দুআ কবুলের গল্পগুলো
অনুবাদ, সংগ্রহ ও সম্পাদনাঃ রাজিব হাসান
দু’আ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাহ। রাসূল ( ﷺ) ইরশাদ করেন,“দু’আ মূল ইবাদাহ”। [আবূ দাঊদ, তিরমিযী] দু’আ হলো মহান আল্লাহর নিকট কোনকিছু চাওয়া বা প্রার্থণা করা। যিনি আমাদের সুন্দরতম অবয়বে সৃষ্টি করেছেন, পরীক্ষার নিমিত্তে দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন, কৃত গুনাহ মাফের জন্য কিংবা যে কোন প্রকারের সাহায্য-সহযোগিতার জন্য দু’আ শিখিয়ে দিয়েছেন। যুগে যুগে মানবতার মুক্তির দূত নাবী রাসূলগণ যে কোন প্রয়োজনে স্বীয় রবের কাছে দু’আ করতেন। যে কোন মুহুর্তে, যে কোন প্রয়োজনে আল্লাহর কাছে কোনকিছু চাইতে দ্বিধাবোধ করতেন না।
সাহাবাগণ দু’আ করতেন, চাইতেন, আল্লাহর কাছে বেশী বেশী ফিক্বির জারি রাখতেন। যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে দু’আ, যেকোন বিপদ-আপদে দু’আ, যে কোন সমস্যায় দু’আ, সুখের সময়ও দু’আ। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনায় দু’আ। তাদের যাবতীয় ফরিয়াদ ছিল আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছে, শুধুমাত্র তারই কাছে। রদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা ‘আনহুম ওয়া আজমাঈন।
আমাদের বর্তমান প্রেক্ষাপট খানিকটা ভিন্ন। অল্প কিছু মানুষ ছাড়া উম্মতের বড় একটা অংশ দু’আর দেখানো পথ থেকে অনেক দূরে। উম্মতের এই বড় অংশটা আবার কয়েক ভাগে বিভক্ত। একভাগ দু’আ করেনা বা করতে চায় না, একভাগ স্বীয় রব্বকে ভুলে সৃষ্টিকূলের কাছে মাথা ঠুকে, আর আরেকভাগ দু’আ করতে চাইলেও আত্ন-বিশ্বাস আর তাওয়াক্কুলের অভাবে কিংবা পদ্ধতি না জানার কারণে নিজে দু’আ করা থেকে মাহরুম থাকে।
আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন, “সবচাইতে হতভাগা হল সেই ব্যাক্তি যে দু’আ করে না”[সহিহ আল জামি’]
আমাদের কোনকিছুর প্রয়োজন হলে কিংবা কোন সমস্যায় পড়লে সর্বপ্রথমে আমরা সৃর্ষ্টির কাছে ধরনা দেই। যখন একে একে সবগুলো দরজা বন্ধ হয়ে যায়, ঠিক তখন আল্লাহর দিকে ফিরে এসে ফিক্বির জারী করি। অনেক সময় দু’আর হালই ছেড়ে দেই, দু’আ করতেই চাই না, হতাশায় ভুগি।
সকল প্রয়োজনে সর্বাগ্রে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছে সাহায্য চাওয়ার মানুষের বড্ড অভাব। সর্বশক্তিমান আল্লাহ্কে বাদ দিয়ে দুর্বল সৃষ্টিকূলের দিকে ধাবিত হওয়া মানুষের সংখ্যাই বেশী। অথচ তিনিই আল্লাহ্ যিনি আমাদের দু’আ কবুল করার ওয়াদা দিয়েছেন। বেশী বেশী দু’আ করতে বলেছেন। প্রতিটি বিষয়ে হউক তা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র, হউক বৃহদাকার একমাত্র আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলাকেই সর্বদা ডাকতে হবে আমাদের, তার কাছেই চাইতে হবে সবকিছু। কোন কিছুর জন্য যে কোন পরিস্থিতিতে দু’আ করলে আল্লাহ রব্বুল ইজ্জত খুশি হন।
শাইত্বন আমাদের প্রতিনিয়ত ধোঁকা দেয়। আমাদের বিশ্বাসের খুঁটিতে নাড়া দেয়। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা কী আমার দু’আ কবুল করবেন? তিনি কী শুনবেন আমার মত এই নগন্য-জঘন্য এক সাধারণ মানুষের কথা? কত মানুষই তো দু’আ করে, তাদের দু’আ কী কবুল হয় ? তাদের তো কোন পরিবর্তন, পরিবর্ধন হয় না? এতদিন ধরে আল্লাহকে ডাকছি তবুও কোন ফল পাই না – নানা-রকমের শাইত্বনিক ওয়াস-ওয়াসা আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রতিনিয়ত। এটাই মুলতঃ শাইত্বনের ধোঁকা। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার দয়া ও রহমত থেকে নিরাশ করার হাতছানি, কানাকানি, পেরেশানী ইত্যাদি শাইত্বনই করে থাকে। কেননা আল্লাহকে ডাকলে, আল্লাহকে স্মরণ করলে, আল্লাহর উপর ভরসা করলে সবচেয়ে বড় ক্ষতি তো তারই। একদম সহজ সমীকরণ।
আমাদের আশেপাশের সাধারণ, অতি সাধারণ মানুষেরা জানে না কিভাবে দু’আ করতে হয়। কিভাবে ডাকলে আল্লাহ্ শুনেন, দু’আ কবুল করেন। অন্যদিকে অনেক মানুষ আছে যারা আল্লাহকে ডেকে সাড়া পেয়েছে, জীবনের মোড় ঘুরে গেছে, চরম হতাশা ও বিপদের মুহুর্তে এক আল্লাহ্র উপর তাওয়াক্কুল করে ফল পেয়েছে – এরকম মানুষের গল্প ভুড়িভুড়ি। সাধারণ মানুষের দু’আ কবুলের বিভিন্ন ঘটনার সম্ভার নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন বই “দু’আ কবুলের গল্পগুলো”
Out of stock
-
-
hotবেলা ফুরাবার আগে
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন335 ৳218 ৳বেলা ফুরাবার আগে... নিজেকে আবিষ্কারের একটি আয়না। ...
-
hotকুরআন থেকে নেওয়া জীবনের পাঠ
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশন330 ৳231 ৳এককথায়— কুরআন কীভাবে আমাদের জীবনের কথা ...
-
hotমনের ওপর লাগাম
লেখক : আল্লামা ইবনুল জাওযী (রহঃ)প্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন173 ৳128 ৳বিবেক আছে বলেই মানুষ পশুপাখি থেকে ...
-
hotএবার ভিন্ন কিছু হোক
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন340 ৳221 ৳প্রতিদিন একটা একঘেয়েমি চক্রে কেটে যাচ্ছে ...
-
hotজীবন যেখানে যেমন
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন275 ৳179 ৳আরিফ আজাদের নতুন বই 'জীবন যেখানে ...
-
hotটাইম ম্যানেজমেন্ট
লেখক : ইসমাইল কামদারপ্রকাশনী : সিয়ান পাবলিকেশন228 ৳166 ৳ইমাম আবু হানিফা রহ.-এর রেশমি কাপড়ের ...
-
hotআল্লাহর প্রতি সুধারণা
লেখক : ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়াপ্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন175 ৳129 ৳জাবের রদ্বি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ...
-
hotনফসের বিরুদ্ধে লড়াই
লেখক : মাহমুদ বিন নূরপ্রকাশনী : রাইয়ান প্রকাশন220 ৳161 ৳কতজন-ই তো বলে—আমি তাহাজ্জুদে উঠতে পারি ...
-
SUMMA JAHAN – :
বই:দুআ কবুলের গল্পগুলো
________________________
লেখক : রাজিব হাসান
প্রকাশনী : আযান প্রকাশনী
বিষয় : ইসলামী সাহিত্য, গল্প-উপন্যাস এবং সফরনামা, ইবাদত, আত্মশুদ্ধি ও অনুপ্রেরণা
মূল্য:২৮০ টাকা – ৩০% ছাড়= ১৯৬ টাকা
আল্লাহ তায়ালা মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। একমাত্র দুআ’ই পারে ভাগ্য পরিবর্তন করতে।
রাসূল (স:) ইরশাদ করেন,“দু’আ মূল ইবাদাহ”। দু’আ হলো মহান আল্লাহর নিকট কোনকিছু চাওয়া বা প্রার্থণা করা।
বইটির বিষয়বস্তু
________________
লেখক গল্পের মতো করে দুআ’র বিষয়বস্তু তুলে ধরেছেন।বইটিতে ৪৩টি গল্পের আকারে দুআর গুরুত্ব,প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করা হয়েছে।
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন, পরীক্ষার নিমিত্তে দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন, কৃত গুনাহ মাফের জন্য কিংবা যে কোন প্রকারের সাহায্য-সহযোগিতার জন্য দু’আ শিখিয়ে দিয়েছেন। নবী রাসূলগণেরা যে কোন প্রয়োজনে আল্লাহ তায়ালার কাছে দু’আ করতেন। যে কোন মুহুর্তে, যে কোন প্রয়োজনে আল্লাহর কাছে কোনকিছু চাইতে দ্বিধাবোধ করতেন না।
আমাদের সব সময় আল্লাহর কাছে দু’আ করা উচিত।
যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে দু’আ, যেকোন বিপদ-আপদে দু’আ, যে কোন সমস্যায় দু’আ, সুখের সময়ও দু’আ। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনায় দু’আ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সব কিছু দেখেন,সব কিছু শুনেন। আমরা সর্বদা গুনাহের কাজে লিপ্ত আছি।আর এই গুনাহ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার একমাত্র উপায় আল্লাহর কাছে দু’আ করা। বান্দা যত আমল, ইবাদত করুক না কেন, আল্লাহর রহমত ছাড়া সফলকাম হবে না, জান্নাতবাসী হবে না। আর আল্লাহর রহমত পেতে হলে আল্লাহর কাছে দু’আ করতে হবে, আল্লাহর কাছে চাইতে হবে। শুধুমাত্র তারই কাছে।
আমাদের বর্তমান প্রেক্ষাপট খানিকটা ভিন্ন। অল্প কিছু মানুষ ছাড়া অধিকার মানুষ দু’আর সঠিক পদ্ধতি থেকে দূরে সরে গিয়েছে।
উম্মতের অংশ আজ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত। ∆একভাগ দু’আ করেনা বা করতে চায় না
∆একভাগ স্বীয় রব্বকে ভুলে সৃষ্টিকূলের কাছে মাথা ঠুকে
∆আর আরেকভাগ দু’আ করতে চাইলেও আত্ন-বিশ্বাস আর তাওয়াক্কুলের অভাবে কিংবা পদ্ধতি না জানার কারণে নিজে দু’আ করা থেকে বিরত থাকে
অধিকাংশ মানুষ ফরজ ইবাদত ছাড়া নফল নামাজ,যিকর আজগার, আল্লাহর কাছে দু’আ করা বিশেষ কারণ বা দিন ছাড়া করে না।
আল্লাহর রাসূল(স:) বলেন, “সবচাইতে হতভাগা হল সেই ব্যাক্তি যে দু’আ করে না”[সহিহ আল জামি’]
আমাদের কোনকিছুর প্রয়োজন হলে কিংবা কোন সমস্যায় পড়লে সর্বপ্রথমে আমরা সৃষ্টির কাছে ধরনা দেই। যখন একে একে সবগুলো প্রচেষ্টা ব্যার্থ হয়, ঠিক তখন আল্লাহর দিকে ফিরে আসি।
অনেক সময় দু’আর হালই ছেড়ে দেই
দু’আ করতেই চাই না, হতাশায় ভুগি।
সকল প্রয়োজনে সর্বাবস্থায় আল্লাহ তা’আলার কাছে সাহায্য চাওয়া,মহান আল্লাহ্ তায়ালার উপর তায়াক্কুল করে থাকা।
অনেক মানুষ আছে,যারা আল্লাহ তায়ালার উপর তায়াক্কুল না করে দুর্বল সৃষ্টিকূলের দিকে ধাবিত হয়। আজকের দিনে এমন মানুষের অভাব নেই।
অথচ তিনিই আল্লাহ্ যিনি আমাদের দু’আ কবুল করার ওয়াদা দিয়েছেন।
বেশী বেশী দু’আ করতে বলেছেন।
ছোট, বড় যাই হোক আল্লাহর কাছে দু’আ করতে হবে।
আমাদের জীবনের এমন কোন কিছু কি আছে যা আল্লাহ ছাড়া আমাদের করার শক্তি আছে? আমরা কেন ভুলে যাই না চাইলে আমরা তা করতে পারব না। হউক তা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র, হউক বৃহদাকার।
একমাত্র আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলাকেই সর্বদা ডাকতে হবে আমাদের, তার কাছেই চাইতে হবে সবকিছু। কোন কিছুর জন্য যে কোন পরিস্থিতিতে দু’আ করলে আল্লাহ তায়ালা খুশি হন।
শয়তান আমাদের প্রতিনিয়ত ধোঁকা দিতেই থাকে। আমাদের অনেক পাপ কর্মে লিপ্ত করে। ফলে আমরা বিশ্বাস করি,আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা কী আমার দু’আ কবুল করবেন?
তিনি কী শুনবেন আমার মত এই পাপী কথা? সবার দু’আ কী কবুল হয় ?
আমাদের বিশ্বাস নষ্ট করে দেয়। শয়তান আমাদের অন্তরে নানারকম প্ররোচনা দিতেই থাকে। তাদের তো কোন পরিবর্তন, পরিবর্ধন হয় না? এতদিন ধরে আল্লাহকে ডাকছি তবুও কোন ফল পাই না – নানা-রকমের ওয়াস-ওয়াসা আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রতিনিয়ত। এটাই মুলতঃ শয়তানেরনের ধোঁকা। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার দয়া ও রহমত থেকে নিরাশ করার হাতছানি, কানাকানি, পেরেশানী ইত্যাদি শয়তানই করে থাকে।
শেষ কথা
________
আল্লাহকে ডাকলে, আল্লাহকে স্মরণ করলে, আল্লাহর উপর ভরসা করলে সবচেয়ে বড় ক্ষতি শয়তানের। আমরা সাধারণ মানুষেরা জানি না ——–
∆কিভাবে দু’আ করতে হয়।
∆ কিভাবে ডাকলে আল্লাহ্ শুনেন, দু’আ কবুল করেন।
∆ দু’আ করার বিশেষ সময় এবং জায়গা আছে কিনা?
অন্যদিকে অনেক মানুষ আছে যারা আল্লাহকে ডেকে সাড়া পেয়েছে, জীবনের মোড় ঘুরে গেছে, চরম হতাশা ও বিপদের মুহুর্তে এক আল্লাহ্র উপর তায়াক্কুল করে ফল পেয়েছে
সাধারণ মানুষের দু’আ কবুলের বিভিন্ন ঘটনার সম্ভার নিয়ে বই “দু’আ কবুলের গল্পগুলো” পড়ে দু’আর মাধ্যমে রবের সাথে কথা বলুন। আপনার সুবিধা অসুবিধা,প্রয়োজন, আনন্দ সবই আল্লাহকে বলুন। দু’আ করে যা কিছু প্রয়োজন যেয়ে নিন আর যা মহান আল্লাহ দিয়েছেন তার শুকরিয়া করুন।
Sabiha Jannat – :
◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉◉
∎ বইটি কী নিয়ে লেখা?
▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔
দু’আর মহিমা,দু’আর শক্তি,দু’আ কি-ই বা না করতে পারে……!!!
এমন কিছু চমৎকার অবাক করে দেওয়া, দেশ-বিদেশের ভাই বোনদের সাথে ঘটে যাওয়া সত্যিকারের ঘটনা নিয়ে লেখা,….
❝দু’আ কবুলের গল্পগুলো❞
∎ শিক্ষনীয় বিষয় কী?
▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔
•দু’আ চেয়েই দু’আর ফল পাওয়ার জন্য অস্থির হওয়া যাবেনা,আল্লাহ এতে দু’আ কবুল করেন না।
• আল্লাহর কাছে চাওয়া নিয়ে হতাশ হওয়া যাবে না।
• ছোট ছোট বিষয়গুলোতেও আল্লাহর কাছে চাইতে হবে,হোক সেটা একটি জুতার ফিতাও।
• আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রেখে, নেক কিছু পাওয়ার জন্যে দু’আ করলে আল্লাহ অসম্ভব কিছুও সম্ভব করতে সক্ষম।
• দু’আ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে সক্ষম।
• আপনি পরিপূর্ণ ভাবে হেরে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত দু’আ করতে থাকুন,আল্লাহ আপনাকে ফেরাবেন না,বিজয়ী করবেনই ঈন শা আল্লাহ!
∎ কাদের পড়তে সাজেস্ট করবো?
▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔
• যারা জীবনে হতাশ
• জীবনে কোনো একটা হালাল কিছু পেতে চাচ্ছেন,কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না, তারা প্রেরণা পাবেন বইটি থেকে
•আল্লাহর কাছে দু’আ তো করেন তবে দু’আ কিভাবে করতে হয় তার সঠিক পথটি আপনার জানা নেই, এই বইটি আপনার জন্যেও
∎ বেস্ট পার্ট কী?
▔▔▔▔▔▔▔▔▔
আল্লাহর ওপর সবার চাইতে,সবথেকে বেশি ভরসা করার মতো একজন বান্দায় পরিণত করার মতো ক্ষমতা আল্লাহ দিয়েছেন এই বইটিকে মাশা আল্লাহ! This is the best part of the book actually.
∎ কিছু সমালোচনা–
▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔
আমার বই এর কপিটার কিছু অংশের ছাপা বাদ পড়েছে তাই কিছু গল্প পড়া অসমাপ্ত রয়ে গেছে,এছাড়া টুকটাক বানান ভুল আছে যা আশা করি পরবর্তী সংস্করণে ঠিক করা হবে,ঈন শা আল্লাহ!
∎ মন্তব্য
▔▔▔▔▔
আমরা আসলে দু’আ করা নিয়ে চরম পর্যায়ের অলস। কিছু মুখস্থ বাক্য বলে আমিন বলে মুখে ডলে ফেলতে পারলেই যেন বাচিঁ এমন একটা ভাব।
আমরা এটা তো চাই যে আল্লাহ আমাদের দু’আ কবুল করুক কিন্তু এর জন্য আমাদের রবকে যেভাবে ডাকতে হবে তা নিয়ে প্রচুর আলসেমি আর এক প্রকার অমনোযোগীতা আমাদের মধ্যে।
….বইটি পড়ার পর আপনার ভেতরের এই দিকটার অন্তত উন্নতি হবে এবং রবের কাছে চাওয়ার ব্যাপারে, তাকে রাজি খুশি করার ব্যাপারে আরও কি কি টেকনিক অবলম্বন করা যায় এ ব্যাপারে মনযোগী হবেন আশা করা যায়….ঈন শা আল্লাহ!
বই এর লিংক-https://www.wafilife.com/shop/books/dua-kobuler-golpo-gulo/
Mohammad Junayed – :
বক্ষমান বইটিতে ৪২ টি দোয়া কবুলের বাস্তব কাহিনী আছে । যেগুলো পড়ে আমি অভিভূত হয়েছি। তার মধ্যে অন্যতম হলো:
# নষ্ট গাড়ি ,ফিরল বাড়ি
# আয়াতুল কুরসি
# তাওয়াক্কুল-প্রদীপ জ্বলে পানিতে
# ৩২ বছরে ৩২ হাজ্জ্ব
# তাওয়াক্কুল-মুক্তার নেকলেস
#মুফতি মেংক-এর একদিন
দোয়া কবুলের গল্পগুলো বইটিতে দোয়া কবুলের টিপস অবস্থান ক্ষেত্র ও সময় উল্লেখ রয়েছে যেগুলো জেনে আমি অনেক উপকৃত হয়েছি।
Wahida Akhtar Sanna – :
বইটিতে দু’আ কবুলের মোট ৪৩টি গল্প বলা হয়েছে। আসলে গল্প নয়, বরং এগুলো মুমিনের জীবনের বাস্তব ঘটনা। আল্লাহকে ডেকে যারা সাড়া পেয়েছেন, জীবনের মোড় ঘুরে গেছে, চরম হতাশা ও বিপদের মুহূর্তে এক আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে ফল পেয়েছেন যারা, তাদের জীবনের সেই ঘটনাগুলোই সংগ্রহ করে প্রকাশ করা হয়েছে এই বইটিতে। এবং ঘটনাগুলোর কোনো কোনোটা এতটাই অলৌকিক যে আপনার হয়তো বিশ্বাসই হতে চাইবে না।
* ‘হোটেল ম্যানেজার’ গল্পটি পড়লে দু’আ যে আসলে কতটা শক্তিশালী অস্ত্র মুমিনের জন্য, সেটা উপলব্ধি করা যায়।
* ‘মরোক্কো থেকে মক্কা’ গল্পে এক বোনের জীবনের ঘটনা উঠে এসেছে, যিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন এবং বিশ্বের নানা প্রান্তের বড় বড় ডাক্তাররা বলে দিয়েছিলেন যে, তিনি আর বেশি দিন বাঁঁচবেন না।কষ্ট আর হতাশায় আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন তিনি। তারপর আল্লাহর রহমতে পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন। অতঃপর ডাক্তাররা তাঁকে দেখে বলতে বাধ্য হয়েছেন “আপনার ব্যাপারটা রহস্যে ঘেরা”।
* ‘এ জার্নি বাই ঈমান’ গল্পে উঠে এসেছে এক বোনের ঘটনা, যাকে সব বড় বড় ডাক্তাররা বলে দিয়েছিলেন যে, তিনি কোনোদিনই মা হতে পারবেন না।তিনি এবং তার স্বামী মোটেও কোনো প্রাক্টিসিং মুসলিম ছিলেন না। সবদিক থেকে হতাশ হয়ে তারা আল্লাহর রাস্তায় ফিরে এসেছেন এবং মহান আল্লাহতা’লা তাদের নিরাশ করেননি। এক সাথে ৩ সন্তান গর্ভে ধারণ করেছেন তিনি।
* ‘কা’বার কালো ইমাম’ গল্পে আপনি মায়ের দু’আর অলৌকিক ক্ষমতা আরও একবার দেখতে পাবেন।
এছাড়া যে গল্পগুলো আমাকে খুব বেশি ছুঁয়ে গেছে সেগুলোর শুধু মাত্র নামগুলো উল্লেখ করছি – ‘অটুট বন্ধন’, ‘উত্তম প্রতিদান’, ‘হালাল খাবারের খোঁজে’, ‘আয়াতুল কুরসী’, ‘এমন স্ত্রী কজনের হয়’, ‘কে আমার বন্ধু’, ‘অবশেষে আব্দুল্লাহ’, ‘তাওয়াক্কুল-প্রদীপ জ্বলে পানিতে’, ‘হাতিম আর তার মেয়ে’, ‘আফ্রিকার আকাশে আলোর মেঘ’, ‘তারা তিনজন ও এক দুঃখিনী মা’ এবং ‘এক মজলুমের দু’আ’। এগুলোর কোনোটা পড়ে মনের অজান্তেই হয়তো আপনি বলে উঠবেন ‘আল্লাহু আকবার’, কোনো আপনার চোখের কোণে অশ্রু জমা করবে।
এছাড়া বইয়ের শেষে ‘দু’আ কবুলের ১৪টি টিপস’, ‘দু’আর ১৭টি আদব’, ‘দু’আ কবুলের ২৮টি স্থান, ক্ষেত্র ও সময়’ – এগুলো যুক্ত করা হয়েছে, যা প্রত্যেকের জন্য উপকারী হবে।
প্রতিটি গল্পে প্রচুর রেফারেন্স দেয়া হয়েছে কুরআন ও হাদীস থেকে, যা আপনাকে মহান আল্লাহতা’লাকে ডাকতে, তাঁর কাছে সাহায্য চাইতে উৎসাহিত করবে।
বইটিতে বেশ কিছু টাইপিং-এর ভুল আছে, যা ছোটখাটো হলেও চোখে পড়ার মতো। পরবর্তী সংস্করণে প্রকাশণী এদিকে মনোযোগ দেবে আশা করছি।
আরেকটা বিষয় উল্লেখ করার প্রয়োজন মনে করছি – প্রতিটি গল্পে যে সকল কুরআনের আয়াত আর হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে, ফুট নোট আকারে সেগুলোর রেফারেন্স দেয়া হয়েছে গল্পের শেষে। সেটা শেষে না দিয়ে প্রতি পৃষ্ঠার নিচেই দিয়ে দিলে বোধোয় পাঠকের পড়তে বেশি সুবিধা হতো।
আপনি যদি কোনো সমস্যায় পড়ে যান, মহান আল্লাহর সাথে কথা বলুন।আল্লাহতা’লা চাবি ছাড়া কোনো তালা তৈরি করেননি। সমাধান নেই এমন কোনো সমস্যায় তিনি আমাদের ফেলেন না। আর আমরা যদি আল্লাহর সাথে কথা বলতে চাই তাহলে আমাদের দু’আ করা উচিৎ।শুধু সিজদায় বা হাত তুলে নয় বরং হাটা-চলা, ভ্রমণ-সফর যেখানে যে অবস্থাতেই থাকি না কেন দু’আ করাটা খুবই প্রয়োজন আমাদের।
আর দু’আর নিয়ম-কানুন সহজে আর বিস্তারিত ভাবে জানতে চাইলে পড়ে ফেলুন এই বইটি, যা আপনাকে এগুলো জানানোর পাশাপাশি দু’আর ক্ষমতা সম্পর্কেও আরেকবার জানিয়ে দেবে।
– ওয়াহিদা আখতার ছাননা
Mohammad Junayed – :