দুআ কবুলের গল্পগুলো
অনুবাদ, সংগ্রহ ও সম্পাদনাঃ রাজিব হাসান
দু’আ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাহ। রাসূল ( ﷺ) ইরশাদ করেন,“দু’আ মূল ইবাদাহ”। [আবূ দাঊদ, তিরমিযী] দু’আ হলো মহান আল্লাহর নিকট কোনকিছু চাওয়া বা প্রার্থণা করা। যিনি আমাদের সুন্দরতম অবয়বে সৃষ্টি করেছেন, পরীক্ষার নিমিত্তে দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন, কৃত গুনাহ মাফের জন্য কিংবা যে কোন প্রকারের সাহায্য-সহযোগিতার জন্য দু’আ শিখিয়ে দিয়েছেন। যুগে যুগে মানবতার মুক্তির দূত নাবী রাসূলগণ যে কোন প্রয়োজনে স্বীয় রবের কাছে দু’আ করতেন। যে কোন মুহুর্তে, যে কোন প্রয়োজনে আল্লাহর কাছে কোনকিছু চাইতে দ্বিধাবোধ করতেন না।
সাহাবাগণ দু’আ করতেন, চাইতেন, আল্লাহর কাছে বেশী বেশী ফিক্বির জারি রাখতেন। যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে দু’আ, যেকোন বিপদ-আপদে দু’আ, যে কোন সমস্যায় দু’আ, সুখের সময়ও দু’আ। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনায় দু’আ। তাদের যাবতীয় ফরিয়াদ ছিল আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছে, শুধুমাত্র তারই কাছে। রদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা ‘আনহুম ওয়া আজমাঈন।
আমাদের বর্তমান প্রেক্ষাপট খানিকটা ভিন্ন। অল্প কিছু মানুষ ছাড়া উম্মতের বড় একটা অংশ দু’আর দেখানো পথ থেকে অনেক দূরে। উম্মতের এই বড় অংশটা আবার কয়েক ভাগে বিভক্ত। একভাগ দু’আ করেনা বা করতে চায় না, একভাগ স্বীয় রব্বকে ভুলে সৃষ্টিকূলের কাছে মাথা ঠুকে, আর আরেকভাগ দু’আ করতে চাইলেও আত্ন-বিশ্বাস আর তাওয়াক্কুলের অভাবে কিংবা পদ্ধতি না জানার কারণে নিজে দু’আ করা থেকে মাহরুম থাকে।
আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন, “সবচাইতে হতভাগা হল সেই ব্যাক্তি যে দু’আ করে না”[সহিহ আল জামি’]
আমাদের কোনকিছুর প্রয়োজন হলে কিংবা কোন সমস্যায় পড়লে সর্বপ্রথমে আমরা সৃর্ষ্টির কাছে ধরনা দেই। যখন একে একে সবগুলো দরজা বন্ধ হয়ে যায়, ঠিক তখন আল্লাহর দিকে ফিরে এসে ফিক্বির জারী করি। অনেক সময় দু’আর হালই ছেড়ে দেই, দু’আ করতেই চাই না, হতাশায় ভুগি।
সকল প্রয়োজনে সর্বাগ্রে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছে সাহায্য চাওয়ার মানুষের বড্ড অভাব। সর্বশক্তিমান আল্লাহ্কে বাদ দিয়ে দুর্বল সৃষ্টিকূলের দিকে ধাবিত হওয়া মানুষের সংখ্যাই বেশী। অথচ তিনিই আল্লাহ্ যিনি আমাদের দু’আ কবুল করার ওয়াদা দিয়েছেন। বেশী বেশী দু’আ করতে বলেছেন। প্রতিটি বিষয়ে হউক তা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র, হউক বৃহদাকার একমাত্র আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলাকেই সর্বদা ডাকতে হবে আমাদের, তার কাছেই চাইতে হবে সবকিছু। কোন কিছুর জন্য যে কোন পরিস্থিতিতে দু’আ করলে আল্লাহ রব্বুল ইজ্জত খুশি হন।
শাইত্বন আমাদের প্রতিনিয়ত ধোঁকা দেয়। আমাদের বিশ্বাসের খুঁটিতে নাড়া দেয়। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা কী আমার দু’আ কবুল করবেন? তিনি কী শুনবেন আমার মত এই নগন্য-জঘন্য এক সাধারণ মানুষের কথা? কত মানুষই তো দু’আ করে, তাদের দু’আ কী কবুল হয় ? তাদের তো কোন পরিবর্তন, পরিবর্ধন হয় না? এতদিন ধরে আল্লাহকে ডাকছি তবুও কোন ফল পাই না – নানা-রকমের শাইত্বনিক ওয়াস-ওয়াসা আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রতিনিয়ত। এটাই মুলতঃ শাইত্বনের ধোঁকা। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার দয়া ও রহমত থেকে নিরাশ করার হাতছানি, কানাকানি, পেরেশানী ইত্যাদি শাইত্বনই করে থাকে। কেননা আল্লাহকে ডাকলে, আল্লাহকে স্মরণ করলে, আল্লাহর উপর ভরসা করলে সবচেয়ে বড় ক্ষতি তো তারই। একদম সহজ সমীকরণ।
আমাদের আশেপাশের সাধারণ, অতি সাধারণ মানুষেরা জানে না কিভাবে দু’আ করতে হয়। কিভাবে ডাকলে আল্লাহ্ শুনেন, দু’আ কবুল করেন। অন্যদিকে অনেক মানুষ আছে যারা আল্লাহকে ডেকে সাড়া পেয়েছে, জীবনের মোড় ঘুরে গেছে, চরম হতাশা ও বিপদের মুহুর্তে এক আল্লাহ্র উপর তাওয়াক্কুল করে ফল পেয়েছে – এরকম মানুষের গল্প ভুড়িভুড়ি। সাধারণ মানুষের দু’আ কবুলের বিভিন্ন ঘটনার সম্ভার নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন বই “দু’আ কবুলের গল্পগুলো”
-
-
hotবেলা ফুরাবার আগে
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন315 ৳230 ৳বেলা ফুরাবার আগে... নিজেকে আবিষ্কারের একটি আয়না। ...
-
hotমনের ওপর লাগাম
লেখক : আল্লামা ইবনুল জাওযী (রহঃ)প্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন156 ৳115 ৳বিবেক আছে বলেই মানুষ পশুপাখি থেকে ...
-
hotএবার ভিন্ন কিছু হোক
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন330 ৳231 ৳প্রতিদিন একটা একঘেয়েমি চক্রে কেটে যাচ্ছে ...
-
hotটাইম ম্যানেজমেন্ট
লেখক : Ismail Kamdarপ্রকাশনী : সিয়ান পাবলিকেশন228 ৳160 ৳ইমাম আবু হানিফা রহ.-এর রেশমি কাপড়ের ...
-
hotজীবন যেখানে যেমন
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন260 ৳192 ৳আরিফ আজাদের নতুন বই 'জীবন যেখানে ...
-
featureম্যাসেজ
লেখক : মিজানুর রহমান আজহারিপ্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স275 ৳ইসলাম এক নক্ষত্র, যার সংস্পর্শে সমস্ত ...
-
hotআল্লাহর প্রতি সুধারণা
লেখক : ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়াপ্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন175 ৳129 ৳জাবের রদ্বি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ...
-
hotহিফজ-যাত্রা (একজন সাধারণ মানুষ যেভাবে ৬ মাসে হাফিজ হবেন)
লেখক : কারি মুবাশ্শির আনওয়ারপ্রকাশনী : ইলহাম ILHAM152 ৳ – 182 ৳অনুবাদ: মাসুদ শরীফ পৃষ্ঠা: ১৬০ ম্যানচেস্টারে বেড়ে ওঠা ...
-
hotএপিটাফ
লেখক : সাজিদ ইসলামপ্রকাশনী : বুকমার্ক পাবলিকেশন200 ৳150 ৳ধরণ: লেকচার সংকলণ পৃষ্ঠা: ১৪৪ কভার: পেপার ব্যাক উস্তাদ ...
-
Fathum mubin chowdhury – :
মোঃ আবিদ হাসান। – :
MD.Moinuddin Chowdhury Sakib – :
প্রাক্কথন;পাতায় পাতায় অদৃশ্য ভালবাসার ছোঁয়া-স্পর্শ-গন্ধ।
দুআ কবুলের গল্পগুলো বইটি মূলত একটি অনুবাদ গ্রন্থ। বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ইউটিউবে ইসলামিক স্কলারদের লেকচার থেকে এর মূল কনটেন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে।
ছোটকালে এমন অনেক গল্প-কাহিনী লোকমুখে বহুবার শুনেছি। সে সময় মনে করতাম এগুলো স্রেফ রূপকথার গল্প ছাড়া বৈকি। বইটি যখন পড়ি তখনও মনে হচ্ছিল এগুলো অলীক গল্প। কিন্তু না,আমার ধারণা ভুল ছিল।কারণ,প্রতিটি গল্পের শেষে সত্যতা প্রমাণের জন্য তথ্যসূত্র যোগ করে দেয়া আছে। তাই বিশ্বাস করি।
সত্যিই আল্লাহর কারিশমা বুঝা বড়ই দায়। বান্দা যা কল্পনা করতে পারে না আল্লাহ তা করিয়ে দেখান।সুবহানআল্লাহ! আল্লাহু আকবার!!
কিছু কথা-
গন্তব্যহীন স্রোতে ভেসে যাওয়া উম্মাহ,হতাশার চোরাবালিতে হাবুডুবু খাওয়া মানুষ আর কতকাল ডুববে..?
চলমান জীবনে ঘটে যাওয়া বিপদ-আপদের চরম বাস্তবতার মুহূর্তে একজন মুসলিম কী করবে?
নিজের অসহায়ত্ব, অভিযোগ-অনুরোধ কার কাছে সপে দিবে?
যুগে যুগে মানবতার মুক্তির দূত নবী রাসূলগণ যেকোন প্রয়োজনে স্বীয় রবের কাছে দুআ করতেন। যেকোন মুহূর্তে, যেকোন প্রয়োজনে আল্লাহর কাছে কোন কিছু চাইতে দ্বিধাবোধ করতেন না।
যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে দুআ। যেকোন বিপদ-আপদে দুআ করতেন। যেকোনো সমস্যায় দুআ। সুখ-দুঃখের সময় দুআ করতেন। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনায় দুআ। তাদের যাবতীয় ফরিয়াদ ছিল আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছে, শুধুমাত্র তাঁরই কাছে।
আমাদের বর্তমান প্রেক্ষাপট খানিকটা ভিন্ন। অল্প কিছু মানুষ ছাড়া উম্মাতের বড় একটা অংশ দুআর দেখানো পথ থেকে অনেক দূরে।
মহান আল্লাহ বলেন-
“তোমরা খুব কমই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকো।”
হাদীস শরীফে দুআর ব্যাপারে রাসূল (সাঃ) বলেছেন-
“দুআ-ই হলো ইবাদতের মগজ”।
অন্যত্রে বলেছেন-
“সবচাইতে হতভাগা হল সেই ব্যক্তি যে দুআ করে না।”
আরেক হাদীসে রাসূল (সাঃ) বলেছেন-
“যে ব্যক্তি চায় বিপদাপদে আল্লাহ তার দুআ কবুল করুন,সে যেন তার সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের সময়েও আল্লাহর নিকট বেশি বেশি দুআ করে।”
আমাদের আশে পাশের সাধারণ,অতি সাধারণ মানুষেরা জানেনা কিভাবে দুআ করতে হয়।কিভাবে ডাকলে আল্লাহ শুনেন,দুআ কবুল করেন।অন্যদিকে অনেক মানুষ আছে যারা আল্লাহকে ডেকে সাড়া পেয়েছে। জীবনের মোড় ঘুরে গেছে। চরম হতাশা আর বিপদের মুহূর্তে এক আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে ফল পেয়েছে- এরকম মানুষের জীবনের কাহিনী নিয়েই এই বইটি সাজানো হয়েছে।
📖এক বাবার দুয়াঃ
অন্তিম সময়ের অপেক্ষায় আতঙ্কিত পরিবার যখন দুয়ার বরকতে আশার আলো দেখে…..
তখন তাদের মুখ থেকে অবলীলায় বের হয়ে আসে… ” সূর্য মিথ্যা হতে পারে কিন্তু রাসূলে(সা) এর বাণী মিথ্যা হতে পারে না ভাই।কখনোই পারে না।”
📖ড. সায়ীদের একদিনঃ
মেডিকেল রিসার্চের এওয়ার্ড প্রাপ্য ডাক্তার ও যখন ঘটনাক্রমে গুরুত্বপূর্ণ কনফারেন্সে যেতে না পেরে দুয়ার বরকতে বৃদ্ধার দুয়ারে এসে কড়া নাড়ে..
খুশিতে,কৃতজ্ঞতায় বৃদ্ধার দুচোখে তখন অশ্রুক্ণা।।।
📖হোটেল ম্যানেজারঃ
জীবনের সবচাইতে কঠিন সিদ্ধান্তে প্রচণ্ড ঈমানী শক্তি আর তাওয়াক্কুল সম্বল করে মুসলিম ভাইটি যখন আল্লাহর সাহায্য কামনা করল…পাওয়ার অব দুয়া।।। এত দ্রুতই দুয়া কবুল হল যে সে রেজিগ্নেশান লেটার টা ঠিক মত লিখে শেষ করতে পারল না, পেয়ে গেলো আল মদিনা ওয়াল মুনাওয়ারার হোটালে কাজ করার অকল্পনীয় সুযোগ!
📖পাচ রিয়ালঃ
ছেড়া জামা পরিহিত নগরীর দরিদ্র লোকটা যখন দুহাত তুলে পাচটি রিয়াল চেয়ে আল্লাহর কাছে দুয়া করছিল। ঠিক তখনি এক ব্যক্তি তার এমন অবস্থা দেখে পাচ রিয়াল সাহায্য দেয়। লোকটি এতটাই অবাক হয়! সে হু হু করে কাদতে কাদতে বলে, সুবহানাল্লাহ!আপনি আমার হাতের মধ্যে আমার প্রয়োজনীয় অর্থ গুজে দিচ্ছিলেন আর তখনও আমি আল্লাহর কাছে চেয়েই যাচ্ছিলাম।
নিশ্চয়ই যাবতীয় প্রশংসা ও মহানুভবতা একমাত্র প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার যিনি বলেন,”আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞাসা করে আমার ব্যপারে বস্তুতঃ আমি রয়েছি সন্নিকটে।যারা প্রার্থনা করে,তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই,যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে।”-সূরা বাকারাহঃ১৮৬
📖আয়তুল কুরসীঃ
ঘুটঘুটে অন্ধকারে মেট্রো স্টেশনের পাশের রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিল মেয়েটি।হটাৎ দানবাকৃতির লোকটাকে দেখে ভয় পেয়ে যায়।উচ্চতায় প্রায় দ্বিগুণ। তার দিকেই এগিয়ে আসছে দেখে মেয়েটি আয়তুল কুরসী পড়া শুরু করল।আর আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে লাগল।
পড়া শেষে……
আলহামদুলিল্লাহ! আপদটা তো বিদায় হয়েছে!
আল্লাহু আকবার! বোনটির মুখ থেকে তাকবীর বের হয়ে এল।সে বুঝতে পারল এটা একমাত্র আয়তুল কুরসির মুজেজা ছাড়া আর কিছুই নয়।
যাকে আল্লাহ রক্ষা করেন,তার ক্ষতি করার সাধ্য কার?
📖মরক্কো থেকে মক্কাঃ
মরণব্যাধি ক্যান্সার যখন বাসা বাধে লায়লার দেহে।ডাক্তার ঘোষণা করে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে মারা যাবে সে।
বাচার সকল পথ যখন বন্ধ প্রায়। ঠিক তখনি তিনি পাড়ি জমালেন মক্কার পথে।সেখানে গিয়ে তিনি আল্লাহর কাছে রোগ থেকে মুক্তি চাইলেন।আর জমজমের পানি দ্বারা নিজেকে ধুয়ে মুছে নিল।আর এই বরকতেই আল্লাহ তাকে এ মরণ ব্যাধি থেকে রক্ষা করল।
রাসূল (সা) বলেছেন,”জমজমের পানি যে উদ্দেশ্যেই পান করা হয় তা পূরণ হবে।”
#ইবনু মাজাহ,৩০৬২
📜এমন আরো অনেক শিহরণ জাগানো গল্প নিয়ে সাজানো বইটি।
📜দুআর আদব
১.শুদ্ধ নিয়তে দুয়া করা
২.ওজু অবস্থায় দু’য়া করা
৩.হাতের তালু চেহারার ফিরিয়ে দু’য়া করা
৪.আল্লাহর প্রশংসা ও গুণ বর্ণনার মাধ্যমে দু’য়া শুরু করা
৫.প্রথমে নিজেকে দিয়ে শুরু করা
৬.দু’আ করার সময় কোনো ইতস্তত না করা
৭.মন-মস্তিষ্ক জমিয়ে হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে দু’আ করা
৮.একীনের সাথে দু’য়া করা
৯.দু’য়াত সময় সীমালঙ্ঘন না করা
১০.আল্লাহর দরবারে হীনতা-দীনতা ও অপারগতা প্রকাশ করা
১১.পরিব্যাপ্ত ও নবী(সা.) থেকে বর্ণিত শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করা
১২.পরিত্রাণ পাওয়ার দু’আ অধিক পরিমাণে করা
১৩.দু’আ কবুলের জন্য মাধ্যম হিসেবে কিছু পেশ করা
১৪.নিজের কৃত কোনো সৎ কাজকে উছিলা করে দু’আ করা
১৫.দুয়া করার সময় বেশি বেশি ‘ইয়া যালজালালি ওয়াল ইকরাম’ বলা।
১৬.ইসমে আজম দিয়ে দুয়া করা।
১৭.দুয়া শেষ হলে আমীন বলা।
অত্যন্ত জীবন্ত এ গল্পগুলো। মানুষের জীবনের উত্থান-পতনগুলো যেন যাদুর ছোঁয়ায় ঠিক হয়ে গেছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে তাদের জীবন হয়ে উঠেছে আবারো রঙিন।
প্রায় সমসাময়িক বিভিন্ন ঘটনা দ্বারা বইটিকে সাজানো হয়েছে। প্রতিটি গল্প বা ঘটনাই হৃদয়কে স্পর্শ করে যাবার মত। প্রতিটা গল্প পড়ার পরই আপনার মুখ থেকে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বের হয়ে আসবে সুবহানাল্লাহ তাসবীহ। প্রতিটি পাতায় পাতায় আপনি প্রমাণ পাবেন আল্লাহ যে বান্দার ডাকে সাড়া দেন তার সত্যতা। আপনার হতাশা আর কষ্টের জীবনে আরেকবার ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস পাবেন।
Hasnain Islam Emon – :
বস্তুতঃ আমি রয়েছি সন্নিকটে।
যারা প্রার্থনা করে,তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই,যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে। ❞
(সূরা বাকারাহঃ আয়াত ১৮৬)
মহান রব্বুল আলামীনের নিকট কোনকিছু চাওয়া বা প্রার্থণা করাকে দুআ বলা হয়।নবীজীর সবচেয়ে বড় সুন্নাহ হলো দুআ।জীবনের প্রতি পর্যায়ে, ধাপে তিনি দুআ করতেন।আমরা এই সুন্নাহ থেকে দিনকে দিন যেন দূরেই সরে যাচ্ছি। আমরা মনে করি,আমরা হয়তো দুআ করতেই জানি না,আমাদের দুআ হয়তো কবুলই হয় না। কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে দুআর জন্যই অন্তরের ভাষাই যথেষ্ট। নিজের সকল প্রয়োজন দুআর মাধ্যমে মহান রবের কাছে বলতে হবে।দুআর মধ্যে থাকতে হবে রব্বুল আলামীনের প্রতি পরম নির্ভরতার ছাপ।ইখলাসের সহীহ দুআ করতে হবে। সবর করতে হবে,একমাত্র আল্লাহ তা’আলাই অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন।
আমাদের সাধারন মুসলমানদের দুআ বিষয়ক সংশয় দূর করতে লেখক রাজিব হাসান ভাই এগিয়ে এসেছেন, ❝ দুআ কবুলের গল্পগুলো ❞ বইটি নিয়ে। আমাদের আজকের আলোচনা এই বইটি নিয়েই।
♦বইটিতে যা যা রয়েছে সংক্ষেপেঃ
বইটিতে মোট ৪৪ টি ছোট ছোট কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ন গল্প রয়েছে।এখানে এমন অনেক মানুষের গল্প রয়েছে যারা চরম বিপদে আল্লাহকে ডেকে সাড়া পেয়েছেন,তাদের দুআ কবুল হয়েছে,অনেকেই জীবনটাই বদলে গিয়েছে।উল্লেখযোগ্য কিছু গল্প-
ড. সায়ীদের একদিন,দুঃখিনী মায়ের দুআ,হারানো শিশু ফিরলো ঘরে,যুবকের আল্লাহ উপলব্ধি, এক রাতেই মুসকিল আসা,আয়াতুল কুরসীর মহিমা,নষ্ট গাড়ি ফিরলো বাড়ি,৩২ বছরে ৩২ হজ্জ ইত্যাদি।
আশা করি আপনারাও দুআর মহিমা নতুন করে অনুধাবন করবেন।
♦আমার অনুভূতিঃ
আলহামদুলিল্লাহ। এমন বই আমি জীবনেও পড়িনি।একেকটা গল্প পড়ার সময় শরীরের লোম দাড়িয়ে যাচ্ছিল। গল্পগুলো পড়ে আমি অবাক যে দুআর এতো শক্তি যে নষ্ট গাড়ি ঠিক হয়ে যায়,হারানো সন্তান ঘরে ফেরে,খাবার জোগাড় হয়ে যায়,৩২ বছরে ৩২ হজ্জের তাওফিক,দূর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচা। আমরা তো দুআ করতেই ভুলে গেছি।নিজেরা দুআ করতেই চাই না।এমনকি নিজের সন্তানের জন্য দুআ করতেও আমার হুযুর লাগে,মিলাদ লাগে।
দুআ কবুলের বিভিন্ন সময় রয়েছে, যেমন- আজানের সময়,বৃষ্টির সময়, যুদ্ধক্ষেত্রে,অসুস্থ অবস্থায়,জুমআর দিনও দুআ কবুল হয়,যেগুলো এই বইয়ের দ্বারা জানতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ।
♦বইটি কারা এবং কেনো পড়বেনঃ
এ বিষয়ে আমার একটি দাওয়াত রয়েছে সকলের প্রতি, বইটি জীবনে একবার হলেও পড়বেন। আশা করি আপনার সময় বিফলে যাবে না বরং আপনি এক পরশ পাথরের সন্ধান পাবেন। বইটি আমাদের শেখাবে,মহান রব্বুল আলামীনকে ডাকার মতো ডাকলে,চাওয়ার মতো চাইলে তিনি তা দিয়ে থাকেন।এমনভাবে দুআ করতে হবে যেমন করে আগে কখনো চাওয়া হয়নি। আশা রাখতে হবে সবসময় যে,আমার দুআ কবুল হবেই।কারন,আল্লাহ তা’আলাই বলেছেন,
❝ তোমরা আমায় ডাকো,আমি সাড়া দেবো।❞
(সূরা মু’মিন- আয়াত ৬০)
তাই আজ থেকে দুআ বিষয়ক আর কোন সংশয় নয়। তাই একবারের জন্য হলেও নিজে বইটি পড়ুন এবং অন্যকেও পড়ার সুযোগ করে দিন।
বই সংশ্লিষ্ট সকলকে আল্লাহপাক কবুল করুক,আমিন!
mmhmahody – :
–(সূরা মারইয়াম:৪)
এই দুয়াটি হযরত যাকারিয়া (আ) আল্লাহর কাছে করেছিলেন।আল্লাহ তার মনবাঞ্চনা পূর্ণ করেছিলেন। আমাদের অনেকেরই ধারণা,শুধু নবী–রাসুল,আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের দুয়া কবুল হয়।কিন্তু আল্লাহ তায়ালা বলেন,
▶ ‘‘তোমরা আমাকে ডাক,আমি সাড়া দেব’’
–(সূরা মু’মিনুন:৬০)
আবার আমরা কখনো কখনো দুয়া করতে গিয়ে অস্থির হয়ে পড়ি।ভাবি আল্লাহ আমার দুয়া কেন কবুল করছেন না?আমার দুয়া কি তার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়?আরো কত কি……।কিন্তু আল্লাহ তায়ালা বলেন,
▶ “আর বান্দারা যখন তোমার নিকট জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে, বস্তুত:আমি রয়েছি সন্নিকটে।যারা প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই, যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে ”
–(সূরা বাকারা:১৮৬)
আর রাসুল (স.) বলেন,
▶ ” তোমাদের কারো দুয়া ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল হয়,যতক্ষণ না সে তাড়াহুড়ো করে, বলে যে,আমি দুয়া করেছি,কিন্তু আমার দুয়া কবুল হয় নি? ”
– (সহিহ বুখারী ও মুসলিম)
আমরা কখনো কখনো যা দুয়া করি তা তৎক্ষনাৎ পাই না। কারণ,আল্লাহ আলিমুল গায়েব। বান্দার প্রকৃত কল্যাণ কিসে তা তিনি জানেন। তাই তিনি বান্দার ততটুকুই কবুল করেন,যতটুকুতে তার কল্যাণ আছে।
আল্লাহ বলেন,
▶ “হয়তো তোমরা যা অপছন্দ কর,তা-ই তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর তোমরা যা পছন্দ কর,সেটা হতে পারে অকল্যাণকর।বস্তুত: আল্লাহ জানেন। তোমরা তা জান না ”
–(সূরা বাকারা :২১৬)
তাই আমাদের উচিত বেশি বেশি দুয়া করা।কেননা আল্লাহর কাছে যত বেশি চাইব,আল্লাহ তত বেশি খুশি হবেন। বিপদে-আপদে কিংবা বিশেষ কিছু চেয়ে দুয়া এবং সেই দুয়া কবুলের অসাধারণ কিছু বাস্তব গল্প নিয়ে রচিত বই ‘‘দুয়া কবুলের গল্পগুলো ’’।
▶বইটির বিশেষত্ব : বইটিতে বিদ্যমান গল্পগুলো আপনাকে বেশি বেশি দুয়া করতে অনুপ্রেরণা জাগাবে।এবং যে কোন বিষয়ে আল্লাহর কাছে চাওয়ার সংকোচ দূর করার পাশাপাশি ভালো রিমাইন্ডার হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে বইটি।আমরা সব সময় নিজের,আত্মীয়-স্বজন,বন্ধু-বান্ধবের প্রকৃত কল্যাণের জন্য দুয়া করব ইনশাল্লাহ।