মেন্যু
filistin beche thakar lorai

ফিলিস্তিন: বেঁচে থাকার লড়াই (পরিমার্জিত বর্ধিত সংস্করণ)

পৃষ্ঠা : 240, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : বর্ধিত সংস্করণ: নভেম্বর, ২০২০
অনুবাদ : মানসূর আহমাদ ও মাহদি হাসান সম্পাদনা : মুফতি মুহিউদ্দীন কাসেমী (বর্ধিত অংশ) ফিলিস্তিন। একটি আহত, ক্ষতবিক্ষত দেহ। লাখো শ্বাপদের দল যে শরীর খুবলে নিয়েছে তাদের হিংস্র নখর দিয়ে। . জেরুসালেম। এক কালের... আরো পড়ুন
পরিমাণ

255  350 (27% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
Get it on Google Play

18 রিভিউ এবং রেটিং - ফিলিস্তিন: বেঁচে থাকার লড়াই (পরিমার্জিত বর্ধিত সংস্করণ)

5.0
Based on 18 reviews
5 star
100%
4 star
0%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    maeshamonowara:

    🍂 বইঃ ফিলিস্তিন :বেঁচে থাকার লড়াই🍂
    লেখকঃ ড. রাগিব সারজানি

    🌿প্রারম্ভিকা:
    “যারা সামথ্য থাকা সত্ত্বেও আমাকে দুর্দিনে সাহায্য করেনি তাদের কথা বাদই দিলাম, তবে তোমাদের কাছে আমার শেষ ওসিয়ত ও উপদেশ—ইসরাইলের কারাগারে আমার অসুস্থ বন্দি ভাইদের জুলুম-অত্যাচার ও সীমাহীন ব্যথা-বেদনার অন্ধকার ওই কারাপ্রকোষ্ঠে ফেলে রাখতে দিওনা। তোমাদের কাছে আমার আকুল আবেদন- ইসরাইলের কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্ত করে আমার প্রতি রহম করো তোমরা।”

    ইসরাইল দখলদার বাহিনীর এক সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার অভিযোগে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর থেকে বাসসাম আল-সায়েশ-এর স্ত্রীকে আটক করে ইসরাইল।বন্দি স্ত্রীকে দেখতে এসে কারারুদ্ধ হন তিনি। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর ৪৭ বছর বয়সী বাসসাম আল-সায়েশ অত্যাচার নির্যাতনে বিনা চিকিৎসা ও অবহেলায় কারাগারেই ইন্তেকাল করেন। রক্তসল্পতা, বোন ক্যান্সার ও হার্টের সমস্যা জর্জরিত এ ফিলিস্তিনি কারাগারে পায়নি কোনো চিকিৎসা।

    এ চিঠির ভাষাই বলে দেয়, ইসরাইলের অন্ধকার কারাপ্রকোষ্ঠে অত্যাচার-নির্যাতনে মৃত্যুর অপেক্ষায় আছে সংখ্যা না জানা ফিলিস্তিনি বন্দি। যারা বাসসাম আল-সায়েশের মতোই অপেক্ষা করছে করুণ মৃত্যুর।তাদের জন্য কি সত‍্যিই আমার বা আপনার কিছু করার নেই ?কী দায়িত্ব তাদের প্রতি আমাদের? এ প্রশ্নগুলোর যথাযথ উত্তর প্রদানের জন্যই “ফিলিস্তিন :বেঁচে থাকার লড়াই”বইটির জন্ম।

    🌿শর্ট পিডিএফ এর আলোকে বই আলাপন:
    বায়তুল মোকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসা মুসলমানদের প্রথম কেবলা। এখন আর তা মুসলমানদের হাতে নেই। যে মসজিদে দিনে পাঁচবার আজানের আওয়াজে গুঞ্জরিত হতো, দীর্ঘ আট শ বছর পর সেখানে আজান বন্ধ হয়ে গেছে। মসজিদুল আকসা আজ অভিশপ্ত ইহুদিদের নিয়ন্ত্রণে। কমপক্ষে এক লাখ নবী-রাসুলের স্মৃতিবিজড়িত ফিলিস্তিন আজ ইহুদিদের শিকারে পরিণত হয়েছে। তাদের বর্বরতা আজ অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ঘরবাড়ি ছিনিয়ে নিচ্ছে জালিম ইহুদিগোষ্ঠী। মুসলিম মা-বোনদের সম্ভ্রম লুটে নিচ্ছে তারা। মানবতা সেখানে প্রশ্নবিদ্ধ। মানবাধিকার সেখানে ভূলুণ্ঠিত। নিঃসন্দেহে এটি মুসলিম বিশ্বের জন্য বড় ট্র্যাজেডি। উমর ইবনুল খাত্তাব(রা:) এর শাসনামলে মুসলিমরা ফিলিস্তিন জয় করে।কিন্তু কালের বিবর্তনে আজ এই পবিত্র ভূমি জায়নবাদী ইহুদিদের দখলে।আর বসবাসরত মুসলিমদের উপর প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে নিপীড়ন ও নির্যাতন। এই অত‍্যাচার,জুলুম আর নির্যাতনের বিপক্ষে প্রতিনিয়ত চলছে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের বেঁচে থাকার লড়াই।

    ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের এই বেঁচে থাকার লড়াইয়ে একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের দায়িত্ব কর্তব্য,ও করনীয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে “ফিলিস্তিন :বেঁচে থাকার লড়াই”বইটিতে।বইটিতে আলোচিত হয়েছে,একজন মুসলিম হিসেবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফিলিস্তিনের জন্য আমরা কী করতে পারি।এছাড়াও,লেখক এ বইটিতে আমাদের ভুল পদক্ষেপগুলোর ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন পাশাপাশি প্রকৃত সমাধানগুলো কী হতে পারে তাতে আলোকপাত করেছেন।

    বইটিতে বর্তমানের বিধ্বস্ত, অসহায় ফিলিস্তিনের জন্য প্রত‍্যেক মুসলিমদের উদ্দেশ্যে ৬টি অবশ্য পালনীয় কর্তব্যের কথা বলা হয়েছে। এ ৬ টি কর্তব্য প্রকৃতপক্ষে আমাদের কাছে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ন‍্যায‍্য পাওনা,এ ৬টি কর্তব্য তাদের প্রতি আমাদের হক আদায়ের মাধ্যম।এই অধমের দ্বারা এই মহান কর্তব্যগুলো অসম্পূর্ণভাবে ব‍্যক্ত হবার আশঙ্কায় কর্তব্যগুলো লেখকের লেখনীর মাধ‍্যমে পরিপূর্ণরূপে জানার ও বুঝার আহ্বান জানাচ্ছি প্রিয় পাঠককে।

    🌿লেখক ও অনুবাদক পরিচিতি :
    বিশিষ্ট দায়ী, লেখক ও গবেষক ডক্টর রাগিব সারজানির “ফিলিস্তিন লান তাদী” এর অনুবাদগ্রন্থ ‘ফিলিস্তিন : বেঁচে থাকার লড়াই’।পাঠকের সুবিধার্থে লেখকের ফিলিস্তিন বিষয়ক অন্য বইয়ের কিছু অংশ সংযুক্ত করা হয়েছে। ভাষান্তর করেছেন প্রাজ্ঞ অনুবাদক মানসূর আহমাদ ও মাহদি হাসান।

    🌿বইটি (শর্ট পিডিএফ )পড়ে ব‍্যক্তিগত অনুভূতি :
    ফিলিস্তিনের ওপর যেসব বই রয়েছে বাংলাভাষায় সাধারণত সেসব বইয়ে ফিলিস্তিনের ইতিহাস, ইহুদি জাতির ইতিহাস, ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, ইহুদি-মুসলিম সংঘর্ষ, মুসলিমদের প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হলেও বিশ্বের অপরাপর মুসলিম ফিলিস্তিন ইস্যুতে কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে তা নিয়ে কোন সুনির্দিষ্ট করণীয় সম্পর্কে আলোচনা অনুপস্থিত থাকতে দেখেছি।এক্ষেত্রে এই বইটি ব্যতিক্রম। বইটির শর্ট পিডিএফ পড়ে ফিলিস্তিনের চিরায়ত সমস্যা ও সংগ্রাম সম্পর্কে অবহিত হয়েছি। অনুধাবন করেছি , ফিলিস্তিন সমস্যা শুধু আরবের নয়, পুরো মুসলিম বিশ্বের।আর ফিলিস্তিন ইস্যুতে একজন মুসলিম হিসেবে আমার দায়িত্ব,আমার করণীয় কী তার সম‍্যক ধারণা লাভ করেছি।
    শর্ট পিডিএফ পড়ে আমার অনুধাবন, বিশ্বের ঐ সকল খাঁটি মুসলিমদের জন্য এই বইটি দরকার যারা সত্যিই তাদের অত‍্যাচারিত, অসহায়,মজলুম ফিলিস্তিনি ভাইদের জন্য কিছু করতে চায়।

    🌿যা কিছু ভালো লেগেছে :
    বিষয়বস্তু অনুসারে বইটির গভীর অর্থবহ নামকরণ সার্থক হয়েছে। চমৎকার ভাষাশৈলী,সাবলীল অনুবাদ এবং আকর্ষণীয় বিন‍্যাস বইটিকে করেছে অনন্য।প্রচ্ছদটি খুবই চমৎকার এবং উন্নত রুচিশীলতার পরিচায়ক।সব মিলিয়ে বরাবরের মতোই চমৎকার একটি গ্রন্থ আমাদের উপহার দিয়েছে ‘মুহাম্মদ পাবলিকেশন’।
    মহান আল্লাহ্ লেখক,অনুবাদক,প্রকাশক ও এই বইটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ব‍্যক্তিবর্গের এ অনন্য প্রয়াস ও পরিশ্রমকে ইসলামের জন্য কবুল করে নিন।আমীন।জাযাকাল্লাহু খাইরান।
    পরিশেষে,
    শান্তি ফিরে আসুক ফিলিস্তিনে, আত্মপরিচয় ফিরে পাক লাখো ফিলিস্তিনি।প্রশান্তি পাক প্রতিটি ফিলিস্তিনি মুসলিম হৃদয়।আমীন।

    📚বই পরিচিতি📖 :
    বইঃ ফিলিস্তিন :বেঁচে থাকার লড়াই (পরিমার্জিত বর্ধিত সংস্করণ )
    লেখকঃ ড. রাগিব সারজানি
    অনুবাদঃ মানসূর আহমাদ ও মাহদি হাসান
    সম্পাদনাঃমুফতি মুহিউদ্দীন কাসেমী
    প্রচ্ছদঃ আবুল ফাতাহ মুন্না
    প্রকাশনায়ঃ মুহাম্মদ পাবলিকেশন

    2 out of 2 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    সিরাজুম মুনীরা:

    ফিলিস্তিন,হায়েনাদের বিষাক্ত থাবাতে ক্ষতবিক্ষত একটা মজলুম দেশ। নাম শুনলেই চোখে ভেসে আসে- আন্দোলন, সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতীক্ষা। সম্মুখভাগে সংগ্রাম করছে একদল যোদ্ধা। আর তাদের পেছনে আহতদের সেবার জন্য নাস/ ডাক্তার বা অ্যাম্বুলেন্স অপেক্ষা করছে।শহীদদের লাশ নেয়ার জন্য তাদের পরিবার অপেক্ষারত। ইসলামের প্রথম কিবলা। আর এখান হতেই রাসূল ﷺ মি’রাজের সূচনা ।আর এটাই হবে হাশরের মাঠ এবং একত্রিত হবার স্থান। সেই সম্মানিত স্থান আজ ববর ইহুদীরা জবরদখল করে ফিলিস্তিনিদের ঘর-বাড়ি ছাড়া করছে।বায়তুল মুক্বাদ্দাসে সালাত আদায়ে বাধা প্রদান করছে। অথচ আজ আমরা মুসলিম হয়ে সেই প্রথম কিবলা উদ্ধারে কোন তৎপরতা নেই। ইহুদীদের বুদ্ধি ভিত্তিক চক্রান্তের বিপরীতে ফিলিস্তিনকে উদ্ধারে কাযকর এবং বাস্তব পদক্ষেপ নেয়া দরকার। কিন্তু সেক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কী?
    সংক্ষিপ্ত পিডিএফ পড়ে জানতে পারলাম- ফিলিস্তিন নামক পবিত্র ভূমি উদ্ধারে আমাদের করণীয়।আমরা কেন ইহুদীদের বয়কট করব? পবিত্র ভূমিকে কেন আমরা উদ্ধার করব? এই ভূমির সাথে ইসলামের সম্পক কি?
    3 out of 4 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  3. 5 out of 5

    Kamrujjaman:

    ❖বই আলাপন:
    লেখক বইটিতে মূলতে ফিলিস্তিনকে কেন্দ্র করে, তার সাবলীল ভাষায় ফিলিস্তিনের সমস্যা ও সংগ্রাম, আমাদের করণীয়, আমরা কিভাবে তাদেরকে সহযোগিতা করতে পারি? তা সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

    ❖শর্ট পিডিএফ থেকে কিছু কথা
    ‘ফিলিস্তিন’ নামটির শুনলেই আমরা হৃদয়ের আবেগ উদ্বেলিত করি । যেন সে ভূমি সর্ম্পকে আমাদের জানার আগ্রহের রেশ জন্মলগ্ন থেকেই পাওয়া। ইসলামের ধর্মের আর্বিভাবের প্রথম দিকে রাসূল (স.) প্রথম বায়তুল আল-আকসাকে ঘিরেই সালাত আদায় করতেন। মুসলিমরাই ছিল ফিলিস্তিনের ক্ষমতাবান ও দয়ালু জাতি গোষ্ঠি। তারা একসময় ইহুদিদের সেখানে আশ্রয় দেয়। আর তারাই হলো মধ্যেপ্রাচ্যের কুখ্যাত ইসরাইল। তারা আজ কালের বিবর্তনে ফিলিস্তিনেদের ভিটে ছাড়া করছে। কোথায় আজ জাতিসংঘের মানবতা, আমার মুসলিমরাই তাদের জন্য কি ভূমিকা পালন করছি, কি ছিল আমাদের দায়িত্ব? কেন আমরা ফিলিস্তিনকে ভালোবাসবো, এ সংকটে আমাদের করণীয় কি? এ সম্পর্কে বিস্তারিত যারা জানতে চায়, তাদের জন্য বইটি অত্যন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ।

    ❖লেখক পরিচিতি:
    ড. রাগিব সারজানি পেশায় মূলত তিনি একজন ডাক্তার। তবে এর পাশাপাশি ইসলামিক ইতিহাসের গভীর গবেষণা বর্তমান পৃথিবীতে তিনি একজন বিশিষ্ট ইসলামি ইতিহাসবিদ হিসেবে পরিচিত। ইতিহাস ও ইসলামী গবেষণা বিষয়ে তার ৫৬টি মূল্যবান গ্ৰন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

    ❖ভালোলাগা:
    বইটির হার্ডকভার অত্যন্ত চমৎকার। কভারটি যেন বইটির মূলকথা বলে দেয়। আমার কাছে মনে হয় বইটি যেন বলে, আমার কভার পেজ দেখ, তুমি বই সম্পর্কিত সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে যাবে।ইনশাআল্লাহ সব সময়ের মতো মুহাম্মদ পাবলিকেশন থেকে সেরা একটি বই পাব বলে আশা করি

    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  4. 5 out of 5

    আরাফাত শাহীন:

    ফিলিস্তিন- শব্দটা শুনলেই আমরা বুকের গহীনে এক অন্যরকম আলোড়ন অনুভব করি। এটি এমন একটি জায়গা, যা মিশে আছে আমাদের সমগ্র অস্তিত্বে। এই ফিলিস্তিনের বুকে রয়েছে মুসলিমদের সর্বপ্রথম কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাস। ফলে সমগ্র মুসলিম জাতির সঙ্গে এর রয়েছে এক আত্মিক যোগাযোগ।
    ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমরের (রা.) সময় বায়তুল মুকাদ্দাস ও সমগ্র ফিলিস্তিন বিজিত হয়। এরপর বহু বছর ফিলিস্তিন মুসলিমদের অধিকারে থাকার পর একসময় ক্রুসেড শক্তি ফিলিস্তিন দখল করে নেয়। সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ূবী (রহ.) ফিলিস্তিনের বুকে আবার ইসলামি পতাকা উড্ডয়ন করেন। এভাবে নানান সময়ে নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে এসেছে ফিলিস্তিন নামক এই ভূখণ্ডটি। মুসলিম, খ্রিস্টান এবং ইহুদি- এই তিন সম্প্রদায়ের আবেগঘন জায়গার নাম ফিলিস্তিন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফিলিস্তিনের বুকে ইসরায়েল নামক ইহুদি রাষ্ট্র গড়ে ওঠে পশ্চিমাদের সক্রিয় সহযোগিতায়। সেই থেকেই আগুন জ্বলছে ফিলিস্তিনের বুকে।

    বই সম্পর্কে:
    প্রকাশনীর পক্ষ থেকে সংক্ষিপ্ত একটি পিডিএফ আমাদের কাছে পৌঁছানো হয়েছে। সেটা ভালোমতো দেখে বেশকিছু নতুন বিষয়ের সন্ধান পেয়েছি বইয়ে। ভূমিকাতে লেখক প্রথমেই ফিলিস্তিনের কথা বলতে গিয়ে আনদালুসের (বর্তমান স্পেন, পর্তুগাল) কথা বলেছেন। এবং তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেছেন, ফিলিস্তিনের বর্তমান অবস্থা যদি অপরিবর্তিত থাকে তাহলে তাদের অবস্থাও আনদালুসের মতোই হবে।
    লেখক আমাদের অর্থাৎ সর্বসাধারণের জন্য ফিলিস্তিন ইস্যুতে ছয়টি কর্তব্য পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    ১ম কর্তব্য:
    ফিলিস্তিন ইস্যুটাকে সঠিকভাবে বোঝা এবং এ ব্যাপারে মানুষের মাঝে দ্রুত চেতনা ও জাগরণ সৃষ্টি করা।
    ২য় কর্তব্য:
    মানসিক পরাজয়ের অবসান ঘটানো এবং মুসলিম উম্মাহর জাগরণ ফিরিয়ে আনতে আশার সঞ্চার করা।
    ৩য় কর্তব্য:
    সাধ্য অনুযায়ী (ফিলিস্তিনের জন্য) অর্থ-কড়ি ব্যয় করা এবং এ ব্যাপারে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা।
    ৪র্থ কর্তব্য: সকল ইহুদি, আমেরিকান, ইংরেজ এবং যেকোনো রাষ্ট্র ও কোম্পানি- যারা ইহুদিদের সমর্থন করছে, সবগুলোকে বয়কট করা।
    ৫ম কর্তব্য: মহান আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে একাগ্রচিত্তে দোয়া করতে থাকা।
    ৬ষ্ঠ কর্তব্য: ব্যক্তি ও সমাজকে পরিশুদ্ধ করা।

    মূল গ্রন্থে পয়েন্ট ধরে ধরে বেশকিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেগুলো হলো- জনমত তৈরি করা, আশার সঞ্চার করা, ধনসম্পত্তির মাধ্যমে সহযোগিতা করা, বয়কট করা, দোয়া, ব্যক্তি ও সমাজকে পরিশুদ্ধ করা, উলামায়ে কেরাম ও দাঈগণের কর্তব্য, তরুণ ও যুবকদের কর্তব্য, সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের কর্তব্য, শিক্ষকগণের কর্তব্য, নারীদের কর্তব্য, ফিলিস্তিনের জিহাদ সংক্রান্ত কিছু ফাতওয়া।

    বইটির বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য:
    ফিলিস্তিনের ওপর বেশকিছু বই রয়েছে বাংলাভাষায়। সে-সব বইয়ের কিছু পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তবে সাধারণত দেখা যায়, ফিলিস্তিন বিষয়ক বইকে একাডেমিক হিসেবে লেখা হয়েছে এবং সেখানে ফিলিস্তিনের ইতিহাস, ইহুদি জাতি, ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, ইহুদি-মুসলিম সংঘাত, মুসলিমদের প্রতিক্রিয়া, গেরিলা যুদ্ধ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এসব বিষয়ের সবগুলোই ওই অঞ্চলের মানুষের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু বিশ্বের অপরাপর মুসলিম ফিলিস্তিন ইস্যুতে কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে সে-সব নিয়ে কোনো কথা বলা থাকে না। এক্ষেত্রে এই বইটি ব্যতিক্রম। বইটির বিষয়বস্তু লক্ষ করলেই এটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

    কেন পড়বেন, ফিলিস্তিন : বেঁচে থাকার লড়াই?
    ড. রাগিব সারজানি মিশরে জন্ম নেওয়া একজন দরদী ইতিহাসবিদ। তিনি আমাদের ইতিহাসকে বড় দরদ নিয়ে উপস্থাপন করেছেন। আমি আগেই তার লেখার সঙ্গে পরিচিত। তাছাড়া বইটির বিষয়বস্তু আকৃষ্ট করার মতোই। ফিলিস্তিন বিষয়ের নানা প্রশ্নের জবাব পাওয়ার পাশাপাশি আমাদের করণীয় সম্পর্কেও জানতে পারবো।
    অনুবাদের মান খুবই ভালো মনে হয়েছে। আর মুহাম্মদ পাবলিকেশনের কাজের মান নিয়ে কোনো সংশয় নেই। সুতরাং চোখ বুঁজে বইটি সংগ্রহ করা যেতে পারে।

    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  5. 5 out of 5

    আব্দুর রহমান:

    ফিলিস্তিন মুসলিম উম্মাহ্’র জন্য একটি পবিত্র ভূমি। এর সাথে জড়িয়ে আছে মুসলিমদের প্রথম কিবলা আল-আকসা, রাসুল (স:) এর মিরাজের ঘটনা সহ অসংখ্য নবী-রাসূলগণের স্মৃতি। কিন্তু বর্তমানে ফিলিস্তিনের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় সেখানকার মুসলমানগণ বিভিন্নভেবে ইহুদীদের কতৃক নির্যাতিত। ইসরাইলীদের দ্বারা নির্যাতন, নিপীড়ন আর হত্যার আজ সেখানকার নিত্যনৈমিত্তিক চিত্র।
    কিন্তু সেসব এলাকার নির্যাতিত মুসলিমদের জন্য আমরা সর্বোচ্চ কি করতে পারবো। সেসব নিয়েই ড. রাগিব সারজানি লিখেছেন “ফিলিস্তিন লান তাদী” নামে এক অনন্য কিতাব। বিজ্ঞ অনুবাদক মানসূর আহমাদ কতৃক বাংলায় অনুবাদের পর যার নাম দিয়েছেন  “ফিলিস্তিন : বেচে থাকার লড়াই”।
    .
    ➤ কি আছে বইতেঃ-
    লেখক ড. রাগিব সারজানী ফিলিস্তিনের বর্তমান বিধ্বস্ত মুসলিমদের জন্য সমগ্র মুসলিমদের জন্য বইতে ৬টি অবশ্য পালনীয় কর্তব্য পালনের কথা বলেছেন। যথা-
    ১.জনমত তৈরী করা।
    ২.আশার সঞ্চার করা।
    ৩.ধন সম্পত্তির মাধ্যমে সহযোগিতা।
    ৪.বয়কট।
    ৫.দোয়া।
    ৬.ব্যক্তি ও সমাজকে পরিশুদ্ধ করা।
    বিভিন্ন শিরোনাম ও উপশিরোনামের মাধ্যমে উক্ত কর্তব্য গুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।
    .
    ➤ ব্যক্তিগত অনূভুতিঃ-
    এতদিন মনে করতাম আমি তো এক ছা পোষা মানুষ, আমি আবার এতদূরে অবস্থানরত ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য কি করতে পারবো। কিন্তু এই বইটি পড়ার পর বুঝতে পেরেছি আমার নিজ অবস্থানে থেকেই ফিলিস্তিনের মুসলিম ভাইদের জন্য অনেক কিছুই করতে পারি।
    .
    ➤ শেষ কথাঃ-
    পরিশেষে বলতে চাই আমরা মুসলমান। আমরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বীর ও সাহসী জাতি। তারপরও মুসলিমদের উপর এহেন নির্যাতনে আমরা নিশ্চুপ। তাই আসুন আমরা আমরা ফিলিস্তিনের বিধ্বস্ত মুসলিমদের জন্য নিজের অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ দায়িত্বটুকু পালন করি।
    2 out of 2 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
Top