মক্কার পথ
`The Road to Macca’ গ্রন্থের রচয়িতা আল্লামা মুহাম্মদ আসাদ। গ্রন্থটির বাংলা অনুবাদ করেছেন অধ্যাপক শাহেদ আলী।
‘মক্কার পথ’ লেখকের নাটকীয় জীবনের বহু কথা তিনি অবলিলা্ক্রমে ব্যক্ত করেছেন। তিনি জ্ঞান বিজ্ঞানে অগ্রসর বর্তমান প্রাশ্চাত্য সভ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন- এর বাহ্য জাকজমকের অন্তরালে লুকায়িত অতল-গর্ভ শূন্যতাকে দুনিয়ার সামনে উদ্ঘাটিত করে দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, তিনি সাংবাদিকতার উদ্দেশ্যে জেরুযালেম আসেন এবং আরবদের জীবন পদ্ধতির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। তাঁদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মেলামেশার পর তিনি আবিষ্কার করেন ট্রেডিশনাল মুসলিম সমাজের মধ্যে রয়েছে মন ও ইন্দ্রিয়ের এক সহজাত সঙ্গতি, -যা ইউরোপ হারিয়েছে। তিনি তাঁদের মধ্যে আবিষ্কার করেন হৃদয়ের নিশ্চয়তা এবং আত্ন-অবিশ্বাস থেকে মুক্তি, যে মুক্তি ইউরোপীয়দের স্বপ্নের অগোচর। এ বিশ্বাসের প্রতি অনুরক্ত হয়ে তিনি ১৯২৬ সনে ইউরোপে ফিরে সস্ত্রীক ইসলমা ধর্ম কবুল করেন।
-
-
save offলা-তাহযান হতাশ হবেন না
লেখক : ড. আইদ আল কারণীপ্রকাশনী : ইসলাম হাউজ পাবলিকেশন্স550 ৳330 ৳অনুবাদক: হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ নূর হোছাইন ...
-
hotআমেরিকাতে হামলার প্রেক্ষিতে মুসলিম প্রতিক্রিয়া
লেখক : ইমরান নযর হোসেনপ্রকাশনী : মুসলিম ভিলেজ150 ৳105 ৳অনুবাদক: ইমদাদ হুসেইন খান ...
-
save offতালিবে ইলমের উদ্দেশ্যে ইমাম গাযালী রহ. এর পত্র
প্রকাশনী : মাকতাবাতুত তাকওয়া60 ৳33 ৳অনুবাদক: কামরুল হাসান বিন আলাউদ্দীন ...
-
save offশয়তানের প্ররোচনাবলী
লেখক : শায়ক মাকসুদুল হাসান আল-ফাইযীপ্রকাশনী : ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী75 ৳56 ৳পৃথিবী সৃষ্টি থেকেই আমাদের চিরশত্রু শয়তান ...
-
save offবিশ্বায়নের যুগে ইসলাম উম্মাহ এবং সভ্যতা
লেখক : প্রফেসর ড. মেহমেদ গরমেজপ্রকাশনী : মক্তব প্রকাশন190 ৳152 ৳
-
save offদ্যা স্পিরিট অব ইসলাম এন্ড এ শর্ট হিস্ট্রি অব স্যারাসিনস
লেখক : স্যার সৈয়দ আমীর আলীপ্রকাশনী : জ্ঞানকোষ প্রকাশনী320 ৳262 ৳
-
rifat.jm223 – :
আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর সকল মানব সন্তানকে মুসলিম হিসেবেই সৃষ্টি করেন, কিন্তু তাদের মা-বাবারাই তাদের বিভিন্ন ধর্মের প্রতি অনুরাগী করে তোলেন। তবে সময়ের পরিক্রমায় সত্য যখন স্পষ্ট হয়ে যায় তখন অনেকেই স্বগৃহে প্রত্যাবর্তন করে।
প্রত্যাবর্তনের অনেক গল্পই তো পড়েছেন। কেউ ইসলামের মহত্ত্ব দেখে আর কেউ শ্রেষ্ঠত্ব দেখে প্রত্যাবর্তন করে। কেউ ইসলামি আইনে আসক্ত হয়ে আর কেউ নিয়মে অনুরাগী হয়ে ফিরে আসে। কিন্তু আপনার চলার মাঝে যখন ইসলাম নিজেই চলে আসে, আপনার দৃষ্টিভঙ্গির মাঝে নাড়া দেয় তখন এক অদ্ভুদ কিছুর সৃষ্টি হয়। তেমনি এক অদ্ভুদ প্রত্যাবর্তনের গল্প নিয়ে তৈরি “মক্কার পথ”।
“মক্কার পথ” এর লেখক একজন ইহুদি পন্ডিত পরিবারের সন্তান। কিন্তু কিশোর বয়সেই তিনি ইহুদি ধর্মের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। ধীরে ধীরে জ্ঞান-বিজ্ঞানে অগ্রসর তম পশ্চিমা জগতের প্রতিও তিক্ত অনুভূতি প্রকাশ করলেন। তিনি খেয়াল করলেন এই এক তলাবিহীন ঝুড়ির মত। যারা জ্ঞান-বিজ্ঞানে অগ্রসর, মানবতা-সামাজিকতার বুলি আওড়ালেও এর অভ্যন্তরে এক অভাব, শূন্যতা কাজ করে। আধ্যাত্মিক শূন্যতা, নৈতিকতা শূন্যতার অভাব তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। তাই দিন শেষে তাদের হৃদয় তৃষিত থেকে যায়।
অন্যদিকে লেখক সাংবাদিকতার উদ্দেশ্যে জেরুজালেমে যান এবং সেখানে আরবদের জীবনাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যান। ধীরে ধীরে তিনি লক্ষ্য করলেন মুসলিমদের মাঝে রয়েছে মন ও ইন্দ্রিয়ের এক সহজাত মিল, যা আজ পশ্চিমে হারিয়ে গেছে। তিনি প্রাচ্য ও পশ্চিমের মাঝে বিশাল তফাৎ খুঁজে পেলেন। তাই একসময় হৃদয়ের ডাকে সাড়া দিলেন।
এটি একটি ভ্রমণকাহিনীও। লেখকের সাথে সাথে আপনিও ঘুরে আসতে পারবেন ইউরোপ ও প্রাচ্যের অনেক দেশে। অবলীলায় বলতে পারবেন বহু নদী-সংস্কৃতির কথা।
এটি একটি উন্নত সাহিত্যকর্মও। কেউ সাহিত্যের প্রতি অনুরাগী হলেও তার তৃপ্তিও মিটাবে এই বই।
সব মুসলিমদের বইটি পড়া উচিৎ।
মানসূর আহমাদ – :
লেখক আল্লামা মুহাম্মদ আসাদ ছিলেন একজন ইহুদি। নাম ছিল লিওপোল্ড লুইস। জন্ম ১৯০০ সালে, পোল্যান্ডের লেমবার্গ শহরে। তাঁর দাদা ছিলেন ইহুদিদের রাব্বি বা ধর্মীয় পণ্ডিত। হলে কী হবে, কিশোর বয়সেই— লুইস যখন সবেমাত্র ভালো মন্দ বুঝতে শিখেছেন, তখনই তিনি তাঁর ধর্মের প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে ফেলেন! বহু বছর পর এ বিষয়ে তিনি তাঁর আধ্যাত্মিক আত্মচরিত ‘ The Road To Mecca’ (মক্কার পথ) –তে লিখেন “আমার মনে হলো ওল্ড টেস্টামেন্ট এবং তালমুদের আল্লাহ যেন তাঁর পূজারীরা কিভাবে তাঁর পূজা করবে তার অনুষ্ঠানগুলো নিয়েই ব্যস্ত। আমার আরো মনে হতো আল্লাহ যেন বিশেষ একটি জাতির ভাগ্য নিয়ে বিস্ময়কররূপে ব্যস্ত রয়েছেন পূর্ব থেকেই। ইব্রাহিমের বংশধরগণের ইতিহাসরূপে ওল্ড টেষ্টামেন্টের কাঠামোটিই এমন যে মনে হয় আল্লাহ যেন গোটা মানবজাতির স্রষ্টা ও পালনকর্তা নন, বরং তিনি যেন এক উপজাতীয় দেবতা, যে দেবতা একটি মনোনীত জাতির প্রয়োজনের সঙ্গে গোটা সৃষ্টির সংগতি বিধান করে চলেছেন।”
লুইস তাঁর বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাশ্চাত্যের তথাকথিত আধুনিকতার প্রতি ভীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন। তাদের বাহ্যিক জাঁকজমকের অন্তরালে লুকায়িত অতলগর্ভ শূন্যতা তাঁর সামনে উদ্ভাসিত হয়ে যায়। লুইসের সেই সময়কার অবস্থা , লুইসের ভাষায় “আমি দেখতে পেলাম জীবন কতো অসুখী এবং বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগ কত সামান্য। যদিও সমাজ ও জাতির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে কান ফাটানো উন্মত্ত চিৎকারের সঙ্গে। আমরা আমাদের সহজাত অনুভূতির দুনিয়া থেকে কত দূরে সরে পড়েছি। আর আমদের আত্মা কতো সংকীর্ণ এবং দীপ্ত হয়ে উঠেছে। তখন আমাদের সকল চিন্তার আদি এবং অন্ত ছিলো ইউরোপ।”
লুইস বলেন, ‘‘কিন্তু আমার চারপাশে যারা রয়েছে তাদের কিংবা তাদের মধ্যকার কোন দলের বিভিন্নমুখী সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক আশা-আকাংখায় শারিক হতে আমার অক্ষমতা কালক্রমে আমার মধ্যে এই অস্পষ্ট ধারণার রূপ নেয় যে, আমি ঠিক ওদের কেউ নই, ওদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই এবং তারই সঙ্গে আমর এ বাসনা জন্মাল যে আমাকে কারো অঙ্গীভূত হতেই হবে-তবে কার? কোন কিছুর অংশ হতে হবেই– তবে কিসের?’’
একসময় পেটের দায়ে সাংবাদিকতা পেশায় আত্মনিয়োগ করেন। একটা সংবাদপত্রের প্রতিনিধি হিসেবে পাড়ি জমান বর্তমান ফিলিস্তিনে। সেখানে তিনি আরব মুসলিমদের চালচলন ও ধর্মকর্ম দেখে বিমুগ্ধ হন। তিনি আবিষ্কার করেন, ট্রেডিশনাল মুসলিম সমাজের মধ্যে রয়েছে মন ও ইন্দ্রিয়ের এক সহজাত সঙ্গতি— ইউরোপ যা ইতোমধ্যেই হারিয়ে ফেলেছে! তিনি আশ্চর্য হয়ে লক্ষ করেন, ইউরোপের জনমনে আজ যে হাহাকার অনিশ্চয়তা আর অবিশ্বাস, মুসলিমদের মধ্যে তার ছিটেফোঁটাও নেই। তাঁরা বরং প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস আর হৃদয়ের প্রশান্তিতে ন্যুব্জ!
ইসলামের প্রতি তাঁর আকর্ষণ ও ভালো লাগা থেকেই ১৯২৬ সালে ইউরোপে ফিরে সস্ত্রীক ইসলাম কবুল করেন। তাঁর মুসলিম নাম হয় মুহাম্মদ আসাদ। আসাদের আত্মকথা ‘মক্কার পথ’ গ্রন্থে তাঁর এই ইসলাম কবুলকে বলা হয়েছে ‘স্বগৃহে প্রত্যাবর্তন’।
মক্কার পথ তাঁর এক বিস্ময়কর সফরনামা। তাঁর রূহানি আত্মজীবনী! বইটিতে তিনি তাঁর সেই সফরের বিচিত্র অভিজ্ঞতা, তখনকার আরবদের জীবনধারা, আরব বেদুইনদের চালচলন যেমন চিত্তাকর্ষক গল্পের ভাষায় বর্ণনা করেছেন, তেমনি তুলে ধরেছেন সত্যসন্ধানী এক অতৃপ্ত হৃদয়ের সত্যোপলব্ধির মর্মস্পর্শী কাহিনি।
আল্লামা মুহাম্মদ আসাদের সফরনামায় চিত্তাকর্ষক গল্প যেমন আছে, তেমনি বিবৃত হয়েছে লোমহর্ষক কিছু কাহিনিও। তন্মধ্যে আরবের মরুঝড়ে আটকা পড়ে মরণাপন্ন অবস্থার সৃষ্টি হওয়া, আগুনের মধ্যে সরাসরি রুটি পুড়ে খাওয়া, এক আরব কিশোরীকে বিয়ে করা ও রাতারাতি তালাক প্রদান, ইবনে সউদের সঙ্গে সম্পর্ক, রাজত্ব উদ্ধারে মাত্র ২১ বছর বয়সে ইবনে সউদের দুঃসাহসিক অভিযান সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।
মক্কার সফরের পাট চুকে গেলে তিনি আরব দেশ ছেড়ে ভারতে যান এবং মহান মুসলিম কবি ও দার্শনিক আল্লামা ইকবালের সঙ্গে পরিচিত হন। তাঁরই পরামর্শে আসাদ তাঁর পূর্ব তুর্কীস্তান, চীন এবং ইন্দোনেশিয়া সফরের পরিকল্পনা ত্যাগ করেন, ইসলামী রাষ্ট্রের বুদ্ধিবৃত্তিক সূত্রগুলোর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের জন্যে তিনি ভারতে থেকে যান। ইসলামী রাষ্ট্র তখন এক স্বাপ্নিক কবির স্বপ্ন বিহবল মনের স্বপ্ন মাত্র ছিলো। মুহাম্মদ আসাদের ভাষায় “আমার কাছে ইকবালের মতই স্বপ্ন ছিলো-ইসলামের সমস্ত ঘুমন্ত আত্মাকে পুনর্জীবিত করে তোলার একটি পথের –বস্তুত একমাত্র পথের পথিকঃ একটি জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক সত্তা সৃষ্টি, যার সংহতির ভিত্তি একই রক্ত-মাংস নয়, বরং এটি আদর্শের প্রতি সাধারণ আনুগত্য। বহু বছর আমি নিজেকে নিবেদিত রাখি এই লক্ষ্যে অধ্যয়ন, রচনা ও বক্তৃতায় এবং কালে ইসলামী আইনের ব্যাখ্যাতা হিসাবে কিছুটা খ্যাতি অর্জন করি।”
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলে এই রাষ্ট্রের সরকার ইসলামী পুনর্গঠন বিভাগ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার এবং পরিচালনার জন্য মুহাম্মদ আসাদকে আহবান করে,-এর লক্ষ্য রাষ্ট্র ও সমাজ সম্পর্কে আদর্শগত ইসলামী ধ্যান-ধারণাগুলোকে বিশদভাবে তুলে ধরা, যার উপর নবজাত রাজনৈতিক সংগঠনটি তার আদর্শিক দিক-নির্দেশনার জন্য নির্ভর করতে পারে। মুহাম্মদ আসাদ দু’বছর এই অতিশয় উদ্দীপনাপূর্ণ কাজটি চালিয়ে যাবার পর পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগদান করেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরে তিনি হন মধ্যপ্রাচ্য ভিভিশনের প্রধান। ইহুদীবাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তীনিদের পক্ষে পাকিস্তান জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠানে যে যুক্তি ও তথ্যের লড়াই সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনা করে তার সমর্থনে সকল ঐতিহাসিক তথ্য ও দলিল প্রমাণাদি সরবরাহ করেন মুহাম্মদ আসাদ। পররাষ্ট্র দপ্তরে তিনি আত্মনিয়োগ করেন, পাকিস্তান ও মুসলিম বিশ্বের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত করে তোলার জন্য। এই সময়ে মুহাম্মদ আসাদ নিযুক্ত হলেন জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠানে পাকিস্তানী মিশনে মিনিষ্টার প্লেনিপোটেনশিয়ার হিসেবে। পরে ১৯৫২ সালের শেষেরদিকে তিনি এই পদে ইস্তাফা দিয়ে তাঁর অমর ‘‘The Road To Mecca’’ বা মক্কার পথ গ্রন্থ রচনায় আত্মনিয়োগ করেন।
বইটি লিখেছেন যেমন যুগের একজন চিন্তাশীল মনীষী, তেমনি অনুবাদও করেছেন প্রখ্যাত কথাশিল্পী ও ইসলামি চিন্তাবিদ অধ্যাপক শাহেদ আলী। পোড় খাওয়া যোগ্য লোকের অনুবাদ বলেই বইটি নিতান্ত রসকষহীন বর্ণনা হয়ে যায়নি; হয়েছে অতি উঁচু মানের সাহিত্যরসে সিক্ত!
অধ্যাপক শাহেদ আলী ছিলেন রচনা ও অনুবাদে সিদ্ধহস্ত পাকা পুরুষ! তাই তাঁর অনুবাদ চমৎকার হৃদয়গ্রাহী হবে— এটাই স্বাভাবিক।
বইটি সম্পর্কে অনুবাদক বলেন, ‘শৈশব থেকে ইসলাম গ্রহণ পর্যন্ত আসাদের দীর্ঘ চাঞ্চল্যকর আধ্যাত্মিক সফরে তাঁর সহযাত্রী হয়ে আমিও ঘুরি ইউরোপ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে, পথে-প্রান্তরে, হাটে-গঞ্জে, শহরে-বন্দরে, সমুদ্রে, আর নতুন করে দেখি জগতকে; ধীরে ধীরে ইসলামের পরিপূর্ণ রূপটি পাপড়ির পর মেলে বিকশিত হয়ে ওঠে আমার দৃষ্টির সম্মুখে। বার বার পড়লাম ‘The Road of Mecca’এবং পড়তে পড়তেই অন্তরে এ উপলব্ধি হলো-এ বই-এর বাংলা তরজমা বাংলাভাষী পাঠক-পাঠীকাদের জন্যে ইসলামী জীবন-দৃষ্টির এক নতুন দিগন্ত উন্নোচিত করবে।
‘The Road of Mecca’ বা মক্কার পথ মুহাম্মদ আসাদের রূহানী আত্মজীবনী। আসাদ গল্পচ্ছলে নিজের জীবনের কাহিনী লিখেছেন। উপন্যাসের চেয়েও সরস এ কাহিনী আসাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার প্রামাণিকতায় হয়ে উঠেছে এ-কালের মানুষের জন্যে ইসলামের এক অনাস্বাদিতপূর্ব বিশ্লেষণ। বইটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে এক নতুন স্বাদ, এক অভিনব রস, যা পাঠককে কেবল আনন্দই দেয় না, এক সুগভীর তৃপ্তিকর অভিজ্ঞতায় করে ঐশ্বর্যবান; লেখকের সফর সংগী হয়ে পাঠকও অন্তিমে গিয়ে পৌঁছান মক্কা তথা ইসলামী জীবন-দৃষ্টির মর্মকেন্দ্র, আর ইসলামের পথে তাঁর দীর্ঘ অভিযাত্রা হয় পূর্ণ, আসাদের ভাষায় যা হচ্ছে home-coming- স্বগৃহে প্রত্যাবর্তন।
.
অসাধারণ এই সফরনামার একজন পাঠক হয়ে আপনিও হতে পারেন তখনকার আরবদের জীবন চলার সঙ্গী! আপনিও অনুভব করতে পারেন বেদুইনদের যাযাবর জিন্দেগী! আপনিও পেতে পারেন মরুভূমির লুহাওয়া আর কষ্টের কথা! আবার সাথে সাথে আপনার হৃদয়ও আন্দোলিত হতে পারে রোমান্টিক ও চিত্তাকর্ষক বিভিন্ন কাহিনির দ্বারা!
তাই আজই বইটা নিয়ে বসে যান। আর হৃদয় দিয়ে অনুভব করুন, আপনিও মক্কার পথের একজন যাত্রী!
Arif Khandaker – :