দুআ কবুলের গল্পগুলো (২য় খণ্ড)
সংগ্রহ এবং ভাষান্তর: মুহিব্বুল্লাহ খন্দকার ও রাজিব হাসান
সম্পাদনা: রাজিব হাসান
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২০০ (পেপার ব্যাক কভার)
২০১৯ সালে প্রকাশিত ‘দুআ কবুলের গল্পগুলো’ ব্যাপক সাড়া জাগানো বই। পাঠকমহলে বইটি নন্দিত হয়। প্রকাশকের কাছে অনুরোধ আসে দুআ কবুলের গল্পের ধারা অব্যহত থাকুক। এরই ধারাবাহিকতায় আযান প্রকাশনী নিয়ে এলো “দুআ কবুলের গল্পগুলো – ২”
প্রথম বইটির মত এই বইটিতেও থাকছে আমাদের আশেপাশের সাধারণ, অতি সাধারণ মানুষের দুআ কবুলের সত্য ঘটনা সম্ভার। নতুনত্ব হিসেবে থাকছে নবী রাসূল (আ.) ও সালাফদের সময়কার দুআ কবুলের বিভিন্ন সত্য ঘটনা।
আমাদের অনেকেই জানেনা কিভাবে দুআ করতে হয়। কিভাবে ডাকলে আল্লাহ্ শুনেন, দুআ কবুল করেন। অন্যদিকে আম্বিয়া কিরাম, সত্য যুগের মানুষ, আমাদের আশেপাশের বর্তমান সময়কার অনেক মানুষ আল্লাহকে ডেকে সাড়া পেয়েছে, জীবনের মোড় ঘুরে গেছে, চরম হতাশা ও বিপদের মুহূর্তে এক আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে ফল পেয়েছে – এরকম মানুষের গল্পের সম্ভার নিয়ে এবারের আয়োজন বই “দু‘আ কবুলের গল্পগুলো -২ ”।
Out of stock
-
-
hotবেলা ফুরাবার আগে
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন335 ৳234 ৳বেলা ফুরাবার আগে... নিজেকে আবিষ্কারের একটি আয়না। ...
-
hotকুরআন থেকে নেওয়া জীবনের পাঠ
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশন330 ৳231 ৳এককথায়— কুরআন কীভাবে আমাদের জীবনের কথা ...
-
hotমনের ওপর লাগাম
লেখক : আল্লামা ইবনুল জাওযী (রহঃ)প্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন173 ৳128 ৳বিবেক আছে বলেই মানুষ পশুপাখি থেকে ...
-
hotএবার ভিন্ন কিছু হোক
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন340 ৳238 ৳প্রতিদিন একটা একঘেয়েমি চক্রে কেটে যাচ্ছে ...
-
hotজীবন যেখানে যেমন
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন275 ৳192 ৳আরিফ আজাদের নতুন বই 'জীবন যেখানে ...
-
hotটাইম ম্যানেজমেন্ট
লেখক : Ismail Kamdarপ্রকাশনী : সিয়ান পাবলিকেশন228 ৳166 ৳ইমাম আবু হানিফা রহ.-এর রেশমি কাপড়ের ...
-
hotআল্লাহর প্রতি সুধারণা
লেখক : ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়াপ্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন175 ৳129 ৳জাবের রদ্বি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ...
-
hotনফসের বিরুদ্ধে লড়াই
লেখক : মাহমুদ বিন নূরপ্রকাশনী : রাইয়ান প্রকাশন220 ৳161 ৳কতজন-ই তো বলে—আমি তাহাজ্জুদে উঠতে পারি ...
-
featureম্যাসেজ
লেখক : মিজানুর রহমান আজহারিপ্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স300 ৳ইসলাম এক নক্ষত্র, যার সংস্পর্শে সমস্ত ...
-
আব্দুর রহমান – :
পাঠকের এই দিকটির প্রতি লক্ষ্য রেখেই আযান প্রকাশনী হতে প্রকাশিত হয়েছে দোয়া কবুলের একগুচ্ছ গল্প নিয়ে “দোয়া কবুলের গল্পগুলো ২” বইটি। ইতোপূর্বে আযান প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত “দোয়া কবুলের গল্পগুলো” অর্থাৎ প্রথম বইটিও বেশ পাঠকপ্রিয় হয়েছিল।
.
▶ সার-সংক্ষেপঃ-
২০০ পৃষ্ঠাব্যাপী বিস্তৃত বইটিতে বিভিন্ন শিরোনামে মোট ৪১টি দোয়া কবুলের গল্প রয়েছে। মুহিব্বুল্লাহ খন্দকার ও রাজিব হাসান বিভিন্ন বিশ্বস্ত সুত্র থেকে এসব দোয়া কবুলের গল্পগুলোকে সংগ্রহ ও সম্পাদনা করেছেন।
বইতে রয়েছে ইবরাহিম (আ:) এর দোয়া কবুলের ঘটনা, খন্দকের যুদ্ধে নবীজি (স:) এর দোয়া কবুলের ঘটনা, নবীজি (স:) এর বদদুআ সহ রাসূল (স:) এর সাথে সম্পর্কিত বেশকিছু দোয়া কবুলের ঘটনা।
বইয়ের বেশিরিভাগ অংশজুড়েই রয়েছে আমাদের চারপাশের মানুষদের দোয়া কবুলের ঘটনা। যা তাদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। কেউ চরম বিপদের মূহুর্তে কোন উপায় না পেয়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে পরিত্রাণ পেয়েছেন। আবার কেউ মরণব্যাধী কোন অসুখ থেকেও আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠ দোয়ার ফলে আরোগ্য লাভ করছেন। এভাবে পুরো বইতে রয়েছে দোয়া কবুলের অসংখ্য ঘটনা।
বইটে বাড়তি হিসেবে আরো আছে-
দোয়া করার ১৭টি আদব
দোয়া কবুলের ২৮টি স্থান ক্ষেত্র ও সময়।
দোয়া কবুল হওয়ার জন্য ১৪টি টিপস ইত্যাদি।
.
▶ বইটি কেন পড়বেন এবং কি পাবেন?
বইটি পড়ার পর আপনি জানতে পারবেন আমাদের আশেপাশের মানুষগুলো কিভাবে কিভাবে অনেক কঠিন মূহুর্তে দোয়া করার ফলে আল্লাহ তায়ালা তাদের দোয়া কবুল করেছেন। যা আপনার মনেও আল্লাহর কাছে দোয়া করতে অনুপ্ররেণা জাগাবে বলে আমার বিশ্বাস।
.
▶ ব্যক্তিগত অনূভুতিঃ-
দোয়া কবুলের গল্পগুলো এর প্রথম বইটি আমি পড়িনি। তবে দোয়া কবুলের গল্পগুলো ২ বইটি পড়ার পর মনে হচ্ছে সেটা কিনে না পড়ে যেন অনেক কিছুই মিস করে ফেলেছি। ইনশাআল্লাহ, প্রথম বইটিও পড়বো। বইটি পড়ার পর বুঝতে পেরেছি আসলেই দয়াময় আল্লাহর দয়ার কোন শেষ নেই। আমরা শুধু তার কাছে চাইতে জানি না। তাই সকলের নিকট অনুরোধ বইটি একবার হলেও পড়ুন আর জেনে নিন দোয়া কবুলের কিছু বাস্তব উদাহরণ। আল্লাহর কাছে দোয়া করাই হোক নির্ভরতার সোপান।
Montasir Mamun – :
কেন পড়বেন?
আপনি যদি দু আ করতে করতে হতাশ হয়ে থাকেন তাহলে বইটি আপনার জন্য। অথবা যদি এমন হয় আপনি দু আ করেনই না, বরং অন্য নানা দিকে চেষ্টা তদবির করে যাচ্ছেন তাহলেও বইটি আপনার জন্য পড়া আবশ্যক। দুয়া কবুলের আগের ব্যাথা ও কবুল হবার প্রশান্তি খুব ভালভাবে উপলব্ধি করা যায় এই বইটি পড়ে। বিভিন্ন নবী, সালফে সালেহীন ও সাধারন ব্যক্তিদেরও অসাধারন সব গল্প আছে বইয়ে। শুধু দোয়া কবুল হবার গল্পই নয়, সাথে দুয়া বিষয়ক আরো জ্ঞানও অর্জিত হবে এই বইটি থেকে।
কি কি আছে?
শুরু হয়েছে নবী ইবরাহীম (আ) এর দোয়া কবুল হবার গল্প দিয়ে। এরপর নানা মানুষের নানার কিসিমের দোয়া কবুলের অনেকগুলো গল্প বর্নিত হয়েছে। মায়ের দোয়া, বাবার দোয়া, সন্তানের দোয়া, অভাবীর দোয়া, ধনীর দোয়া সব ধরনের দোয়াই স্থান পেয়েছে। নবী মুহাম্মাদ (স) এর দোয়ার নানা ঘটনাও মাঝে মাঝে বর্ননা করে দোয়া করার ফযিলত ও উপকারিতার প্রমান মিলিয়ে দেয়া হয়েছে। আল্লাহই যে দোয়া কবুল করেন এবং খুব সুন্দরভাবেই সময়মত করেন তা বোঝা যায় বইটি পড়ে।
অসুখ সারার কাহিনী, বিপদ হতে উদ্ধারের কাহিনী, মনের আশা পূরনের কাহিনীগুলো এক একটা যেন মাস্টারপিস। দোয়া যে কত বড় নেয়ামত তা এই বই পড়ে বোঝা যায়।
দোয়া কবুলের এই সব গল্প বেশিরভাগই চোখের কোনে পানি নিয়ে আসে। দোয়া করতে অনুপ্রেরণা জাগায়। ৪০ টিরও বেশি দোয়া কবুলের কাহিনী বর্ননা করেই বইটি শেষ হয়ে যায়নি। বইয়ে রয়েছে দোয়া কবুলের নানা শর্ত, কবুল না হওয়ার কারন, টিপস, আদব, দোয়া কবুলের স্থান, ক্ষেত্র ও সময়ের বর্ননা। এক কথায় দোয়া বিষয়ক একটা ফুল প্যাকেজ বলা যেতে পারে বইটিকে।
পাঠ অনুভূতিঃ
খুবই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছি বইটি পড়ে। পাতায় পাতায় মিশে গেছে আনন্দ, চোখের কান্না। কখনও কখনো কাহিনীর চরিত্রগুলোর সাথে সাথে আমার হাতও উঠে গেছে আকাশের দিকে। কখনো বা পড়তে পড়তে ঝাপসা হয়ে গেছে চোখ। পড়া কিছুক্ষন বিরতি দিতে হয়েছে। নবী, সাহাবীদের যুগে তো বটেই, আমাদের এই বর্তমান যুগেও দোয়া কবুলের এমন সব নমুনা দেখে সত্যিই অনেক আশান্বিত হয়েছি। আশায় বুক বেঁধে দয়াময়ের দরবারে ভিখারীর মত হাত তোলার অনুপ্রেরণা পেয়েছি। আপনিও পড়ুন, ভাল লাগবে।
রেটিংঃ ৯/১০
বইঃ দুআ কবুলের গল্পগুলো (২য় খণ্ড)
লেখক : মুহিব্বুল্লাহ খন্দকার, রাজিব হাসান
প্রকাশনী : আযান প্রকাশনী
গায়ের দামঃ ২৮০ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৯৮
tpssaddam9 – :
আমরা যারা মুসলিম তাদের সকল চাওয়া আল্লাহর কাছে। হ্যা, তিনি সব দেন, আমরা পাপ করি, তবুও দেন; ক্ষমা করেন। তাবদ পৃথিবীর সবাইকে দেন। অথচ, আমরা দোয়া কবুলের সিস্টেম বা মাধ্যম জানি না, তা আমাদের অজ্ঞাত। যুগে যুগে যেসব মানুষদের দোয়া কবুল হয়েছে সেসব গল্প আমাদের অণুপ্রেরণা দেয়। আর আমরা ভাবি, আমরা কেমন অপরাধী? রব কী আমাদের দোয়া কবুল করবে?
ঠিক এমন ৪১টি জনগুরুত্বপূর্ণ গল্প নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়েছেন মুহিববুল্লাহ খন্দকার ও রাজিব হাসান। আযান প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত গ্রন্থটি মূলত সংকলন ও অনুবাদ। প্রতিটি গল্প পড়ে পড়ে আপনি ভাবনার অতলে ডুবে যাবেন, আর রিথিংক করবেন ‘আল্লাহ’। তিনি তো আল্লাহ যিনি সকলের দোয়া কবুল করেন, চাইলেই দেন।
গ্রন্থটি পাঠ করতে করতে হতাশাগ্রস্থ পাঠকের শেখা হয়ে যাবে দোয়ার পদ্ধতি, সালফে সালেহিনদের দোয়া কবুলের ইতিবৃত্ত, হাদিস-কুরআনের আলোকে দোয়া করার বয়ানগুলো, দোয়ার ফজিলত, দোয়ার আরো যা যা মহান ও গুরুত্ব। লেখকদ্বয় বিভিন্ন নবী-আম্বিয়া কেরামের দোয়াগুলো শিখিয়েছেন আমাদের।
বইটি পড়ার মৌলিক কারণ হচ্ছে, পাঠককে আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে এবং দোয়া করতে উদগ্রীব করে তুলবে। হতচ্ছাড়া জীবনকে আলোকিত করতে সহযোগিতা করবে। বারবার দোয়া করতে আত্মা-মানসের আকাঙ্ক্ষাকে প্রসারিত করবে। অতঃপর, সরল ও সহজ অনুবাদ, চমৎকার প্রচ্ছদ ও বাঁধাইয়ের সুনাম করে সচেতন পাঠকদের বইটি পাঠে মগ্ন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেষ করছি। জাজাকাল্লাহ খায়ের।
মুহাম্মাদ আশরাফুল – :
বইটা পড়ে অন্তর আত্মা পরিতৃপ্ত হয়েছে। একটা বই যখন হৃদয়ের ক্ষুধা পূর্ণ করতে পারে তখন বইটা লেখার পেছনের উদ্দেশ্য সার্থক। দু’আ কবুল হওয়ার জন্য কতটা ধৈর্য, কতটা চেষ্টা, কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয় এর পেছনের অন্তর্নিহিত কারণ জানতে পেরে ভালো লাগছে এই ভেবে, এই জানাটা একসময় নিজের বাস্তবিক জীবনে দু’আ করার সময় কাজে আসবে।
সমাজের মানুষ কিভাবে দু’আ করতে হয় তা জানে না। এক দুইবার দু’আ করে ফল না পেলে দু’আ করা ছেড়ে দেয়। হারাম অর্থ উপার্জনের পথ ছাড়তে না পারলে মসজিদের ইমাম দিয়ে দু’আ কবুল হবে না। এ সাদা সত্য তাদের কে বুঝাবে। সবার আগে নিজের জন্য নিজেকে দু’আ করতে হবে। এরপর অন্যের কাছে দু’আ চাইতে হবে। তাড়াহুড়ো করে ঠিকভাবে দু’আ করার নিয়ম না জেনে যত যা দু’আ করেন, সব বিফলে যাবে।
বক্ষ্যমাণ বইটি আপনাকে হাতেকলমে কিভাবে দু’আ করতে হবে সেসব হাদিস, কুরআনের আলোকে শিখিয়ে দিবে। নবী, রাসূল, সলফে সালেহীন, আল্লাহ ভীরু নেককার মানুষজন কিভাবে দু’আ করেছেন সেসব গল্প আকারে জানিয়ে দেবে। গল্পতো কম-বেশি আমাদের সবারই ভালো লাগে। গল্পের মাধ্যমে আমি আপনি যদি দু’আ চাওয়ার নিয়মকানুন জেনে যাই তবে তা দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জাহানের কাজে আসবে।
অনুবাদের মানঃ অনুবাদের মান যথেষ্ট ভালো ছিলো। গল্পগুলো পড়ে একবারও অনুভব করিনি এটা অনুবাদ বই ছিলো। আর মুহিববুল্লাহ ও রাজিব হাসান ভাইয়ের গল্প সংগ্রহ ভালো ছিলো। আশাতো রাখি সামনে দু’আ কবুলের গল্প-৩ নিয়ে হাজির হবেন। দু’আ ও ভালোবাসা রইলো।
প্রচ্ছদ ছাপা ও বাঁধাইঃ দুটো হাতের ওপর বইয়ের নাম আর ছোট্ট ফুলটি বইয়ের প্রচ্ছদ বইটাকে অনেক সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলছে। ছাপাতে কয়েকটি বানান টাইপ মিস্টেক ছিলো। পরবর্তী মুদ্রণে সংশোধন করে নেয়ার পরামর্শ থাকলো। দুইশোর ওপরে পৃষ্ঠা না হলে বই সফটকভারের হবে। এটা আমার ব্যক্তিগত পছন্দ। সে হিসেবে মোতাবেক বইটা সফটকভারের হওয়ারতে খুশি।
সর্বশেষ এ কথাটি বলে লেখাটা শেষ করছি, যেকোনো বিষয়ে (অবশ্যই হালাল) আমাদের কাজ শুধু দু’আ করা, আল্লাহ তায়ালার কাছে চাওয়া। এই বিশ্বাস রেখে যে তিনি অবশ্যই দু’আ কবুল করবেন। কাজেই, আপনি যদি আপনার রবের কাছ থেকে কিছু চান, তাহলে স্রেফ ভিখারি হউন।
Al meraz – :
করার জায়গাটা একমাত্র আল্লাহর কাছেই থাকে।তিনি
ছাড়া তো আমাদের ডাকের সাড়া দেয়ার আর কেউ
নাই,কেউ দিতেও পারবে না।অনেক সময় আমরা ভাবি:
আল্লাহ কি আর আমার মতো পাপী বান্দার দু’আ শুনবেন?
তাই আল্লাহ বলেন-
ﭐﺩْﻋُﻮﻧِﻰٓ ﺃَﺳْﺘَﺠِﺐْ ﻟَﻜُﻢْ ۚ
আমাকে ডাকো,আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো।
আল্লাহ সবসময় আমাদের কাছেই আছেন,কিন্তু আমরা তাঁর এবং আমাদের মধ্যে নানা ধরনের দেওয়াল তৈরি করেছি।আমাদের ধারণা,তিনি তো আমার মতো মানুষের দোয়া কবুল করবে না।তিনি কবুল করবেন ইমাম সাহেব,মুয়াজ্জিন সাহেব,পীর সাহেবের দোয়া।তাই তাদের দ্বারাই দোয়া করাতে হবে।এভাবে আমরা নিজেরাই আল্লাহকে ঠেলে দূরে সরিয়ে দিয়েছি।নিজের কপালকে তখন মন্দ বলে থাপড়াই।
.
আমাদের মতো বা চেয়ে হাজারো পাপীর ডাকে আল্লাহ সাড়া দিয়েছেন।বান্দাহ ডাকলে তিনি আর স্থির থাকতে পারেন না।আর যারা ডাকে না তিনি তাদের হতভাগা বলেছেন।আমাদের আশেপাশের অতিসাধারণ মানুষেরা জানে না কিভাবে দু’আ করতে হয়।কিভাবে ডাকলে আল্লাহ্ শুনেন, দু’আ কবুল করেন। অন্যদিকে অনেক মানুষ আছে যারা আল্লাহকে ডেকে সাড়া পেয়েছে, চরম হতাশা ও দুর্দশার সময় আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে সাহায্য পেয়েছে,এমন মানুষের সংখ্যাও নিহায়েত কম নয়।
নবী আম্বিয়া (আ) থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এমন মানুষদের দোয়া কবুলের গল্পগুলো শুনে হতাশাগ্রস্থরাও অনুপ্রাণিত হয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে শেখে।
★এমন অনুপ্রেরণা মানুষরা যেন খুজে পায় তেমনি একটি বই হলো “দোয়া কবুলের গল্পগুলো ২”।বইটির প্রথম খন্ডটটির আদলেই ২য় খন্ডটি রচনা করেছেন সুদক্ষ লেখক “রাজিব হাসান।আযান প্রকাশন থেকে প্রকাশিত।
লেখক তার পূর্বের “দোয়া কবুলের গল্পগুলো” বইটি লেখার পর এরই আদলে ২য় খন্ড লিখবেন তা ভাবেন নি।বরং মানুষের অনুপ্রেরণার ধারা সমন্বিত রাখতেই এই কাজটি আবার করেছেন।তবে ১ম খন্ডে অজানা সব সাধারণ মানুষের গল্প বললেও ২য় খন্ডে তিনি বেশির ভাগ দোয়ার গল্পই হাদিস থেকে সাজিয়েছেন।ইবরাহীম নবীর দোয়া,নবীজী খন্দকের দোয়া,উমর রা এর দোয়ার গল্পগুলো বলেছেন।
★বইটিতে এবার ৪১টি গল্প নিয়ে ঝুড়ি করা হয়েছে।যার প্রতিটা গল্প পড়ার সময় আপনার জবানে ‘সুবহানআল্লাহ’ আপনা হতে এসে পড়বে।আর ভাববেন এতো পাপ করার পরও তিনি দোয়া কবুল করেন?প্রতিটি পাতায় পাতায় আপনি প্রমাণ পাবেন আল্লাহ যে
বান্দার ডাকে সাড়া দেন তার সত্যতা।
আপনার হতাশা আর কষ্টের জীবনে
আরেকবার ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস পাবেন
আল্লাহর কাছে দুআ করার মাধ্যমে। এ
বইটি আপনার অবসর সময়গুলোকে দুআর
মত একটা ইবাদতের উসিলা হতে পারে।আমরা অনেক সময় দোয়া করি,বা দোয়া করতে অনেক সময় গাফিলতি করি।
কিন্তু জানিনা দোয়ার ফজিলত সম্পর্কে,
কিভাবে দোয়া করলে আল্লাহ কবুল করে বা কোন সময় দোয়া কবুল করেন।বইটির শেষ দিকে দোয়া কবুল না হওয়ার ৬টা কারণ,দোয়া কবুলের ১৪ টিপস,১৭ টা আদব ও ২৮ টি দোয়া কবুলে স্থান ও সময়ের আলোচনা করেছেন।আর সেগুলো হাদিসের দ্বারা পেশ করেছেন।
★এমন চমকপ্রদ বইয়ের ব্যাপারে নেগেটিভ কোনো কথাই আমার বলার নেই।আর পাইও নি।প্রচ্ছদের হাত দুটোর দিকে তাকিয়েই তো বইয়ের ভেতরটা দেখতে চাইবে।আরএই বইটি পড়ে দুআ করার আনন্দ আর প্রশান্তি ছড়িয়ে দিতে পারবে।