ব্যালেন্সিং স্ক্রু
সম্পাদনায়: সাঈদ আবরার
হক বাতিলের দ্বন্দ্ব চিরন্তন। ইসলাম আবির্ভাবের শুরুলগ্ন থেকেই চলছে বাতিল অপশক্তির দৌরাত্ম্য। সময়ের পরিক্রমায় যুগের পালাবদলে নানারঙা বাতির মতো পরিবর্তন হয় বাতিল শক্তির ষড়যন্ত্রের মুখোশ। হাল যামানায় ইসলামবিদ্বেষীদের ষড়যন্ত্র অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে ভয়ঙ্কর। তারা কোন রাখঢাক না করেই প্রকাশ্যে ইসলাম নির্মূলের নীলনকশা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। মানুষকে ঈমানহারা করার জন্য নাস্তিকতা ও ইসলামের নামে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দিচ্ছে নানান কৌশলে। বর্তমান আধুনিক পৃথিবীতে ইসলামকে ব্যর্থ প্রমাণ করার জন্য মানুষের মগজের কোষে কোষে পৌঁছে দিচ্ছে ইসলাম বিদ্বেষের বিষবাষ্প। নিজেরা অশান্ত পৃথিবীর অনুঘটক হওয়া সত্ত্বেও সুকৌশলে সেই দোষ উগড়ে দিচ্ছে শান্তির ধর্ম ইসলামের নামে।
ইসলামকে অপাংক্তেয় করতে তাদের দৌড়ঝাঁপ আপাতদৃষ্টিতে গতিশীল মনে হলেও বাস্তবে রঙ্গিন ফানুসের মতো অস্থায়ী। শান্তির চিরস্নিগ্ধ বাতিঘর ইসলামের শাশ্বত সৌন্দর্য মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিলে নস্যাৎ হবে তাদের ষড়যন্ত্র। নিশ্চিহ্ন হবে কুহেলি ফাঁদ। বক্ষমান ব্যালেন্সিং স্ক্রু বইয়ে ইসলামবিদ্বেষীদের নাস্তিকতা, ইসলামফোবিয়া ও ইসলামের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচন করা হয়েছে রসমিশ্রিত গল্পে দলিল ও যুক্তির আলোকে। আশাবাদের চঞ্চল উচ্চারণে বলি, বইটি পাঠে সংশয়- সন্দেহের কালোমেঘ দূর হয়ে হৃদয়াকাশে উদিত হবে ঈমানের কড়ামিঠে সূর্য।
ব্যালেন্সিং স্ক্রুর অ্যাডভেঞ্চার পাঠভ্রমণে আপনাকে সুস্বাগতম।
hotবেলা ফুরাবার আগে
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন287 ৳201 ৳পৃষ্ঠা: ১৯২ কভার: পেপারব্যাকবেলা ফুরাবার আগে...নিজেকে আবিষ্কারের একটি ...
hotপ্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স300 ৳210 ৳কভার: হার্ড কভার পৃষ্ঠা: ১৬৮বর্তমান যুগ হলো ...
hotপ্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন336 ৳235 ৳চতুর্দশ প্রকাশ: জানুয়ারি ২০২০ পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৪০ কভার: ...
featureচিন্তাপরাধ
লেখক : আসিফ আদনানপ্রকাশনী : Ilmhouse Publication190 ৳পৃষ্ঠা - ১৯২'যতক্ষণ সাম্রাজ্যের সার্বভৌমত্ব স্বীকার ...
hotডাবল স্ট্যান্ডার্ড
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : শুদ্ধি260 ৳192 ৳কিছু লোক ইসলামকে সে শত্রু হিসেবে ...
hotডাবল স্ট্যান্ডার্ড ২.০
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : সমর্পণ প্রকাশন392 ৳274 ৳শারঈ সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল মাসউদ পৃষ্ঠা: ২৮০ কভার: হার্ড ...
hotআরজ আলী সমীপে
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন250 ৳175 ৳আরজ আলী মাতুব্বর। জন্মেছেন বরিশালে। প্রাতিষ্ঠানিক ...
rahim montasir – :
সারা পৃথিবী জুড়েই যখন ইসলামোফোবিয়া ছড়িয়ে পড়েছে তখন ইসলামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস টিকিয়ে রাখতে, কালিমাবাহী পতাকাকে সোজা রাখতে পাশাপাশি নাস্তিকদের বিবেচনাহীন প্রশ্নের দাঁতভাঙা জবাব দিতে মুসলিম উম্মাহকে একসাথে লড়ে যেতে হবে। পশ্চিমা মিডিয়াগুলো যখন ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে অপপ্রচার চালায় তখন মুসলিম জাতির উচিত সমষ্টিগতভাবে তাদের মোকাবেলা করা। অন্যান্য দেশের মতো এখন শতকরা ৯০% মুসলমানদের দেশ বাংলাদেশেও ইসলামোফোবিয়া ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। মূলত, তথাকথিত স্যেকুলার জনগোষ্ঠী, পশ্চিমা কৃষ্টিকালচার এবং নাস্তিকদের শয়তানী মস্তিষ্কপ্রসূত বিভিন্ন প্রশ্ন যা বিজ্ঞান এবং ধর্মের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে দেয়, এমন কিছু কূটনৈতিক পরিকল্পনার ফাঁদে পড়ে এদেশের মুসলিম উম্মাহ ইসলাম ও আল-কুরআনকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে অবস্থান করছে। বাংলা ভাষায় নাস্তিক্যবাদ বিরোধী লেখাজোঁকা সম্ভবত আরিফ আজাদ ভাইয়ের হাত ধরেই(আমি যতদূর জানি)। তিনি তার ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ বইয়ের মাধ্যমে নাস্তিক্যবাদের বিপক্ষে চরম জবাব উপস্থাপন করেছেন। বইটির সিকুয়েলও আছে। যাক সে কথা। ব্যালেন্সিং স্ক্রু বইটিও নাস্তিক্যবাদের বিপক্ষে রচিত বই। বইটিতে ইসলাম বিদ্বেষীদের একগুঁয়েমিপূর্ণ প্রশ্নের বিজ্ঞানসম্মত উত্তর দেওয়া হয়েছে। ছোট কলেবরের বইখানাতে দেখানো হয়েছে যে বিজ্ঞান ও আল-কুরআন কখনোই সাংঘর্ষিক নয়। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরে বিজ্ঞানের উদাহরণ ও পবিত্র আল-কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের উদ্ধৃতি টেনে প্রতুত্তর দেওয়া হয়েছে। আধুনিক বিজ্ঞানের মাধ্যমেই প্রমাণ করা হয়েছে যে পৃথিবীর সবচেয়ে বিশুদ্ধতম গ্রন্থই হলো আল-কুরআন, যা সমগ্র মানবজাতির জন্যে হেদায়াতের মূল উৎস।
নাস্তিকদের প্রশ্নের জবাবে লেখকের বর্ণনাভঙ্গি ও শব্দের ব্যবহার বেশ সাবলীল। তবে বইয়ে অতিরিক্ত ইংরেজি শব্দের ব্যবহার আমাকে খানিকটা বিব্রত করেছে। আশা করছি পরবর্তী বইগুলোতে এর প্রভাব কমে যাবে ইনশাআল্লাহ। তথ্যের নির্ভূলতা এবং গল্পে গল্পে ইসলামবিদ্বেষীরা কীভাবে মুসলিম জাতির উপর কর্তৃত্ব স্থাপন করে তাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তা পাঠককে মুগ্ধ করবে বলেই আমি আশাবাদী। বইয়ের প্রথম গল্পটিই আপনাকে উপলব্ধি করাবে যে, কীভাবে স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্যে ভয়ংকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
“তর্ক যদি করা হয় একে অপরকে আক্রমণ করার জন্যে, তাহলে তাতে কোনো উপকার নেই। কিন্তু তর্কের উদ্দেশ্য যদি সত্য উদঘাটন হয়, তাহলে মীমাংসায় পৌঁছা সম্ভব।
♦রেটিংঃ ৮.৫/১০