শিশুমনে ঈমানের বীজ প্রথিত করার পর থেকে পিতামাতার দায়িত্ব যেন আরো বেড়ে যায়। সন্তানের প্রতিটি বয়সের ধাপে ধাপে দুনিয়াবি সংকট ও পরীক্ষায় ঢাল হয়ে দাঁড়ানোর কঠিন চ্যালেঞ্জে এই বইটি যেন সাহায্য বটিকা৷ লেখাপড়া, আদব-আখলাক, সামাজিক দায়িত্ব, সুনাগরিকের ভূমিকায় কিংবা পারিবারিক ও মৃত্যুর পর সন্তান হিসেবে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য বুঝিয়ে দেয়ার মতো কঠিন সব নির্দেশিকা একমাত্র পিতা-মাতাই পারে সন্তানকে শেখাতে। বাস্তব অভিজ্ঞতার নিরীক্ষে লেখিকার সুপরামর্শের সংকলন।
    🌷বইয়ের বিশেষত্বঃ
    শৈশব থেকে আমৃত্যু কত দায়িত্ব, কত কর্তব্য। এরই মাঝে সময় ফুরোয়। শেখার যেন শেষ নেই। কিন্তু ইসলামিক বিধিবিধান বিহীন জীবন যেন হিসেব মেলালে শুন্য খাতা। সেই হিসেবটাকে সুন্দর সমাধানে রুপ দিতেই লেখিকার আহবান। এই বইটির শিল্পকলা।
    🌷কেন পড়বেন?
    সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর বিতাড়িত শয়তানের হাত থেকে রক্ষা চাওয়াতেই মা-বাবার দায়িত্ব শুরু। এ যেন লং রেসের ঘোড়া। ছুটছে তো ছুটছেই। সন্তানের বয়সকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে স্তরে স্তরে সুচিন্তিত পরামর্শ শুধু এক মলাটে পাবেন বলেই পড়বেন।
    🌷শর্টপিডিএফ পড়ে অনুভূতিঃ
    ২০ পৃষ্ঠার শর্ট পিডিএফ-এ হয়তো কিছুই কভার হয় না। আর যেহেতু এটি একটি অনুবাদকৃত বই। তাই মূল বইয়ের কতখানি অংশ অনুবাদক দখল নিতে পেরেছেন তা শুধু সময় গড়ালে জানা যাবে। এটুকু বলতে পারি যে, অনুবাদকের কাজ ও সম্পাদনার মান ভালো হবে আশা করতে পারি এর সূচিপত্র দেখে। যথেষ্ট বোধগম্যতা রক্ষা করে তালিকা অনুবাদ করা হয়েছে। তাছাড়া আয়ান প্রকাশনের পূর্বের কাজগুলো সন্তুষ্টি অর্জন করেছে। বইটির পৃষ্ঠাসজ্জা ও ফন্ট সাইজও চোখের জন্য আরামদায়ক। মানানসই প্রচ্ছদে শিশুর শারীরিক ও মানসিক যত্নের ধারাবাহিক টিপস হিসেবে চমৎকার বই হতে যাচ্ছে। আমি আশাবাদী। শুভকামনা নিরন্তর।
    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  3. 5 out of 5

    Fatima:

    উম্মে সুলাইম (রা.),যার পদধ্বনির আওয়াজ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিরাজে গিয়ে শুনতে পান। সেই সম্মানীতা সাহাবিয়াত এর শিশু সন্তান মারা গেলে তিনি তার স্বামীকে বলেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা আমাদের হাতে যে আমানত সোপর্দ করেছিলেন তিঁনি সেই আমানত তথা শিশুপুত্রকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।
    লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে,এখানে কিন্তু তিনি সন্তানকে আল্লাহর আমানত হিসেবে গণ্য করেছেন।

    অথচ আজকাল পশ্চিমা স্রোতের সাথে গা বাসিয়ে অনেক মা-বাবারাই তাদের ফুলকলিদের প্রতিপালনকে শেষ বয়সের সম্বলস্বরূপ দেখে থাকেন এবং দায়িত্বের খাতিরে দেখভাল করেন।
    আগামী দিনের কর্ণধার এ শিশুরা সঠিক তরবিয়ত পাচ্ছে নাকি না তার খোঁজখবরও আদৌ রাখেন কি-না সন্দেহ। শিশুরা নরম কচি কাঁদার মতো, আপনি তাকে যে ছাঁচে গড়ে তুলবেন সেভাবেই সে সে গড়ে উঠবে। আর এজন্য শিশুদের সঠিক তরবিয়ত জরুরি।

    ২০ পৃষ্ঠার শর্ট পিডিএফ পড়েই এটা সহজে অনুমেয় যে এতে শিশুদের বয়োবৃদ্ধির সাথে সাথে কেমনভাবে লালন পালন করা উচিত তা গাইডলাইন হিসেবে লেখিকা সাওযান বিনতে মুস্তফা বুখাইত আয়ান প্রকাশনীর হাত ধরে রঙিন খামে মুড়িয়ে পাঠকদেরকে উপহার দিয়েছেন।
    শর্ট পিডিএফ এর শুরুতেই অনুবাদকের কথা তুলে ধরে শিশুমনে ঈমানের শুদ্ধ বীজ বপনের স্তরসমূহ, শিশুমনে ইসলামি মূল্যবোধ সৃষ্টি ও জীবন বিনির্মাণের প্রতি পূর্ণ মনোযোগের গুরুত্ব তুলে ধরে পাঁচটি পরিচ্ছেদে(গর্ভধারণ ও জন্মগ্রহণের প্রাথমিক স্তর, প্রথম ২ বছর সময় পর্যন্ত দিকনির্দেশনা, ২-৬ বছর ব্যাপ্তিকাল পর্যন্ত নির্দেশনা,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার স্তর এবং সর্বশেষ পঞ্চম পরিচ্ছেদে শিশুমনে সঠিক আদর্শের ছাপ ফেলার জন্য প্রয়োজনীয় বইয়ের কথা বলে দেয়া হয়েছে) শিশুমনে ইসলামের বীজ প্রথিত করার জন্য কেমনভাবে শিশুদের সাহচর্য দিতে হয় তা স্পষ্টত ভাষায় আলোচনা করে পরিশিষ্ট অংশ সংযোজনের মাধ্যমে কোমলমতি শিশুদের মেডিসিন দেয়া হয়েছে যা অনুসারে ছোট্ট কলিদেরকে প্রস্ফুটিত ফুল হিসেবে গড়তে সাহায্য করবে ইন শা আল্লাহ।

    সমস্ত মূলকের মালিক আল্লাহর আমানত গণ্য করে ফুলকুঁড়িদের সঠিকভাবে পরিচর্যা করা মা-বাবার নৈতিক দায়িত্ব। আর আপনার সন্তানকে যদি সুবাসিত ফুল তথা পরিপূর্ণ মুসলিমরূপে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে তো শুধু এ ধরণীতেই শান্তি-সুখের সংসার নয় বরং সেই সাথে অনন্তকালের মহাযাত্রায় নাজাতের উসিলা হয়ে উঠবে ইন শা আল্লাহ।
    একটি পরিবারে মা-বাবা ছাড়াও অন্যান্য সদস্যও থাকেন তাই শুধু মা-বাবার জন্য নয় বরং প্রতিটি নর-নারীরই বইটি পড়া প্রয়োজন বলেই আমি মনে করি।

    হে আগামীর কর্ণধাররা,
    প্রস্ফুটিত হও ফুলের সৌরভে
    প্রদীপ্ত হও আলোর গৌরবে।

    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  4. 5 out of 5

    মুহাম্মদ রুবেল মিয়া:

    শিশুরা হলো আগামীদিনের জাতি গড়ার কারিগর। ভবিষ্যতের এই কারিগরদের সঠিকভাবে গড়ে তোলার দায়িত্ব হলো বাবা-মায়ের।
    শিশু বয়সটা হলো শিক্ষার বয়স। এ বয়সেই শিশুরা ভালোমন্দ শিখে থাকে। আর শিখানোর ক্ষেত্রে তাদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে থাকে বাবা-মা। কারণ, শিশুরা বাবা-মাকে দেখেই শিখে বেশি।
    এজন্যই বাবা-মায়ের উচিত ছোটকাল থেকেই শিশুদের সঠিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা।

    কিছু বাবা-মা তাদের সন্তানকে শিশুকালে সঠিক শিক্ষা দেয় না। আর কিছুতো সন্তানকে শিখানোর সময়টুকুও পায় না! ফলশ্রুতিতে দেখা যায় ওই শিশু বড়ো হয়ে বেয়াদব হয়ে যায়। বাবা-মায়ের কথা শুনবেতো দূরের কথা, বাবা-মায়ের গায়ে হাত পর্যন্ত তোলে! আর সঠিক শিক্ষা না পাওয়া শিক্ষিতরাতো বৃদ্ধ বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমেই রেখে আসে!

    সন্তানের এমন অধঃপতন না দেখতে চাইলে শিশুবয়স থেকেই তাদের সঠিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা উচিত। আর বাবা-মায়েরা কিভাবে সে ব্যবস্থা করবেন সে সম্বন্ধেই “ফুটিয়ে তুলুন সুবাসিত ফুল” বইটি লিখা হয়েছে। বইটিতে একেবারে গর্ভধারন থেকে শুরু করে স্কুলে যাওয়ার সময় অব্দি সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের দায়িত্ব ও কর্তব্যে নিয়ে অসাধারণ আলোচনা করা হয়েছে। বইয়ের নামটি দেখেই বুঝা যায়, কি মনি-মুক্তো দিয়ে সাজানো হয়েছে বইটি।

    বইটিতে রয়েছে পাঁচটি পরিচ্ছেদ এবং একটি পরিশিষ্ট। পরিচ্ছেদ পাঁচটি হলো :

    প্রথম পরিচ্ছেদ : গর্ভধারণ ও জন্মগ্রহণের প্রাথমিক স্তর।

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ : প্রথম দুই বছর।

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ : শৈশবকাল (দুই বছর থেকে ছয় বছর পর্যন্ত)।

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ : বিদ্যালয়ে যাওয়ার স্তর (ছয় বছর থেকে তদুর্ধ্ব)।

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ : শিশুমনে ঈমানের বীজ বপণকারী কিছু বই।

    এবং সর্বশেষ অবশিষ্টে সন্তান লালন-পালন এবং তাদেরকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার গুরুত্ব, তাৎপর্য এবং পদ্ধতি নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে।

    বইটি গুড প্যারেন্টিং সম্পর্কে দারুণ একটি বই হবে বলেই আমি মনে করছি।

    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  5. 5 out of 5

    আমাতু্ল্লাহ নাসরিন:

    আমরা সবাই বলি, ‘আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ’। কিন্তু আমরা কথাটি খুব সহজে বললেও বাস্তবে তা খুবই কঠিন। কেননা বর্তমানে এমন অসংখ্য পরিবার আছে, যেখানে শিশুর সঠিক পরিচর্যা করা হয় না। দেওয়া হয় না শিশুদের পর্যাপ্ত সময়। পরিবার থেকে শিখানো হয় না কোনো নীতি-নৈতিকতা বা ধর্মীয় আচার-ব্যবহার। তাদের কাছে তাদের সন্তানের জীবনের চেয়েও বেশি প্রাধান্য পায় চাকরি, ব্যবসা, ক্যারিয়ার। অনেক সময় দেখা যায়, বাবা -মা দুজনই কর্মজীবি হওয়ায় তাদের সন্তানদের কাজের বুয়ার হাতে ন্যস্ত করে। ফলস্বরূপে সন্তান বাবা-মায়ের শূন্যতায় ভোগে এবং এতে বাবা-মা ও সন্তানের মাঝে দূরত্ব তৈরি হয়। তারপর সন্তান বড় হওয়ার পরও তার মাঝে বিরূপ প্রভাব দেখা যায়। তাই আমাদের উচিত শিশুর শৈশবকালেই সাবধানতা অবলম্বন করা। তাদের প্রতি ছোটবেলা থেকেই অনেক বেশি যত্নবান হওয়া এবং সঠিকভাবে পরিচর্যা করা। তাদেরকে সুশিক্ষাই শিক্ষিত করা এবং তাদের মাঝে শৈশবকালেই ধর্মীয় রীতি-নীতির বীজ বপন করে দেওয়া। তারা যাতে কুরআন এবং সুন্নাহর আলোকে নিজেদের জীবন পরিচালিত করতে পারে ছোটবেলা থেকেই তাদের সেপথে ধাবিত করা প্রত্যেক পরিবারের নৈতিক দায়িত্ব।
    .
    .
    .

    “ফুটিয়ে তুলুন সুবাসিত ফুল” বইটির পাতায় পাতায় কিভাবে শিশুদের প্রতিপালন করতে হবে, কিভাবে তাদেরকে সুশিক্ষা দিতে হবে এবং কিভাবে তাদের প্রতি যত্নবান হতে হবে ইত্যাদি বিষয়গুলো অত্যন্ত চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বইটিতে রয়েছে মোট পাঁচটি পরিচ্ছেদ এবং পরিশিষ্টে অনেক লেখা।
    .
    প্রথম পরিচ্ছেদে রয়েছে গর্ভধারণ ও জন্মগ্রহণের প্রাথমিক স্তর। যেমন–

    ★ পিতা-মাতা সৎ হলে সন্তানও সৎ হবে…

    ★ নেককার জীবনসঙ্গী নির্বাচন করা…

    ★ সহবাসের পূর্বে বিসমিল্লাহ পাঠ করা…

    ★ নেককার সন্তান লাভের জন্য দোয়া করা ইত্যাদি…

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে রয়েছে সন্তানের প্রথম দুই বছর নিয়ে লেখা। যেমন–

    ★ সন্তানের জন্য বেশি বেশি দোয়া করা…

    ★ এক বোন ও তার সন্তানের গল্প…

    ★ উত্তম নমুনা…

    ★ কুরআনুল কারিম তেলাওয়াত ইত্যাদি…

    তৃতীয় পরিচ্ছেদে রয়েছে শিশুর শৈশবকাল দুই বছর থেকে ছয় বছর বয়স পর্যন্ত নিয়ে লেখা। যেমন–

    ★ সন্তানদেরকে বদদোয়া করা যাবে না…

    ★ সন্তানদেরকে দু’আ শিক্ষা দেয়া…

    ★ নবিজী আমাদের শ্রেষ্ঠ আদর্শ…

    ★ তাওহীদ শিক্ষা দেওয়া…

    ★ শিশুর বৈশিষ্ট্য চেনার উপায় ইত্যাদি…

    চতুর্থ পরিচ্ছেদটি শিশুর বিদ্যালয়ে যাওয়ার স্তর সম্পর্কিত। যেমন —

    ★ তাওহীদ ও ঈমান শিখানোর নতুন মাধ্যম গ্রহণ…

    ★ শিক্ষার নানা মাধ্যম…

    ★ ঘুমের পূর্বে শিক্ষণীয় গল্প শোনানো….

    ★ ইবাদাত করার নির্দেশ দেয়া ইত্যাদি…

    পঞ্চম পরিচ্ছেদটি শিশুমনে ঈমানের বীজ বপনকারী কিছু বই সম্পর্কিত। যেমন–

    ★ আকীদা ও তাওহীদ…

    ★ নবিদের ঘটনাবলী ও সীরাতে রাসূল (সাঃ)…

    ★ ফিকহ শাস্ত্র…

    ★ হাদিস শাস্ত্র ইত্যাদি…

    তারপর পরিশিষ্টতে রয়েছে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। যেমন–

    ★ সন্তান জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ…

    ★ পশুও নিজ সন্তানকে ভালোভাসে…

    ★ সন্তানকে কারা লালন পালন করছে…

    ★ নৈতিক শিক্ষা আবশ্যকীয়…

    ★ ‘মা’ হলো শিশুর প্রথম শিক্ষক ইত্যাদি…
    .
    “ফুটিয়ে তুলুন সুবাসিত ফুল” অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর একটি বই। শর্টপিডিএপ পড়ে মনে হয়েছে বইটি বর্তমান প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আগামীর ভবিষ্যত অর্থাৎ সন্তানদের ছোটবেলা থেকেই অবহেলা-অনাদরে বড় করে, বড় হয়ে বখাটে হয়ে যাওয়া এই প্রজন্মে শিশুদের সঠিকভাবে প্রতিপালনের জন্য বিভিন্ন দিক নির্দেশনা নিয়ে বইটি রচিত হয়েছে। বইটির প্রতিটি পরিচ্ছেদে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে কিভাবে সন্তানদের পরিচর্যা করতে হবে, তাদের সাথে কিরূপ আচরণ করতে হবে, তাদের কতটা সময় দিতে হবে, তাদের কিভাবে নতুন কিছু শেখাতে হবে, কিভাবে তাদের দ্বীনি বিষয়ে জ্ঞান অর্জনে আগ্রহী করে তুলতে হবে, কিভাবে কুরআন এবং সুন্নাহর আলোকে তাদের জীবন পরিচালিত করতে হবে। এক কথায়, বইটিকে সময়োপযোগী ও অতি প্রয়োজনীয় একটি বই বলা চলে। এছাড়াও বইটি অত্যন্ত সহজ সাবলীল ভাষায় অনুবাদ করা। যা প্রতিটি পাঠকই সানন্দে পড়তে পারবে।
    .

    পরিশেষে বলতে পারি, প্রতিটি বাবা-মা ই চায়, তাদের সন্তান নীতিবান ও অাদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠুক। সন্তানদের বেড়ে তোলার ধরন ও প্রতিপালন পদ্ধতিতে ত্রুটি থাকলেও প্রত্যেক বাবা-মায়ের মনেই আশা থাকে যে তাদের সন্তান সুশিক্ষাই শিক্ষিত হয়ে গড়ে উঠবে। সুতরাং তাদের এই আশা বাস্তবায়নের নিমিত্তে প্রত্যেক বাবা-মায়ের জন্যই বইটি অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বই। এছাড়া যেকোন সাধারণ পাঠকের জন্যও বইটি জ্ঞানের খোরাক।

    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
Top