মেন্যু
ekmutho valobasa

একমুঠো ভালোবাসা

প্রকাশনী : অশ্রু প্রকাশন
পৃষ্ঠা : 96, কভার : পেপার ব্যাক, সংস্করণ : 1st Published, 2022

রাতই প্রিয়তমা।’ আসলেই। রাত না থাকলে, আমাদের বুকের দীর্ঘশ্বাসগুলো কোথায় আড়াল করতাম?!

দিনের আলোয় হাসিখুশি থাকা মানুষটাই, রাতের আঁধারে কী যে নিঃসঙ্গতায় দগ্ধ হয়— রাত জানে, আর জানেন রাতের যিনি স্রষ্টা, তিনি। কুরআনে তাই তো তিনি বলেছেন— ওয়া জা‘আলনাল লাইলা লিবাসা। আর রাতকে আমি আবরণ বানিয়েছি।

বিছানা ছেড়ে উঠার সময়েই ঘুম ভেঙে যায় সুরাইয়ার। কিন্তু ঘুমের বাহানায় পড়ে থাকে সে। আড়চোখে দেখছিলো স্বামীর অস্থিরতা। সন্ধ্যা থেকেই স্বামীর মনখারাপ লক্ষ করেছে। কী গো, তোমাকে এতো মনমরা দেখাচ্ছে কেন? খাবারের টেবিলে বসে প্রশ্নটা করেছিলো। ফাহাদ উত্তর দেয় নি। তারপর আর প্রশ্ন করে নি সুরাইয়া। খেয়েদেয়ে শোবার সময় আবার জিজ্ঞেস করলো— কী হয়েছে তোমার, বলো না প্লিজ! তোমার মনখারাপ দেখলে আমার ভালো লাগে বলো? বলো না কী হয়েছে।

আচ্ছা আমি কোনো অপরাধ করেছি? নাকি কেউ তোমাকে কিছু বলেছে? কারো সাথে তো তোমার সামান্য ঝগড়াও হয় না। তাহলে কী হতে পারে, কী হতে পারে? ভাবতে ভাবতে সুরাইয়া আবার জিজ্ঞেস করে— আচ্ছা তোমার কাপড়গুলো ইস্ত্রি করতে ভুলে গিয়েছিলাম। সেজন্য রাগ করেছো?

ফাহাদ কেমন নিরামিষভাবে, শীতল গলায় বলে— ঘুমাও তো। তুমিও ভালো করেই জানো, এসবের জন্য আমি কখনো মনখারাপ করি না। একটু পেরেশানি। দুয়া করো শুধু।

: না, আমাকে শুনতেই হবে। উঁহু হু হু…

অভিমান ঝরে পড়ে সুরাইয়ার কণ্ঠে।

: উফফ, জেদ করো না তো সুরাইয়া।

ঝাঁজ মিশিয়ে উত্তর দেয় ফাহাদ।

সুরাইয়ার খুব কান্না পায়। প্রিয় মানুষটার মন খারাপ, তার কি ভালো লাগে? এতো চেষ্টা করেও কারণটা জানতে পারলাম না। ফাহাদ এমন কেন? কষ্টের বা অপ্রীতিকর কিছুই

পরিমাণ

102  136 (25% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন

 প্রথম রিভিউটি আপনিই লিখুন - "একমুঠো ভালোবাসা"

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাঠক অথবা ক্রেতাদের মন্তব্য