মেন্যু
dariddro bimochone islam

দারিদ্র্য বিমোচনে ইসলাম

অনুবাদকঃ শায়খ মাহমুদুল হাসান পৃষ্টা সংখ্যাঃ ২০৮ হার্ডবোর্ড বাধাই "দারিদ্র্য'' নামক আপদ থেকে মুক্তির আশায় প্রাচীনকাল হতে চলছে মানবজাতির নিরন্তর লড়াই। আজও দারিদ্র্য বিমোচন প্রত্যেক রাষ্ট্র ও সরকারের মূল প্রতিপাদ্য কর্মসূচি। প্রতিদিন পৃথিবীর... আরো পড়ুন
পরিমাণ

187  340 (45% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
Get it on Google Play

1 রিভিউ এবং রেটিং - দারিদ্র্য বিমোচনে ইসলাম

5.0
Based on 1 review
5 star
100%
4 star
0%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
Showing 1 of 1 review (5 star). See all 1 review
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    mobarakro96:

    রেটিং: ৫/৫
    ডঃ ইউসুফ আল কারযাভী সারাবিশ্বের মুসলমানদের নিকট অতি পরিচিত একটি নাম। তার শতাধিক গবেষণাকর্ম ইসলামের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা কে দারুণভাবে বেগবান করেছে। তিনি অতীতকে অস্বীকার করেননি, বর্তমানকে পরিত্যাগ করেননি, আবার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সচেতন। তিনি আধুনিক ইসলামী অর্থনীতি ও ব্যাংকিং বিষয়ে প্রচুর গবেষণা করেছেন। ইসলামে দারিদ্র বিমোচন একটি তথ্যসমৃদ্ধ মূল্যবান বই যা আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে ব্যাপকভাবে প্রসারিত করবে।
    অনেকেই দারিদ্র্যকে পবিত্র গণ্য করে। তারা মনে করেন, এটাআল্লাহর পক্ষ থেকে নেয়ামত। পক্ষান্তরে স্বচ্ছলতা বিত্তসম্পদ মানুষকে অহংকারের দিকে ঠেলে দেয়। এ ধরনের ধারণা ইসলামী সংস্কৃতিকে কলুষিত করেছে। অন্যদিকে পুঁজিবাদী নীতি মনে করে, দরিদ্র ব্যক্তি নিজেই এর জন্য দায়ী। তারা নিজেদের ইচ্ছামত ধন সম্পদ উপার্জন করে এবং ইচ্ছানুযায়ী ব্যয় করে। তারা মনে করে, দরিদ্রকে দান করা অনুগ্রহ এটা তার অধিকার নয়। মার্কসবাদী সমাজতন্ত্রীরা মনে করেন, ধনী ব্যক্তিকে গুঁড়িয়ে দিয়ে, ব্যক্তিমালিকানা ধ্বংস করে করার মাধ্যমে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। কারণ তারা তাদেরকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। এই ধরনের চিন্তা মালিক ও সম্পদের জন্য ভয়াবহ। ইসলামে দুনিয়া বিমুখতা যেমন দরিদ্র্যতা ও বৈরাগ্যবাদ গ্রহণযোগ্য নয়। দুনিয়া বিমুখতা হলো ওই ব্যক্তি, যে দুনিয়ার মালিক হয়েছেন ।এরপর তাকে হাতে রেখেছে, অন্তরে স্থান দেয়নি। ইসলাম ধর্ম ধনাঢ্যতাকে আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামত মনে করেন এবং শুকরিয়া আদায় করতে বলে। দারিদ্রকে ইসলাম বিপদ মনে করে যা থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইতে হবে। কারন দারিদ্রতা আকীদার উপর, সচ্চরিত্র ও নৈতিকতার উপর, পরিবারের উপর, সমাজ ও স্থিতিশীলতার উপর নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। এরপরে লেখক দারিদ্র্যবিমোচনে ইসলামের কি কি উপায় সমূহ আছে তা উল্লেখ করেছেন। প্রথম উপায়: শ্রম ।ইসলাম ভরসা করা কিংবা পরনির্ভরশীলতাকে অনুৎসাহিত করেছে এবং কাজ করার মাধ্যমে নিজের অবস্থার পরিবর্তনে উৎসাহিত করেছে।মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন বেদুইনকে বলেছিলেন, ওই ব্যক্তি তার উঠকে বিচরণরত অবস্থায় রেখে আল্লাহর উপর ভরসা করেছিল ।তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেছিলেন, উটটিকে বেঁধে রাখো এবং আল্লাহর উপর ভরসা করো। দ্বিতীয়উপায় :সচ্ছল আত্মীয়-স্বজন কর্তৃক দরিদ্রদের ভরণপোষণ অর্থাৎ আত্মীয়-স্বজনের যা হোক আছে যেমন উত্তরাধিকারী হওয়া তা যথাযথ পালন করা। ফকিহগণ, ভরণপোষণ বলতে যা কিছু বিধিবদ্ধ করেছেন তা এরকম।১. খাদ্য ও পানীয় দেয়া।২. শীত-গ্রীষ্মের উপযোগী বস্ত্র ,বাসস্থান আসবাবপত্র ,বিছানা ও আনুষঙ্গিক খরচ।৩.সেবা করতে অক্ষম তার জন্য সেবক দেওয়া।৪. বিয়ের প্রয়োজন আছে এমন ব্যক্তির বিয়ে দেয়া।৫. স্ত্রীর ভরণপোষণ। তৃতীয় উপায়: যাকাত ।ইসলামে যাকাত দারিদ্র বিমোচনের একটি শক্তিশালী মাধ্যম। আল্লাহ তাআলা কুরআনে যাকাতের আটটি খাত এর কথা উল্লেখ করেছেন।যাকাত হলো বিশ্বের প্রথম সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা যা কিছুদিন আগে আমাদের পশ্চিমা বিশ্বে প্রকাশ ঘটে।যাকাত হলো দরিদ্রের অধিকার। চতুর্থ উপায় :বিভিন্ন উৎসের মাধ্যমে ইসলামী কোষাগারে পৃষ্ঠপোষকতা। যেমন রাষ্ট্রীয় সম্পদ, রাষ্ট্র কর্তৃক ওয়াকফ সম্পত্তি তত্ত্বাবধান, ফাই, খারাজ ও খনিজ সম্পদে অভাবী অসহায়দের অধিকার রয়েছে। পঞ্চম: যাকাত ব্যতীত অন্যান্য আর্থিক খাত। যেমন প্রতিবেশীর হক তারা যেন সাহায্য-সহযোগিতা পায়, ঈদুল আজহায় কোরবানি করা সেখান থেকেও যেন দারিদ্র ব্যক্তি একটি অংশ পায়, শপথ ভঙ্গের কাফফারা, যিহারের কাফফারা, ফিদিয়া, হাদী, ফসল তোলার সময় ফসলের হক, ফকির মিসকিনের যথেষ্ট পরিমাণ পাওয়ার অধিকার। ষষ্ঠ উপায়:ঐচ্ছিক সাদাকা এবং ব্যক্তিগত দান। পরিশেষে লেখক দারিদ্র বিমোচনের জন্য অন্যতম একটি শর্ত আরোপ করেছেন তাহলো, ইসলামী আইন কানুন ও ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা ।কারণ ইসলামী আইন কানুন ব্যতিত রাষ্ট্রীয়ভাবে দারিদ্র্যের উপর বিজয় লাভ সম্ভব নয়।
    আমার মূল্যায়ন :বইটি পড়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গি আমুল পরিবর্তন ঘটেছে। আমি ভাবতেও পারিনি লেখক এর এই বইটি বর্তমান সময়ের জন্য এত প্রাসঙ্গিক অপরিহার্য ।প্রত্যেকের বইটি পড়া উচিত বলে আমি মনে করি।
    7 out of 7 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
Top