মেন্যু
futiye tulun subasito ful

ফুটিয়ে তুলুন সুবাসিত ফুল

প্রকাশনী : আয়ান প্রকাশন
পৃষ্ঠা : 192, কভার : পেপার ব্যাক, সংস্করণ : 1st Published, 2022
আমরা প্রায়শই বলে থাকি, “আজকের  শিশু আগামীর ভবিষ্যত”। আসলে আমরা  খুব সহজে এই কথাটি বলে থাকি। তবে এর বাস্তবতা অনেকটাই কঠিন। আমরা আমাদের শিশুদেরকে ভবিষ্যতের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য... আরো পড়ুন
পরিমাণ

160  320 (50% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন

21 রিভিউ এবং রেটিং - ফুটিয়ে তুলুন সুবাসিত ফুল

5.0
Based on 21 reviews
5 star
95%
4 star
4%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    Kamrun Nahar Kotha:

    প্রত্যেক মা- বাবাই চায় তাদের সন্তান যেনো একজন আদর্শবান মানুষ হয়ে বেড়ে উঠে। তারা চান তাদের সন্তান যেনো জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করেন এবং তাদের পাশে থাকেন।
    তাদের এই চাওয়াগুলো ভুল কিছু নয় তবে ভুল হলো তাদের সন্তান গড়ে তুলার কৌশল। কেননা…আজকাল প্রায় প্রতিটা পরিবারেই দেখা যায় পিতা মাতা তাদের সন্তানকে কিভাবে গড়ে তুলবেন, কোন আদর্শে গড়ে তুলবেন সেই বিষয়ে খুবই উদাসীন।
    ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খেলা করা, তাদের সাথে গল্প করা সুন্নাত । কিন্তু বর্তমানের মা – বাবারা তাদের সন্তানদের সাথে সময় কাটানোর পরিবর্তে তাদের হাতে স্মার্টফোন/ টিভি তে কার্টুন দেখতে বসিয়ে দেন ।এছাড়াও অনেক সন্তান বাড়ির কাজের লোকের কাছে লালিত – পালিত হয় । ফলে সন্তান সেই আদর্শেই বড় হতে থাকেন । যার ফলে দেখা যায় বড় হয়ে সন্তান অবাধ্য হয়ে যায় এবং পিতা – মাতাকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

    সন্তান ও মা – বাবার এমন খামখেয়ালিপনার প্রতি লক্ষ রেখে , প্রতিটা সন্তান যেন সুবাসিত ফুল হয়ে বেড়ে উঠতে পারে সেই দিকটি লক্ষ রেখে লেখক “সাওযান বিনতে মোস্তফা বুখাইত” “আয়ান প্রকাশনী”র মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন ” ফুটিয়ে তুলুন সুবাসিত ফুল” বইটি। বইটি মূলত পাঁচটি পরিচ্ছেদ এবং শেষে একটি পরিশিষ্ট নিয়ে গঠিত।

    1️⃣ প্রথম পরিচ্ছেদ :
    এখানে গর্ভধারণ ও জন্মগ্রহণের প্রাথমিক স্তর হিসেবে মা বাবার আচরণ,নেককার জীবনসঙ্গী নির্বাচন, নেক সন্তানের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা এবং ভূমিষ্ট সন্তানের জন্য শয়তান থাকে আশ্রয় প্রার্থনার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

    2️⃣ দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ :
    প্রথম দুই বছরে সন্তানের জন্য মা বাবার করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

    3️⃣ তৃতীয় পরিচ্ছেদ:
    শৈশবকাল: দুই বছর থেকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত সন্তানকে তাওহীদের শিক্ষা, ইবাদতের প্রতি মনোযোগী করাসহ আরো কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

    4️⃣ চতুর্থ পরিচ্ছেদ :
    বিদ্যালয়ে যাওয়ার স্তর ( ছয় থেকে তদূর্ধ্ব ) : এই স্তরে সন্তানকে ইলমী জ্ঞান দেওয়া, মাসনূন দুআ শেখানো, সৎ লোকের সাহচর্য এবং অসৎ লোক থেকে বিরত থাকার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

    5️⃣পঞ্চম পরিচ্ছেদ :
    শিশুমনে ঈমানের বীজ বপনকারি কিছু বই সম্পর্কে এই পরিচ্ছেদ আলোচিত হয়েছে।

    6️⃣পরিশিষ্ট :
    এখানে সন্তান গড়ার ক্ষেত্রে মা – বাবার কি কি সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে, সন্তানকে কোন আদর্শে বড় করবেন , কি কি শিক্ষা দিবেন এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

    সন্তানকে নিয়ে মা বাবার আশা আকাঙ্খার শেষ নেই। তাই সন্তানকে আদর্শবান মানুষ করে গড়ে তুলতে চাইলে গর্ভকালীন সময় থেকেই মা বাবাকে সচেতন হতে হবে। পিতা মাতা হচ্ছে সন্তানের প্রথম শিক্ষক। পিতা মাতাকে দেখেই সন্তান শিখবে। তাই সবার আগে পিতা মাতাকে এই বিষয়ে সবসময় সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এক্ষেত্রে এই বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। সন্তানকে আদর্শবান করে গড়ে তুলতে এই বইটির কোনো জুড়ি নেই। প্রায় প্রতিটা মা – বাবার উচিত এই বইটি অধ্যয়ন করা এবং নিজের সন্তানকে সেই অনুযায়ী গড়ে তুলা। যাতে তাদের আগামী এই সুবাসিত ফুল হয়েই বেড়ে উঠতে পারে এবং সেই সুবাস দিয়ে চারপাশ সুবাসিত হতে পারে।

    1 out of 1 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    Rezwan hassan:

    📙 ফুটিয়ে তুলুন সুবাসিত ফুল
    আমরা প্রায়শই বলে থাকি, “আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যত”। আসলে আমরা খুব সহজে এই কথাটি বলি, তবে এর বাস্তবতা অনেকটাই কঠিন। আমরা আমাদের শিশুদেরকে ভবিষ্যতের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য কতটুকু চেষ্টা করেছি? কয়টা পরিবার-ই বা আছে যে, তারা শিশুদেরকে আগামীর উপযোগী করে গড়ে তুলছে,পরিচর্যা করছে,ঘষামাজা করছে?
    খোঁজ করলে দেখা যাবে এর সংখ্যা খুবই কম। একেবারেই নগণ্য। আমরা আমাদের ক্ষেত-খামার বা গাছ-পালা যতটা গুরুত্বের সাথে পরিচর্যা করি আমাদের সন্তানদেরকে এর এক সিকিভাগও পরিচর্যা করি না। যার ফলে সন্তান ছোট থেকেই অবহেলা আর অনাদরে বেড়ে ওঠে। অভদ্রতার জীবন যাপন করে। অথচ কুরআনে বর্ণিত হয়েছে,হযরত যাকারিয়া আ. আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন, “হে আল্লাহ! আমাদের স্ত্রী ও সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য চোখের শীতলতা দান করুন”। (সূরা ফুরকান: ৭৪) আরেক আয়াতে এসেছে,” হে প্রভু! আমাকে আপনার পক্ষ থেকে উত্তম সন্তান দান করুন”। (সূরা আলে ইমরান: ৩৮)
    আর রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, “কোনো মানুষ গত হওয়ার পর তিনটি আমল ছাড়া সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। আর সেগুলো হলো-সদকায়ে জারিয়াহ, উপকারী ইলম ও সুসন্তান (যে তাদের জন্য দোয়া করে)। (মুসলিম)
    তাছাড়া কথায় আছে, জন্মদাতা হওয়া সহজ, আদর্শ পিতা-মাতা হওয়া কঠিন। আদর্শ পিতা-মাতা সুসন্তান গড়ে তোলার পিছনে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। কারণ আদর্শ পিতা-মাতার সঙ্গ সন্তানের হৃদয়-ক্ষেতে পানি সিঞ্চনের কাজ করে। আদর্শ সন্তান গড়ে তুলতে হলে ইসলামিক দিকনির্দেশনা
    অনুসরণ করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। তার অভ্যাসগুলোকে নববী আদর্শে রূপায়ন করতে হবে। আমাদের গ্রাম বংলায় একটি প্রবাদ আছে “কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ, পাকলে করে ঠাস ঠাস”। অর্থাৎ ছোটবেলা হলো শেখার সময়।বড় হয়ে গেলে হাজারও চেষ্টা করলে কোন লাভ হয় না। কাজেই ছোট থাকতেই তাকে সুশিক্ষায় মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পরিশুদ্ধ চিন্তার বীজ তার মধ্যে বপন করতে হবে। কারণ সুস্থ চিন্তা মানসিক চেতনার বিকাশ ঘটায়।জীবন গড়ার উদ্দম-উদ্দীপনা ও অনুপ্রেরণা জোগায়।
    1 out of 1 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  3. 5 out of 5

    মুহাম্মাদ আনাস:

    আজকের শিশুরাই একদিন বড় হবে। এরাই ধরবে আগামী পৃথিবীর লাগাম। আজ তারা যে রঙে রঙিন হবে বড় হয়ে পৃথিবীকে সে রঙেই রাঙাবে,পৃথিবীকে সেভাবেই পরিচালিত করবে। শিশুদেরকে আদর্শ মানবরূপে গড়ে তোলার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান মা-বাবার। মা-বাবার এক একটি পদক্ষেপ সন্তানের সারা জীবনের ফসল।
    আদর্শ সন্তান গড়ায় কেমন হবে মা-বাবার পদক্ষেপ, কেমন হবে সন্তানের শিক্ষাদান, কেমন হবে সন্তানের প্রতি মা-বাবার আচরণ -এই বিষয়গুলোর বিশ্লেষণমূলক জবাব নিয়ে রচিত ‘ফুটিয়ে তুলুন সুভাসিত ফুল’ বইটি।

    শিশুদের মাঝে অনুকরণ প্রবণতাটা অনেক বেশি। তাদের শুন্য মস্তিষ্কে যেটাই প্রবেশ করানো হয় গভীরে গেঁথে যায়। শৈশবে-কৈশোরে গেঁথে যাওয়া ভাবনার বীজগুলো তাদের বেড়ে উঠার সাথে সাথে অঙ্কুর রূপে গজাতে থাকে। যার ফলদান অব্যাহত থাকে গোটা জীবনভর।
    সর্বত্র যখন ফিতনা ফাসাদের জয়জয়কার। শতমূখী ফিতনার ছড়াছড়িতে যখন শিশুদেরকে সুশিক্ষায় গড়ে তোলা অসাধ্য প্রায়। এমতাবস্থায় মা-বাবার সঠিক দিকনির্দেশনার জন্য এই আয়োজনটি ছিল সময়ের দাবি। সে প্রয়োজন মেটাতে বইটি সত্যিই অসাধারণ। শিশুদের সুস্থ মনন গঠনে, সঠিকভাবে লালন-পালনে অভিভাবকদের দারুণ কাজে দিবে ইনশাআল্লাহ।

    প্রকাশিত শর্ট পিডিএফ পড়েছি আলহামদুলিল্লাহ! পড়েছি, আর মুগ্ধ হয়েছি।
    শুরুতে থাকা অনুবাদকের কথায় সন্তানের জীবন গঠনে শৈশবে তাকে দ্বীনি শিক্ষাদানের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষিত হয়েছে। এরপর উপমারূপে একটি বাস্তব নিদর্শন আলোচনা বিষয়টি আমাদের কাছে আরও স্পষ্ট করে তোলে।
    মূল আলোচনা পাঁচটি পরিচ্ছেদে ভাগ করা হয়েছে। গর্ভধারণ ও জন্মগ্রহণের প্রাথমিক স্তর সম্পর্কে প্রথম পরিচ্ছেদ। দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ প্রথম দুই বছর সময়কালীন নির্দেশনা, তৃতীয় পরিচ্ছেদ ২ থেকে ৬ বছর সময়কালীন ও চতুর্থ পরিচ্ছেদে বিদ্যালয় স্তর অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষার সময়কালীন নির্দেশনাগুলো পর্যালোচনা হয়েছে। পঞ্চম পরিচ্ছেদ শিশুমনে ঈমানের বীজ বপনকারী কিছু বই নিয়ে। সবশেষে রয়েছে একটি পরিশিষ্ট। এতে শিশুর জীবন গঠনের সার্বিক কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
    স্পষ্টতই অনুধাবনীয় – বইটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং চমৎকার! একজন শিশুর সুন্দর, চমৎকার জীবন গঠনে অভিভাবকদের জন্য বইটি কতটা কার্যকরী!

    আমাদের অভিভাবক সমাজের অবস্থা বড়ই হতাশাজনক। আরও হতাশ হই শিশুদের জন্য প্রকাশিত পাঠ্যপুস্তকগুলো দেখে। অপ্রয়োজনীয় তো বটেই, ছড়া-কবিতার মাধ্যমে ভুল মেসেজও কোমলমতি শিশুদের মনে গেঁথে দেয়া হয়। শিশুদের সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মা-বাবার সচেতন পদক্ষেপ। বর্তমান সময়ের সংকটময় মুহূর্তে প্রয়োজন সন্তানের ব্যাপারে মা-বাবার সঠিক সিদ্ধান্ত এবং সচেতনতা। মা-বাবার একটি সিদ্ধান্ত সন্তানের গোটা জীবনের উপর প্রভাব ফেলে। একটি সিদ্ধান্তই নির্ভর করে সন্তানের ভবিষ্যৎ কেমন হবে,তার জীবন কেমন কাটবে। সন্তানের উপর মা-বাবার দায়িত্ববোধ কেমন হওয়া উচিৎ, সন্তানকে কীভাবে লালন-পালন করলে তাঁর কল্যাণ হবে, তাকে কোন শিক্ষা দিতে হবে, তাকে কোন জিনিস থেকে বিরত রাখতে হবে, কেন বিরত রাখতে হবে, কীভাবে রাখতে হবে এর একটি সামগ্রিক ধারণা আমরা বইটিতে পাব, ইনশা-আল্লাহ!

    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  4. 5 out of 5

    Md Arif:

    ◾ফুটিয়ে তুলুন সুবাসিত ফুল◾

    ছোট ছেলেমেয়েদের যে কাদামাটি বলা হয় কথাটা একশ শতাংশ সত্য । তাদেরকে ছোটবেলায় ঠিক যেভাবে গড়ে তোলা হবে বড় হলে সে ঠিক তেমনই হবে। এর বড় এক প্রমাণ আমাদের বর্তমান বিশ্ব। বর্তমানে আমরা যেহেতু ইসলাম হতে দূরে, আমাদের শিশুরাও তাই ইসলাম হতে দূরে । কারণ আরেকটি চমৎকার উক্তি থেকে আমরা জানি শিশুরা আমাদের অনুসরণ করে না, তারা আমাদের অনুকরণ করে। আমরা ইসলামবিমুখ থেকে , শিশুদের ইসলাম না শিখিয়ে অনেকে আশা করি যে তারা বড় হলে ইসলামের পথে থাকবে। আমরা মুসলিমরা বর্তমানে পিছিয়ে থাকাও অন্যতম কারণ এটি। এসব বিষয়ের উপর দৃষ্টি রেখেই সাওযান বিনতে মুস্তফা বুখাইত এর লেখা বই ফুটিয়ে তুলুন সুবাসিত ফুল।

    শিশুদের কীভাবে একদম মায়ের গর্ভ থেকে ধাপে ধাপে গড়ে তুলতে হবে সবকিছু খুবই সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে পাঁচটি অনুচ্ছেদ ও একটি পরিশিষ্টের মাধ্যমে । অনুচ্ছেদগুলো হচ্ছে,
    1) গর্ভধারণ ও জন্মগ্রহণের প্রাথমিক স্তর
    2) প্রথম দুই বছর
    3) শৈশবকাল (দুই বছর থেকে ছয় বছর পর্যন্ত)
    4) বিদ্যালয়ে যাওয়ার স্তর (ছয় বছর থেকে তার উপরে)
    5) শিশুমনে ইমানের বীজ বপনকারী কিছু বই

    শিরোনামগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতটা ধাপে ধাপে সাজিয়ে বইটি লেখা হয়েছে । কখন কি করতে হবে, কি শিখাতে হবে , মা বাবার কি কি দায়িত্ব, বর্তমানের সমস্যা থেকে তাদের দূরে রাখা, আচার আচরণ শেখানো সবকিছু ইসলামের আলোকে তুলে ধরা হয়েছে । এক কথায় বলতে গেলে বইটি শিশুদের ইসলামের আলোকে গড়ে তোলার এক চমৎকার লিখিত ফর্মুলা। সকল পিতা মাতার উচিত বইটির আলোকে তাদের সন্তানদের গড়ে তোলা।

    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  5. 5 out of 5

    Robin:

    আমরা প্রায় সময় বলে থাকি, “আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যত”।
    আসলে আমরা খুব সহজে এই কথাটি বলে থাকি। তবে এর বাস্তবতা অনেকটাই কঠিন। আমরা আমাদের শিশুদেরকে ভবিষ্যতের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য কতটুকু চেষ্টা করেছি? কয়টা পরিবার-ই বা আছে, যে তারা শিশুদেরকে আগামীর উপযোগী করে গড়ে তুলতে সঠিক পন্থায় পরিচর্যা করছে?
    ছোট থেকেই সঠিক পরিচর্যা না করার ফলে ভবিষ্যতের ফল খারাপ দিকে চলে যায়।
    যেই সন্তান আমাদের জন্য সোওয়াব মাধ্যম হওয়া উচিৎ কিন্তু হয়ে পড়ে বিপরীত।
    আমরা যদি আমাদের সন্তানদেরকে ভ্রূণ থেকেই সঠিক পন্থায় পরিচর্যা করি, এই সন্তানই একদিন সুবাসিত ফুল হয়ে জগদ্বাসীকে মোহিত করবে।
    সন্তান কে ছোট থেকেই শেখাতে হবে দ্বীনি জ্ঞান,
    ছেলে সন্তান কে শেখাতে হবে, পৌরুষ,গাইরত-আত্মমর্যাদাবোধ। মেয়ে সন্তান কে ইফফত-সচ্চরিত্রতা আর হায়া-শরম।
    মুসলিম বাবা-মা হিসেবে কখন থেকে বাচ্চাকে ইসলাম সম্পর্কে ধারনা দিবো? এজ আর্লি এজ পসিবল।
    মনে হতে পারে বাচ্চা বুঝবে না, কিন্তু ব্রেইন ঠিকই ক্যাচ করে নিবে।
    একটা রাফ গাইডলাইন আছে এখানে বাচ্চার ১৮-৩৬ মাস বয়সী হলেই এই কাজ গুলি শুরু করে দিবেন ইনশা আল্লাহ।

    আকিদাহ,ডেইলি দুআ,কুরআন,আখলাক,সিরাহ্,ইবাদাহ এই গুলা সম্পর্কে সন্তান কে ছোট থেকেই বোঝাতে হবে।

    – বাচ্চাকে ভালো মুসলিম হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। ইনশা আল্লাহ্ – আমাদের মৃত্যুর পর সন্তানের সুকর্ম আমাদেরই সাদকায়ে জারিয়া হিসেবে আমাদের আমলনামায় যুক্ত হবে!

    ফুটিয়ে তুলুন সুবাসিত ফুল বইটি পড়লে সন্তান লালন-পালন সহ সুন্দর আগমীর জন্য সুন্দর ভবিষ্যতে গড়ে তোলা যাবে ইনশা আল্লাহ।

    বইটি পাঠক মহলের জন্য ইনশা আল্লাহ বড় উপকার বয়ে আনবে।
    বইটি পড়লে সঠিক ভাবে সন্তান লালন-পালন এর অনেক উপায় জানা যাবে।

    সুবাসিত ফুল হিসেবে গড়ে তোলা যাবে ইনশা আল্লাহ।
    .
    একটি প্যারেন্টিং বিষয়ক বই হলেও এর অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি বয়স ধরে ধরে করণীয় বিষয়গুলো তুলে এনেছে। প্রথম দুই বছর বাচ্চাদের কী শেখাবেন, দুই থেকে ছয় বছর পর্যন্ত কী কী শেখাবেন, ছয় থেকে পরের বছরগুলো কী কী শেখাবেন, ক্রমান্বয়ে লেখক আলোচনা করেছেন। শিশুমনে ঈমানে বীজ বুননে, ইসলামের শিক্ষায় শিক্ষিত করতে এই বই একটি গোছালো গাইডলাইন দেবে মা-বাবাদের ইনশা আল্লাহ।

    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
Top