মেন্যু
dajjal bishoyok alochona

দাজ্জাল : ফিতনা ও পর্যালোচনা

পৃষ্ঠা : 152, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 2nd print September 2021
হার্ডবোর্ড বাধাই, ৮০ অফহোয়াইট পেপার কে দাজ্জাল? কী তার পরিচয়? সে কি মানুষ নাকি জিন নাকি কোনো সভ্যতা? কোথায় তার আগমন হবে? কী তার কাজ? দাজ্জাল পৃথিবীতে এসে গেছে নাকি আসবে? এসে গেলে কখন আসল... আরো পড়ুন
পরিমাণ

192  260 (26% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন

4 রিভিউ এবং রেটিং - দাজ্জাল : ফিতনা ও পর্যালোচনা

4.5
Based on 4 reviews
5 star
50%
4 star
50%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    Ruponti Shahrin:

    যদি আপনাকে এখন বলা হয় ”দাজ্জাল আসছে!” আপনার প্রতিক্রিয়া কি হবে? মানে আপনি কি বসে থাকবেন? সূরা অথবা কালেমা পড়বেন নাকি দৌড় দেবেন? কোনটা?

    রাসূল(সা) এর উম্মত হিসেবে এটিই শেষ যামানা। আর আখেরি যামানার কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার একটি নিদর্শন হলো দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ।
    কিন্তু দাজ্জাল!
    কে দাজ্জাল?
    কী তার পরিচয়?
    দেখতে কেমন? মানুষ, জানোয়ার নাকি জিনের মতো?
    কোন দেশ থেকে দাজ্জাল আবির্ভূত হবে? রাসূল(সা) কি বলে গেছেন নির্দিষ্ট করে কিছু এই ব্যাপারে? নাকি দিয়ে গেছেন ক্লু? দাজ্জাল কি ইতিমধ্যে জন্মলাভ করেছে নাকি কেউ দেখেছে তাকে কোথাও এর আগেও?

    পাঠ পর্যালোচনা:
    এই নশ্বর পৃথিবীটা একদিন ধ্বংস হবে। আমাদের রাজকীয় সম্পদের প্রাসাদ একদিন ধ্বংস হবে। কারণ এই সকল কিছুর মালিক যিনি তার আমানতের হিসেব একদিন আমাদের সকলকে দিতে হবে। কিন্তু এই যে পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে রাসূল(সা) পর্যন্ত মানুষকে হেদায়াতের পথে আল্লাহ তায়ালা যুগ যুগ ধরে যে শিক্ষা দিয়ে আসছেন তার তো একটা পরীক্ষা আছে। সকল নবী-রাসূলগণ তার উম্মতকে দাজ্জালের ব্যাপারে সতর্ক করে গেছেন। কিন্তু আমাদের রাসূল(সা) আমাদের জন্য রেখে গেছেন বহু উপদেশ, দাজ্জালকে চেনার উপায়, নিস্তারের উপায়সহ আরো অতিরিক্ত বাণী। তিনি সবচেয়ে বেশি বেশি করে এই ব্যাপারে সতর্ক করে গেছেন। তিনি এও বলে গেছেন তিনি যদি দাজ্জালের ফিতনার সময় জীবিত না থাকেন তো আমাদের জন্য বড় আস্থার বিষয় যে আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। কি শুনে কিছুটা শান্তি অনুভূত হয়? হওয়ারই তো কথা। তাই তো এই বিষয়ে লেখা বইয়ের আদ্যপান্তো আপনাকে পড়তে হবে। জানতে হবে, জানাতে হবে তার চেয়েও বেশি বেশি। কারণ জানানোর মাধ্যমে আপনার মুখস্ত হয়ে যাবে। এই বিষয়ে অধ্যয়ন করলেও অনেক কিছু মনে থাকে না। তাই বারবার বুঝে পড়বেন। যেটা আমি করি, রিভাইজ।
    কুরআন সুন্নাহর আলোকে প্রত্যেকটি পয়েন্ট আলোচনা করা হয়েছে, সাথে যথেষ্ট রেফারেন্স। যদিও এই বিষয়টি পরিপূর্ণ রূপে জানতে বুঝতে আরো অনেক সহায়িকার প্রয়োজন রয়েছে, ইমাম মাহ্দী(আ) ও ঈসা(আ) এর অনেক আগমনের অনেক বিষয় আছে যা আলোচনা করার প্রয়োজন অনুভব করেছি, তাহলে হয়তো টাইমলাইন মেলাতে আরও সহজ হতো আমাদের মতো নগন্য পাঠকের। কারণ বিষয়ের গুরুত্বের সাথে পুরো ধারণাটিকে মাথায় রাখতে দরকার উপযুক্ত নথি। কিন্তু সাধারণ পাঠকের তা থাকে না। তাই আলেম ও শারঈ সম্পাদনার কাজে যারা থাকেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
    তবে প্রচুর হাদিস সংকলিত করা হয়েছে। প্রচ্ছদ, বাইন্ডিং আর মুদ্রণ অসাধারণ ছিল। আমার কাছে ভালো লেগেছে। তবে বিশেষ গুরুত্ব ছিল দাজ্জাল নিয়েই এই বইয়ের আলোচনা।
    আসলে একজন লেখক যখন এইরকম একটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই পাঠকের আকর্ষণ থাকে এক্কেবারেই পুরোটা জানার। সেক্ষেত্রে আলোচনার শাখা-প্রশাখা যতই বিস্তৃত হউক, পাঠক চায় পুরোটা জানতে। আমি সেই ক্ষেত্রে কিছুটা আশাহত।
    বইটিতে দাজ্জালের ফিতনা সম্পর্কিত নবীগণের সতর্কবাণী রয়েছে। আমরা এখন কিভাবেই এই রং তামাশার যুগে নিজেদের বাঁচাবো, সেই বিষয় পরিষ্কার ধারণা না থাকলেই ফিতনায় পতিত হবো। কারণ, দাজ্জালের আগমণের পূর্ব মুহূর্তে মুসলমানদের অবস্থা খুব ভাল থাকবে। তারা পৃথিবীতে শক্তিশালী এবং বিজয়ী থাকবে। সম্ভবতঃ এই শক্তির পতন ঘটানোর জন্যই দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। আর মূর্খ ব্যক্তিরা যারা এই বিষয়ে বেখেয়ালি এবং নারীরা দাজ্জালের ফিতনায় বেশি পড়বে।
    কতটা ভয়ংকর পাঠক আপনি উপলব্ধি করতে পারছেন? আসলে বিশ্বাসের জায়গা যত মজবুত করতে পারবেন এই ফিতনার আশংকা ততই আপনাকে গ্রাস করবে। তবে দাজ্জালের কপালে দুই চোখের মাঝে কাফের লেখা থাকার পরেও সকলে পড়তে পারবে, কিন্তু চিনতে পারবে শুধু ঈমানদার ব্যক্তি। দাজ্জালের বিস্তৃত পরিচয় লেখা আছে বইটিতে পড়ে নেবেন। ফাতেমা বিনতে কায়স (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদিস থেকে রাসূল(সা) মসজিদে মিম্বরে উঠে তামিমদারী (রা) হতে বর্ণিত ঘটনা আপনাকে বর্তমান ভৌগোলিক অবস্থার সাথে হাদিস মিলে যাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে জানান দেবে। প্রত্যেকটি লাইন খুব গুরুত্বপূর্ণ। রাসূল(সা) বারবার তার সাহাবীদের (রা)-কে সতর্ক করেছেন, যেন মনে হয়েছে দাজ্জাল পাশের খেজুর গাছের কাছেই আত্মগোপন করে আছে। আমাদের সময়টিও তাই। দাজ্জাল এখানেই আছে। আল্লাহ যেদিন চাইবেন প্রকাশ্যে আসবে। কিন্তু প্রস্তুতি, সেই জন্যে এতো কথা বলা।
    মানুষ অবশ্যই দাজ্জালের ক্ষমতা দেখে বিভ্রান্তিতে পড়বে। কারা দাজ্জালের অনুসারী হবে, গারকাদ গাছের ভূমিকা কি, দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচতে কি দুআ-মুনাজাত করা প্রয়োজন আসলে এই বইয়ের বিষয়টিই এমন যে আপনাকে জানতেই হবে। নিজেকে বাঁচাতে চাইলে জানতে হবে। পরিবারের সবাইকে প্রত্যেকটি এই সম্পর্কিত হাদিস শিক্ষা দিতে হবে। এই ছিল আমার প্রতিক্রিয়া।

    কিভাবে ইসলামকে সঠিকভাবে আঁকড়িয়ে ধরবেন, দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচতে কিভাবে রাসূল(সা) দুআ করতেন, সূরা কাহ্ফ পাঠের গুরুত্ব উপলব্ধি, দাজ্জালের শেষ পরিণতি, এবং আমাদের ঈমানের জয় অবশ্যই শিক্ষণীয় ও উপলব্ধিযোগ্য। এই বিষয়টিকে হেলাফেলা বা অবজ্ঞার বিষয় হিসেবে তুলে রাখা মানে বিচার দিবসকে প্রত্যাখ্যান করার সামিল। তাই সচেতনতা জরুরি। বইটির শেষে বায়েজিদ খান পন্নীর আলোচনার বিপরীতে লেখক কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, চাইলে আপনি যুক্তিখন্ডনে শামিল হউন। তার আগে হাদিস ভালোভাবে বুঝে পড়তে হবে।

    নতুন প্রচ্ছদে ও নতুন নামে আবারও প্রকাশিত হতে চলেছে বইটি। ইনশাআল্লাহ, অবশ্যপাঠ্য বইটি পড়বেন। ঈমান বাঁচাতে এখনো সময় আছে।

    6 out of 6 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    সালমান আহমাদ:

    #কালান্তর_ওয়াফিলাইফ_রিভিউ_প্রতিযোগিতা

    নিস্তব্ধ রজনী।চারিদিকে পিনপতন নীরবতা।গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন আমার চারপাশের মানুষগুলি।রাতজাগা কয়েকটি ঝিঁঝি পোকার ডাক কানে এসে বাজছে।ঘড়ির কাটা ঘুরে ঘুরে বারোটা পয়তাল্লিশ এর কাটায় এসে দাঁড়িয়েছে।আমি জেগে আছি।সঙ্গে আছে ‘দাজ্জাল’ নামক একটি বই।একটু একটু করে আজ পাঁচ দিনের মাথায় এসে সমাপ্ত হলো বইটি।এতদিন লাগার কথা ছিল না!কিন্তু সামনে পরিক্ষা থাকায় দরসি কিতাব পড়ার ফাঁকে ফাঁকে বইটি পড়তে হয়েছে।বইটি পড়ার পর প্রাপ্তির ডাইরিতে বর্ধিত হয়েছে নূতন নূতন অনেকগুলো তথ্যের সমাহার।দীর্ঘদিনের বহন করে চলা অনেকগুলো প্রশ্নের মিলেছে সুন্দর সমাধান।

    💠 যা আছে বইটিতে।
    ১/প্রকাশক ও লেখকের অনুভূতি প্রকাশের পর শুরুতেই ‘শেষ নবি’ নামক শিরোনামে খাতামুন নাবিয়্যিন এর উপর দীর্ঘ একটি প্রবন্ধের উল্লেখ।যা লেখক কোরআন,হাদিস,ও ইজমায়ে উম্মত দ্বারা প্রমাণ করেছেন।দাজ্জালের মিথ্যা দাবিসমূহের একটি হলো সে নিজেকে নবী দাবী করবে।তার এ দাবীর অসারতা প্রমাণ করার জন্য শুরুতেই লেখক পাঠকের হৃদয়ে ‘খাতামুন নাবিয়্যিন’ অধ্যায়টি গেঁথে দিয়েছেন।
    ২/অতঃপর হযরত আবু উমামা বাহিলী রাঃ থেকে বর্ণিত দাজ্জাল সম্পর্কিত দীর্ঘ একটি হাদিসের উল্লেখ।
    ৩/উক্ত দীর্ঘ হাদিসের প্রতিটি অংশকে পৃথক পৃথক শিরোনাম দিয়ে প্রতিটি শিরোনামের অধিনে একাধিক সহিহ হাদিস ও প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা উল্লেখ করে আলোচনা করেছেন।
    ৪/ আলোচনাগুলো যাতে সহজেই পাঠকের হৃদয়ঙ্গম হয়ে যায় সেজন্য প্রথম অধ্যায়ে যা আলোচিত হয়েছে সবগুলোর সারসংক্ষেপ লেখক ‘দ্বিতীয় অধ্যায়ে’সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরেছেন।
    ৫/এবং পরিশেষে বাঙলাদেশে কীটপতঙ্গের বেড়ে ওঠা একটি দল!যারা নিজেদেরকে মুসলমান দাবি করে অথচ ‘দাজ্জালের’ আগমনি বার্তাকে তারা অস্বীকার করে, এবং দাজ্জাল সম্পর্কে বর্ণিত সবগুলো হাদিসকে নিজেদের মত ব্যাখ্যা করে।তাদের লিখিত বই ‘দাজ্জাল বনাম ইয়াহুদি-খৃস্টান সভ্যতা’ -র জবাব স্বরূপ দীর্ঘ একটি পর্যালোচনার মাধ্যমে তাদের প্রতিটি যুক্তি ও ব্যাখ্যার সুন্দর ও সাবলীল জবাবের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়েছে বইটি।

    💠ভালোলাগা -মন্দলাগা।
    মন্দলাগার মত তেমন কিছু পাইনি।তবে ভালো লাগার মত অনেক কিছুই পেয়েছি।১৪৯ পৃষ্ঠার পুরো বইটিই ছিল ভালো লাগার।মুগ্ধতার।বিশেষ করে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে লেখক সহিহ হাদিসকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন।কোন হাদিস সম্পর্কে কারো দ্বিমত থাকলে সেটার ব্যাখ্যা ও করেছেন।এটা আহলে ইলম উলামাদের জন্য বেশ ভালো লাগার।তাছাড়া আমাদের দেশে দাজ্জাল সম্পর্কে ভিন্ন ধারণা পোষণকারী একটা ফেরক্বা আছে তা জানা ছিলনা।বইটি পড়ার পর জানতে পারলাম।এবং দাঁতভাঙা জবাবগুলো ও শিখে নিলাম।

    💠কেন পড়বেন বইটি।
    পৃথিবী সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে অদ্যাবদি শত সহস্র জাতির বিয়োগ হয়ে গেছে মৃত্তিকার বুকে থেকে। আল্লাহ প্রদত্ত কত হাজার শাস্তির নিল বায়ূ বয়ে গেছে পৃথিবীবাসির ওপর দিয়ে!অদৃশ্য খুঁটিতে দাঁড়িয়ে থাকা এই আকাশ যমিন আজও যার সাক্ষ্য বহন করে চলছে। ইতিহাসের শুভ্র পাতায় অঙ্কিত কালো কালির হরফে আজও সেই শাস্তিতে পতিত হওয়া নাফরমানদের আত্মচিৎকারের আওয়াজ শুনতে পাই।কিন্তু বন্ধু,মহাপ্রলয়ের পূর্বে ধরার বুকে এমন এক ফিতনার আগমন ঘটবে যা ইতিপূর্বে দেখেনি অদৃশ্য খুঁটিতে দাঁড়িয়ে থাকা এ আকাশ,যমিন।প্রাণবন্ত কোন মানুষ আজও যার সামনা সামনি দাঁড়ায়নি।
    যার ভয়াবহতা সম্পর্কে প্রত্যেক নবিই স্বীয় উম্মতদেরকে সতর্ক করেছেন।আমাদের নবিজী সঃ ও এই ফিতনা সম্পর্কে উম্মতকে খুব জোরালোভাবে সতর্ক করেছেন।এবং এর বিশদ বিবরণ দিয়ে গেছেন।আর তা হলো ‘দাজ্জাল’!বিশাল ক্ষমতার অধিকারী!যার একহাতে থাকবে জান্নাত,একহাতে জাহান্নাম!মানুষকে বলবে ডেকে ডেকে ‘আমি তো তোমাদের খোদা মহান’।আকাশকে বলবে বৃষ্টি বর্ষাতে,আকাশ বৃষ্টি বর্ষাবে।যমিনকে বলবে ফসল ফলাতে,যমিন ফসল ফলাবে!
    ক্ষণজন্মা বিশাল ক্ষমতার অধিকারী এ ‘দাজ্জালের’পদতলে লুটিয়ে পড়বে দূর্বল ঈমানদাররা!বশ্যতা শিকার করে নিবে তার! আর পূর্ণ ঈমানের নুরে যাদের হৃদয় আলোকিত, তাঁরা শির উঁচু করে দাঁড়িয়ে যাবে তার মোকাবেলার জন্য। প্রিয় বন্ধু,বিশাল ক্ষমতার অধিকারী এই দাজ্জাল কে? কী তার পরিচয়? সে মানুষ নাকি জিন নাকি অন্য কোন সভ্যতা? কোথায় হবে তার আগমন? কী তার কাজ? সে পৃথিবীতে এসে গেছে নাকি আসবে? এ সবগুলো প্রশ্নের সমাধান পেতে হলে আপনাকে পড়তে হবে। হ্যাঁ,আপনাকে পড়তে হবে ‘দাজ্জাল’ নামক এ বইটি।

    💠বইঃ দাজ্জাল
    💠লেখকঃ মুফতি রেজাউল করীম আবরার।
    💠পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১৪৯
    💠প্রচ্ছদমূল্যঃ ২০০ টাকা।
    💠প্রকাশনীঃ কালান্তর।

    2 out of 2 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  3. 4 out of 5

    Khaleda Mubasshera:

    #ওয়াফিলাইফ_পাঠকের_ভালোলাগা_সেপ্টেম্বর_২০২০
    বই:দাজ্জাল (দাজ্জাল বিষয়ক বিস্তারিত আলোচনা)
    লেখক:মুফতি রেজাউল করিম আবরার
    প্রকাশনী:কালান্তর
    *******************************************
    আদম (আ) সৃষ্টির মাধ্যমে যে পৃথিবীর সূচনা হয়েছে তা একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে।আল্লাহ্ তায়ালা পৃথিবী চিরস্থায়ীর জন্য সৃষ্টি করেননি।মহাপ্রলয়ে ধ্বংস হবে এই ধরণী।কি সেই মহাপ্রলয়?
    দাজ্জাল নামক এক মহাফিতনার মাধ্যমেই ঘটবে সেই মহাপ্রলয়।সূচনালগ্ন হতে আজ অবধি পৃথিবীতে যত ফিতনার আবির্ভাব ঘটেছে তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর ফিতনা হলো দাজ্জালের ফিতনা।পৃথিবীতে আগমন ঘটেছে বহু নবি-রাসুলদের,তারা সকলেই তাঁদের উম্মতদের দাজ্জাল সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন করেছেন।দাজ্জাল কে? কি তার পরিচয়?এ বিষয়ক বহু সহীহ হাদিস রয়েছে।তবে জাল হাদিসের উৎপাত তো রয়েছেই।সম্পূর্ণ সহীহ হাদিস এবং জাল হাদিসের খন্ডনকারী একটি কিতাব “দাজ্জাল”।
    *****************************************
    বইয়ের বিষয়বস্তু:সমগ্র বইটি লেখক সহীহ হাদিসের আলোকে সুদৃঢ় করেছেন।দাজ্জাল সম্পর্কে আমরা প্রায় অনেকেই অবগত নই।বর্তমান যুগে জাল হাদিসের সংখ্যা কম নয়,,,সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা বিভিন্ন বইয়ের মধ্যে জাল হাদিসের ছড়াছড়ি।অথচ দেখুন আজ থেকে প্রায় চৌদ্দশত বছরের অধিক আগে দাজ্জাল বিষয়টি রাসূল (সা) খোদ উম্মাহর কাছে বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন, একটু খেয়াল করলেই কিন্তু আমরা সহীহ এবং ভুলের মাঝে পার্থক্যটাবুঝতে পারি।”মুফতি রেজাউল করিম আবরার” মূলত বইটি লিখেছেন বাংলার এক জনাব, বায়েজীদ খান পন্নী সাহেবের জাল হাদিসে ঠাসা ও ভ্রান্ত মতবাদে লিখিত বইয়ের জবাব দিতে। দাজ্জাল কে? তার পরিচয়,কে তাকে হত্যা করবে?কোথায় তাকে হত্যা করা হবে? সে পৃথিবীতে কতদিন থাকবে?কারা তার অনুসারী হবে? এই বিষয়ে সহীহ হাদিসের দরসে বইটি লেখা হয়েছে।উমামা বাহিলির দীর্ঘ হাদিস থেকে আলোচনাও হয়েছে বেশ জমজমাট।
    *********************************************
    ভালোলাগা-মন্দলাগা:বইয়ের পাতা,বাইন্ডিং কিংবা প্রচ্ছদে কোনো রকম খারাপ লাগেনি।সাদামাটা কাগজে সহীহ হাদিসের বর্ণনা যেন জ্বলজ্বল করছে।শব্দগত কিংবা প্রিন্টিংএও কোনো ত্রুটি খুঁজে পাই নি।বইটি পড়তে গিয়ে কোথাও বিস্মিত হয়েছি,কোথাও আবার ভয়ও পেয়েছি। বইটিকে ঈমানীশক্তি বৃদ্ধি সহায়ক বই বললেও ভুল হবে না।অসাধারণ ভালোলাগার অন্যতম একখানা বই।
    4 out of 4 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  4. 4 out of 5

    sadakalo.shopnoo:

    আপনি কি জানেন?
    কিয়ামত পর্যন্ত যত ফেতনা আসবে তার মধ্যে দাজ্জাল এর ফেতনা সবচেইয়ে ভয়াবহ। শুধু শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সঃ ই নন এই ফেতনাকে ভয় পেতেন পূর্বের সকল নবী-রাসুল। সবাই তার উম্মতদের এ ব্যাপারে সতর্ক করে গেছেন, নিজেরাও পানাহ চেয়েছেন। আমরা যেহেতু শেষ নবীর উম্মত সে হিসেবে দাজ্জাল থেকে মুক্তির উপায় নেই। দাজ্জাল আসবে আমাদের বিভ্রান্ত করতে, ঈমান হারা করতে, আল্লাহ্‌র আসানে বসতে চাইতে। যাদের ঈমান দুর্বল তারা ঈমান হারাবে। একই সাথে যারা ঈমান হারা হবে তাদের কপালে তিলক/সিলমহর দেয়া হবে কাফের।

    ভ্রান্ত মতবাদঃ
    কয়েক বছর ধরে একটি বই ও ভিডিও দেখছেন? পশ্চিমা সংস্কৃতি, ইহুদি, খ্রিস্টান সভ্যতা দাজ্জাল? দাজ্জাল বলতে আসলে নতুন কিছু নেই বা আসবে না এমন কথা শুনেছেন? বিষয়টা সম্পূর্ণ ভুল। হজরত মুহাম্মদ সঃ যখন বেঁচে ছিলেন তখন ও ইহুদি, খ্রিস্টান সভ্যতা ছিল, যারা এটা প্রচার করছে তাদের মাথায় হয়তো সেই জ্ঞান টুকু হয়নি। তারা উঠে পড়ে লেগেছে আমাদের ঈমান হারা করতে, ভুল আকীদায় বিশ্বাস করাতে। সেদিকে কান না দিয়ে আসুন দাজ্জাল সম্পর্কে কিছু জিনিস জেনে নেই।

    দাজ্জালঃ

    দাজ্জাল হচ্ছে লালচে বর্ণের ও স্থুলদেহ বিশিষ্ট্য, তার থাকবে উসকো-খুসকো চুল ও ডান চোখ কানা, সাড়া শরীর বড় বড় লোমে আবৃত। তাকে আল্লাহ তায়ালা যেকোন এক দ্বীপে শিকল দিয়ে আটকে রেখেছেন। শেষ জামানায় তাকে মুক্ত করা হবে। সে ৪০ দিনে পুরো বিশ্ব ভ্রমণ করবে। এমন কোন জায়গা থাকবে না সে যেখানে যাবে না। বিভিন্নভাবে মানুষকে ঈমান হারা করে তার অনুসারি বানাবে। তারপর কপালে তার মতোই তিলক পরিয়ে দিবে যাতে লেখা থাকবে কাফের। এই ৪০ দিনের প্রথম দিনটি হবে বর্তমানের এক বছরের সমান, ২য় দিনটি হবে এক মাসের সমান, ৩য় দিনটি হবে এক সপ্তহের সমান। বাকি দিনগুলো নরমাল দিনের মতোই হবে।

    দাজ্জালকে কেউ কি দেখেছে?
    হ্যাঁ। রাসূল (সাঃ) বললেন, লাখমান জুদাম নামক স্থান থেকে কিছু খ্রিস্টান আরব গোত্রের কিছু লোক তারা যখন জাহাজে করে যাচ্ছিল, বড় ঢেউ খেলে তাদের জাহাজ ওলটপালট হয়ে গেল, আর একটা অজানা দ্বীপে তরী ফেলার আগ পর্যন্ত তারা এক মাস ধরে দিকভ্রান্ত অবস্থায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। সেই দ্বীপের সন্ধান পেলে তারা নৌকায় করে সেই দ্বীপ অভিমুখে যাত্রা শুরু করল, এটা ছিল রাতের বেলা, তারা সকালে সেই দ্বীপে পৌছল। সেখানে তারা দাজ্জালের বর্ণনার সাথে মিলে যায় এমন একজনকে দেখতে পায় ও তার সাথে কথাও বলে। দাজ্জাল বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করে ও বলে দেয় সে কখন এখান থেকে মুক্তি পাবে ও কি করবে।

    দাজ্জালকে হত্যাঃ
    দাজ্জালকে হত্যা করবেন হজরত ঈসা আঃ পুনরায় পৃথিবীতে এসে। হজরত ঈসা আঃ যখন পৃথিবীতে আসবেন তখন ইমাম মাহাদী ও থাকবেন পৃথিবীতে। ইমাম মাহাদীর নেতৃতে যখন নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিবেন তখন ই আবির্ভাব হবেন হযরত ঈসা আঃ। পরে তার নেতৃতে সবাই ঈমান আনবে। দাজ্জাল, ইয়াজুজ, মাজুজ মারা যাবে। দাজ্জাল মারা যাবার পর বের হবে ইয়াজুজ, মাজুজ। তারা আকারে ছোট হবে, সামনে যা পাবে তাই খেয়ে ফেলবে। ঈসা আঃ এর দয়ার কারণে তারা মারা যাবে। এরপর এক সময় সকল ঈমানদার ব্যক্তি মারা যাবেন। হবে কিয়ামত।

    অভিমতঃ
    বইটাতে দাজ্জাল সম্পর্কে একই ইনফো বার বার দিয়ে পেইজ বাড়ান হয়েছে সেটা না করে দাজ্জালের সাথে ইমাম মাহাদী, ইয়াজুজ মাজুজ, ঈসা আ: এর বর্ণনা বাড়ানো/ দেয়া দরকার ছিলো। নেক্সট এডিশন এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখলে ভালো হয়। কারণ বিষয়গুলো একটা অন্যটার সাথে সম্পৃক্ত ও পাশাপাশি ঘটনা। বর্তমানে এমন একটি বইয়ের প্রয়োজন ছিল যেখানে সত্যিটা সহজ করে তুলে ধরা হবে। বইয়ে সেই চেষ্টা করা হয়েছে। সকলের কাছে সহজবোধ্য একটি বই।

    10 out of 10 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
Top