মেন্যু
adorsho poribar gothone 40ti upodesh

আদর্শ পরিবার গঠনে ৪০টি উপদেশ

অনুবাদ : হাসান মাসরুর সম্পাদনা : মুফতি তারেকুজ্জামান বইটি পড়ে আপনি ঘরে ঈমানি পরিবেশ তৈরী করার পদ্ধতি, ঘর ও পরিবার সংশ্লিষ্ট সুন্নাত ও মাসনূন দুআ পড়া এবং তা যথাযথ আদায় করার পদ্ধতি,... আরো পড়ুন
পরিমাণ

131  175 (25% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
Get it on Google Play

6 রিভিউ এবং রেটিং - আদর্শ পরিবার গঠনে ৪০টি উপদেশ

4.5
Based on 6 reviews
Showing 4 of 6 reviews (5 star). See all 6 reviews
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    Md Rezaul Hossain:

    হে মু’মিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে ও তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন হতে বাঁচাও যার জ্বালানি হবে মানুষ ও পাথর; যেখানে রয়েছে নির্মম ও কঠোর ফেরেশতাকূল, আল্লাহ তাদেরকে যে নির্দেশ দিয়েছেন তারা সে ব্যাপারে তার অবাধ্য হয় না। আর তারা তা-ই করে যা তাদেরকে আদেশ করা হয়।
    (সূরা আত-তাহরীম: ০৬)
    .
    বইটি পড়ে চিন্তার ব্যাপক আকারে পরিবর্তন হয়েছে। বইটি নিয়ে যত বলবো ততই কম হবে। বই এর লেখক এর বেশ কয়েকটি বই পড়েছি। তার মধ্যে অন্যতম এই বইটি ও নবীজিরﷺ সংসার।
    .
    বইটি থেকে যা পেয়েছি তা হলো, ৪০ টি অসাধারণ উপদেশ। এগুলো মূলত কুরআন এর আয়াত ও সহিহ হাদিস এর আলোকে ৪০ টি উপদেশ আমাদের জন্য পেশ করা হয়েছে।
    .
    বইটি পড়ে যা ভাল লেগেছে, পুরো বইটিই একটি প্যাকেজড। অসম্ভব সুন্দর একটি বই। বইটি যদি মনোযোগ সহকারে পড়া যায় তাহলে নিজেদের পরিবারের ঘাটতিগুলো বুঝতে পারা যাবে, কোথায় কি ঘাটতি রয়েছে।
    .
    বইটির গুরুত্ব আমার কাছে ব্যাপক বলে মনে হয়েছে। কেননা, একটি পরিবারে কিভাবে ঈমানি পরিবেশ তৈরি করা যায় তা সুন্দরভাবে বর্ণনা করে উপদেশ পেশ করা হয়েছে। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত যত আমলের মাধ্যমে থাকা যায় তার তথ্য রয়েছে। কুরআন এর আয়াত ও সহিহ হাদিস গুলো ধরিয়ে ধরিয়ে উপদেশ দেওয়া হয়েছে। এখানে একটা উপদেশ-ও বাদ দেওয়ার মত নেই।
    .
    সবশেষে, বইটি পড়ে বুঝতে পারবেন সবার আগে নিজের পরিবার তারপর অন্যকিছু। পরিবার গঠনে এটি একটি অসাধারণ বই বলা যেতেই পারে। এটি প্রতিদিন পড়ার মতো একটি বই। যা পড়লে কিনা পরিবার গঠন বেশ সহজতর হবে ইনশাআল্লাহ। বইটি সবার পড়া উচিত এবং সংগ্রহে থাকা উচিত।
    জাযাকুমুল্লাহ।
    #MRHR
    5 out of 5 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    দ্বীন মুহাম্মাদশেখ:

    ✴ প্রাককথন :

    আপনি শিল্পপতি, বিত্তবান। সামাজিক মর্যাদার দৃষ্টিকোণ থেকে আপনার অবস্থান শীর্ষে। এত সম্মান, প্রতিপত্তি, ক্ষমতা থাকার পরেও আপনি একজন অসুখী, অভাবী। কেনো? পারিবারিক শান্তি নেই যে। পরিবারটাকে আপনার মনে হয় জাহান্নামের মত।

    হ্যাঁ, আমাদের অনেকের ক্ষেত্রেই এমনটা ঘটতে পারে। ঘটেও। ডিভোর্স, পরকীয়া, স্ত্রী নির্যাতন – এমনকি খুন – ইত্যাদি আজকাল দৈনিক সংবাদপত্রগুলোর প্রধান খবর। কিন্তু তবুও কি আমরা সতর্ক হই?

    আমাদের বুকশেলফ ডেল কার্ণেগী, ব্রায়ান ট্রেসি, নেপোলিয়ন হিল প্রমুখ প্রেরণাদায়ী লেখকদের ঐসব বইয়ে ভরপুর, যা আমাদেরকে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে। অথচ নিজ পরিবারকে গঠন করার জন্যে, পারিবারিক শান্তি নিশ্চিত করতে কোনো ধরনের বই ছুঁয়েও দেখি না। কিন্তু কেনো? আসুন আজ আমরা এমন একটি বইয়ের সাথে পরিচিত হই, যা আমাদের পরিবারকে গঠন করতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ।
    _________________________________

    ✴ লেখক পরিচিতি :

    ভালোবাসার একটি নাম ” শাইখ মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ”। সিরিয়ান বংশোদ্ভূত এই মহান ব্যক্তি একাধারে দায়ী, আলোচক ও লেখক। ৩০-১২-১৩৮০ হিজরীতে জন্ম নেয়া এই আলেম বেড়ে ওঠেছেন সৌদির রিয়াদে। ইলম অর্জন করেছেন শাইখ ইবনে বায, শাইখ উসাইমিন, শাইখ সালেহ বিন ফাউযান, শাইখ শানকিতি (রহি:) দের মত মহান আলেমের নিকট। হাফিযাহুল্লাহ।
    _________________________________

    ✴ বিস্তারিত আলোচনা :

    রাত ১২ টা। শহরের রাস্তায় হাটতে বের হয়েছেন। ফুটপাতে, অলিতে-গলিতে ছেঁড়া এক টুকরো কাপড় মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে কত শত গৃহহীন মানুষ! ওদের ঘর নেই। বিলাসবহুল, অথবা সাদাসিধে হলেও অন্তত রাতে মাথা রাখবার ঠাঁইটুকু আছে আপনার। এবার বলুন, আপনার ঘর মহান রবের দেয়া অনেক বড় নিয়ামত নয় কি? হ্যাঁ তাই। ঘর একটি নিয়ামত। প্রখ্যাত লেখক শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদ (হাফি:) বইয়ের ভূমিকাতেই ঘরকে আল্লাহর নিয়ামত উল্লেখ করে “ঘর একটি নিয়ামত” শিরোনামে স্বল্প কথায় দালীলিক আলোচনা পেশ করেছেন। শুরুতেই লেখক সূরা নাহলের ৮০ নং আয়াত পেশ করে তাঁর রচিত শিরোনামের যথার্থতার প্রমাণ দিয়েছেন। আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেছেন –

    ﴿ والله جعل لکم من بیوتکم سکنا ﴾

    অর্থাৎ, “আল্লাহ তোমাদের ঘরকে তোমাদের জন্য আবাসস্থল বানিয়েছেন।”

    অতঃপর লেখক উক্ত ৪০টি উপদেশকে ৬টি অধ্যায়ে বিভক্ত করে বইটিতে আলোচনা করেছেন। অধ্যায়গুলো হলো:

    ▶ পরিবার গঠন
    ▶ ঘরে শরয়ী ইলম চর্চা করা
    ▶ ঘরোয়া বৈঠক
    ▶ পরিবারের চারিত্রিক বিষয়গুলো
    ▶ ঘরের কিছু নিকৃষ্ট ও পরিত্যাজ্য বিষয়
    ▶ বিভিন্ন নসীহত
    ____________________________________

    ✴ পরিবার গঠন :

    প্রথম অধ্যায়ে লেখক সুখী পরিবার গঠনের মৌলিক কিছু করণীয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। অত্র অধ্যায়ে লেখক মোট ৭টি উপদেশ উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হলো:

    ▶ ভালো ও নেককার স্ত্রী নির্বাচন।
    ▶ স্ত্রীকে সংশোধনের চেষ্টা করা।
    ▶ ঘরে ঈমানি পরিবেশ তৈরি করা।
    ▶ তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে কিবলামুখী ও ইবাদাতের স্থান বানাও।
    ▶ ঘরের লোকদেরকে ঈমানি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা।
    ▶ ঘর ও পরিবার সংশ্লিষ্ট সকল সুন্নত ও মাসনূন দুয়া পড়া এবং তা যথাযথ গুরুত্বসহকারে আদায় করা।
    ▶ ঘর থেকে শয়তান তাড়ানোর জন্য নিয়মিত সূরা বাকারা তিলাওয়াত করা।

    একটি সুখী পরিবার গঠনের পূর্বশর্ত হচ্ছে নেককার একটি মেয়েকে ঘরে আনা। আল্লাহর রাসূল (স:) বলেছেন –

    ﴿ الدنیا متاع، وخیر متاع الدنیا المراة الصالحة ﴾

    “দুনিয়া একটি সম্পদ। আর দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে নেককার সতী নারী।” ( সহীহ মুসলিম : ১৪৬৭)

    দুর্ভাগ্যক্রমে যদি স্ত্রী নেককার না হন, তাহলে তাকে সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা সূরা তাহরীমের ৬ নং আয়াতে বলেছেন –

    ﴿ یاأیھا الذین امنوا قوا انفسکم واھلیکم نارا ﴾

    “হে ঈমানদারগণ, তোমরা নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবারকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও।”

    তাই স্ত্রীকে সংশোধনের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। লেখক এখানে স্ত্রীকে সংশোধনের কিছু মাধ্যম উল্লেখ করেছেন। যেমন :

    ▪ প্রতিটি আমলে গুরুত্ব দেয়া।
    ▪ তাহাজ্জুদে উৎসাহিত করা।
    ▪ কুরআন তিলাওয়াতে তাগিদ দেয়া।
    ▪ মাসনূন দুয়ার ক্ষেত্রে যত্নশীলা হওয়ার তাগিদ দেয়া।
    ▪ সদাকা করায় উৎসাহিত করা।
    ▪ ইসলামি বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করা।
    ▪ ইসলামি লেকচার শোনানো।
    ▪ উত্তম সঙ্গী নির্বাচন করে দেয়া।
    ▪ খারাপদের সাথে মিশতে না দেয়া।

    অতঃপর লেখক ঘরে ঈমানি পরিবেশ তৈরি, ঘরকে ইবাদাতের স্থান বানানো এবং ঘরের লোকদেরকে ঈমানি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য বলেছেন। এক্ষেত্রে লেখক বেশ কয়েকটি পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেছেন। যেমন:

    ▪ ঘরকে আল্লাহর যিকিরের স্থানে পরিণত করা। এটা হতে পারে মনে মনে বা মুখে উচ্চারণ করে যিকির, কুরআন তেলাওয়াত, ইলমি আলোচনা বা ইসলামি বই তা’লীমের মাধ্যমে। আল্লাহর রাসূল (স:) বলেছেন, “যে ঘরে আল্লাহর যিকির হয় আর যে ঘরে আল্লাহর যিকির হয় না, এই দুই ঘরের উপমা হলো, জীবিত এবং মৃতের মতো।” ( সহীহ মুসলিম : ৭৭৯)
    ▪ ফরজ ব্যতীত অন্যান্য নামাজ ঘরে আদায় করা।
    ▪ বাড়ির মহিলাদের সদাকা করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা। এক্ষেত্রে বাড়িতে গরিবদের জন্যে একটা বাক্স রেখে সেখানে প্রতিদিন কিছু কিছু করে জমানো যেতে পারে।
    ▪ নফল রোজা রাখা এবং মহিলাদের রাখতে উদ্বুদ্ধ করা।

    এরপর লেখক যে উপদেশটি দিলেন, তা হলো – ঘর ও পরিবারসংশ্লিষ্ট সকল সুন্নত ও মাসনূন দুয়া পড়া এবং তা যথাযথ গুরুত্বসহকারে আদায় করা।

    “মানুষ যখন ঘরে প্রবেশের সময় এবং খাবারের সময় আল্লাহর নাম স্মরণ করে, তখন শয়তান (অন্যান্য শয়তানকে উদ্দেশ্য করে) বলে – তোমাদের জন্য রাত কাটানোর কোনো স্থান নেই এবং তোমাদের জন্য রাতের খাবারের কোনো অংশ নেই। আর যখন সে দুয়া না পড়ে ঘরে প্রবেশ করে, তখন শয়তান বলে – তোমরা রাত কাটানোর স্থান পেয়ে গেলে আর খাবারের সময় যদি দুয়া না পড়ে, সে বলে – তোমরা ঘুমানোর স্থান ও রাতের খাবার পেয়ে গেলে ”
    ( সহীহ মুসলিম : ২০১৮)
    ___________________________________

    ✴ ঘরে শরয়ী ইলম চর্চা করা:

    এ অধ্যায়ে লেখক ৫টি উপদেশ বর্ণনা করেছেন। তা হলো:

    ▶ ঘরের লোকদের ইলম শিক্ষা দেয়া
    ▶ বাড়িতে ইসলামি বইয়ের একটা লাইব্রেরি তৈরি করা
    ▶ ঘরে অডিও লাইব্রেরি তৈরি করা
    ▶ মাঝে মাঝে নেককার আলেম ও তালিবুল ইলমদের দাওয়াত করে বাড়িতে নিয়ে আসা
    ▶ ঘর ও পরিবারের শরয়ী বিধি বিধানগুলো শিক্ষা করা

    লেখক (হাফি:) বলেছেন,

    “মানুষ তার দায়িত্ব ও কাজের ব্যস্ততার কারণে পরিবারের লোকদের শিক্ষার ব্যাপারে গাফেল ও উদাসীন থাকে। এর সমাধান এভাবে হতে পারে যে, সে সপ্তাহে বা মাসে একটি দিন নির্ধারণ করে রাখবে, যেদিন পরিবারের লোকদের শিক্ষা-দীক্ষার কাজে সময় ব্যয় করবে।”

    অতঃপর লেখক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কলম ধরেছেন – বাড়িতে ইসলামি বইয়ের একটা লাইব্রেরি তৈরি করা। আসলেই এটা খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে তিনি বিভিন্ন ক্যাটাগরির কিছু বইয়ের পরামর্শ দিয়েছেন। তাফসীর, হাদিস, আকাইদ, ফিকহ, আখলাক, তাযকিয়াতুন নাফস, ইতিহাস ইত্যাদি বই পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন।

    এরপর লেখক ঘরে একটি অডিও লাইব্রেরি তৈরি করার কথা বলেছেন। এর স্বরূপ হচ্ছে, কুরআন তিলাওয়াত, ইসলামি সঙ্গীত, বিভিন্ন ইসলামিক স্কলারদের লেকচার, মাসয়ালা মাসায়েল সংক্রান্ত আলোচনা ইত্যাদি বিষয়ভিত্তিক ক্যাসেট সংগ্রহ করা এবং তা বাজানোর ব্যবস্থা করা। এ অংশে কোন ধরনের স্কলারের লেকচার আমরা শুনতে পারি, তার বিবরণও দেয়া হয়েছে।

    তারপর ১১তম এবং ১২তম উপদেশ হিসেবে বইটিতে বলা হয়েছে যথাক্রমে আলেমদের দাওয়াত করে বাড়ি আনা এবং পরিবারে শরয়ী বিধান চালু করা। এখানে লেখক ঘরের লোকদের মধ্যে অনুমতি নিয়ে প্রবেশের বিষয়টি জোড়ালোভাবে ব্যক্ত করেছেন।
    ____________________________________

    ✴ ঘরোয়া বৈঠক:

    এ অধ্যায়ে লেখক ৮টি নসীহত প্রদান করেছেন।

    ▶ পরিবারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও পারস্পরিক মতবিনিময়ের সুযোগ করে দেয়া
    ▶ দাম্পত্যকলহের বিষয়গুলো সন্তানদের সামনে প্রকাশ না করা
    ▶ বদদ্বীন লোকদের ঘরে প্রবেশ করতে না দেয়া
    ▶ পরিবারের সদস্যদের অবস্থা ও প্রতিটি বিষয় ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা
    ▶ ঘরে শিশুদের যত্ন নেওয়া
    ▶ ঘুম, খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য কাজের জন্য সময় নির্দিষ্ট করা
    ▶ মহিলাদের বাড়ির বাইরের কাজ সুবিন্যস্তভাবে করা
    ▶ ঘরের গোপন বিষয়গুলো বাইরে প্রকাশ না করা

    এ অধ্যায়ে লেখক বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ প্রদান করেছেন।

    যেকোনো কাজেই ঘরোয়া পরামর্শ অত্যন্ত জরুরি। এতে করে পরিবারের সবাই নিজেদেরকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবতে শুরু করবে এবং পরিবারের কল্যাণের জন্যে কাজ করবে। তাছাড়া সবার মতামতের ভিত্তিতে যেকোনো কাজে সহায়তা পাওয়া যায়। তাই যেকোনো সমস্যায় পারস্পরিক মতবিনিময় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    দাম্পত্যজীবনে মাঝেমধ্যে একটু আধটু ঝগড়া বিবাদ হতেই পারে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যে, সন্তানদের মনে এর যেনো কোনো প্রভাব না পরে। তাদের সামনে এ বিষয়গুলো প্রকাশ করা যাবে না।

    এরপর লেখক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরামর্শ দিয়েছেন, যার অভাবে বর্তমান পারিবারিক শান্তি অনেকটাই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আর তা হলো – পরিবারের সদস্যদের অবস্থা ও প্রতিটি বিষয় ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা। অনেক পিতা আছে, যারা জানেই না যে, তার সন্তানের চরিত্র অনেক খারাপ হয়ে গেছে। তাই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখুন:

    ▪ গোপনে আপনি আপনার সন্তানকে পর্যবেক্ষণ করুন।
    ▪ সন্তানের মাঝে কখনো ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করবেন না।
    ▪ আপনার সন্তান যেনো আস্থাহীন না হয়ে পড়ে।
    ▪ সন্তানকে নসীহত অথবা শাস্তিপ্রদানের ক্ষেত্রে অবশ্যই তার বয়স, বুদ্ধি ও ভুলের পরিমাণের দিকে লক্ষ্য রাখুন।
    ▪ কখনই নেতিবাচকভাবে তাদের পর্যবেক্ষণ করবেন না।

    একটি সুখী পরিবারকে অবশ্যই সুশৃঙ্খল হতে হয়। এ জন্য অবশ্যই পরিবারে ঘুম, খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য কাজের জন্য সময় নির্দিষ্ট করা উচিত। এছাড়াও ঘরের গোপন বিষয়গুলো বাইরে প্রকাশ করে নিজেদেরই ভাবমূর্তি নষ্ট করা বোকামি বৈ কিছু নয়। তাই এ কাজটার ছিটেফোঁটাও করা যাবে না।
    _____________________________________

    ✴ পরিবারের চারিত্রিক বিষয়গুলো:

    এ অধ্যায়ে লেখক ৫টি পরামর্শ দিয়েছেন। যথা:

    ▶ ঘরে কোমলতার চরিত্র ছড়িয়ে দেওয়া
    ▶ ঘরের কাজে পরস্পরকে সাহায্য-সহযোগিতা করা
    ▶পরিবারের লোকদের সাথে মজা ও রসিকতা করা
    ▶ ঘর ও পরিবারের সদস্যদের খারাপ ও নোংরা স্বভাবগুলো সংশোধনের চেষ্টা করা
    ▶ ঘরের এমন এক স্থানে বেত ঝুলিয়ে রাখা, যেখান থেকে বাড়ির লোকেরা তা দেখতে পায়

    বর্তমানের পরিবারগুলোতে কোমলতার প্রভাব অত্যন্তরকমে কম। সেখানে কেউ কারো কথা সহ্য করতে পারে না। অথচ পারিবারিক শান্তি নিশ্চিত করতে কোমলতার কোনো বিকল্প নেই। মুসনাদে আহমাদের হাদিসটি লক্ষ্য করুন-

    ” যখন আল্লাহ তায়ালা কোনো পরিবারের কল্যাণ চান, তখন তাদের মধ্যে কোমলতা দিয়ে দেন।”

    অনেক লোক আছে, যারা ঘরের কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করেন না। অথচ রাসূলুল্লাহ (স:) নিজের কাপড় নিজেই সেলাই করতেন, নিজের জুতা নিজেই ঠিক করতেন ( মুসনাদে আহমদ: ২৬২৩৯)। তাই আমাদের উচিত এই গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহের প্রতি যত্নবান হওয়া।

    এবার আরো একটি উপদেশ শুনুন, যা পারস্পরিক ভালোবাসা বর্ধক হিসেবে অত্যন্ত কার্যকরি। আর তা হচ্ছে – পরিবারের লোকদের সাথে মজা ও রসিকতা করা। রাসূলুল্লাহ (স:) আয়েশা (রা:) এর সাথে মজা করতেন, তাঁর সাথে প্রতিযোগিতামূলক খেলা খেলতেন। তাই পরিবারকে নিরস না বানিয়ে ইসলাম সমর্থিত রসিকতা করাও সুন্নাহ।

    ২৫তম উপদেশ হিসেবে লেখক এখানে যা উল্লেখ করেছেন, তা দেখে অনেকেরই হয়তো কপাল কুঁচকে যাবে। লেখক বলেছেন, “ঘরের এমন এক স্থানে বেত ঝুলিয়ে রাখা, যেখান থেকে বাড়ির লোকেরা তা দেখতে পায়।” একটু আগেই কোমলতার কথা বলা হলো। আর এখানে বলা হচ্ছে কঠোরতার কথা! বেতের কথা শুনেই ভাববেন না যে, তা যত্রতত্র ব্যবহার করার প্রতি উৎসাহিত করা হচ্ছে। আসলে শাস্তির ইঙ্গিত করা আদব শিক্ষা দেওয়ার অনেক বড় একটি মাধ্যম। শাস্তি প্রদানের বস্তু বা মাধ্যম দেখলে অসৎ উদ্দেশ্যের লোকেরা ভয়ে অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকবে। তাছাড়া এটাও বাস্তব, কেবল কোমলতাই যথেষ্ট নয়, বরং প্রয়োজনে কঠোরও হতে হয়।
    ____________________________________

    ✴ ঘরের কিছু নিকৃষ্ট ও পরিত্যাজ্য বিষয় :

    এখানে লেখক ২৬ থেকে ৩৬তম মোট ১১টি উপদেশ একবাক্যে বিবৃত করেছেন। লেখকের ভাষায় নিম্নোক্ত কাজগুলো আমাদের জন্যে নিষিদ্ধ :

    ▶ স্বামীর অনুপস্থিতিতে গাইরে মাহরাম প্রবেশ।
    ▶ মেয়েলি স্বভাবের পুরুষ প্রবেশ।
    ▶ টেলিভিশন।
    ▶ কাফের বা কুফরি ধর্মের যেকোনো প্রতীক ঘরে রাখা।
    ▶ প্রাণীর ছবি ঘরে রাখা।
    ▶ ধূমপান।
    ▶ কুকুর আনায়ন এবং কুকুরপ্রীতি।
    ▶ বাড়ির ভেতর ও বাহিরে কারুকাজ করা।
    _____________________________________

    ✴ বিভিন্ন নসীহত:

    শেষ অধ্যায়ে চলে এসেছি আমরা। এই অধ্যায়ে লেখক ৪টি উপদেশ দিয়েছেন।

    ▶ বাড়ি বানানোর জন্য সুন্দর জায়গা নির্বাচন করা এবং তার জন্য নকশা তৈরি করা।
    ▶ বাড়ি নির্বাচনের পূর্বে প্রতিবেশী নির্বাচন করা।
    ▶ প্রয়োজনীয় সংস্কারমূলক কাজ এবং প্রয়োজনীয় ও আরামের জিনিসগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখা।
    ▶ ঘরের প্রতিটি সদস্যের শারীরিক সুস্থতার প্রতি লক্ষ্য রাখা।

    বাড়ি বানানোর ক্ষেত্রে সুন্দর জায়গা নির্বাচন এবং সুন্দর নকশা প্রণয়ন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। স্থানের দিক দিয়ে বাড়ি মাসজিদের নিকটবর্তী হওয়া উত্তম। এতে অনেক ফায়দা রয়েছে। যেমন:

    ▪ আযান শুনে ঘুম থেকে ওঠতে পারবে।
    ▪ সহজে জামায়াতে শামিল হতে পারবে।
    ▪ মহিলারা ঘর থেকেই মাসজিদের তিলাওয়াত শুনতে পারবে।
    ▪ শিশুরা মাসজিদের কুরআন শিক্ষা আসরে সহজে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

    এরপর লেখক বাড়ি নির্বাচনের পূর্বে প্রতিবেশী নির্বাচনের কথা বলেছেন। এটি আসলে খুব প্রয়োজনীয় একটি কাজ। কেননা এক প্রতিবেশীর প্রভাব অবশ্যই অন্য প্রতিবেশীর ওপর পড়ে। তাই মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স:) বলেছেন –

    “৪টি বিষয় সৌভাগ্যের – নেককার স্ত্রী, প্রশস্ত ঘর, নেককার প্রতিবেশী ও দ্রুতগামী বাহন। আর ৪টি বিষয় দুর্ভাগ্যের – অসৎ প্রতিবেশী, খারাপ স্ত্রী, সংকীর্ণ ঘর ও দুর্বল বাহন।” (সহীহ ইবনে হিব্বান: ৪০৩২)

    ৪০তম এবং বইয়ে উদ্ধৃত শেষ উপদেশটি হলো – ঘরের প্রতিটি সদস্যের শারীরিক সুস্থতার প্রতি লক্ষ্য রাখা। নবী পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে নবীজি (স:) বিভিন্ন দুয়া পড়ে তার শরীরে ফুঁক দিতেন।

    ﴿ اذا مرض احد من اھله نفث عليه بالمعوذات ﴾

    অর্থাৎ, রাসূলুল্লাহ (স:) এর পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে তিনি সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস পড়ে শরীরে ফুঁক দিতেন (সহীহ মুসলিম : ২১৯২)। বাড়ির সবার শারীরিক সুস্থতার প্রতি তাই বিশেষ নজর রাখা একান্ত কর্তব্য।

    আলহামদুলিল্লাহ্‌, ৪০তম উপদেশের মধ্য দিয়ে বইটি সমাপ্ত হলো।
    _____________________________________

    ✴ পাঠান্তে মন্তব্য :

    আপনি পরিবারের কর্তা? চান কি পরিবারটি ঘিরে থাকুক সুখ-শান্তি? তাহলে শুনুন, আপনাকে একটা পরামর্শ দিই। এই যে বইটি দেখতে পাচ্ছেন না? কিনে ফেলুন আজই। মুখস্থ করে ফেলুন পুরোটা। মুখস্থ করতে না পারলেও অন্তত বারংবার রিভিশন দিন বইটি। এবং নেমে পড়ুন শান্তিময় পরিবার গঠনের সুমহান কাজে। আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যেকটা পরিবার প্রধানের এই বইটি আত্মস্থ রাখা একান্ত কর্তব্য। যদি এর চেয়েও ভালো কোনো বই পেয়ে থাকেন, তাহলে সেটাই অনুসরণ করুন। কিন্তু কিছু না কিছু একটা আপনাকে করতেই হবে। তবে আমি মনে করি, এই একটি বইই যথেষ্ট এবং অনেক বেশি যথেষ্ট। পারলে বইটির তা’লীম দিন পরিবারে। কাজে লাগবেই ইনশাআল্লাহ।
    ___________________________________

    ✴ সমালোচনা :

    রুহামা কর্তৃক প্রকাশিত বইয়ে সমালোচনার সুযোগ একটু কমই থাকে। এই বইটির ক্ষেত্রেও একই কথা। তবুও দুই একটি জায়গা আমার কাছে বেখাপ্পা লেগেছে। সেটাই তুলে ধরবো আর কি – সরাসরি সমালোচনা বলা যায় না।

    ▪ রুহামা এবং রুহামার বই সার্বজনীন। শাইখ মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ (হাফি:) যদিও অনেক পরিচিত একজন ব্যক্তিত্ব, তবুও সাধারণের মাঝে কারো কারো নিকট হয়তো তিনি ততটা স্পষ্ট নন, হয়তো একদমই অপরিচিত। হতেও পারে এমনটা। তাই বইয়ের প্রারম্ভে অথবা ফ্ল্যাপে লেখক সম্পর্কে দু’-চার কলম লেখা থাকলে মন্দ হতো না।

    ▪ নিঃসন্দেহে এ বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একই সাথে গাম্ভীর্যের অধিকারি। কিন্তু বইটিতে শিরোনাম এবং আয়াত-হাদিস লিখতে গিয়ে সবুজ রঙের ব্যবহার করা হয়েছে। আমার কাছে এটা বেখাপ্পা লেগেছে। মনে হয়েছে এতে বইয়ের আভিজাত্য এবং গাম্ভীর্য ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

    ▪ বইটি শিশু বা কিশোর বয়সী পাঠকদের জন্য নয়। তারা পড়লে সমস্যা নেই অবশ্যই। কিন্তু মূলত যাদেরকে উদ্দেশ্য করে এ বইটি, তারা সবাই বয়সের একটা উঁচু পর্যায়ে চলে গেছেন। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বইয়ের পৃষ্ঠাগুলোতে জলছাপের আলপনা বইটির তাৎপর্যহানি করেছে বলে আমার মনে হয়।
    _______________________________________

    ✴ সমাপনী:

    সমাপ্তিতে চলে এসেছি। তবে শেষ করার আগে একটি নিবেদন রেখে যেতে চাই – বই পড়ুন, জীবন গড়ুন। তারই ধারাবাহিকতায় এ বইটিও পড়ুন।
    _______________________________________

    5 out of 5 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  3. 5 out of 5

    Mahira:

    #ওয়াফিলাইফ_পাঠকের_ভালোলাগা_এপ্রিল_২০২০
    .
    ভোগবাদী জীবনের কীট মুসলিমদের মগজে যেদিন থেকে ঢুকেছে, সেদিন থেকেই ব্যাপিত হয়েছে পারিবারিক সম্পর্কের অবনতির ঊষালগ্ন কাল। অদ্যাবধি সম্পর্কের টানাপোড়েনে হারাচ্ছে কতশত ভালোবাসা, নষ্ট হচ্ছে হাজারো পরিবারের বন্ধন, ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম! আদর্শ পরিবারের সঠিক ডেফিনেশনটাও আজ মুসলিমরা জানেনা। বস্তুবাদী দুনিয়ার উন্মত্ততায় কেবল বস্তু কেনার সামর্থ্যই অর্জন করছে মানুষ। কিন্তু আদর-ভালোবাসায় কাছের মানুষগুলোকে আগলে রাখার ক্ষমতা হারাচ্ছে দিনকে দিন!
    .
    উম্মাহর এই ক্রন্তিলগ্নে, ভ্রান্ত মনোভাব ব্যবচ্ছিন্ন করতে, প্রিয় শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদ লিখলেন তাঁর অভিজ্ঞতালব্ধ প্রেস্ক্রিপশান। পরিবারে প্রশান্তি আনয়নের কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক কাগুজে ঔষধ।

    [বইয়ের বিষয়বস্তুঃ]
    শাইখের “আরবাঊনা নাসিহাতান লি-ইসলাহিল বুয়ূত” রচনার অনূদিত বই এটি। নাম থেকেই অনুমেয় বইটিতে আদর্শ পরিবার গঠনের ৪০টি নির্দেশিকা দেওয়া আছে বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটিতে। পরিবারে দ্বীনী পরিবেশ আনয়নের মেহনতের পদ্বতিকে বোধগম্য ভাষায় উপস্থাপন করেছেন লেখক। পারিবারিক সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধান পথ বাতলে দিয়েছেন। আদর্শ পরিবারের বৈশিষ্ট্য কি, কীভাবে আদর্শ পরিবার গড়তে হয়, স্ত্রী/স্বামীকে কে দাওয়াহ, সন্তান পালন-শাসনের পদ্ধতি সহ বিভিন্ন আমলের নাসীহাহ বিদ্যমান বইটিতে। পয়েন্ট আকারে থাকায় প্রত্যেকটি বিষয়ে স্বতন্ত্র ধারণা লাভ হবে। যারা আদর্শ পরিবার গঠনকে কঠিন মনে করেন, তাদের জন্য এই বইটা কম্পলিট গাইডলাইন।

    [ভালোলাগা-মন্দলাগাঃ]
    বইয়ের মান, বাইন্ডিং ঠিকঠাক। অনুবাদের ভাষাগত মান উন্নত।বাজারে পরিবার সম্পর্কে প্রচুর বই থাকলেও এই বইটা অনন্যসাধারণ। সিলেবাসের মতো বাস্তব জীবনে কাজে লাগার মতো। তবে বইয়ের ভেতর কালো-সবুজ রঙের সমন্বয় সৌখিন পাঠককে আকর্ষন করলেও, অনেকেই এটা পছন্দ করেনা। আমি নিজেও এর বিপক্ষে।

    [প্রতিক্রিয়াঃ]
    সারাদিনের ক্লান্তি শেষে ঘরে ফিরে স্ত্রীর হাসিমুখ দেখার সৌভাগ্য সবার হয়না! ঘর্মাক্ত বদনে স্ত্রীর আঁচলের ছোয়া, বাবার আগমনে সন্তানের উল্লাস, রোজকার প্রাপ্তিতে রবের সন্তুষ্টি জ্ঞাপন,কিয়ামুল লাইলে সঙ্গীর সাথে রাব্বের করুণা অনুসন্ধান।
    এমন ‘মধুরেণ-সমাপয়েৎ’ দৃশ্যগুলোর চেয়ে তৃপ্তির আর কি হতে পারে?
    .
    এমন পরিবার গঠনে মুসলিমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রয়োজন শুধু মেহনত আর রবের রাহমাহ। এই মেহনতের পদ্ধতির সুস্পষ্ট দিকনির্দেশিকা হচ্ছে আলোচ্য বইটি।
    আদর্শ সভ্যতা বিনির্মানের উৎস হলো আদর্শ পরিবার। পরিবার থেকেই প্রজন্মের সৃষ্টি। তাই বইটি পড়ার অনুরোধ।

    হৃদয়ের গোপন কুঠুরিতে আশা পুষি, পরিবারের ভালোবাসা গুলো ব্যক্তিহৃদয় ছাপিয়ে পৌঁছে যাক আরশে আযীমে। চিরস্থায়ী নীড় বাঁধুক জান্নাতের সবুজ মিনারে।ইনশাআল্লাহ তা’আলা।

    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  4. 5 out of 5

    মুহাম্মদ হুসাইন আলী:

    সত্যিই বই প্রশংসার দাবিদার। আমি মনে করি প্রতি নতুন দম্পত্তির এই বই বড়া উচিত।
    4 out of 4 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
Top