মেন্যু
eso arbi shikhi

এসো আরবী শিখি (পেপার ব্যাক)

প্রকাশনী : দারুল কলম
কভার : পেপার ব্যাক
আমাদের দেশে আরবী শেখার জন্য বিগিনার লেভেলে যে বইটিকে প্রায় সব মাদরাসাতেই আদর্শ হিসেবে অনুসরণ করা হয়, এটা সেই বই। বইটির প্যাটার্ন হচ্ছে, প্রথমে সরাসরি ব্যাকরণে না গিয়ে ছোট্ট ছোট্ট... আরো পড়ুন
খন্ড নং Clear
পরিমাণ
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন

5 রিভিউ এবং রেটিং - এসো আরবী শিখি (পেপার ব্যাক)

5.0
Based on 5 reviews
5 star
100%
4 star
0%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    Zabir:

    এসো আরবি শিখি বইটা পড়ে আমি আল্লাহর রহমতে আরবীতে অনেক দক্ষতা অর্জন করেছি
    12 out of 13 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    abraramin2522005:

    একটা জিনিসকে যতবার আপডেট করা হয়, পূর্বের তুলনায় তার গ্রহনযোগ্য আরও বৃদ্ধি পায়। প্রথমবারে যত ভুল-ত্রুটি ও অসম্পূর্ণতা থাকে, আপডেট দেবার পর সেগুলো দূর হয়ে যাওয়ায় মানুষের নিকট তা আরও গ্রহনযোগ্য ও প্রশংসনীয় হয়ে উঠে৷ প্রতিটি জিনিসের ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা এরকম৷ ব্যতিক্রম নয় দরসি কিতাবের বেলায়ও। প্রতিটা কিতাব-ই সাধারণত একাধিকবার প্রকাশিত হয়ে থাকে, কিন্তু নতুন সংস্করণে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন থাকে না। তাই কিতাবগুলো আগের মানুষদের জন্য পারফেক্ট হলেও বর্তমান মানুষদের জন্য তা অনেকাংশে অনুপযোগী হয়ে থাকে।

    ‘এসো আরবী শিখি’ এর প্রথম পাণ্ডুলিপি প্রকাশিত হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে। এর লেখক মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ(আদীব হুজুর) তখন যুবক। তাঁর শিক্ষকতার জীবন সবেমাত্র শুরু। শিক্ষকতার শুরুর দিকেই তিনি উপলব্ধি করলেন, প্রচলিত আরবী শেখার দরসি কিতাবটি বর্তমান যুগের তালেবে ইলমদের জন্য অনুপযোগী। এর বেশকিছু কারণ ছিল, তন্মধ্যে মূল কারণ হলো; আগে আমাদের মাতৃভাষা ছিল উর্দু, তাই কিতাবটিও উর্দূতেই লেখা৷ কিন্তু এখন আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। উর্দু এখন আমাদের নিকট আরবীর মতোই একটা বিদেশি ভাষা। প্রচলিত কিতাবটির দ্বারা আরবীর সাথে ছাত্রদের সম্পর্ক সরাসরি নয়, বরং আরেকটা বিদেশি ভাষার মাধ্যমে হচ্ছে। এর ফলে ছাত্ররা কাঙ্ক্ষিত ফায়দা হাসিল করতে পারছে না।

    আদীব হুজুর বুঝলেন, প্রচলিত কিতাবটির জায়গায় এর আপডেট ভার্সন আনতে হবে। যা বর্তমান যুগের তালেবে ইলমদের আরবীর সাথে সরাসরি সম্পর্ক তৈরী করবে। এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই জন্ম নেয় বর্তমান যুগের কওমী শিক্ষাঙ্গনের অপরিহার্য কিতাব “এসো আরবী শিখি”

    আদীব হুজুর কিতাবটি প্রকাশ করবার পূর্বেই এর পাণ্ডুলিপি তৎকালীন ছাত্রদের পড়াতে শুরু করলেন। পরীক্ষা করে দেখলেন, কোন কোন জায়গায় অসম্পূর্ণতা রয়েছে৷ সেসব সংশোধন করলেন। আবার পড়ালেন, দেখলেন আগের তুলনায় ফায়দা বৃদ্ধি পেয়েছে। এরকম বেশ কয়েকবার পরিমার্জন করবার পর কিতাবটি আত্মপ্রকাশের মুখ দেখে। শুরুর দিকে যখন এটি প্রকাশিত হলো, চারদিক থেকে অভূতপূর্ব সাড়া আসতে লাগল। সবাই একবাক্যে এর বিপুল ফায়দার কথা স্বীকার করল। কিন্তু তখনও পুরো আরবী শিক্ষাঙ্গনে কিতাবটির সুবাস ছড়ায়নি। কিতাবটি ততদিনে চারবার আপডেট করা হয়ে গেছে। যতই আপডেট করা হয়, এর উপকারিতা আগের তুলনায় আরও বেড়ে যায়।

    একদিনের ঘটনা। আদীব হুজুরের বড় মেয়ে তখন তাঁর নিকট ‘এসো আরবী শিখি’ পড়া শুরু করলেন৷ উনার বড় মেয়ের মেধা ছিল খুবই প্রাথমিক পর্যায়ের। আদীব হুজুর তাকে পড়াতে গিয়ে উপলব্ধি করলেন—কিতাবটি কম মেধার ছাত্রদের জন্য কম উপকারী৷ এটা উপলব্ধি করার পর কীভাবে কিতাবটি কম মেধার ছাত্রদের জন্যও সমান উপকারী করা যায় তা নিয়ে চিন্তা-ফিকির করতে লাগলেন৷ বহুত চিন্তা-ভাবনা করার পর দীর্ঘ ত্রিশ বছর পর ফাইনাল আপডেট দেয়া হয়, বিন্যাসে বিশাল পরিবর্তন আনা হয়৷ এবার পরীক্ষা করে দেখা গেল, পূর্বের তুলনায় এর উপকারিতা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মেধার তালেবে ইলমরা এখন কিতাবটি থেকে অশেষ ফায়দা হাসিল করতে পারছে৷

    কিতাবটি পড়ার পর এক ছাত্রের অনুভূতি— ‘কিতাবটা শেষ করবার আমার আদীব হুজুরের ললাটে চুম্বন করতে ইচ্ছে করছিল। কতটা অ্যাডভান্স চিন্তাধারা থাকলে আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে বসে মানুষ এই কিতাব লিখতে পারে৷’

    বাংলার মুফতীয়ে আজম আবদুল মালেক সাহেব হাফিযাহুল্লাহ বলেন “এসো আরবী শিখি পড়বার পর কেউ আরবীতে কাঁচা থাকতে পারে না।”

    আজ কিতাবটির গ্রহনযোগ্যতার সাক্ষী পুরো আরবী শিক্ষাঙ্গন৷ প্রায় সব মাদরাসায় এখন কিতাবটি নেসাবভুক্ত করা হয়েছে, এটি পড়া বাধ্যতামূলক৷ আল্লাহ আদীব হুজুরকে নেক হায়াত দান করুন। আরও লিখবার সক্ষমতা দান করুন৷ এই কিতাব পড়ে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ কুরআন বোঝার যোগ্যতা অর্জন করছে এবং করবে। আদীব হুজুরকে, তার অনন্য সৃষ্টিগুলোকে দেখলে বড় ঈর্ষা হয়!

    19 out of 19 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  3. 5 out of 5

    zabin tasmin:

    শুধু ব্যাকরণই পড়ে যাচ্ছি কিন্তু ভাষা শিখতে পারছি না। আরবিটা ঠিক বোধগম্য হচ্ছে না। “এসো আরবি শিখি” বইটি পড়ার আগে আমার প্রতিক্রিয়া অনেকটা এরকমই ছিল। শুরুর দিকে আরবি ভাষা শেখা বা আরবি পড়ে অন্তত অর্থটা বুঝার জন্য অনেক বই পড়েছি, ইউটিউবে ভিডিও দেখেছি কিন্তু আশানুরূপ ফলাফল পাচ্ছিলাম না। তারপরও ধৈর্য ধরে এগোতে লাগলাম , ভাবলাম এভাবেই হয়ত শিখতে হয় বা হবে। একদিন একটি আরবি তাফসীর পড়ার সময় সেখানে বইটির সন্ধান পেলাম। বইয়ের দোকানে গিয়ে বইটি হাতে নিয়ে পাতা উল্টে দেখি শুধু আরবি আর আরবি। ভয় পেয়ে গেলাম, শুরুতেই এত আরবি, পড়তে পারবো তো?? পাশে ছিল আমার বোন যে ঠিক এই কথাটিই বলল, পড়তে পারবা?? ভয় থাকা সত্ত্বেও কেন যেন বইটি কিনে ফেললাম হয়ত আল্লাহ চেয়েছিলেন। কেনার পর শুধু নেড়ে চেড়ে দেখি কিন্তু পড়ার সাহস পাই না। এভাবে একদিন ইউটিউবের আরবি ভাষা শেখার ভিডিও দেখার সময় “এসো আরবি শিখি” টাইটেলের ভিডিও দেখতে পেলাম। ক্লিক করে বুঝতে পারলাম এটি এই বইয়ের উপরই করা হয়েছে। এরপর থেকে ভিডিও ক্লাস দেখে দেখে বই পড়তে লাগলাম এবং আবিষ্কার করলাম আরবি লেখা বেশি থাকা সত্ত্বেও বইটি বেশ সহজ। এভাবেই আমার আরবি শেখার হাতে খড়ি হয়েছিল এবং বইটি পড়ার সময় প্রতিটি পাঠ পড়ার পর আমি আমার অগ্রগতি লক্ষ্য করছিলাম।
    যে কারণে বইটি বেছে নিয়েছিঃ
    * আমরা আরবি ভাষা শেখার ক্ষেত্রে প্রথমেই যে ভুলটি করি সেটি হচ্ছে ব্যাকরণ দিয়ে শুরু করা। এটি ঠিক নয়। মনে রাখতে হবে আগে ভাষা পরে ব্যাকরণ।
    * বইটি সাজানো হয়েছে সহজ থেকে কঠিনের দিকে। বইটির লেখক খুবই পরিশ্রম করেছেন বইটিকে সহজ এবং বোধগম্য করার জন্য যাতে কম মেধার ছাত্ররাও সহজে আয়ত্ত্ব করতে পারে।
    * পড়ার সময় ব্যাকরণ শেখা হয়ে যায়। তাই ব্যাকরণ নিয়ে আলাদা চিন্তার কারণ নেই।
    * একসাথে অনেক শব্দার্থ শেখার পর সেগুলো মনে রাখা কঠিন। এখানে প্রতি পাঠে শব্দার্থ দেয়া থাকে এবং সেগুলোর প্রয়োগও দেয়া থাকে ফলে শব্দগুলো আত্মস্থ হয়ে যায়।
    *আর যে আরবির কথা বলেছিলাম সেগুলো আসলে অনুশীলনের জন্য। যত বেশি অনুশীলন তত বেশি আয়ত্ত্ব।
    বইটি পড়ার আগে কিছু টিপসঃঃ
    ১.কুরআন পড়া ভালো ভাবে শিখে নেয়া, তাজউইদ সহকারে।
    ২.শিক্ষকের কাছে বা ভিডিও দরস দেখে পড়া ( বি.দ্র.অনেক আরবিভাষা কোর্স এবং বেশিরভাগ মাদ্রাসায় বইটি বেসিক লেভেলে পড়ানো হয়)।
    ৩.কয়েকজন বা দুইজন মিলে পড়া। ফলে মুখের জড়তা কাটে, দ্রুত শেখা হয় এবং ভুল ত্রুটি ধরা পরে।
    কুরআন বুঝার ক্ষেত্রে আরবি ভাষা শেখার কোনো বিকল্প হতে পারে না। এছাড়া এটি আল্লাহর কালাম, আল্লাহর নবীর কালাম এবং জান্নাতের ভাষাও আরবি। তাই আরবির প্রতি আমাদের আলাদা মহব্বত থাকা উচিত।
    বইটি পড়ে বইয়ের লেখক মাওলানা আবু তাহের মেছবাহ সাহেবের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা জন্মেছে। না চাইতেই উনার জন্য অন্তরের অন্তস্তল থেকে দুয়া চলে আসে। আল্লাহ উনাকে উত্তম জাযা দান করুন। উনার কিছু কথা-
    ” যারা আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয় তাদের কলব অন্ধকার হয়ে যায়। আর অন্ধকার কলব ইলমের নূর গ্রহণ করতে পারে না। “
    14 out of 15 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  4. 5 out of 5

    আবু বকর সিদ্দিক:

    বছর দুয়েক আগের কথা। আমি আরবি শেখার জন্যে ভর্তি হলাম মাদানি নেসাবে। বাইতুস সালাম তখন মাদানি নেসাবের খুবই জনপ্রিয় একটি প্রতিষ্ঠান। বহু আগ থেকেই এই মাদরাসার যশ-খ্যাতি শুনে আসছিলাম। তাই ভর্তি হয়েছিলাম সেখানেই।

    ভর্তি হওয়ার দুতিনদিন পরে আমাদের সবক ইফতিতাহ হবে। আমাদের ক্লাসের প্রত্যেকের হাতে হাতে তখন “এসো আরবি শিখি” কিতাবটি শোভা পাচ্ছিল। প্রায় ১২০জন ছাত্রের হাতে “এসো আরবি শিখি”— দৃশ্যটা বেশ নজরকাড়াই ছিল বটে।

    কালের আবর্তে, সময়ের ঘূর্ণনে কেটে গেল বছর। এদিকে আমাদের “এসো আরবি শিখি”ও পড়া শেষ হলো। আল্লাহর রহমতে আরবি ভাষা শিক্ষার যে বীজ এতে রয়েছে— তা অন্তরে গেঁথে গেছে ততদিনে। এখন আর কোনো আরবি বই দেখে অত একটা চমকাই না। কুরআনের অর্থও এখন বুঝতে তেমন একটা অসুবিধে হয় না। আরবিতে এখন বক্তৃতাও দিতে পারি। এসবকিছুর পেছনে অবদান শুধু এই “এসো আরবি শিখি”র।

    আমি আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ ওরফে আদীব হুজুর দা. বা. এর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি— আমাদের মত প্রাথমিক পর্যায়ের ছাত্রদের জন্য এই সুন্দর উপহারটি দেবার জন্যে। আর আল্লাহর নিকট সর্বদা দূআ করি— যেন তিনি হুজুরকে হায়াতে তাইয়্যেবা দান করেন। আমিন।

    #লেখক_সম্মন্ধেঃ—

    মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ— বর্তমান সময়ের একজন সেরা ও দক্ষ কলম সৈনিক। এককালে যখন আমাদের কওমী অঙ্গন বাংলা সাহিত্যের ভালো একজন লেখকের অভাবে হা-হুতাশ করছিল— ঠিক সে সময়ে তিনি জাতির “মিসবাহ” রূপে আবির্ভূত হন। সাইয়্যেদ আলী নাদাবীর দেখানো পথে অগ্রসর হয়ে তিনি জাতির বড়সড় একটা ঘাটতি পূরণ করেন। তিনি একে একে রচনা করেন বহু মৌলিক কিতাব। শুধু যে মৌলিক কিতাবেই তিনি সীমাবদ্ধ ছিলেন— তা নয়। বরঞ্চ, তার পাশাপাশি তিনি বেশ কিছু বইয়ের অনুবাদও করেছেন। যেগুলো ইতোমধ্যে পাঠকমহলে বেশ সুনাম অর্জন করেছে।

    হুজুরের কয়েকটি মৌলিক বই (দরসী)
    ১| এসো আরবি শিখি
    ২| এসো কুরআন শিখি
    ৩| এসো সরফ শিখি
    ৪| এসো নাহু শিখি
    ৫| এসো ফিকহ্ শিখি— ইত্যাদি।

    হুজুরের কয়েকটি মৌলিক বই (গায়রে দরসী)
    ১| এসো কলম মেরামত করি
    ২| বাইতুল্লাহর ছায়ায়
    ৩| বাইতুল্লাহর মুসাফির
    ৪| তুরস্কে তুর্কিস্তানের সন্ধানে
    ৫| দরদী মালীর কথা শোনাে— (১ – ৩) ইত্যাদি।

    হুজুরের কয়েকটি অনুবাদ গ্রন্থ
    ১| তোমাকে ভালবাসি হে নবী
    ২| মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো? ইত্যাদি।

    এছাড়াও হুজুরের আরও অনেক বই রয়েছে।

    #বই_সম্মন্ধেঃ—

    আমাদের দেশে বর্তমানে আরবি ভাষা শিক্ষার চাহিদা খুব বেড়ে গেছে। মানুষ এখন দলে দলে আরবি শিক্ষার দিকে ধাবিত হচ্ছে। শিশু-কিশোররা তো আছেই। অনেক মা-বাবাই এখন তার সন্তানদেরকে আরবি ভাষায় সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে চান। আর তাছাড়াও আমি মনে করি প্রতিটি মুসলমানেরই আরবি ভাষা শেখা জরুরী। কারণ, এই আরবিই হচ্ছে আমাদের রবের ভাষা। তাঁর প্রিয় হাবিবের ভাষা। ভাষা জান্নাতেরও। এই ভাষাতেই নাযিল হয়েছে পবিত্র কুরআনুল কারিম। বর্ণিত হয়েছে অসংখ্য অগণিত হাদিস। এসব জানতে হলে তো আরবি ভাষা শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।

    সেই আরবি শেখার ক্ষেত্রেই অনেকে ভোগান্তির শিকার হয়। বলে— কোন বই পড়বো? কোন বই একটু সহজ? কোন বই বেশি ভালো হবে? ইত্যাদি। আমি তাদের উদ্দেশ্য বলতে চাই— আপনারা নির্দ্বিধায় এই বইটি পড়তে পারেন। শুধু তাদেরকেই না! যারা আরবি ভাষা শিখতে আগ্রহী— তাদের প্রত্যেককেই আমি বলছি— আপনারা নির্দ্বিধায়, নিঃসংকোচে এই বইটি পড়তে পারেন। তবে হ্যাঁ, কোনো শিক্ষাই উস্তাদ ছাড়া পরিপূর্ণ নয়। এটা চিরন্তন সত্য। আপনি যদি কোনো কিছু ভালোভাবে শিখতে চান— তবে তা আপনার একজন শিক্ষকের কাছ থেকেই শিখতে হবে। আর সবচে’ বড় কথা হলো— বাংলায় তো একটা প্রবাদই আছে— “যার কোনো উস্তাদ নাই, তার উস্তাদ স্বয়ং শয়তান।”

    8 out of 8 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  5. 5 out of 5

    মুহাম্মদ আবরার আমিন:

    মিজান জামাতে যখন উঠলাম তখন আমাদের মারাসায় আরবি শেখানোর জন্য ‘বাকুরাতুল আদব’ নামক একটি বইকে পাঠ্যসূচীতে দেখলাম। এরপর নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্লাস শুরু হল, আরবীর কিছুই মাথায় ঢুকত না, সব বইয়ের পাতায়-ই সীমাবদ্ধ থাকত। এ কী মুশকিলে পড়লাম? উস্তাযকে বিষয়টা খুলে বললাম, সবশুনে উস্তাদ বললেন ‘এসো আরবী শিখি নামে আবু তাহের মিসবাহ সাহেবের একটা বই আছে, সেটা নিয়ে এসো’ আবু তাহের মিসবাহ সাহেবের নাম শুনতেই মনে একটা ভালোলাগা কাজ করল। উনার লেখা যে কী জিনিস তা তো আর আলাদা করে বলার দরকার নেই, আমি অনক আগে উনার বড়সড় ফ্যান, আরবী শেখানোর জন্য উনার কিতাব আছে শুনে খুব খুশি হলাম।

    যাই হোক, উস্তাদের কথামতো কিতাবটি নিয়ে আসলাম, দরসী কিতাবের পাশাপাশি এটাও পড়াতে লাগলেন। অল্প কদিন যেতে না যেতেই সব কেমন পানির ন্যায় পরিষ্কার হয়ে গেল। এখন আরবী-কে ডালভাত মনে হয়, আমাদের বাংলা থেকে তো বহুত বহুত গুন সোজা আরবী। কুরআনের ও রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ভাষা শেখার মজাই আলাদা।

    আবু তাহের মিসবাহ সাহেবের মানুষকে সহজভাবে বুঝানোর অসাধারণ ক্ষমতা আছে, একটি বিষয়কে সুন্দর কিন্তু সহজভাবে ফুটিয়ে তুলতে তার জুড়ি নেই। এত্ত সহজেই যে আরবী শেখা যায় তা কল্পনাও করতে পারিনি, উনার ক্ষেত্রে এই ডায়লগটা ভালোই সাজে ‘অসম্ভবকে সম্ভব করাই আবু তাহের মিসবাহের কাজ।’

    10 out of 11 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No