মেন্যু
aroj ali shomipe

আরজ আলী সমীপে

আরজ আলী মাতুব্বর। জন্মেছেন বরিশালে। প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা তার ছিলনা। তবে স্বশিক্ষিত ছিলেন। লোকমুখে শুনা যায় ধর্মের প্রতি একধরনের বিতৃষ্ণা থেকে উনি কলম ধরেছিলেন। বিজ্ঞানমনস্কতার নামে আরজ আলীরা যে ভূলটা... আরো পড়ুন
পরিমাণ

190  260 (27% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
Get it on Google Play

9 রিভিউ এবং রেটিং - আরজ আলী সমীপে

4.8
Based on 9 reviews
5 star
77%
4 star
22%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
Showing 2 of 9 reviews (4 star). See all 9 reviews
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 4 out of 5

    ফররুখ শিয়ার:

    বইয়ের নাম: আরজ আলী সমীপে
    লেখক: আরিফ আজাদ
    মুদ্রিত মূল্য: ২৫০ টাকা
    পৃষ্ঠা সংখ্যা:
    প্রকাশনী: সমকালীন প্রকাশনী

    আরজ আলী মাতুব্বর। বাংলাদেশে নাস্তিকতা জগতের একটি পরম শ্রদ্ধেয় নাম। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও স্বশিক্ষিত ছিলেন বলে জানা যায়।

    ধর্মকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে না পারায় একসময় ধর্মের প্রতি বিতৃষ্ণ হয়ে পরেন এবং কলম ধরেন ধর্ম, বিশেষকরে ইসলামের বিরুদ্ধে। কয়েকটি গ্রন্থও রচনা করেন, ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে। কিন্তু আফসোস, উনি যেটাকে ইসলাম বলে বুঝেছিলেন, তা যে প্রকৃত ইসলাম ছিল না। ছিল ইসলামের নামে বিদআত।
    শ্রদ্ধেয় আরিফ আজাদ ভাই আরজ আলী মাতুব্বরের এই ভ্রান্তির বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন “আরজ আলী সমীপে” বইয়ে। তিনি দেখিয়েছেন ইসলামের বিরুদ্ধে আরজ আলী মাতুব্বরের করা বেশিরভাগ প্রশ্নই ভুল। সেসকল বিষয়ে তিনি ইসলামের সঠিক আকিদা ও বিশ্বাস তুলে ধরেছেন এবং আরজ আলী মাতুব্বরের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। যা নাস্তিকদের কোমর ভাঙতে অনেকটাই সাহায্য করেছে।

    পাঠপ্রতিক্রিয়া:
    বাংলাদেশের নাস্তিক্যবাদী মহলের বিরুদ্ধে প্রথম কে কলম ধরেছেন, আমার জানা নেই।
    তবে সফলভাবে যিনি নাস্তিকদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে পেরেছেন, তিনি হলেন শ্রদ্ধেয় আরিফ আজদ ভাই।
    “প্যারাডক্সিকেল সাজিদ” লিখে যার শুরু করেছিলেন, “আরজ আলী সমীপে” তার দ্বিতীয় থাবা। এ বইয়ে একেবারে নাস্তিকদের ভাব গুরুর উপর হামলা। তা’ও আবার তাঁর শিক্ষা-দীক্ষার উপর প্রশ্ন তুলে এবং তাঁর প্রশ্নের মান ও রেফারেন্স এর বিষয়ে হাস্য-পরিহাস করে।
    এ বইয়ে লেখক আরজ আলী মাতুব্বর এর ভ্রান্ত প্রশ্নসমূহের যেমন উত্তর দিয়েছেন, তেমনি উল্টো নাস্তিকদের প্রতি প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। যার উত্তর নাস্তিক সম্প্রদায় আজো দিতে সক্ষম হয়নি।
    লেখার বিবিধ অংশে লেখক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। বিবর্তনবাদ বলে আমরা যে বিষয়টিকে জানি, তা-যে একটা জগাখিচুরি মার্কা কল্পনা ব্যতীত কিছুই নয়, লেখক তা দলিল প্রমান দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন।

    বইটি পড়ে আমি অনেক কিছুই জানতে পেরেছি। বইটি আমার জ্ঞান ভান্ডার সমৃদ্ধ করেছে। বইটি আমাদের মতো ছাত্রদের জন্য খুবই উপকারী, যারা নাস্তিকদের তৈরি শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়ালেখা করি এবং সঠিকটা খুব বেশি জানতে পারি না।
    আল্লাহ লেখককে উত্তম প্রতিদান দিন।
    আমিন।

    7 out of 7 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 4 out of 5

    Marium Rakib:

    নাস্তিকতা একটা রোগ, অন্তরের রোগ। আলো- অন্ধকারের মতো, সত্য- মিথ্যার একটা লড়াই ছিল, আছে, এবং শেষ দিন পর্যন্ত বহাল থাকবে। জাহিলিয়াতের দ্বন্ধগুলো শেষ হয়ে যায়নি এবং যাবেও না। নানান সময়ে নানান রুপে এগুলো আমাদের সামনে এসে ধরা দেবে। “এটা মিথ্যা”, “ওটা অবৈজ্ঞানিক”, “ওটা কেবল অন্ধবিশ্বাস” – এভাবেই তো ওরা ইসলামের দিকে আঙ্গুল তোলে। যুগে যুগে মানুষ বদলায়, কিন্তু ইসলামের সাথে জাহিলিয়াতের দ্বন্ধগুলো আজীবন চলতেই থাকে।

    বাংলাদেশে তরুন প্রজন্মের মধ্যে নাস্তিকতার ব্যাপারটা কেমন যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ফেসবুকে, ব্লগে এসব নিয়ে তুমুল তর্কাতর্কি হচ্ছে। শত শত মুসলিম তরুন এসবের মধ্য পড়ে বিভ্রান্ত হয়ে ইসলাম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। তাদের মনের মধ্যে নানারকম প্রশ্ন, সন্দেহ ঢুকিয়ে দিচ্ছে নাস্তিকরা।

    বাংলাদেশে নাস্তিকতা জগতের গুরু যারা, আরজ আলী মাতুব্বর তাদের মধ্যে একজন। বরিশালে জন্মেছেন, নিজে নিজে স্বশিক্ষিত হয়েছেন। ধর্মের প্রতি একধরনের বিতৃষ্ণা থেকে উনি কলম ধরেছিলেন বলে জানা যায়। এই বিতৃষ্ণা থেকেই উনি ধর্মের বিরুদ্ধে, বিশেষত ইসলাম ধর্ম নিয়ে বেশকিছু প্রশ্ন, আপত্তি ও সন্দেহ নিয়ে “সত্যের সন্ধানে” নামে একটি বই লিখেছিলেন। এই বইয়ের প্রশ্নগুলো নাস্তিক সমাজে বহুল প্রচারিত। বইটি কত যে মুসলিম তরুনের মনের মধ্যে অবিশ্বাসের বীজ বুনে দিয়েছে, ইসলাম থেকে দুরে সরিয়ে দিয়েছে। এই বইয়ের বিপরীতে উনার যুক্তি, প্রশ্নের উত্তর দিয়ে লেখা হয়েছে “আরজ আলী সমীপে” বই। বইটিতে লেখক আরজ আলী সাহেবের প্রশ্নের জবাব তো দিয়েছেনই, সেইসাথে আবার পাল্টা প্রশ্নও ছুড়েছেন।

    সঠিক প্রশ্ন নিয়ে কেউ যদি ভুল মানুষের কাছে যায়, তাহলে সে ভুল উত্তর পাবে, এবং ভুল জানবে। কিন্তু, ভুল প্রশ্ন নিয়ে কেউ যদি সঠিক মানুষের কাছে যায়, তবুও সে সঠিক উত্তর পাবে। কারণ, সঠিক মানুষটা প্রথমে তার প্রশ্নটাই শুধরে দিবে। তারপর সেই প্রশ্নের উত্তর দিবে। শুধু প্রশ্ন করতে পারাটাই বাহাদুরি নয়, বরং প্রশ্নের উত্তরের জন্য কোথায় আর কার কাছে যাওয়া হচ্ছে সেটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

    আরজ আলী সাহেবের ক্ষেত্রেও ঠিক এটাই হয়েছে। উনি যে বিশেষ আ্যঙ্গেল থেকে ধর্ম, বিশেষ করে ইসলামধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন, সেটা আসলে মূল ইসলাম না। দুঃখজনকভাবে, উনি উনার এসব ভুল প্রশ্ন নিয়ে কোন আলিমের কাছে যাননি, যিনি তাকে সত্যের সন্ধানদিতে পারেন। তার বেশিররভাগ কথা শুরুই হয়েছে এভাবে- “মুসলিম ধর্মযাজকদের নিকট শোনা যায়….. “। ইসলাম সম্পর্কে তার জ্ঞান শোনা কথার উপর নির্ভরশীল। উনার যুক্তিগুলোও তাই খুবই হাস্যকর। এ বইয়ের বেশিরভাগ প্রশ্ন খুবই শিশুসুলভ। এসবের সাথে কুরআন- হাদিসের কোনই মিল নেই।

    আরও দুঃখজনক ব্যাপার হল, উনার এসব ভুল প্রশ্ন, ভ্রান্ত যুক্তি নিয়ে উনি “সত্যের সন্ধানে” নামে একটা বই লিখে ফেলেছেন। যে মানুষ কখনও কোন অথেনটিক সোর্স থেকে ইসলাম সম্পর্কে কোন পড়াশুনা করেননি, তিনি এসেছে ধর্মের ব্যাপারে জ্ঞান বিতরণ করতে! এমন মানুষ কি কাউকে কখনও সত্যের সন্ধান দিতে পারবে?
    ব্যাপারটা অনেকটা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের মত- যে প্রশাসন, মিডিয়া, সবকিছুকে নিজের আয়ত্বে রেখে জনগণের উদ্যেশ্যে ঘোষনা দেয়- “আসো, আজ আমি তোমাদের শেখাব নির্বাচন কাকে বলে?” আরজ আলী সাহেবের অবস্থাও তেমনই নয় কি?

    আরজ আলী সাহেব মারা গেছেন অনেক আগে। উনাকে নিয়ে আমাদের আর কিছুই করার নেই। মৃত্যুর পর উনি কেমন আছেন তা জানার কোন উপায় নেই। কিন্তু, উনি একগাদা উত্তরসুরীকে রেখে গেছেন, যারা উনার হয়ে “নাস্তিকতা ধর্ম” প্রচার করছে। তাদের কারণে শত শত মুসলিম তরুন অন্তরে নাস্তিকতাকে ধারণ করছে। এই বই তাদের জন্যই। এই বইতে আরজ আলী সাহেবের প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়া হয়েছে, আগ্রহী পাঠক না হয় বইয়ের পাতা থেকেই দেখে নিবেন।

    এই বই কাদের জন্য?
    ১. ইসলাম নিয়ে যাদের মনে সন্দেহ দানা বেঁধেছে- যারা ইসলামের বেসিক বিষয় নিয়ে সন্দেহে ভুগছেন।
    ২. যারা নাস্তিকদের করা বিভিন্ন প্রশ্ন নিয়ে চিন্তা করেন, কিন্তু উত্তর খুঁজে পান না- তারা এই বই থেকে খুঁজে নিতে পারেন আপনার উত্তর
    ৩.যারা নাস্তিক অলরেডি হয়ে গেছেন- বিশ্বাসকে নতুন করে আকড়ে ধরতে চাইলে এই বইটা পড়ুন।
    ৪.যারা নাস্তিকতার প্রচারক
    ৫.আপনি যদি বিধর্মী হয়ে থাকেন- আপনিও পড়তে পারেন এই বইটি। এতে আপনার জন্যও চিন্তার খোরাক আছে।

    এই বইটি কেন পড়বেন?
    এই বইতে নাস্তিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর এবং যুক্তি দেয়া হয়েছে, আপনার আশেপাশে কোন সংশয়বাদী/ নাস্তিক থাকলে তার প্রশ্নগুলোর যথাযথ উত্তর দিয়ে তাকে সঠিক পথে ফিরে আসতে সাহায্য করবেন।

    বইটির বিবিধ অংশটি খুবই মজার। “বিবিধ” অংশে বিবর্তনবাদ নিয়ে লেখাগুলো, বিশেষ করে “কিছু ধাপ্পাবাজির গল্প” শিরোনামে যে ঘটনাগুলো আছে, এগুলো যে কারও চোখ খুলে দেয়ার মত।

    বইটির প্রচ্ছদ খুবই সুন্দর হয়েছে। প্রচ্ছদে আরজ আলী সাহেবের উদ্দেশ্যে একটা চিঠি আছে। চিঠির শেষ লাইনের প্রশ্নটা খুবই চমৎকার। প্রশ্নটা ছিল- “পরিশেষে, কেমন আছেন আপনি? জানার কোন উপায় আছে কি?”

    9 out of 9 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
Top