আফিয়া সিদ্দিকী (গ্রে লেডি অব বাগরাম) (পেপারব্যাক)
প্রকাশনী : প্রজন্ম পাবলিকেশন
সংকলন: টিম প্রজন্ম
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে চলা কথিত যুদ্ধের নামে ড. আফিয়া সিদ্দিকীকে ২০০৩ সালে তিন সন্তানসহ আইএসআই অপহরণ করে এফবিআই এর হাতে তুলে দেয়।
অপহরণের পর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের বিভিন্ন কারাগারে আফিয়া সিদ্দিকীকে পাশবিক, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। এরপর তাকে আফগানিস্তানে নাটকীয়ভাবে গ্রেফতার দেখানো হয়। ২০১০ সালে মার্কিন আদালতে অন্যায়ভাবে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
“আফিয়া সিদ্দিকী: গ্রে লেডি অব বাগরাম” বইটি আফিয়ার জীবনকর্ম, অপহরণ, গ্রেফতার নাটক, সন্তানদের অবস্থা, মামলা, কারাদণ্ড এবং বর্তমান অবস্থা নিয়ে লেখা।
সংকলন: টিম প্রজন্ম
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে চলা কথিত যুদ্ধের নামে ড. আফিয়া সিদ্দিকীকে ২০০৩ সালে তিন সন্তানসহ আইএসআই অপহরণ করে এফবিআই এর হাতে তুলে দেয়।
অপহরণের পর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের বিভিন্ন... আরো পড়ুন
-
-
hotকুরআন থেকে নেওয়া জীবনের পাঠ
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশন330 ৳231 ৳এককথায়— কুরআন কীভাবে আমাদের জীবনের কথা ...
-
hotজীবন যেখানে যেমন
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন275 ৳192 ৳আরিফ আজাদের নতুন বই 'জীবন যেখানে ...
-
hotগল্পগুলো অন্যরকম
লেখক : সিহিন্তা শরীফা, আনিকা তুবা, আফিফা আবেদিন সাওদা, আরমান ইবন সোলাইমান, আরিফ আজাদ, আরিফ আবদাল চৌধুরী, আরিফুল ইসলাম, আলী আবদুল্লাহ, জাকারিয়া মাসুদ, নুসরাত জাহান, মাহমুদুর রহমান, যাইনাব আল-গাযি, শারিন সফি, শিহাব আহমেদ তুহিন, শেখ আসিফ, সাদিয়া হোসাইন, সানজিদা সিদ্দীক কথাপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন350 ৳245 ৳জীবনের কাছে মাঝে মাঝে গল্পও তুচ্ছ ...
-
save offফেরা ২
লেখক : বিনতু আদিলপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন190 ৳139 ৳জাগতিক নিয়মে, সব পাখি নীড়ে ফেরে। ...
-
hotইসলামের চার নক্ষত্র: চার ইমাম
লেখক : ড. সালমান আল আওদাহপ্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন335 ৳248 ৳অনুবাদ: ওয়াফি অনুবাদক টিম সম্পাদনা: মুফতী মাহমুদুল ...
-
save offইমাম সিরিজ (৬টি বই)
প্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন123 ৳ – 1,005 ৳সম্পাদনা: আকরাম হোসাইন কভার: পেপার ব্যাক পৃষ্ঠা: ১ম খণ্ড ১৬৮, ২য় ...
-
hotপ্রদীপ্ত কুটির
লেখক : আরিফুল ইসলামপ্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশন192 ৳142 ৳মাহির আর লাফিজা। ভার্সিটিতে পড়াবস্থায় দুজনের ...
-
save offদুজন দুজনার
লেখক : মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার240 ৳120 ৳এক ছাদের নিচে একত্রে অনেক বছর ...
-
hotআই লাভ ইউ
লেখক : মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার260 ৳130 ৳বাজারে অশ্লীল প্রেম আর রগরগে বর্ণনার ...
-
রাহমান শেখ জে – :
sahla_nawal – :
কেনো তাকে এতটা নিকৃষ্ট ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হলো, তার যুতসই জবাব মেলেনি কারো কাছেই। কিন্তু আজকের মুসলিম বিশ্ব তাকে হারিয়ে যে বিরাট ক্ষতির শিকার, তা পূরণ করার সামর্থ কি আদৌ হবে কারোর?
আমাদের ভালোবাসার আফিয়া সিদ্দিকীকে আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদৌসের উত্তম স্থান দান করুন।
টিম প্রজন্মের একটি অসাধারণ কাজ। আল্লাহ তাদেরকে উত্তম বিনিময় দান করুন।
আর সবাইকে আল্লাহ অশেষ বারাকাহ দান করুন।
zabintasmin123 – :
ড. আফিয়া সিদ্দিকী একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুসলিম স্নায়ুবিজ্ঞানী, কুরআনের হাফেযা, সংগঠক এবং নারী স্কলার। ১৯৭২ সালে জন্মগ্রহণকারী পাকিস্তানি এই নারী বিশ্বের টপ র্যাংকিং ইউনিভার্সিটি MIT থেকে বি.এস কমপ্লিট করে ব্রান্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পি.এইচ.ডি করেন।
স্বভাবে তিনি ছিলেন অত্যন্ত নম্র, ভদ্র ও ধার্মিক এবং অসহায় মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ। ড. আফিয়া বসনিয়ার মুসলিম নারী ও শিশুদের জন্য ফান্ড তৈরি করেছেন। বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে বয়স্কদের সেবা ও প্রতিবন্ধীদের সাহায্য করছেন। আমেরিকার জনগণের মাঝে ইসলাম ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলেন। হাজার হাজার কপি কুরআন বিতরণ করেছেন, বিশেষত্ব কারাগারে অবস্থানরত বন্দীদের মাঝে ইসলামের দাওয়াসহ কুরআন বিতরণ করেছেন।
তিন সন্তানের এই জননী বিবাহ বিচ্ছেদের পর ২০০২ সালে পুনরায় পাকিস্তানে ফিরে যান। ফিরে গিয়ে পাকিস্তানের উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেন।২০০৩ সালের ৩১ মার্চ ড. আফিয়া তার তিন সন্তানসহ পাকিস্তানের করাচিতে আইএসআই কর্তৃক অপহৃত হন এবং ২০০৮ সালে গজনীতে নাটকীয় ভাবে তার খোঁজ মেলে।যেখানে তার উপর চলছিল অমানুষিক নির্যাতন। সেই বছরই সেখান থেকে তাকে আমেরিকার নিউইয়র্কে নেয়া হয়। এখানে তার উপর যে ভয়ানক অত্যাচার চলে তা শুনে শিউরে উঠতে হয়। শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি তার ধর্মকেও অবমাননা করা হয়। ব্রেইন ড্যামেজ সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলা হয়। নির্যাতনের মাত্রা এতই ছিল যে তার চিৎকার শুনে পাশের বন্দীরা নির্যাতন বন্ধের দাবিতে কারাগারে অনশন করে। পরবর্তীতে তার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে বিচারের নামে প্রহসন করে ৩৮ বছর বয়সী এই নারীকে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। কি ছিল তার অপরাধ?!! তিনি ত মানুষের ভালো ই চেয়েছিলেন কিন্তু তা সহ্য হয়নি কিছু অমানুষের। মার্কিন গবেষক ও স্কলার স্টিফেন ল্যান্ডমিন বলেন, “ড. আফিয়া সিদ্দিকীর অপরাধ শুধু একটিই সেটা হলো, সে ভুল জায়গায় ইসলামের প্রচার-প্রসার করেছিল।”
একজন উচ্চশিক্ষিত, সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণকারী, হৃদয়ে কুরআন ধারণকারী নারীর প্রতি অত্যাচারের বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে “আফিয়া সিদ্দিকী; গ্রে লেডি অফ বাগরাম ” বইটিতে। যে নির্যাতনের কথা শুধুমাত্র বইয়ে পড়ে শিউরে উঠতে হয়, সেই নির্যাতন সহ্য করে একজন নারী কিভাবে ইসলামের উপর অটল, অবিচল ছিলেন তা জানা যাবে বইটি পড়ে। বইটিতে আছে ড. আফিয়ার জীবনী, অপহরণের ঘটনা ও কারণ, মামলা, বিচার, বর্তমান অবস্থা এবং কারাবন্দী অবস্থায় পৈশাচিক নির্যাতনের বিবরণ। ড. আফিয়ার হৃদয় বিদারক কাহিনী জানানোর পাশাপাশি নতুন করে দুটি জাতি ও দুটি দেশের মুখোশ উন্মোচনেও বইটি ভূমিকা রেখেছে।
আমাদের সকলের উচিত ড. আফিয়া সিদ্দিকীর প্রতি করা এই অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, তার মুক্তি দাবিতে আন্দোলন করা। এটা শুধু মানবতার খাতিরে নয় একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের দায়িত্ব নির্যাতিত মুসলিমের পাশে দাড়ানো। সবশেষে আদালতে বিচারককে ড. আফিয়ার দেয়া বয়ানের মাধ্যমে শেষ করছি-
“আপনি তাদের ক্ষমতা দিয়েছেন আমাকে রেপ করার, উলঙ্গ করে সার্চ করার। আপনার কাছে কিছুই বলার নেই আমার, আমি আমার আল্লাহর কাছে যেয়েই যা বলার বলবো। আমি তো সেদিনই মরে গেছি যেদিন আমাকে প্রথম ধর্ষণ করা হয়েছিল। আমাকে ছেড়ে দিন, আমাকে আমার দেশে যেতে দিন।”
Montasir Mamun – :
গ্রে লেডি অব বাগরাম
সংকলনঃ টিম প্রজন্ম
অনুবাদ ও সম্পাদনাঃ আফিয়া মুভমেন্ট বাংলা
প্রকাশকালঃ ২০১৯
গায়ের দামঃ ২২০ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৬৮
বইটি কেন পড়বেন?
ইসলামের পথে থাকলে মাঝে মাঝে খুব বেশি পরীক্ষা দিতে হয় এবিষয়টি জানতে এবং পাশ্চাত্য সভ্যতার নগ্ন অবিচার সম্পর্কে ধারণা পেতে এই বইটি পড়া আবশ্যক।একজন নিরাপরাধ মেধাবী নারীকেও এমন নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে জেনে নিজেকে ধরে রাখা কঠিন হবে। বিশ্ব সচেতনতায় এমন বই প্রকাশ করা, পড়া ও প্রচার করা একান্ত জরুরী।
বইয়ে কি কি আছে?
আফিয়া সিদ্দিকী নামে পাকিস্তানী এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম মহিলার কাহিনী বর্নিত হয়েছে বইতে। অত্যন্ত মেধাবী এই নারী আমেরিকার এমআইটিসহ টপ ক্লাস ইউনিভার্সিটিতে পরাশোনা করেছেন এবং গবেষণা করেছেন যার আজ এক করুন পরিনতি বহন করে চলতে হচ্ছে।
আমেরিকা ৯/১১ এর পর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তথাকথিত যুদ্ধ পরিচালনা করে আসছে। এই মহিয়সী নারী, হাফেজা আফিয়া সিদ্দিকী ছিলেন মানবতার জন্য সোচ্চার একজন মহিলা। তিনি সাহায্য সহযোগিতা করতেন, ফান্ড রেইজ করতেন, যুক্ত ছিলেন অনেক ধরনের সামাজিক ও কল্যাণমূলক কাজে। তিনি ছোটদের নিয়ে কাজ করেছেন, ‘অনুকরনের মাধ্যমে শেখা’ বিষয়ে পি এইচডি করেছেন, বয়স্ক, অসহাত মানুষদের জন্য যার প্রান কেদেছে তাই তিনি তাদের পাশে থেকেছেন। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের গর্ব! এই ধরনের একজন ভালো নারীকেই যুক্তরাষ্ট্র অপরাধী হিসাবে ষড়যন্ত্র মূলক সন্দেহ করেছে!!!
এরপর পাকিস্থান থেকে অপহরন করে ৫ বছর কারাগারে বন্দী করে রেখেছে! সাথে ছিল তাঁর ৩ ছেলেমেয়ে। ছোট ছেলের কোন হদীস নেই। বড় ছেলে মেয়েকে আলাদা ভাবে আটকে রাখা হয়, পরে ছেড়ে দেয়া হয়। ৫ বছর বন্দীকালীন সময়ে তাঁর উপর চলে অকথ্য নির্যাতন যার মধ্যে ছিল শারিরীক, মানসিক, নগ্ন, ধর্ষন করা ইত্যাদি।
পুরাটা সময় বাইরের বিশ্ব তাঁর সম্পর্কে সবাই ছিল অনবহিত। এর মধ্যে তাকে বিনা চিকিৎসায় বা নূন্যতম চিকিৎসায় রাখা হয়েছে, দেহের অংগ কেটে নেয়া হয়েছে, পরিপাক নালীও কেটে নেয়া হয়েছে, অমানুষিক যন্ত্রনা নিয়ে প্রায়ই চিৎকার শোনা যেত কারাগার থেকে। তাঁর মত একজন হাফেযার সামনে কুরআন অবমাননাও পর্যন্ত করেছে পিশাচ বাহিনী,
এরপর আফগানিস্তানে তাকে নিয়ে সেখানে সাজানো নাটক করে গুলিবিদ্ধ করে আবার তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আমেরিকায়। এরপর ক্যাঙ্গারু কোর্ট করে, প্রমানের বিপরীতে, সাজানো মামলায় তাকে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এবং এখন পর্যন্ত তিনি আরেরিকায় আটক ও কারাবন্দী আছেন।
বইয়ের তাঁর বক্তব্য, তাঁর আত্মীয় স্বজন, আইনজীবি, সাংবাদিক, প্রত্যক্ষদর্শী এমন বেশি কিছু নারী পুরুষের প্রবন্ধ আছে। সবার বর্ননাই হৃদয় বিদারক।
নিজের অনুভূতিঃ
এক কথায় আমি স্তব্দ হয়ে গেছি সব কিছু জেনে। বই পড়ে মনে হয়েছে আমাদের উচিৎ সবারই নিজ নিজ জায়গা থেকে আওয়াজ তোলা উচিৎ এই অবিচার, অত্যাচারের বিরুদ্ধে। আল্লাহ তাঁর সহায় হোন। আমীন
রেটিংঃ ৯/১০
Montasir Mamun – :
ইসলামের পথে থাকলে মাঝে মাঝে খুব বেশি পরীক্ষা দিতে হয় এবিষয়টি জানতে এবং পাশ্চাত্য সভ্যতার নগ্ন অবিচার সম্পর্কে ধারণা পেতে এই বইটি পড়া আবশ্যক।একজন নিরাপরাধ মেধাবী নারীকেও এমন নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে জেনে নিজেকে ধরে রাখা কঠিন হবে। বিশ্ব সচেতনতায় এমন বই প্রকাশ করা, পড়া ও প্রচার করা একান্ত জরুরী।
বইয়ে কি কি আছে?
আফিয়া সিদ্দিকী নামে পাকিস্তানী এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম মহিলার কাহিনী বর্নিত হয়েছে বইতে। অত্যন্ত মেধাবী এই নারী আমেরিকার এমআইটিসহ টপ ক্লাস ইউনিভার্সিটিতে পরাশোনা করেছেন এবং গবেষণা করেছেন যার আজ এক করুন পরিনতি বহন করে চলতে হচ্ছে।
আমেরিকা ৯/১১ এর পর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তথাকথিত যুদ্ধ পরিচালনা করে আসছে। এই মহিয়সী নারী, হাফেজা আফিয়া সিদ্দিকী ছিলেন মানবতার জন্য সোচ্চার একজন মহিলা। তিনি সাহায্য সহযোগিতা করতেন, ফান্ড রেইজ করতেন, যুক্ত ছিলেন অনেক ধরনের সামাজিক ও কল্যাণমূলক কাজে। তিনি ছোটদের নিয়ে কাজ করেছেন, ‘অনুকরনের মাধ্যমে শেখা’ বিষয়ে পি এইচডি করেছেন, বয়স্ক, অসহাত মানুষদের জন্য যার প্রান কেদেছে তাই তিনি তাদের পাশে থেকেছেন। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের গর্ব! এই ধরনের একজন ভালো নারীকেই যুক্তরাষ্ট্র অপরাধী হিসাবে ষড়যন্ত্র মূলক সন্দেহ করেছে!!!
এরপর পাকিস্থান থেকে অপহরন করে ৫ বছর কারাগারে বন্দী করে রেখেছে! সাথে ছিল তাঁর ৩ ছেলেমেয়ে। ছোট ছেলের কোন হদীস নেই। বড় ছেলে মেয়েকে আলাদা ভাবে আটকে রাখা হয়, পরে ছেড়ে দেয়া হয়। ৫ বছর বন্দীকালীন সময়ে তাঁর উপর চলে অকথ্য নির্যাতন যার মধ্যে ছিল শারিরীক, মানসিক, নগ্ন, ধর্ষন করা ইত্যাদি।
পুরাটা সময় বাইরের বিশ্ব তাঁর সম্পর্কে সবাই ছিল অনবহিত। এর মধ্যে তাকে বিনা চিকিৎসায় বা নূন্যতম চিকিৎসায় রাখা হয়েছে, দেহের অংগ কেটে নেয়া হয়েছে, পরিপাক নালীও কেটে নেয়া হয়েছে, অমানুষিক যন্ত্রনা নিয়ে প্রায়ই চিৎকার শোনা যেত কারাগার থেকে। তাঁর মত একজন হাফেযার সামনে কুরআন অবমাননাও পর্যন্ত করেছে পিশাচ বাহিনী,
এরপর আফগানিস্তানে তাকে নিয়ে সেখানে সাজানো নাটক করে গুলিবিদ্ধ করে আবার তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আমেরিকায়। এরপর ক্যাঙ্গারু কোর্ট করে, প্রমানের বিপরীতে, সাজানো মামলায় তাকে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এবং এখন পর্যন্ত তিনি আরেরিকায় আটক ও কারাবন্দী আছেন।
বইয়ের তাঁর বক্তব্য, তাঁর আত্মীয় স্বজন, আইনজীবি, সাংবাদিক, প্রত্যক্ষদর্শী এমন বেশি কিছু নারী পুরুষের প্রবন্ধ আছে। সবার বর্ননাই হৃদয় বিদারক।
নিজের অনুভূতিঃ
এক কথায় আমি স্তব্দ হয়ে গেছি সব কিছু জেনে। বই পড়ে মনে হয়েছে আমাদের উচিৎ সবারই নিজ নিজ জায়গা থেকে আওয়াজ তোলা উচিৎ এই অবিচার, অত্যাচারের বিরুদ্ধে। আল্লাহ তাঁর সহায় হোন। আমীন
রেটিংঃ ৯/১০