3 রিভিউ এবং রেটিং - আহকামে যিন্দেগী
Showing 3 of 3 reviews (5 star). See all 3 reviews
ঈমান-আকীদা থেকে শুরু করে ইবাদাত, মুআমালাত, মুআশারাত ও আখলাক-চরিত্র তথা ব্যক্তিগত , পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের যাবতীয় অত্যাবশ্যকীয় বিধি-বিধান, মাসলা-মাসায়েল ও দুআ দুরূদ সম্বলিত এক অনবদ্য গ্রন্থ। একজন মুসলমানের ইসলামী যিন্দেগী পরিচালনার জন্য যা কিছু জানা প্রয়োজন, সংক্ষিপ্তভাবে সে সবকিছু একটি গ্রন্থে সন্নিবেশীত করার প্রয়াস নেয়া হয়েছে আহকামে যিন্দেগীতে।
Wafilife is a leading book shop in Bangladesh. We offer thousands of islamic, general and academic books at a discounted price. We provide good packaging with low shipping cost all over the Bangladesh.
মিনহাজ উদ্দিন খান – :
আবু বকর সিদ্দিক – :
এই ধরনের প্রশ্ন যখন কেউ আমাকে করে তখন আমি শুধু একটা বইয়েরই নাম বলি। সেটা হলো— ‘আহকামে যিন্দেগী’। এছাড়া আর কোনো বইয়ের নাম বলা তো দূরে থাক— আমার ভাবনাতেও আসে না। আর আসবেই বা কেমন করে? আমি যে এর বিকল্প আর কোনো বই খুঁজেই পাইনি!
আমাদের দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষই জেনারেল শিক্ষিত (শিক্ষিত মানুষদের মধ্যে)। মাদরাসায় খুব কম মানুষই লেখাপড়া করছে। ফলে যা হচ্ছে, তারা মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও ইসলামের বিধিবিধান সম্পর্কে বেশ অজ্ঞ। তাই তারা যেকোনো প্রয়োজনে (সামান্য বিষয় হলেও) ছুটে যায় আলেমদের কাছে।
মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন সাহেব এ বিষয়টি নজরে রেখেই হয়তো বইটি লিখেছেন। যাতে করে কোনো ছোটোখাটো বিষয় নিয়ে যেন কোনো আলেমের শরণাপন্ন হতে না হয়। তারা নিজেরাই সমাধান করে নিতে পারে।
যা আছে বইটিতেঃ—
এ বইটিতে আপনি পাবেন শরীয়তের প্রায় সবধরনের মাসআলা-মাসায়েল— যেগুলো আমাদের নিত্যদিনের প্রয়োজনীয়। যেগুলো একেবারে না হলেই নয়। এই যেমন, বইটিকে লেখক পাঁচটি অধ্যায়ে বিভক্ত করেছেন। তন্মধ্যে প্রথম অধ্যায়ে ঈমান ও আকাইদ সম্মন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে ইবাদাত, তৃতীয় অধ্যায়ে মুআমালাত (লেন-দেন), চতুর্থ অধ্যায়ে মুআশারাত (ওঠা-বসা) এবং পঞ্চম অধ্যায়ে আখলাকিয়াত সম্মন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আর এছাড়াও বাংলাদেশের স্বনামধন্য একজন আলেমেদ্বীন মাওলানা মাহমূদুল হাসান দা. বা. (যাত্রাবাড়ী মাদরাসার সম্মানিত মুহতামিম)—এর কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য এভাবে উল্লেখ করেছেন,
১. লেখক এ বইটিতে আকায়েদ, ইবাদাত, মুআমালাত, মুআশারাত এবং আখলাকিয়াতের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়াদি যুক্ত করেছেন।
২. আধুনিক মাসআলা-মাসায়েল এবং সমসাময়িক বিষয়াদির উপর জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেছেন।
৩. সহজ সরল ভাষায় অত্যন্ত সুন্দর সঠিক ও সাবলীলভাবে মাসআলা-মাসায়েল উপস্থাপন করেছেন।
৪. তুলনামূলক অপ্রসিদ্ধ মাসআলা-মাসায়েলের বরাত উল্লেখ করেছেন, যাতে প্রয়োজনে কেউ মূল কিতাব দেখে নিতে পারেন।
৫. প্রত্যেকটা ক্ষেত্রের দুআ দুরূদও সংশ্লিষ্ট স্থানে উল্লেখ করেছেন।
৬. প্রত্যেকটা ক্ষেত্রের ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত, মোস্তাহাব ও আদাব সবধরনের আহকাম বর্ণনা করেছেন, যেন মানুষ সবগুলো জেনে নিজেদের জীবনকে পূর্ণভাবে ইসলামের আলোকে ঢেলে সাজাতে পারে।
(এ বইয়ের শুরুতে থাকা হুজুরের অভিমত হতে সংগৃহীত)
আমার ব্যক্তিগত অনুভূতিঃ—
বইটি আমি আমার ছেলেবেলা থেকেই ঘরের বুকশেলফে দেখে আসছি। সেই সুবাদে এর সাথে আমার পরিচয় বহুদিনের। তাই বইটির ব্যাপারে আমার ধারণাও বেশ সুপ্রসন্ন। এটি হয়তো পাঠককে অন্যান্য গল্প কিম্বা উপন্যাসের বইয়ের মতো পরিতৃপ্ত করতে পারবে না। কিন্তু আমলি লাইনে বেশ উপকার করবে। তাই এ বইটি প্রত্যেকের সংগ্রহে রাখা দরকার।
লেখক পরিচিতিঃ—
মাওলানা মুহাম্মাদ হেমায়েত উদ্দীন সাহেবকে যদ্দুর চিনি— তিনি একজন বিজ্ঞ আলেমেদ্বীন। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘জামিআ ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া’— তথা যাত্রাবাড়ী বড় মাদরাসার একজন স্বনামধন্য মুহাদ্দিস। সেই সাথে বড়মাপের একজন লেখকও। আমি যদ্দুর শুনেছি, ভৌগোলিক মানচিত্র সম্মন্ধে হুজুরের অগাধ ধারণা। তাঁকে এবিষয়ের একজন বিজ্ঞ পণ্ডিত বললেও বোধহয় ভুল হবে না।
আমি অনেকের মুখেই হুজুরের গুণগান শুনেছি। কিন্তু সেগুলো অত একটা আমলে নিইনি। মানে— হুজুরের সম্মন্ধে জানার তেমন একটা চেষ্টা করিনি। তবে ইচ্ছে আছে হুজুরের সান্নিধ্যে যাবার। মহান রাব্বুল আলামিন আমাকে তাওফিক দান করুন। আমিন।
হুজুরের লেখা আরও কিছু বই রয়েছে। যেমন, আহকামুন নিসা, আহকামে হজ্জ, ইসলামী ভূগোল, নফছ ও শয়তানের সাথে মোকাবেলা, বয়ান ও খুৎবা, ফাযায়েলে যিন্দেগী, যদি জীবন গড়তে চান, ইসলামী মনোবিজ্ঞান, ইসলামী আকিদা ও ভ্রান্ত মতবাদ, ভাষা ও সাহিত্য প্রশিক্ষণ ইত্যাদি।
আবুবকর আলী আশরাফ – :