মেন্যু
fatematuz zahra

ফাতেমাতুয যাহরা গল্প ও ইতিহাস

লেখক: আব্বাস মাহমুদ আল আক্কাদ , ড.আয়েশা বিনতে আবদুর রহমান অনুবাদক: শাহেদ হারুন পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২১৫ কোনো জাতির নেতা হিশেবে তখনি একজন নিযুক্ত হয়, যখন এমন কিছু গুণাবলীর অধিকারী, যা দ্বারা সে... আরো পড়ুন

Out of stock

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন

4 রিভিউ এবং রেটিং - ফাতেমাতুয যাহরা গল্প ও ইতিহাস

5.0
Based on 4 reviews
5 star
100%
4 star
0%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    Ausomapto Ashik:

    আলহামদুলিল্লাহ
    প্রিয় নবীর চার কন্যা গল্প ও ইতিহাস পরলাম।
    আমি একজন সামান্য পাঠক কিন্তু এর আগে কোন বই এত মনোযোগ দিয়ে পরেছি বল মনে হচ্ছে না। বইটি পড়ার সময় চোখ দিয়ে যে পানি গড়িয়েছে সেটার বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা আমাকে হেদায়েত দান করুন। চার কন্যারই অবদান ছিল অনেক বেশি।
    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    Sheikh Israt:

    বইয়ের প্রথমেই নাম শুনে বুঝতেই পেরেছেন নিশ্চয়..!
    যে কাকে নিয়ে লেখা এই বইটা..!
    হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন আমাদের প্রিয়নবী (স.) এর কনিষ্ঠ কন্যা ফাতেমা রা. কে নিয়ে লেখা এই বইটি।

    শুধুই কি ফাতেমা রা. এর কথায় কি আছে বইটাতে?

    না না..! একদমই না.. এখানে আমাদের প্রিয়নবী (স.) এর আরো ৩ কন্যার কথাও বলা হয়েছে।

    হযরত যয়নাব (রা.)
    হযরত রুকাইয়া (রা.)
    হযরত উম্মে কুলসুম (রা.)
    হযরত ফাতেমাতুজ যাহরা (রা.)..

    বইটির শুরুতেই ৪ কন্যার মূল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
    পরর্বতীতে রাসুল (স.) এর
    বড় মেয়ে যয়নাব রা. এর কথা বলা হয়েছে।
    তার জন্ম থেকে তার বিবাহ, রাসুল (স.) এর নবুয়ত প্রাপ্তি, যয়নাবের ইসলাম গ্রহণ, প্রিয় স্বামী আবুল আস এর অমুসলিম থেকে মুসলিম হওয়া, মা মারা যাওয়ার পর বোনদের খেয়াল রাখাসহ সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তুলেছেন যয়নাম(রা.) অধ্যায়টা। মক্কার কাফেরদের নিযার্তন সহ্য করে বাবার সাথে ইসলামের দাওয়াত দিতে যেতেন এই কন্যা পাশাপাশি তার সংসারের কথা ও তুলে ধরা হয়েছে।
    এই বইটি যদি ফাতেমা (রা.) কে নিয়ে লেখা কিন্তু আমার কাছে হযরত যয়নাবের অধ্যায়টা চমৎকার লেগেছে।

    আবুল আস অমুসলিম
    থাকলে ও যয়নাম কে তিনি প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন..
    এমনকি কুরাইশরা আবুল আস কে যয়নাব কে তালাক দিয়ে কুরাইশী সুন্দরী নারী কে বিবাহ করতে বলেন আর আবুল আস তা সুবাক্য প্রত্যাখ্যান করেন।

    দ্বিতীয় কন্যা রুকাইয়া (রা.) ও উম্মে কুলসুম (রা.) কথা বলা হয়েছে পরর্বতী ধাপে। এই দুই-বোন ছিলো অন্তরঙ্গ বান্ধবীর মতো।
    তাদের অনেক মিল ছিলো।
    কবি খুব সুন্দর ভাবে এই দু-বোনের সম্পর্ক নিয়ে অসাধারণ ভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

    এই দুই কন্যার বিয়ে হয় আবু লাহাব এর ২ ছেলের সাথে ওতবা এবং ওতাইবা।
    বিশ্বনবী (স.) এর নবুওয়ত প্রাপ্তির আগে তাদের বিবাহ হয়।
    এবং নবুওয়ত প্রাপ্তির পর আবু লাহাব ও তার স্ত্রী উম্মে জামিল ইসলামের বড় শত্রুতে পরিণত হয়।
    এমন কি শেষ অব্ধি তাদের দুই ছেলেকে এই আদেশ দেই তারা জেনো তাদের স্ত্রীদের তালাক দেন।এই তালাক দুখ বয়ে আনেনি।
    বরং এই তালাকে বিশ্বনবী (স.) ও খাদিজা রা. আল্লাহু শুকরিয়া আদায় করেন।

    এরপরই রুকাইয়া রা. এর বিয়ে হয় উসমান রা. এর সাথে।
    মুসলিমদের ওপর অত্যাচার তীব্র হলে বিশ্বনবী (স.) এর নির্দেশে উসমান রা. আর রুকাইয়া রা. সহ কিছু সংখ্যক মুসলিম হিজতর করেন হাবাসায়।

    বদর যুদ্ধর পর যে যখন মুসলিমরা বিজয় নিয়ে ফিরে আসেন মদিনাতে এসে দেখেন রুকাইয়া রা. ইন্তেকাল করেছেন কেমন ছিল এই সময়টুকু?

    এরপর একদিন উমর রা. হাজির হন বিশ্বনবী (স.) এর দরবারে নালিশ জানাতে, যে তার কন্যা হাফসা রা. কেউ বিয়ে করতে চাচ্ছেন না।
    উসমানের কাছে গেলে উসমান তা প্রত্যাখ্যান করে আর বলেনঃ ” আমি এখন বিয়ের ব্যাপারে ভাবছি না”..
    এতে উমর রা. ব্যাথিত হয়ে প্রিয় নবীর কাছে এসেছেন তখন প্রিয় নবী (স.) উত্তর দিলেন, উসমান কে বিয়ে করবে হাফসার থেকে ভালো মেয়ে আর আর হাফসা কে বিয়ে করবে উসমানের থেকে ভালো ছেলে..
    এই কথা বলে তিনি উম্মে কুলসুম এর সাথে উসমানের বিয়ে দিয়ে দেন।
    আর হাফসা রা.কে বিশ্বনবী নিজে বিয়ে করেন।

    বিয়ের পর উম্মে কুলসুমের কথা বেশি উল্লেখিত হয়নি।

    এর পরর্বতী ধাপে ফাতিমা রা. এর কথা বলা হয়েছে।
    কেমন ছিলো তিনি, তার বিয়েটা কি আমাদের সমাজেএ বিয়ের মতো ছিলো?
    না পাঠক মটেই না।
    তার বিয়ে কেমন ছিলো জানতে চাইলে আম্মাজান আয়িশা রা. থেকে বর্নণা পাওয়া যায়, আমি ফাতেমা (রা.) এর চেয়ে উত্তম আর সুন্দর বিবাহ আর দেখিনি।
    (ইবনে মাজাহ)

    তাদের সংসার কেমন ছিলো?
    তাদের দিন কি বিলাসিতায় যেতো? নাহ..! বইয়ের ১৭৩ নং পৃষ্ঠা তে [ হাতের কলে গম ভাঙতে গিয়ে তার হাত ব্যাথা হয়ে যেতো]..

    জান্নাতি নারীদের সর্দারনীরহওয়ার শর্তেও তাকে বিভিন্ন ভাবে সংসারের কাজ করতে হয়েছে..

    আমরা অনেকেই এই মহান চার কন্যার সম্পর্কে জানি না..
    কতইনা অসাধারণ ছিল তাদের ব্যক্তিত্ব..
    প্রিয় পাঠক আপনাকে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর কন্যাদের সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই বইটি পড়তে হবে.. আমি যতবারই বইটা পড়ি ততবারই আমার মন ছুঁয়ে যায়..

    কেমন ছিলো ৪ বোনের সম্পর্ক..! তাহলে অবশ্যই বইটি পড়ুন.. নবী কন্যারা তো সাধারন কন্যা ছিলেন না.. তাদের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব আর তাদের উদারতা তাদের ত্যাগ আপনাকে নতুন করে বাঁচতে শেখাবে.. শেখাবে কিভাবে একটা নারী দরিদ্রতার মধ্যে দিয়েও উত্তম প্রতিদান পেতে পারে।
    টাকা কখনো সুখ আনতে পারে না।
    দুঃসময়ে পাশে থেকে কিভাবে শ্রেষ্ঠ হওয়া যায়,তা ফাতেমা (রা.) ও আলি (রা.) থেকেই শিক্ষা পাবে যদি পাঠক তুমি এই বইটা পড়ো।

    জাযাকাল্লাহু..

    1 out of 1 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  3. 5 out of 5

    মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ বোখারী:

    অসাধারণ একটি বই।মানব জাতীর কল্যানে এমন বই প্রয়োজনীয়তার বিপ্লব ঘটানো উচিত।আলহামদুলিল্লাহ্‌।
    3 out of 4 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  4. 5 out of 5

    কামরুল ইসলাম ফরহাদ:

    বুক রিভিউ পড়ে বইটা কেনার প্রতি একটা টান অনুভব করছি। এমন একটা বই ই মনেপ্রাণে খুঁজছিলাম। আমার বড় আপু ফাতেমা বেগমকে উপহার দেয়ার জন্য। আশা করছি একটি অসাধারণ বই হবে এটি।
    3 out of 3 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No