ফিতনার যুগে মুক্তির পথ
তাহকীকঃ শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রহ.
অনুবাদঃ মাওলানা যায়েদ আলতাফ
যারা ভয়ংকর এ ফেতনা-ফাসাদের যুগে মুক্তি পথের দিশা পেতে চায়, উত্তম পথ ও পাথেয় আশ্রয় করে নিজেদের গড়ে তুলতে চায়, জীবনকে কল্পনার মতো সুন্দর ও সফল করতে চায়, আত্মার অনাবিলতা ও চিন্তার শুভ্রতা লাভ করে স্রষ্টার প্রেমে বিলীন হতে চায়, তাদের জন্য এই বইটি হতে পারে সর্বোত্তম সহযোগী ও আদর্শ দিশারী । এই বইটি তাদের মাঝে সত্যোপলব্ধি ও শুদ্ধ বোধ সৃষ্টি করবে, তাদের আত্মশুদ্ধি ও পরকালের চিন্তায় ব্যাকুল করে তুলবে।
এটি পড়ে তারা জানতে পারবে একজন মুমিনের জীবনের আসল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী, নিজেকে সংশোধনের পদ্ধতি কী, চিরস্থায়ী সফলতা ও মুক্তির চাবিকাঠি কী, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপায় কী?
মুমিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এ প্রশ্নগুলোরই উত্তর দেওয়া হয়েছে বড় অকৃত্রিম মমতায় ও পরম বিশ্বস্ততায়। বইটির পাতায় পাতায় । পূর্ববর্তীদের সুরভিত জীবনের সুরভিও ছিটানো রয়েছে এর মখমলকোমল রচনায়। শব্দের মূর্ছনায়। আবেগের ব্যঞ্জনায়।
তাই ভয়ংকর ফেতনা-ফাসাদের এ যুগে, সর্বত্র চারিত্রিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের রমরমা এ বাজারে, আষ্টেপৃষ্টে জড়ানো বস্তুবাদি চিন্তার দূষিত এ কালে বইটি
`রিসালাতুল মুসতারশিদিন’ হিজরি তৃতীয় শতাব্দিতে রচিত হেদায়াত অনুসন্ধানীদের পথ ও পাথেয় বিষয়ক একটি অমর গ্রন্থ। লিখেছেন খাইরুল ‘কুরুন’ বা ইসলামের শ্রেষ্ঠ যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী ইমাম হারেস আল মুহাসেবী রহিমাহুল্লাহ ।
ইলম, ইখলাস, তাকওয়া, পরহেযগারী, আত্মশুদ্ধি, তাসাউউফ ও দুনিয়াবিমুখতায় তিনি ছিলেন এক মহান ব্যক্তিত্ব। মানুষের ইহকাল ও পরকালের মুক্তির কথা চিন্তা করে রচনা করেছেন বহু মূল্যবান গ্রন্থ। ‘রিসালাতুল মুসতারশিদিন’ তার সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ। উম্মাহর জন্য রেখে যাওয়া এক অমূল্য সম্পদ। এর প্রতি ছত্রে ছত্রে ও পরতে পরতে পাঠক এ কথাটির প্রমাণ পাবে। বইটি পাঠককে শুধু মুগ্ধই না বিমোহিত করবে।
-
-
featureচিন্তাপরাধ
লেখক : আসিফ আদনানপ্রকাশনী : ইলম হাউজ পাবলিকেশন190 ৳পৃষ্ঠা - ১৯২ 'যতক্ষণ সাম্রাজ্যের সার্বভৌমত্ব স্বীকার ...
-
hotআল্লাহর প্রতি সুধারণা
লেখক : ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়াপ্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন175 ৳129 ৳জাবের রদ্বি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ...
-
hotশিকড়ের সন্ধানে
লেখক : হামিদা মুবাশ্বেরাপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন430 ৳314 ৳পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৯৬ টি কভার: পেপার ব্যাক ‘Know ...
-
hotগল্পগুলো অন্যরকম
লেখক : সিহিন্তা শরীফা, আনিকা তুবা, আফিফা আবেদিন সাওদা, আরমান ইবন সোলাইমান, আরিফ আজাদ, আরিফ আবদাল চৌধুরী, আরিফুল ইসলাম, আলী আবদুল্লাহ, জাকারিয়া মাসুদ, নুসরাত জাহান, মাহমুদুর রহমান, যাইনাব আল-গাযি, শারিন সফি, শিহাব আহমেদ তুহিন, শেখ আসিফ, সাদিয়া হোসাইন, সানজিদা সিদ্দীক কথাপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন350 ৳255 ৳জীবনের কাছে মাঝে মাঝে গল্পও তুচ্ছ ...
-
hotহিউম্যান বিয়িং শতাব্দীর বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব
লেখক : ইফতেখার সিফাতপ্রকাশনী : নাশাত220 ৳161 ৳সম্পাদক : মুহাম্মাদ আফসারুদ্দীন পৃষ্ঠাসংখ্যা : ১৬০ বাঁধাই ...
-
save offসাইকোলজি ইসলামি দৃষ্টিকোণ
লেখক : ড. আইশা হামদানপ্রকাশনী : সীরাত পাবলিকেশন350 ৳259 ৳অনুবাদ: সিফাত-ঈ-মুহাম্মদ সম্পাদনা: ডা. শামসুল আরেফীন পৃষ্ঠা সংখ্যা: ...
-
save offশয়তান যেভাবে ধোঁকা দেয় (তালবিসে ইবলিস)
লেখক : আল্লামা ইবনুল জাওযী (রহঃ)প্রকাশনী : দারুল আরকাম700 ৳385 ৳ভাষান্তর : মুফতি আবু সাআদ পৃষ্ঠা : ৪৮০ দ্বিতীয় ...
-
hotজিন ও শয়তানের জগৎ
লেখক : ড. উমার সুলায়মান আল আশকারপ্রকাশনী : সীরাত পাবলিকেশন280 ৳210 ৳জিন, শয়তান—এই দুটো বিষয় নিয়ে আমাদের ...
-
hotতিনিই আমার রব (২য় খণ্ড)
লেখক : শাইখ ড. রাতিব আন-নাবুলুসিপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন275 ৳201 ৳সম্পাদনা : উস্তায আবুল হাসানাত কাসিম, ...
-
Talha – :
আয়েশা সিদ্দিকা – :
পার্থিব জীবনের পিছে ছুটে, পাপ পঙ্কিল এই সমাজে বাস করে আমাদের অন্তরগুলো দূষিত হয়ে পড়ছে।ধ্বংসাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। আমরা অনেকেই এই থেকে উত্তরণ চাই। আত্মাশুদ্ধি লাভ করতে চাই। মুক্তির দিশা পেতে চাই।
সবচেয়ে উত্তম বাণী হলো আল্লাহর কিতাব, উত্তম আদর্শ হল মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ, নিকৃষ্ট বিষয় হলো নবউদ্ভাবিত বিষয়। আর তোমাদেরকে যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে তা অবশ্যই ঘটবে। তোমরা তা ব্যর্থ করতে পারবে না।
ইমাম শাফেয়ি র.বলেন,বিদআত দুই প্রকার
১. প্রশংসনীয় বিদআত
২. নিন্দনীয় বিদআত
যা সুন্নতের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে তা প্রশংসনীয়।আর যা সুন্নতের বিপরীত হবে তা নিন্দনীয়।
জ্ঞানী ও নেক লোকদের বেঁচে থাকার গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্যসমূহের মধ্যে একটি হচ্ছে নেককারদের সাহচর্য লাভ করা কিংবা তাদের শিক্ষণীয় ও উপদেশ মূলক ঘটনাবলি শোনা, অথবা তাদের জীবনচরিত অধ্যয়ন করা।তাদের নিকট পার্থিব জীবন শুধু এ কারণে পছন্দনীয় যে, তারা তাতে উত্তম গুণাবলিসমূহে অর্জন, নেক আমল বৃদ্ধি ও পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করতে পারে।
পাঠ্যানুভূতিঃ
গ্রন্থটির ভুমিকা খুব সুন্দর করে গ্রন্থটি সম্পর্কে সার্বিকভাবে ধারণা দেওয়া হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ। গ্রন্থটি মোট ৪৪৮ পৃষ্ঠার। সূচিপত্রের ভুমিকা সহ মোট ৩০টি পার্ট।সূচিপত্রে চোখ বুলাতে যেন পড়ার আগ্রহ আরো বেড়ে গেল।
ফিতনা আমাদের কাছে একটি পরিচিত নাম।
ফিতনা দুই প্রকার। আমলী ফিতনা এবং ইলমী ফিতনা।
আমাদের মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,শেষ যুগ হবে ফিতনার যুগ।আমরা সেই যুগে পা রেখেছি।অথচ আমরা সেই ফিতনার ব্যাখা আমরা জানিনা। আমাদের চোখের সামনে নানা ধরনের ঘটনা ঘটছে।তা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।
গ্রন্থটি কেন পড়বেনঃ
“ফিতনার যুগে মুক্তির পথে” গ্রন্থটি কুরআন হাদিসের আলোকে অতন্ত্য সাবলীলভাবে ব্যাখা দিয়েছেন। অনেক অজানা তথ্য নিখুঁতকভাবে আলোচনা করা হয়েছে। যারা সীমাহীন জুলুম -অত্যাচারের শিকার হয়েও বেছে নিয়েছেন প্রিয় নবীজির পথ-পন্থা,আকড়ে আছে তার অনুপম আদর্শ। নিখুঁতভাবে এই আদর্শ গুলো জানতে অবশ্যই গ্রন্থটি পড়তে হবে।
গ্রন্থটি কাদের জন্যঃ
সকল বয়সী নারী-পুরুষ বইটি পড়ে উপকৃত হবেন বলে আশা করছি। বিশেষ করে যারা দ্বীনি ব্যাপারে গাফলতি করছেন তাদের একবার হলেও বইটি পড়া উচিত।
মন্তব্যঃ
আমি গ্রন্থটি সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি। বইটির লেখক, সম্পাদক এবং প্রকাশনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আল্লাহ কবুল করে নিক এবং ইসলাম এবং মুসলমানদের জন্য তাদের এহেন কাজ আল্লাহ সুবহানাহু তায়া’লা সদগায়ে জারিয়া হিসেবে কবুল করে নিক।
Md Ashik Ali – :
ইমাম আবু যু’আ এর নিকট হারেস মুহাসেবি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,সাবধান! তোমরা তার কিতাবাদি থেকে দূরে থাকবে।এ সকল কিতাব বিদয়াতে টইটম্বুর। (তালবিসে ইবলিশ,পৃঃ ২৮১)
ফারহানা আকতার – :
‘জেনে রাখো, সত্যের নিকটবর্তী কোনো রাস্তা এবং ইলমের চেয়ে সফল কোনো প্রমাণ এবং তাকওয়ার চেয়ে বড় কোনো পাথেয় নেই।’
★লেখক পরিচিতি-
—————————–
আবু আব্দুল্লাহ হারেস বিন আসাদ মুহাসেবি ইরাকের বসরা শহরে ১৬৫ হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেন। এবং ইন্তেকাল করেন ২৪৩ হিজরিতে। তিনি যুগের ইমাম, আল্লাহর মারেফাত তথা পরিচয় লাভকারী মহান বুজুর্গ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি মুহাদ্দিস ইয়াযিদ ইবনে হারুন এবং তার সমসাময়িকদের থেকে হাদিস বর্ণনা করেন। ইমাম শাফেয়ী রাহিমাহুল্লাহ- এর কাছেও পড়েছেন। তিনি একজন ইবাদতগুজার, দুনিয়াবিমুখ সুফি, ফকিহ, উসুলবিধ, যুক্তিবাদী, ক্রন্দন উদ্রেককারী বক্তা ও মুহাদ্দিস ছিলেন । শাইখ ইমাম জাহেদ কাওসারি রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ইমাম গাযালি রহিমাহুল্লাহ এর উপর ইমাম মুহাসেবি রহিমাহুল্লাহ এর প্রভাব রয়েছে।
★বই_পর্যালোচনা–
————————–
‘রিসালাতুল মুসতারশিদিন’ গ্রন্থের বাংলা অনুবাদ ‘ফিতনার যুগে মুক্তির পথ ‘। বাংলায় এটি এই কিতাবের প্রথম অনুবাদ। প্রায় হাজার বছরের প্রাচীন এই গ্রন্থটির অনুবাদের কাজ করেছেন জায়েদ আলতাফ। এর ভূমিকা, প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা ও টীকা সংযোজন করেছেন আরবের প্রথিতযশা হাদিসবিশারদ বিশ্ববিখ্যাত আলেমে দ্বীন আল্লামা আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রহিমাহুল্লাহ। নিঃসন্দেহে কুরআন সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ। অন্তরের মহৌষধ। ফিতনার যুগে মুক্তির পথ গ্রন্থে মানুষের অন্তরের বিভিন্ন রোগ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনার পাশাপাশি রয়েছে শরিয়ত মোতাবেক সুন্দর সমাধান এবং বিভিন্ন বুজুর্গ ব্যক্তিদের ঘটনাবলি। এখানে ইসলামের মহান ব্যক্তিদের জীবন থেকে বিভিন্ন হৃদয়বিদারক ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে যা আপনার অন্তরকে বিদীর্ণ করে দিবে। ইমাম শাফেয়ী, ইমাম আহমেদ, আল্লামা ইবনে তাইমিয়া, হাসান বসরি রহমাতুল্লাহি আলাইহি, ইবনুল কায়্যিম রহিমাহুল্লাহ, ইমাম ইবনুল জাওযি রহিমাহুল্লাহসহ প্রমূখ বিখ্যাত ব্যক্তিদের নানাবিধ ঘটনা রয়েছে এই গ্রন্থে। ‘ফিতনার যুগে মুক্তির পথ ‘ মূলত আত্মশুদ্ধিমুলক গ্রন্থ। এখানে হালাল-হারাম সম্পর্কে যেমন আলোচনা করা হয়েছে তেমনি সুখ-দুঃখ, সচ্ছলতা- অসচ্ছলতা সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে। তকদির আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত। তাকদিরের অকাট্য প্রমাণস্বরূপ তিনটি ঘটনা দেওয়া হয়েছে। আমরা রয়েছি ভুল পথে, দুনিয়া নিয়ে পড়ে থাকা জাতি। এই বইয়ের প্রতিটি লাইন আপনাকে এই কথাটি স্মরণ করিয়ে দিবে। একজন পাঠকের জন্য বিশেষ করে পাঠকের অন্তরের সমূহরোগের কার্যকরী ঔষধ হিসেবে বইটি অনবদ্য ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।
আমার মতো নগন্য পাঠকের কোনো ক্ষমতা নেই এই বইয়ের রিভিউ লেখার। তবুও অদক্ষ হাতে যতটুকু পেরেছি উপস্থাপন করেছি। লিখেছি শুধুমাত্র এই জন্য যাতে বইটির গুরুত্ব আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারি। বইটি পড়ে আমি অশ্রু সংবরণ করতে পারি নি। আল্লাহর প্রতি মহান বুজুর্গ ব্যক্তিদের ঈমানের ঘটনাবলী পড়ে আমি আমার ঈমানের দুর্বল দিকগুলো নির্ধারণ করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ। এখানে ইলমের গুরুত্ব, নিরবতার গুরুত্ব, উত্তম আখলাখের গুরুত্ব, তাকওয়া, সততা, ঈমান,জিকির ইত্যাদির গুরুত্ব এমন সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যা পাঠ করলে আপনার অন্তর নরম হবে। ইলম অনুযায়ী আমল বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ।
★মন্তব্য–
জীবনে অনেক বই পড়েছি এই গ্রন্থের মতো কোনো গ্রন্থ পাঠ করে এভাবে অশ্রু বিসর্জন করি নি। যেন নিজের ভুলগুলো আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো। এর প্রতিটি লাইন সমুদ্রের গভীর থেকে কুড়িয়ে আনা মনি-মুক্তোর মতন দামি। অন্তর ছুঁয়ে দিল। অনেক বই তো পড়েন এবার এই বইটি পড়ার আহ্বান। বিশ্বাস করুন এর মাঝে যা রয়েছে তা আপনাকে বদলে দিবে ইনশাআল্লাহ।
বই- ফিতনার যুগে মুক্তির পথ
লেখক- ইমাম হারেস মুহাসেবি রহিমাহুল্লাহ
অনুবাদক- যায়েদ আলতাফ
প্রকাশনায়- মাকতাবাতুন নূর
মুদ্রিত মূল্য- ৫০০ টাকা
বিক্রয় মূল্য- ৩৫০ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা – ৪৪৮
Ree Rumi – :
ফিতনা’ শব্দটি আরবি। এর অর্থ নৈরাজ্য, অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, অন্তর্ঘাত, চক্রান্ত, বিপর্যয়, পরীক্ষা প্রভৃতি। অভিধানবিদ আজহারি বলেন, ‘আরবি ভাষায় ফিতনার সামগ্রিক অর্থ পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
অর্থাৎ বর্তমান সময়টাই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ৷ পরীক্ষাটি হলো সত্যের পথে, আল্লাহর রাস্তায়, পাপাচার থেকে দূরে থাকার পরীক্ষা ৷
‘ফিতনার যুগে মুক্তির পথ’ নামক এই বইটিতে এমনই অসংখ্য ফিতনা থেকে মুক্ত থাকার উপায় বিশ্লেষণ করা হয়েছে ৷এ বিবৃতি করা হয়েছে এমন কিছু বিষয় যা আমাদের ঈমানকে আরো দৃঢ় করতে সহায়তা করবে ৷
‘ফিতনার যুগে মুক্তির পথ’ বইটি মূলত ‘রিসালাতুল মুসতারশিদিন’ গ্রন্হের অনুবাদ যেটি লিখেছিলেন ‘আবু আব্দুল্লাহ হারেস বিন আসাদ মহাসেবি ৷ তাঁর জীবনকাল ১৬৫-২৪৩ হিজরি ৷ লেখকের জন্ম ইরাকের বসরা শহরে, বসবাস করতেন বাগদাদে ৷ তিনি ছিলেন তার সময়ের জ্ঞানি ব্যক্তিদের অন্যতম একজন ৷ তাকে নিয়ে অসংখ্য অনুপম ব্যক্তিত্ব অনেক প্রশংসা বাণী করেছেন ৷ যেমন – ইমাম গাজালি র. বলেন, মুহাসেবি তাসাউফ শাস্ত্রে উম্মতের ইমাম ৷ আত্মাক ব্যাধি, ইবাদত ও আমল নষ্টকারী বিষয়ে যারা আলোচনা করেছেন, তাদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ৷ তার সমস্ত কথা হুবহু নকলের উপযুক্ত ৷ অসংখ্য বইয়ের রচয়িতা হলেন এই ইমাম মুহাসেবি র. ৷
বই থেকে চমৎকার কিছু লাইন তুলে ধরছি –
১. যে আল্লাহ তায়ালার নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে না, সে যেন নেয়ামত দূর হয়ে যাওয়া কামনা করে ৷
২. অত্যাচারী ব্যক্তি লজ্জিত হয়, যদিও মানুষ তার প্রশংসা করে ৷ যে অল্পে তুষ্ট , সে ক্ষুধার্ত থাকলেও ধনী; আর যে লোভী, সে ধনী হলেও গরীব ৷
৩. কোনো বান্দা সৎ হলে, আল্লাহ তায়ালা তার সৎকর্মের দ্বারা অন্যকে সৎ বানিয়ে দেন ৷ আর কোনো বান্দা অসৎ হলে, আল্লাহ তায়ালা তার অসৎকর্মের দ্বারা অন্যকে অসৎ বানিয়ে দেন ৷
৪. যতক্ষণ ভালো কাজের নিয়ত করতে থাকবে, ততক্ষণ ভালো ও কল্যাণের মাঝে থাকবে ৷
৫. আল্লাহ তায়ালা এমন এক সত্তা যাকে তুমি যখন ইচ্ছা চুপিসারে ডাকতে পারো ৷ যার কাছে তুমি তোমার যা ইচ্ছা তা প্রার্থনা করতে পারো ৷ কেউ জানে না, তোমার এমন গোপন কথাও তুমি তাঁর সঙ্গে বলতে পারো ৷ তিনি তাঁর হেকমত ও দয়ার মাধ্যমে যখন ইচ্ছা, যেভাবে ইচ্ছা তোমার ডাকে সাড়া দেবেন ৷
৬. বান্দার প্রতি কদমে হয় নেকি কিংবা গুণাহ লেখা হয় ৷
পরিশেষে বলব, বইটি আমার নিজের বেশ পছন্দ হয়েছে, ভালো লেগেছে ৷ আপনারাও বইটি দ্রুতই সংগ্রহ করে ফেলুন এবং পড়ুন ৷
‘পড়ুন আপনার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন'( সূরা আলাক-আয়াত ১ )