মেন্যু
al fikhul akbar

আল-ফিকহুল আকবার

“আল-ফিকহুল আকবার” ইমাম আবু হানীফা (রহ) লিখিত আকীদার উপর একটি প্রাচীন কিতাব।এই গ্রন্থে অনুবাদ ও ব্যাখ্যাকারী ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর আরও কয়েকটি বইয়ের সাহায্য নিয়ে বঙ্গানুবাদের পাশাপাশি ব্যাখ্যাও সংকলন করেছেন।... আরো পড়ুন
পরিমাণ

336  480 (30% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
Get it on Google Play

6 রিভিউ এবং রেটিং - আল-ফিকহুল আকবার

5.0
Based on 6 reviews
5 star
100%
4 star
0%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    মিফতাহুল ইসলাম মুহিত:

    আক্বিদা নিয়ে ইমামে আজম ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) এর অসাধারণ গ্রন্থ আল-ফিকহুল আকবর প্রত্যেক মুসলমানদের একবার হলেও পড়া উচিত।আলহামদুলিল্লাহ ইসলাম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান,বিভিন্ন জটিল বিষয়ের সঠিক এবং সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আছে আল-ফিকহুল আকবর এর মধ্যে।ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ স্যার এর সাবলীলভাবে বঙ্গানুবাদ এবং ব্যাখ্যা করার মাধ্যমে পাঠকদের কাছে বেশ সমাদৃত গ্রন্থটি🖤
    18 out of 18 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    Koushik Ahmed:

    ইসলামি বই পরিচিতি
    বই:ইমাম আবু হানিফা রাহ. রচিত আল -ফিকহুল আকবারঃবঙ্গানুবাদ ও ব্যাখ্যা
    লেখক:ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ

    ইমাম আবু হানীফা রাহ. আকীদাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি ফিকহ বিষয়ে কোনো গ্রন্থ রচনা না করলেও আকীদা বিষয়ে কয়েকটি পুস্তিকা রচনা করেছেন।আকীদা বিষয়ক জ্ঞানকে শ্রেষ্ঠ ফিকহ বা ‘আল ফিকহুল আকবার বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং ফিকহী বিষয়ে ইজতিহাদ ও মতভেদের অনুমতি দিয়েছেন;কিন্তু আকীদা বিষয়ে ইজতিহাদ ও মতভেদ নিষেধ করেছেন।

    লেখক এ বইটিকে দুটি পর্বে ভাগ করেছেন। ১ম পর্ব তিনটি পরিচ্ছেদে বিভক্ত। ১ম পরিচ্ছেদে ইমাম আবু হানীফা রাহ. এর জীবনী ও মূল্যায়ন, দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে আবু হানীফা রাহ. এর রচনাবলি ও তৃতীয় পরিচ্ছেদে ইলমুল আকীদা ও ইলমুল কালাম বিষয়ে আলোচনা করেছেন।১ম পরিচ্ছেদের আলোচনায় ইমাম আবু হানীফা সম্পর্কে বিভিন্ন অভিযোগ এবং পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।এই অংশটি অনেকের কাছে বোরিং লাগতে পারে।এছাড়া এ পর্বে মাজহাব ও তাকলীদ,ঈমান আকীদা ও অন্যান্য পরিভাষা সম্পর্কে চমৎকার আলোচনা উত্থাপন করেছেন লেখক।

    ২য় পর্বই মূলত আল-ফিকহুল আকবার গ্রন্থের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা এবং এ পর্বটিই বইয়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ।এ পর্ব মোট পাঁচটি পরিচ্ছেদে বিভক্ত। ১ম পরিচ্ছেদে তাওহীদ, আরকানুল ইমান ও শির্ক;২য় পরিচ্ছেদে মহান আল্লাহর বিশেষণ ও তাকদীর; ৩য় পরিচ্ছেদে ইসমাতুল আম্বিয়া,সাহাবীগণ, তাকফীর, সুন্নাত ও ইমামাত;৪র্থ পরিচ্ছেদে মুর্জিয়া মতবাদ,নেক আমল,মুজিজা-কারামত,আখিরাত,শাফায়াত, ঈমান-ইসলামের সম্পর্ক এবং শেষ পরিচ্ছেদে হেদায়েত, কবর,আয়াতসমূহের মর্যাদা,রাসূল সা. এর আত্মীয়গণ ও কিয়ামাতের আলামত সম্পর্কে প্রয়োজনীয় বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

    বইটির ভূমিকায় লেখক বলেন-মুসলিম উম্মাহর বিভ্রান্তির উৎস ও বিষয়বস্তু ২য় শতকে যা ছিল বর্তমানেও প্রায় তা-ই রয়েছে। খারিজীগণের তাকফীর ও জিহাদ নামের উগ্রতা, জাহমী-মুরজিয়াদের মারিফাত ও ইমান বিষয়ক প্রান্তিকতা,শীয়াদের অতিভক্তি ও বাতিনী ইলমের নামে অন্ধত্ব এবং মুতাযিলাদের বুদ্ধিবৃত্তিকতার নামে ওহীর অবমূল্যায়ন বর্তমান যুগেও একইভাবে উম্মাতের সকল ফিতনার মূল বিষয়। এগুলোর সাথে বর্তমান যুগে যোগ হয়েছে তাওহীদ বিষয়ক অজ্ঞতা ও শির্কের ব্যাপকতা। এ সকল ফিতনার সমাধানে সে যুগে ইমাম আবু হানীফা ও অন্যান্য ইমামগণ যা বলেছেন বর্তমান যুগেও সেগুলোই আমাদের পথ দেখাবে।এজন্য এ সকল বিষয়ে ফিকহুল আকবারের বক্তব্য ছাড়াও ইমাম আবু হানীফা ও আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্যান্য ইমামের বক্তব্য বিস্তারিত আলোচনা করেছেন তিনি।

    আল ফিকহুল আকবারের অন্যতম আলোচ্য বিষয় মহান আল্লাহর বিশেষণ। এ বিষয়টি আমাদের অনেকের কাছেই সম্পূর্ণ নতুন ও ভিন্ন আঙ্গিকের হতে পারে। বিষয়টি খুব জটিল হওয়ায় লেখক তা একটু বেশি বিস্তারিতভাবে আলোচনা -পর্যালোচনা করেছেন।

    এ বইটি লিখতে যেয়ে আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ ২৯৭ টি বই থেকে সরাসরি উদ্ধৃতি ব্যবহার করেছেন।আকিদা বিষয়ক উম্মাহর বিভক্তির স্বরূপ বুঝতে ও প্রান্তিকতা ত্যাগ করতে বইটি থেকে আমি খুব উপকৃত হয়েছি।খুব ভালো উপন্যাস পড়ার সময় মানুষ যেভাবে বইয়ে ডুবে থাকে ;আমিও এমন একটা ফিল পেলাম বইটি পড়ার সময়।এখন পর্যন্ত এটি আমার পড়া সেরা ও সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ইসলামি বই।

    14 out of 15 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  3. 5 out of 5

    anisulislam122:

    আকিদা নিয়ে ইমাম আবু হানিফা রহ এর অসাধারণ একটি বই।
    সাথে খোন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঞ্জির রাহী অনেক সুন্দর করে প্রত্যেকটি শব্দ ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন।মাশা আল্লাহ 😍
    16 out of 18 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  4. 5 out of 5

    সালিমা সুলতানা আফরা:

    ইসলামি #আকিদা বিষয়ক একটি মৌলিক গ্রন্থ “আল ফিকহুল আকবার”। এটি ইসলামি আকিদার প্রাচীনতম গ্রন্থ, লিখেছেন ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ, অনুবাদ ও ব্যাখ্যা করেছেন আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ। এ বইটিতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর সাহাবীগণ ও সালাফে সালেহীন ইমাম, মুজতাহিদ ও আলেমদের আকিদাকে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই গ্রন্থটি আমাদেরকে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা’আতের মূলধারার আকিদার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। পাশাপাশি বিভ্রান্ত দলগুলোর বিভ্রান্তির স্বরূপ ও কারণ সম্পর্কেও অবগত করায়। আমরা দেখব আকিদা বিষয়ে বিভ্রান্তির মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে কুরআন ও হাদীসের বিপরীতে আকল তথা জ্ঞানবুদ্ধিকে স্থান দেওয়া, নাবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ ও সাহাবীদের মতামতকে অবজ্ঞা করা। যা তাঁরা বুঝতে বা ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করেন নি, তা বুঝতে ও ব্যাখ্যা করতে যাওয়া। আসলে আকিদাই তো ইসলামের মূলভিত্তি। তাই এ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই তো আবু হানীফা (রাহ.) ফকীহ হওয়া সত্ত্বেও ফিকহ নিয়ে নিজে কোনো কিতাব লেখেন নি, কিন্তু আকিদা বিষয়ে লিখেছেন। তিনি আকিদার জ্ঞানকে নামকরণ করেছেন “আল ফিকহুল আকবার” তথা ‘সবচে বড় ফিকহ’ নামে। মূলত তাঁর সময়েই আকিদা বিষয়ে অনেক বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল। সেগুলো খণ্ডন করতেই তাঁর কলম ধরা। দুঃখজনক বিষয় হলো আমাদের মুসলিম সমাজে এখনো আকিদা বিষয়ে অনেক বিভ্রান্তি দেখা যায়। বরং তা আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে কিছুক্ষেত্রে। ফিকহ বিষয়ে কিছু মতভেদ গ্রহণযোগ্য হলেও আকিদা বিষয়ে কোনো মতভেদ গ্রহণযোগ্য নয়। আকিদা প্রত্যেক মুসলিমের জন্যে একরকমই হয়ে থাকে। আকিদা বিষয়ে বিভ্রান্তিমুক্ত সঠিক জ্ঞান লাভ করতে হলে আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে নবী ও সাহাবী যুগে। আমরা দেখব আকিদা বিষয়ে কুরআন ও হাদীসের সহজ-সরল ও সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থগ্রহণই ছিল সাহাবী ও তাবেয়ীদের রীতি। আর এ বইটির অনুবাদ ও ব্যাখ্যা আমাদের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যও একই, আমরা যেন জীবনের সব ক্ষেত্রর মতো ইসলামের মৌলিক স্তম্ভ আকিদার ক্ষেত্রেও হুবহু রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসারী হতে পারি। আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ কর্তৃক লিখিত এই বইটির ব্যাখ্যাগ্রন্থটি দুইভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগে ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ-এর জীবনী ও সমালোচনার ব্যাপারে দালীলিক পর্যালোচনা পেশ করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় ভাগে মূল গ্রন্থটিকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। দয়াময় আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে সিরাতে মুস্তাকীমে পরিচালিত করেন, আমীন!
    .
    বইটির সবচে গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি বইটি থেকে হুবহু তুলে দিলাম:
    “সকল নবী-রাসুল তো কেবল তাওহীদের (আল্লাহর একত্ববাদের) বর্ণনা দিতে এবং একমাত্র আল্লাহর ইবাদাতের দাওয়াত দিতে আগমন করেন। এজন্যই তাঁদের সকলের কথা ও দলীল ছিল একটিই: ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য বা পূজিত নেই)’। তাঁরা তাঁদের উম্মাতদের বলেন নি যে, ‘তোমরা বল, আল্লাহ বিদ্যমান।’ বরং ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ তথা উপাস্য নেই’- এ কথাটি পরিস্কার ও প্রতিষ্ঠা করাই তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল। কারণ এ সকল জাতির মানুষেরা কিন্তু আল্লাহর একক প্রভুত্বকে স্বীকার করত। কিন্তু তারা ধারণা করত যে আল্লাহ ছাড়া অন্যান্যদেরও বন্দেগী করা যায়। এজন্য তারা (মুশরিকরা) বলত: ‘এরা (অর্থাৎ দেবদেবী, নেক্কার মৃত মানুষ, মাজার, পাথরসহ আল্লাহ ব্যতীত অন্য যাদেরকে তারা চূড়ান্ত ভক্তি বা বিনয় করত)আল্লাহর কাছে আমাদের সুপারিশকারী’, এবং ‘আমরা তো কেবল এজন্যেই তাদের ইবাদত করি যে, তারা আমাদেরকে আল্লাহর অধিকতর নৈকট্যে দ্রুত পৌঁছে দেবেন’।”
    -(দ্বিতীয় পর্ব, প্রথম পরিচ্ছেদ, পৃষ্ঠা নং. ১৬৫)।
    .
    (অসাধারণ প্রচ্ছদের প্রায় সাড়ে পাঁচশত পৃষ্ঠার এ ব্যাখ্যাগ্রন্থটির মূল্য বইয়ের মান হিসেবে খুবই কম!)
    17 out of 19 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  5. 5 out of 5

    Yeasin Arafath:

    মুসলিমদের জন্য অনেক উপকারী একটা বই
    15 out of 17 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No