আত্মশুদ্ধি
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল বায়ান
বিষয় : আত্মশুদ্ধি ও অনুপ্রেরণা
অনুবাদক : আবদুল্লাহ আল মাসউদ
পৃষ্ঠা : 64, কভার : পেপার ব্যাক
আত্মশুদ্ধি নিয়ে সালাফে সালেহীন বা আমাদের পূণ্যবান পূর্বসূরিগণ প্রচুর বইপত্র রচনা করেছেন। অনাগত প্রজন্মের জন্য রেখে গেছেন দিকনির্দেশনা। নিজেদের লব্ধ অভিজ্ঞতাকে কাগজের পাতায় বন্দি করেছেন। যাতে করে চারিত্রিক পরিশুদ্ধির জন্য পথনির্দেশ পেতে তাদের বেগ পেতে না হয়। এই ধরণের একটি আত্মশুদ্ধিমূলক ছোট পুস্তক হচ্ছে ‘উয়ূবুন নাফসি ওয়া মুদাওয়াতুহা ’ । যার শাব্দিক তরজমা করলে অর্থ দাঁড়ায়- অন্তরের রোগ-বালা ও তার নিরাময়।
এই পুস্তিকাটি রচয়িতা হলেন পঞ্চম শতাব্দির বিখ্যাত আলেম আবূ আবদুর রহমান আস-সুলামী রাহিমাহুল্লাহ। যিনি ছিলেন মানুষের অন্তরের রোগ-বালাই ও আত্মিক সমস্যা এবং তার প্রতিকার বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি। তিনি স্বীয় জীবনের সঞ্চিত বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে এটি লিপিবদ্ধ করেন। ফলে এই পুস্তকটিকে মনে করা হয় এই বিষয়ে ‘ অল্প কথায় অধিক ফলপ্রসু ’ একটি রচনা।
আত্মশুদ্ধি নিয়ে সালাফে সালেহীন বা আমাদের পূণ্যবান পূর্বসূরিগণ প্রচুর বইপত্র রচনা করেছেন। অনাগত প্রজন্মের জন্য রেখে গেছেন দিকনির্দেশনা। নিজেদের লব্ধ অভিজ্ঞতাকে কাগজের পাতায় বন্দি করেছেন। যাতে করে চারিত্রিক পরিশুদ্ধির জন্য... আরো পড়ুন
-
-
hotবেলা ফুরাবার আগে
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন335 ৳234 ৳বেলা ফুরাবার আগে... নিজেকে আবিষ্কারের একটি আয়না। ...
-
hotমনের ওপর লাগাম
লেখক : আল্লামা ইবনুল জাওযী (রহঃ)প্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন173 ৳112 ৳বিবেক আছে বলেই মানুষ পশুপাখি থেকে ...
-
hotএবার ভিন্ন কিছু হোক
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন340 ৳231 ৳প্রতিদিন একটা একঘেয়েমি চক্রে কেটে যাচ্ছে ...
-
hotটাইম ম্যানেজমেন্ট
লেখক : Ismail Kamdarপ্রকাশনী : সিয়ান পাবলিকেশন228 ৳160 ৳ইমাম আবু হানিফা রহ.-এর রেশমি কাপড়ের ...
-
hotআল্লাহর প্রতি সুধারণা
লেখক : ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়াপ্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন175 ৳114 ৳জাবের রদ্বি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ...
-
hotম্যাসেজ
লেখক : মিজানুর রহমান আজহারিপ্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স300 ৳285 ৳ইসলাম এক নক্ষত্র, যার সংস্পর্শে সমস্ত ...
-
hotএপিটাফ
লেখক : সাজিদ ইসলামপ্রকাশনী : বুকমার্ক পাবলিকেশন228 ৳155 ৳ধরণ: লেকচার সংকলণ পৃষ্ঠা: ১৪৪ কভার: পেপার ব্যাক উস্তাদ ...
-
hotনফসের বিরুদ্ধে লড়াই
লেখক : মাহমুদ বিন নূরপ্রকাশনী : রাইয়ান প্রকাশন220 ৳143 ৳কতজন-ই তো বলে—আমি তাহাজ্জুদে উঠতে পারি ...
-
hotতিনিই আমার রব
লেখক : শাইখ আলী জাবির আল ফাইফীপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন290 ৳203 ৳প্রকাশকের কথা: বইটির রচয়িতা শায়খ আলী জাবের ...
-
Khaleda Mubasshera – :
বই:আত্নশুদ্ধি
লেখক:আবু আবদুর রহমান আস-সুলামি (রহ)
অনুবাদ:আবদুল্লাহ আল মাসউদ।অনুবাদক তার অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য বইটি অনুবাদ করেছেন।আল্লাহ তাকে উত্তম প্রতিদান দিন।
○বইটির বৈশিষ্ট্য:”নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তোমাদের চেহারা-সুরত ও ধন-সম্পদের প্রতি লক্ষ করেন না।তিনি লক্ষ করেন তোমাদের আমল ও অন্তরের প্রতি ।”(সুনান ইবনু মাজাহ:৪১৪৩)
ইসলাহুন নাফস বা আত্নশুদ্ধি ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক।মানুষের বাহ্যিক দিকগুলো সংশোধন করার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ দিকগুলো সংশোধন করার নির্দেশনা ইসলাম প্রদান করেছে।এর উপরই একজন মানুষের সফলতা নির্ভর করে বলেও ঘোষণা করেছে।নাফস এর মন্দপ্রবনতা এবং এর প্রতিকার নিয়েই লেখা ছোট্ট পুস্তক হচ্ছে ‘উয়ূবুন নাফসি ওয়া মুদাওয়াতুহা ‘। যার শাব্দিক অর্থ অন্তরের রোগ-বালা ও তার নিরাময়।এই পুস্তকটিরই অনুবাদ আজ আমাদের কাছে “আত্নশুদ্ধি ” বই নামে পরিচিত।
_______________________________
○বইটির বিশেষত্ব: বইটি অল্প কথায় অধিক ফলপ্রসূ একটি রচনা।লেখক এই বইটিতে প্রায় সত্তরটির মতো আত্নিক ব্যাধি নিয়ে আলোচনা করেছেন।প্রথমে তিনি সেগুলো চিহ্নিত করেছেন,,,,তারপর তার প্রতিকার ও নিরাময় কুরআন ও হাদিসের আলোকে সুদৃঢ় করেছেন।সালফে সালেহীনের একটি উত্তম স্বভাব হলো তারাঅল্প বাক্যে প্রয়োজনীয় কথা সারতে মনোযোগী ছিলেন।তাদের গুনগুলোও বইটিতে স্থান পেয়েছে।
______________________________________
○শিক্ষনীয়:মানুষের অন্তর যখন ঠিক হয়ে যায়,তখন তার মাঝে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি হয় আর অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মাধ্যমে সে ভয়ভীতি প্রকাশ পেতে থাকে।ফলে যে ব্যক্তি তখন হারাম ও সন্দেহজনক বিষয় এড়িয়ে চলে।পক্ষান্তরে অন্তর যখন কলুষিত হয়, তখন মানুষের ভিতর থেকে আল্লাহর ভীতি চলে যায় এবং অন্তরে বিভিন্ন কুপ্রবৃত্তি সৃষ্টি হতে থাকে।সে সমস্ত প্রবৃত্তি পূর্ণ করতে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তখন বিভিন্ন সন্দেহজনক বিষয় ও হারামে জড়িয়ে পড়ে।এ জন্য বলা হয়, অন্তর হলো বাদশাহ মতো,আর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেন তার সৈন্য-সামন্ত।বাদশাহ যদি সৎ হয়, তার সৈন্যরা সৎ আদেশ প্রাপ্ত হয়।পক্ষান্তরে বাদশাহ যদি অসৎ হয়।ফলে অন্যায় আদেশ মান্য করতে গিয়ে সৈন্য-সামন্তও পাপাচারে জড়িয়ে পড়ে।(ইবনু রজব হাম্বলী)
______________________________________
○অনুভূতি:অন্তরের বিশুদ্ধতা লাভের জন্য বইটির প্রশংসা অকৃত্রিম।অন্তর কলুষিত তো পুরো জীবনই কলুষিত।আমরা সকলেই কমবেশি অন্তরের রোগে রোগাক্রান্ত।নাফসের সাথে যুদ্ধ করা যেন মুসলিম ভাইবোনদের জন্য দিন দিন কঠিন হয়ে পড়েছে।বইটির প্রত্যেকটি কথা আপনাকে নতুনভাবে অনুপ্রাণিত করবে নাফসের সাথে যুদ্ধ করতে।গ্রন্থের প্রতিকারগুলো মানলে আমরা একদিকে যেমন আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে পারবো তেমনি নাফসকেও কন্টোল রাখতে পারবো।নামাজে খুশু-খুযু ফিরে পাওয়ার জন্য বইটি অসাধারণ কার্যকর।এককথায় বলতে গেলে, পুস্তকটি অন্তরের অ্যান্টিডোট।
_______________________________________
○সুফল:বইটি আমাদের প্রতিনিয়ত মনে করিয়ে দেবে আমাদের রবের কথা।মনে করিয়ে দেবে অন্তরের মন্দ চিন্তা ভাবনার কথা, অলসতা ও ঢিলেমিতে ডুবে থাকার কুফল,দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার কুফল,প্রভুর কৃত ওয়াদার কথা,ইলমের মাধ্যমে দুনিয়া তালাশ করার কথা, অতিকথনে লিপ্ত হওয়ার কুফল, সুনাম বদনামে সীমাছাড়া হওয়ার কুফল,আল্লাহর সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হওয়ার কুফল ইত্যাদি আরো অনেক বিষয়।
Montasir Mamun – :
মূল লেখক: আবূ আবদুর রহমান আস-সুলামী রাহিমাহুল্লাহ (৪১২ হি.)
অনুবাদক: আবদুল্লাহ আল মাসউদ
প্রকাশনী: Maktabatul Bayan মাকতাবাতুল বায়ান
মুদ্রিত মূল্য: ৯২ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬৪
বইটি কেন পড়বেন?
নিজেকে শুদ্ধ করতে, মনের ভিতরের ও আচার ব্যবহারের যে সকল খারাপ দিক আছে তা জানতে ও দূর করতে এই বইটি সহায়ক হবে। প্রায় ৭০ টি এমন বিষয়ের উপর সংক্ষিপ্ত অথচ গুরুত্বপূর্ন ও তথ্যবহুল আলোচনা আপনাকে শুদ্ধ করতে সফল ভূমিকা রাখবে আশা করা যায়।
অনুবাদকের কথায় অনুবাদক এই বই অনুবাদ করেছেন মূলত নিজের জন্য এটা বলেছেন। অন্যরাও উপকার পেলে সেটা বোনাস। অনুবাদের ক্ষেত্রে যে নীতিমালা তিনি অনুসরন করেছেন সেটাও উল্লেখ করেছেন এই অংশে।
ছোট করে লেখকের জীবনী দেয়া আছে এর পরে। ৫ম শতাব্দির এই বিখ্যাত আলেম এর রচনাবলী ১০০ ও অধিক।
প্রারম্ভিকা তে লেখক তাঁর কথা বলেছেন। একজন শায়েখের অনুরোধেই মূলত তিনি এই বিষয়ে বই রচনা করেন। সকলের মনে রোগ সারাতে যেন এটি সহায়ক হয় সেই দোয়াই করেছেন এই অংশে।
বিভিন্ন আয়াত ও হাদীসের উদ্ধৃতির মাধ্যমে লেখক সহজে মনের ও চরিত্রের নানা দূর্বলতার কথা লিপিবদ্ধ করেছেন। শুধু সমস্যা লিখেই তিনি ছেড়ে দেননি সমাধানও দিয়ে দিয়েছেন আল কুরআন, হাদীস ও অন্যান্য নানা রেফারেন্স থেকে। প্রায় ৭০ টির মত বিষয়ে তিনি কলম ঘুরিয়েছেন অত্যন্ত সাবলীলভাবে। কয়েকটি উল্লেখ করা যেতে পারেঃ
ইবাদাত বন্দেগীতে অতৃপ্তি, কুপ্রবৃত্তির বশে আটকে পড়া, অন্যের দোষ তালাশ করা, অতিকথনে লিপ্ত হওয়া, বাহ্যিক অঙ্গসজ্জার প্রতি বেশি মনোযোগি হওয়া, অলসতায় আক্রান্ত হওয়া, সুনাম ও বদনামে সীমাছাড়া হওয়া, অতিমাত্রায় আকাঙ্ক্ষা করা, নিজের কাজকে সবসময় ভালো মনে করা, প্রতিশোধ প্রবণতা, অন্তর শক্ত হয়ে যাওয়া, ঘরবাড়ি বানানোর নেশা ইত্যাদি।
আমরা অনেকেই আসলে কয়েকটা বিষয় জানি কিন্তু এগুলো সঠিকভাবে দূর করে নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে এগিয়ে আসি না। এই বই সেই সাহস ও পথ দেখাবে।
বইয়ের প্রচ্ছদ, বাইন্ডিং ও কাগজের মানঃ ভালো
বই সম্পর্কে মতামতঃ বইয়ের কলেবর ছোট হওয়ায় সহজে বহনযোগ্য ও পড়তে সুবিধা। এমন বেসিক একটি বই সবার বাসায় থাকলে ভালোই হয়। উপহার হিসাবেও বেশ আকর্ষনীয় হতে পারে।
Mahira – :
.
বেশিরভাগ মানুষ সৌন্দর্যকে যোগ্যতার মাপকাঠি মনে করে। অথচ বাহ্যিক সৌন্দর্য তো কেবল রাব্বের করুণামাত্র। এতে তার অর্জনের ভূমিকা নেই; বরং আত্মিক সৌন্দর্যই মানুষের অর্জন। আত্মশুদ্ধির লক্ষ্যে জবাবদিহিতামূলক জীবনেই আসল সার্থকতা নিহিত। পরিশুদ্ধ আত্মার পথনির্দেশের জন্যই বিশেষত “আত্মশুদ্ধি” বইটি আমাদের সামনে এসেছে।
.
পঞ্চম শতাব্দীর প্রখ্যাত আলিম- আবু আব্দুর রহমান আস-সুলামী। তাঁর ‘উয়ূবুন নাফসি ওয়া মুদাওয়াতুহা’ এর অনুদিত গ্রন্থ- “আত্মশুদ্ধি”। লেখক বইটিতে প্রায় সত্তরটি আত্মিক ব্যধি ও তার প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করেছেন। রোগগুলোকে প্রথমে চিহ্নিত করেছেন, এরপরে বাতলে দিয়েছেন রোগমুক্তির পথ।
সেইসাথে নিজের চিকিৎসাপদ্ধতি সুদৃঢ়করণের লক্ষ্যে টেনেছেন কুরআন-হাদীসের যোগমাত্রা।
অনুবাদক পাঠকের সুবিধার্থে, প্রত্যেকটি রোগের আলোচনার শুরুতে জুড়ে দিয়েছেন শিরোনাম। এতে রোগের ধরন সহজেই বোধগম্য হয়!
পরশ্রীকাতরতা, অহেতুক কথা বলা, অন্তরে মন্দ চিন্তার প্রশ্রয়, অলসতা কিংবা বাহ্যিক অংগসজ্জা ইত্যাদি সমাজের বহুল চর্চিত ব্যাধিগুলোই বইয়ের আলোচ্য বিষয়। লেখক স্বল্প বাক্যব্যয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন ব্যাধিগুলোর সুদূরপ্রসারী প্রভাব আর তুলে ধরেছেন সেই ব্যাধিগ্রস্ত আত্মার নিরাময় প্রকল্প।
.
প্রতিরোধ ব্যবস্থায় বাস্তব অভিজ্ঞতার সাথে কুরআন-হাদীসের বক্তব্যের প্রাধান্য থাকায় পাঠকের অনুযোগের জায়গা থাকেনা। অনুবাদের ভাষাগত মান ও উন্নত।
তবে, বইটির কলেবর অত্যন্ত ছোট। লেখক চাইলে প্রত্যেকটা রোগের বিস্তারিত আলোচনা করে, ভাবের গভীরতায় তীব্রতা আনতে পারেন। তাছাড়া প্রচ্ছদটা এ বইয়ের সাথে মানানসই মনে হয়নি। বানানের সমস্যা নতুন সংস্করণে ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা আর কিছু পরিমার্জন ও হয়েছে বইয়ের।
.
এবার আসি পাঠ্যানুভূতিতে!
সবমিলিয়ে চমৎকার একটা বই। আত্মার পরিশুদ্ধতা লাভে এই একটি বই-ই যথেষ্ট। বইটিকে চেকলিস্ট বানিয়ে ফেলা ফলপ্রসূ। রোগগুলো নিজের মধ্যে আছে কি না চেক করে, একটি একটি করে রোগগুলো প্রতিরোধের মাধ্যমে অর্জন করা যাবে আত্মার পবিত্রতা। আর পরিশুদ্ধ আত্মাই তনুমনে এনে দেয় অনাবিল প্রশান্তি। যেহেতু আত্মশুদ্ধি দু’জাহানের কামিয়াবী লাভের মাধ্যম, তাই আত্মার মালিকের সাক্ষাৎলাভের আগমুহূর্ত পর্যন্ত অব্যাহত থাকুক আত্মশুদ্ধির “লিটমাস পরীক্ষা”
.
বই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শুকরিয়া জানাই, এমন চমৎকার বই উপহার দেওয়ার জন্য। জাযাকুমুল্লাহ।
Wahida Akhtar Sanna – :
‘উয়ূবুন নাফসি ওয়া মুদাওয়াতুহা’ (যার শাব্দিক তরজমা করলে অর্থ দাঁড়ায় – অন্তরের রোগ-বালা ও তার নিরাময়) – আত্মিক ব্যাধি ও তার প্রতিকার সম্পর্কে ৫ম শতাব্দীর বিখ্যাত আলিম আবূ আবদুর রহমান আস-সুলামী — রাহিমাহুল্লাহু তাআলা – র একটি উল্লেখযোগ্য কিতাব। লেখক তাঁর বইতে ৭০টির মত আত্মিক ব্যাধি ও তার প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করেছেন। সেগুলোকে তিনি প্রথমে চিহ্নিত করেছেন। তারপর প্রতিকার ও নিরাময়-পদ্ধতির কথা বাতলে দিয়েছেন। সবশেষে নিজের বাতলে দেয়া তরীকাকে কুরআনের আয়াত ও নবীজী (সাঃ)-র হাদীস দ্বারা সুদৃঢ় করেছেন।
তিনি অতিরিক্ত আলাপে না গিয়ে স্বল্প কথায় মূল সমস্যাটা চিহ্নিত করে তার প্রতিকার তুলে ধরেছেন। প্রতিকার বর্ণনার ক্ষেত্রে কুরআন-হাদীসের সরাসরি বক্তব্যকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
অবাক করার মত এমন অনেক বিষয় এখানে উঠে এসেছে, যেগুলোকে আমরা আপাত দৃষ্টিতে খারাপ বলে তো মনে করিই না, বরং খুব স্বাভাবিকভাবে দেখি!
সব শেষে লেখক মানুষের অন্তর পুরোটাকেই ব্যাধিগ্রস্থ উল্লেখ করে বলেছেন, অন্তরের দোষত্রুটি এবং ব্যাধির কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। তবে আশা করা যায়, এই বইতে আলোচিত প্রতিকারের আলোকে অন্যান্য বিষয়েরও সমাধান আবিষ্কার করা যাবে।
শারীরিকভাবে আমরা কিছুটা অসুস্থ হলেই দৌড়ে ডাক্তারের কাছে যাই, প্রেসক্রিপশন অনুসারে ওষুধ সেবন করি।প্রয়োজনে অপারেশন কিংবা কেমোথেরাপি পর্যন্ত নেই। শারীরিক সুস্থতার জন্য নিজের কষ্টার্জিত ধন-সম্পদ খরচ করতেও দ্বিধা বোধ করি না। দেহের সুস্থতার জন্য আমরা যতটা দৌড়ঝাঁপ করি, অন্তরের সুস্থতার জন্য করি না তার সিকিভাগও! অথচ আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ” নিশ্চয়ই সে সফলকাম হয়েছে, যে তার আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেছে। আর সে ব্যর্থ হয়েছে, যে তাকে কলুষিত করেছে।”
নিঃশ্বাসের যেহেতু বিশ্বাস নাই, নিজ নিজ অন্তর পরিশুদ্ধ করণের উপায় খুঁজতে তাহলে আর দেরি করা ক্যানো?
মোঃ ফয়জুল কবির পলাশ – :